উত্তরাপথ
আদি-নব্য লড়াই ২০২৩ পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপির খারাপ ফলের পেছনে একাধিক কারনের মধ্যে অন্যতম ভূমিকা গ্রহণ করেছে সন্দেহ নাই । বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষের গ্রাম কুলিয়ানা। ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুরের এই গ্রামের ২৫ নম্বর বুথে ভোট দেন দিলীপ অথচ তাঁর গ্রামে, তিনি যে বুথে ভোট দেন, সেই বুথেই জিতে গেলেন এক তৃণমূল প্রার্থী। যা শুনে দিলীপের প্রতিক্রিয়া, ‘‘আমরা তো লড়াইয়েই ছিলাম না।‘স্বাভাবিক ভাবে প্রশ্ন আসে তাহলে কি আবার শুরু হল বিজেপিতে আদি-নব্য লড়াই।
বিজেপি অবশ্য কুলিয়ানা গ্রাম পঞ্চায়েতে শুধু ওই একটি আসনেই প্রার্থী দিতে পারেনি। গোপীবল্লভপুর দুই ব্লকের কুলিয়ানা গ্রামপঞ্চায়েতের মোট আসন ১৩টি। এর মধ্যে কুলিয়ানা সংসদে রয়েছে দু’টি বুথ। এর মধ্যে কুলিয়ানার বুথ নম্বর ২৫-এই শুধু প্রার্থী দিতে পারেনি বিজেপি। বাকি বুথগুলিতে বিজেপির প্রার্থী দিতে পেরেছে। বিজেপি অবশ্য কুলিয়ানা গ্রাম পঞ্চায়েতে শুধু ওই একটি আসনেই প্রার্থী দিতে পারেনি। গোপীবল্লভপুর দুই ব্লকের কুলিয়ানা গ্রামপঞ্চায়েতের মোট আসন ১৩টি। এর মধ্যে কুলিয়ানা সংসদে রয়েছে দু’টি বুথ। এর মধ্যে কুলিয়ানার বুথ নম্বর ২৫-এই শুধু প্রার্থী দিতে পারেনি বিজেপি। বাকি বুথগুলিতে বিজেপির প্রার্থী দিতে পেরে
সাম্প্রতিক বছরগুলিতে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির উল্লেখযোগ্য উত্থান হয়েছে । দলটি ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচন এবং পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচনে উল্লেখযোগ্য লাভ করেছে।২০১৯ সালের পর থেকেই বিজেপিতে বিভিন্ন দল থেকে প্রচুর লোক যোগদান করে। আর এই থেকেই দলে শুরু আদি-নব্য লড়াই।
পশ্চিমবঙ্গে দলের পুরানো সদস্যরা, যারা বর্তমান বিজেপি দলটিকে গড়ে তোলার জন্য বছরের পর বছর কাজ করেছেন, তারা নির্বাচনী সাফল্যের পর দলে যোগদানকারী নতুন সদস্যদের কারণে নিজেদের পুরানো দলে তারা নিজেদের জন্য কোনও জায়গা পাচ্ছেন না। এতে দলের মধ্যে ক্ষমতার লড়াই তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন
সম্পাদকীয়
এ যেন বহুদিন পর বিজেপির চেনা ছন্দের পতন। হিমাচল প্রদেশের পর কর্ণাটক কংগ্রেস নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে বিজেপির বিজয়রথকে থামিয়ে দিল ।২০১৮ পর থেকে লাগাতার হারতে থাকা একটি দল আবার ২০২৪ সাধারণ নির্বাচনে প্রাসঙ্গিক হয়ে গেল । ২২৪ সদস্যের কর্ণাটক বিধানসভায় সরকার গঠন করতে গেলে প্রয়োজন ১১৩টি আসন সেখানে কংগ্রেস একাই পেয়েছে ১৩৬টি আসন, বিজেপি পেয়েছে ৬৫ টি এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবগৌড়ার জেডিএস পেয়েছে ১৯টি এবং অন্যান্য ৪ টি আসন পেয়েছে। যা গতবারের তুলনায় বিজেপির ৩৯ টি আসন কমেছে এবং কংগ্রেসের বেড়েছে ৫৭টি আসন এবং জেডিএসের কমেছে ১৮ টি আসন। কর্ণাটকে কংগ্রেসের এই সাফল্য কি রাজ্যে কংগ্রেসের শক্তিশালী সংগঠনের ফল না কি কর্ণাটকের আগের ক্ষমতাশীল বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভ । কর্ণাটকে কংগ্রেসে অনেক বড় নেতা রয়েছে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শিবকুমার দক্ষ সংগঠক। আগের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়ার ব্যাপক জনভিত্তি রয়েছে। ভোটের আগে বিজেপির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগদীশ শেট্টার এবং উপমুখ্যমন্ত্রী সাভাড়ি কংগ্রেসে যোগ দিয়ে নির্বাচনে লড়েছেন। অন্যদিকে বিজেপির প্রচারের সবচেয়ে বড় মুখ ছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। বিজেপির প্রচারে সব নেতারাই মোদীর নাম করেই ভোট চেয়েছিলেন কিন্তু শেষ রক্ষা হল না ।