

ভারতীয় ক্রীড়াজগতের জন্য আরেকটি গর্বের মুহূর্ত এনে দিলেন অবিনাশ সাবলে। এশিয়ান অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে তিনি ৩০০০ মিটার স্টিপলচেজে সোনা জিতে ইতিহাস গড়েছেন। দীর্ঘ ৩৬ বছর পর এই ইভেন্টে কোনো ভারতীয় অ্যাথলেট সোনা জয় করলেন।
অবিনাশের এই সাফল্য শুধু ব্যক্তিগত কৃতিত্ব নয়, এটি ভারতীয় ক্রীড়ার ইতিহাসে একটি মাইলফলক। ৮ মিনিট ৩০.১৯ সেকেন্ডে দৌড় শেষ করে তিনি প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান দখল করেন। শুরু থেকেই দারুণ ছন্দে ছিলেন অবিনাশ। শেষ দিকে জোরালো গতি বাড়িয়ে তিনি প্রতিপক্ষদের অনেকটাই পিছনে ফেলে দেন।
১৯৮৯ সালে প্রথম ভারতীয় হিসেবে ৩০০০ মিটার স্টিপলচেজে সোনা জিতেছিলেন দিনা রাম। তাঁর পর রেকর্ড বুকে নিজের নাম তুলেছেন সাবলে। দিনের শেষে জ্যোতি ইয়ারাজি ১০০ মিটার হার্ডলসে স্বর্ণপদক জিতেছেন। জাপানের তানাকা এবং চিনের উ-কে পিছনে ফেলে ভারতকে চতুর্থ সোনা এনে দেন জ্যোতি।
বৃহস্পতিবার, দিনের শুরুতে পুরুষদের ৪x৪০০ মিটার রিলে ভারতীয় দল (রিন্স জোসেফ, ধর্মবীর চৌধুরী, মানু থেক্কিনিল সাজি এবং মোহিত কুমার) আশা জাগিয়ে ফাইনালে ওঠে। অন্যদিকে, মহিলাদের ১০,০০০ মিটার ফাইনালে সঞ্জীবনী যাদব পঞ্চম স্থান অর্জন করেন। তার ঠিক পরে শেষ করেন সতীর্থ সীমা।


উল্লেখ্য, মঙ্গলবার ভারতকে ৮ বছর পর সোনালি সাফল্য এনে দিয়েছিলেন গুলবীর সিং। ১০ হাজার মিটার রেসে সোনার পদক পেয়েছিলেন। বুধবার এশিয়ান অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয় দিনে ভারত ছ’টি পদক জেতে। স্বর্ণপদক পায় ভারতীয় মিক্সড রিলে টিম। ডেকাথলন ইভেন্টে রুপো জেতেন তেজস্বিন শঙ্কর। তাছাড়াও ভারতের প্রবীণ চিত্রাভেল পুরুষদের ট্রিপল জাম্পে রুপো জয় করেন। অন্যদিকে, রূপল চৌধুরী মহিলাদের ৪০০ মিটার দৌড়ে রুপোর পদক জয় করেন। মহিলাদের ১৫০০ মিটারে রুপোর পদক জেতেন পূজা। পুরুষদের ১৫০০ মিটারে ব্রোঞ্জ পদক জেতেন ইউনুস শাহ। অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন অব ইন্ডিয়া (AFI)-এর তরফ থেকেও অবিনাশকে অভিনন্দন জানানো হয়েছে এবং বলা হয়েছে, “এই জয় তরুণ প্রজন্মের অ্যাথলেটদের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।”
আরও পড়ুন
Vijay Stambh : চিতোরগড় দুর্গে বিজয় স্তম্ভ হিন্দু – মুসলিম সহাবস্থানের প্রতীক
উত্তরাপথঃ খ্রিস্টীয় ৭ম শতাব্দীতে মৌর্য রাজবংশ কর্তৃক স্থাপিত চিতোরগড় দুর্গ সাহস ও আত্মত্যাগের প্রতীক হিসেবে আজও দাঁড়িয়ে আছে। এই দুর্গ তার বিশাল কাঠামো, রাজপ্রাসাদ, একাধিক সুদৃশ্য মন্দির সহ সুন্দর জলাশয়ের জন্য বিখ্যাত।৭০০-একর এলাকা জুড়ে বিস্তৃত, এই দুর্গটিতে প্রায় ৬৫টি ঐতিহাসিক স্থাপত্য নিদর্শন রয়েছে যা রাজপুত এবং ইসলামিক স্থাপত্য শৈলীর সূক্ষ্মতার প্রমান দেয়। বিজয় স্তম্ভ (Vijay Stambh)) হল এই দুর্গে অবস্থিত,সবচেয়ে মনোমুগ্ধকর কাঠামো।এই আশ্চর্য-অনুপ্রেরণামূলক স্তম্ভটি কেবল তার উচ্চতার জন্য বিখ্যাত নয়,এটি রাজপুতদের অদম্য সাহস এবং অধ্যবসায়ের গল্পও বলে যা চিতোরগড় দুর্গেরই সমার্থক হয়ে উঠেছে।বিজয় স্তম্ভ (Vijay Stambh), নাম থেকে বোঝা যায়, বিজয়ের প্রতীক। প্রাচীনকালে যে কোনো যুদ্ধ অভিযানের সাফল্যের পর সেই বিজয়কে স্মরণীয় করে রাখতে রাজারা মন্দির, স্তূপ, স্মৃতিস্তম্ভ ও স্তম্ভ নির্মাণ করতেন। ৯ তলা এই বিজয় স্তম্ভটি ১৯৪০ থেকে ১৪৪৮ সালের মধ্যে মহারানা কুম্ভ দ্বারা নির্মিত হয়েছিল। .....বিস্তারিত পড়ুন
দীপাবলির সময় কেন পটকা ফোটানো নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা যায় না ?
