আদানি গোষ্ঠীর সঙ্গে ৩০ বছরের চুক্তি হলদিয়া বন্দর কর্তৃপক্ষের

উত্তরাপথ

হলদিয়া বন্দর কর্তৃপক্ষ কার্গো বাড়াতে আদানি গোষ্ঠীর সঙ্গে চুক্তি করল ।এদিন মৌ চুক্তি স্বাক্ষরের সময় উপস্থিত ছিলেন হলদিয়া বন্দরের ডেপুটি চেয়ারম্যান অমলকুমার মেহেরা, আদানি গ্রুপের বিজনেস হেড প্রশান্ত কুমার পাত্র সহ অন্যরা। আগামীদিনে হলদিয়া বন্দরে বাণিজ্যিক উন্নয়ন ঘটবে বলে আশাবাদী হলদিয়া বন্দর কর্তৃপক্ষ।

 বন্দরের ২ নম্বর বার্থে পন‍্য ওঠা-নামানোর কাজে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ মডেলে (পিপিপি মডেল) ৩০ বছরের জন্য এই চুক্তি হয়েছে । হলদিয়া বন্দরে ৪০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে চলেছে আদানি গোষ্ঠী । ১ জুলাই থেকে জায়গা হস্তান্তর হবে। আগামী মাস থেকে শুরু হবে কাজ। ৩০ মাসের মধ্যে হলদিয়া বন্দরের ২ নম্বর বার্থে আমদানি ও রফতানি শুরু হবে বলে জানান আদানি গ্রুপের বিজনেস হেড প্রশান্ত কুমার পাত্র।

প্রসঙ্গত হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টের পর হলদিয়া বন্দরের এই প্রকল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়। তবে আদানিদের হলদিয়ার প্রকল্প নিয়ে আশঙ্কার কোনও কারণ নেই বলে স্পষ্ট জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। বরং আদানিদের কাগজপত্র খতিয়ে দেখে দ্রুত কাজ শুরু করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। হলদিয়া বন্দরে আধুনিকীকরণে ৪০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করছে আদানি গ্রুপ।

চলতি বছরের এপ্রিল-মে মাস নাগাদ আদানিরা হলদিয়া বন্দরে আধুনিকীকরণের কাজ শুরু করতে পারে বলে আশা করেছিল বন্দর কর্তৃপক্ষ। জানা গিয়েছিল, বন্দরের আধুনিকীকরণে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করছে ভারতের বৃহত্তম বেসরকারি পোর্ট অপারেটর সংস্থা আদানি গ্রুপ। বন্দরের ২ নম্বর বার্থ মেকানাইজেশন অর্থাৎ স্বয়ংক্রিয় পরিকাঠামো গড়তে এই বিনিয়োগ হবে।

খবরটি শেয়ার করুণ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন


রাহুলের ভারতজোড় সাফল্য পেলেও, অভিষেক কি পারবে ?

উত্তরাপথ: রাহুল গান্ধীর ১৪৬ দিনের প্রায় ৩৮৫০ কিলোমিটার ভারতজোড় যাত্রার সাফল্য কংগ্রেস ঘরে তুলতেই তৃনমূলের নতুন উদ্যোগ জনসংযোগ যাত্রা।এই যাত্রায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৬০ দিনে ৩,৫০০ কিলোমিটার দীর্ঘ " জনসংযোগ " করবেন। উত্তরবঙ্গের কোচবিহার জেলার দিনহাটা থেকে শুরু হওয়া এই যাত্রা রাজ্যের সবচেয়ে দক্ষিণ প্রান্ত দক্ষিণ ২৪ পরগণার কাকদ্বীপে শেষ হবে। এই পুরো যাত্রায় অভিষেক মোট ২৫০টি সমাবেশে ভাষণ দেবেন। এখন প্রশ্ন তৃণমূল তথা অভিষেকের জনসংযোগ যাত্রার প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে। কংগ্রেস তথা রাহুল গান্ধীর ভারতজোড় যাত্রার উদ্দেশ্য .....বিস্তারিত পড়ুন

মানুষে মানুষে ঐক্য কীভাবে সম্ভব

দিলীপ গায়েন: হিন্দু,মুসলমান,ব্রাহ্মণ,তফসিলি।সকলেই মানুষ।কিন্তু এদের মধ্যে যে ব্যবধান তা হলো ধর্ম ও সাংস্কৃতিক। এই ব্যবধান মুছতে পারলে একাকার হওয়া সম্ভব। যারা বলছে আর্থিক সমতা প্রতিষ্ঠা হলে ব্যবধান মুছে যাবে, তাদের কথাটি বোধ হয় সঠিক নয়।তার প্রমাণ গরিব ও শ্রমিক শ্রেণীর মধ্যে আর্থিক ব্যবধান নেই। অথচ জাতিভেদ রয়ে গেছে। তেমনি কিছু ব্যতিক্রমী ঘটনা ব্যতীত ধনী ও শিক্ষিত সমাজে আর্থিক সচ্ছলতা থাকলেও জাতিভেদ রয়ে গেছে। একমাত্র হাসপাতালে বা চিকিৎসা ব্যবস্থায় জাতিভেদ নেই।কারণ সেখানে তো প্রচলিত ধর্মজাত প্রভেদ বা পরিচয় নেই। আছে মেডিসিন, যা সম্পূর্ণ বিজ্ঞান। কারোর ধর্ম বা জাত দেখে প্রেসক্রিপশন হয় কি? এখানে মানুষের একমাত্র এবং শেষ পরিচয় সে মানুষ। .....বিস্তারিত পড়ুন

Scroll to Top