কর্ণাটকের বিজেপি সরকারের ব্যাপক দুর্নীতি সেই সাথে কংগ্রেসের লাগাতার প্রচার যা প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার সুরকে আরও তীব্র করেছে। তাই শুধুমাত্র মোদী ম্যাজিকের উপর ভর করে নির্বাচন জেতা যে আর বিজেপির পক্ষে সম্ভব নয় কর্ণাটকের জনগণ চোখে হাত দিয়ে তাই দেখিয়ে দিল। .....বিস্তারিত পড়ুন
যুক্তিবাদী আন্দোলনের পথিকৃৎ প্রবীর ঘোষও আমি
ড. জীবনকুমার সরকার: ৭ এপ্রিল ২০২৩ প্রয়াত হলেন যুক্তিবাদী আন্দোলনের পথিকৃৎ প্রবীর ঘোষ। তাঁর প্রয়াণে দেশ ভারাক্রান্ত। যুক্তিবাদীরা চরম মর্মাহত। আমিও। তাঁর সঙ্গে কীভাবে জড়িয়েছিলাম সে এক ইতিহাস। ১৯৯৪ সালে মাধ্যমিক পাস করে গাজোল হাইস্কুলে সবে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছি। নতুন বইয়ের মধ্যে ডুবে আছি। আর নিয়মিত ক্লাস করছি। এইভাবে পুজোর ছুটি এসে যায়। পুজোর ছুটির আগের দিন অর্থাৎ যেদিন স্কুল হয়ে এক মাসের জন্য বন্ধ থাকবে স্কুল, সেইদিন আমি আর রাজেন লাইব্রেরীতে যাই। রাজেন আমার ছাত্রজীবনের সেরা বন্ধু। দুজনে কী বই নেবো, কী ধরনের বই নিয়ে .....বিস্তারিত পড়ুন
মানুষে মানুষে ঐক্য কীভাবে সম্ভব
দিলীপ গায়েন: হিন্দু,মুসলমান,ব্রাহ্মণ,তফসিলি।সকলেই মানুষ।কিন্তু এদের মধ্যে যে ব্যবধান তা হলো ধর্ম ও সাংস্কৃতিক। এই ব্যবধান মুছতে পারলে একাকার হওয়া সম্ভব। যারা বলছে আর্থিক সমতা প্রতিষ্ঠা হলে ব্যবধান মুছে যাবে, তাদের কথাটি বোধ হয় সঠিক নয়।তার প্রমাণ গরিব ও শ্রমিক শ্রেণীর মধ্যে আর্থিক ব্যবধান নেই। অথচ জাতিভেদ রয়ে গেছে। তেমনি কিছু ব্যতিক্রমী ঘটনা ব্যতীত ধনী ও শিক্ষিত সমাজে আর্থিক সচ্ছলতা থাকলেও জাতিভেদ রয়ে গেছে। একমাত্র হাসপাতালে বা চিকিৎসা ব্যবস্থায় জাতিভেদ নেই।কারণ সেখানে তো প্রচলিত ধর্মজাত প্রভেদ বা পরিচয় নেই। আছে মেডিসিন, যা সম্পূর্ণ বিজ্ঞান। কারোর ধর্ম বা জাত দেখে প্রেসক্রিপশন হয় কি? এখানে মানুষের একমাত্র এবং শেষ পরিচয় সে মানুষ। .....বিস্তারিত পড়ুন
শালডিহা কলেজের ছাত্রীদের জন্য বিশেষ সার্টিফিকেট কোর্স
উত্তরাপথঃ বাঁকুড়া জেলার শালডিহা কলেজের রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডঃ সমীর কুমার মণ্ডল এর উদ্যোগে এবং Mahindra Group - এর Mahindra Pride Classroom ও Naandi Foundation -এর যৌথ উদ্দগ্যে শুধু মাত্র ছাত্রীদের জন্য ৭ দিনের (৪০ ঘন্টা) একটি সার্টিফিকেট course -এর আয়োজন করা হয়েছিল। বিভিন্ন রকম স্কিল নিয়ে বিশদে শিক্ষা দেওয়া হয়েছিল। যার মধ্যে হল communication skill, soft skill, life skill, presentaion skill ও interview skill ইত্যাদি। Mohindra Educator -এর ভূমিকাই আসেন সরোজ রাই। তিনি মনে করেন, এই জাতীয় প্রশিক্ষণ শালডিহার মতো প্রান্তিক কলেজের মেয়েরা খুবই উপকৃত হবে। কলেজ কর্তৃপক্ষ আশা করে ভবিষ্যতে মাহিন্দ্রা গ্রুপ এই কলেজে ক্যাম্পাসিং এর .....বিস্তারিত পড়ুন