উত্তরাপথঃ দীপাবলির পরের দিন, যখন কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (CPCB) শহরের বায়ু মানের সূচকের তালিকা প্রকাশ করে,তখন দেখা যায় রাজধানী দিল্লি বিশ্বের শীর্ষ ১০টি দূষিত শহরের প্রথমেই রয়েছে। CPCB-এর মতে, ১২ নভেম্বর বিকেল ৪ টায় দিল্লির বায়ু মানের সূচক ছিল ২১৮ যা ভোরের দিকে বেড়ে ৪০৭ এ পৌঁছায় । ৪০০ – ৫০০ AQI এর স্তর সুস্থ ব্যক্তিদের প্রভাবিত করে। দীপাবলির সারা রাত, লোকেরা পটকা ফাটিয়ে দীপাবলি উদযাপন করে। ১৩ নভেম্বর বিকেল ৪ টায় কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ আবার তথ্য প্রকাশ করে এই তালিকায়, দিল্লির গড় বায়ু মানের সূচক ছিল ৩৫৮ যা 'খুব খারাপ' বিভাগে পড়ে। বায়ু দূষণের এই পরিস্থিতি শুধু দিল্লিতেই সীমাবদ্ধ ছিল না। নয়ডার বায়ু মানের সূচক ১৮৯ থেকে ৩৬৩ এ এবং রোহতক, হরিয়ানার ১৩৭ থেকে বেড়ে ৩৮৩ হয়েছে। দীপাবলির দুই দিন দিল্লি ,নয়ডা ,কলকাতা, মুম্বাই সহ দেশের অন্যান্য শহরেও একই অবস্থা বিরাজ করছে। এই দিনগুলিতে মানুষ বিষাক্ত বাতাসে শ্বাস নিতে বাধ্য হয়েছে। ২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে জাতীয় রাজধানী দিল্লি এবং নয়ডায় সবুজ পটকা ছাড়া যে কোনও ধরণের আতশবাজি ফাটান সম্পূর্ণ রূপে নিষিদ্ধ। আদালত সবুজ পটকা পোড়ানোর সময়ও নির্ধারণ করে দিয়েছে রাত ৮টা থেকে ১০টা। এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে সুপ্রিম কোর্টের এই আদেশের মানে কী? আদালতের এই আদেশ কি এখন প্রত্যাহার করা উচিত? পুলিশ কেন এই আদেশ কার্যকর করতে পারছে না? এর জন্য কি পুলিশ দায়ী নাকি সরকারের উদাসীনতা রয়েছে এর পেছনে? .....বিস্তারিত পড়ুন
ফ্লিম রিভিউ -ওপেনহাইমার
উত্তরাপথ: বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা ক্রিস্টোফার নোলান দ্বারা পরিচালিত”ওপেনহাইমার” একটি মাস্টারপিস মুভি। ছবিতে জে. রবার্ট ওপেনহেইমার, এক নামকরা পদার্থবিজ্ঞানী, যিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় পারমাণবিক বোমার বিকাশে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।এই সিনেমায় ওপেনহাইমার এর জটিল জীবনকে বর্ণনা করা হয়েছে। সেই হিসেবে 'ওপেনহাইমার'কে বায়োপিক বলা যেতে পারে। কারণ এটি একজন মানুষের গল্প। এই ছবির গল্প তিনটি পর্যায়ে বিভক্ত।ছবির শুরুতে পারমাণবিক বোমা তৈরির আবেগের কথা বলা হয়েছে। যেখানে নায়ক কিছু না ভেবে নিবেদিতপ্রাণভাবে এমন একটি অস্ত্র তৈরিতে নিয়োজিত থাকে যা বিশ্বকে ধ্বংস করতে পারে। অস্ত্র তৈরি হওয়ার পর দ্বিতীয় পর্যায়ে নায়ক তার কাজের ফলাফল দেখে অপরাধবোধে পূর্ণ হয়। এবং তৃতীয় পর্যায়টি হল রাজনীতি যা ওপেনহাইমারকে মোকাবেলা করতে হয়েছে। পুরো সিনেমাটি রঙিন হলেও রাজনৈতিক অংশ সাদা-কালো রাখা হয়েছে। এই তিনটি সময়কালে যা কিছু ঘটছে, তা সবই একে অপরের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত। .....বিস্তারিত পড়ুন
রাতের ঘামের সমস্যা এবং এ সম্পর্কে আপনি কি করতে পারেন
উত্তরাপথঃ রাতের ঘামের সমস্যা শরীরের কুলিং সিস্টেমের একটি স্বাভাবিক অংশ, তাপ মুক্তি এবং সর্বোত্তম শরীরের তাপমাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে।তবে রাতের ঘাম একটি সাধারণ সমস্যা যা বিভিন্ন কারণে হতে পারে।এর অস্বস্তিকর অনুভূতির জন্য ঘুম ব্যাহত হতে পারে, যার ফলে ক্লান্তি এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে। আপনি যদি রাতে অতিরিক্ত ঘাম অনুভব করেন, তাহলে তার অন্তর্নিহিত কারণটি চিহ্নিত করা এবং এটি মোকাবেলার জন্য কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এখানে রাতের ঘামের কিছু সম্ভাব্য কারণ নিয়ে আলোচনা করা হল।মেনোপজ: যে কেউ, বয়স বা লিঙ্গ নির্বিশেষে, রাতের ঘাম অনুভব করতে পারে। .....বিস্তারিত পড়ুন