এখনও বলিউডে সঙ্গীতে নম্বর ওয়ান অরিজিৎ

উত্তরাপথ

ছবি সৌজন্য:অরিজিৎ সিং ফেসবুক

সারা দেশে ছড়িয়ে রয়েছে অরিজিৎ সিং এর ভক্ত। এবার তিনিই কাঠগড়ায় গায়িকা অনুরাধা পাড়োয়ালের। গায়িকার মন্তব্য, অরিজিতের রিমেক গান শুনে তিনি এতটাই ‘আতঙ্কিত’ হয়ে পড়েন যে কেঁদে ফেলেন। অরিজিতের কোন গান নিয়ে এ হেন মন্তব্য করেছেন গায়িকা? ‘দয়াবান’ ছবির ‘আজ ফির তুম পে’ গানটি গেয়েছিলেন অনুরাধা। সেই গানটিই কিছু বছর আগে নতুন মেজাজে গান অরিজিৎ। তাঁর গলার মাদকতায় মজেছিলেন দর্শক। নতুন এই ভার্সনও সকলেরই মনে ধরেছিল। তবে অনুরাধা ব্যতিক্রম। তিনি বলেন, “একজন আমায় ওই সুপারডুপার হিট গানটি পাঠিয়েছিল। আমায় সে জানায় এই গানটি নাকি বর্তমানেও বেশ হিট হয়েছে। আমি শুনি। আর শুনেই কেঁদে ফেলি। সঙ্গে সঙ্গে ইউটিউবে গিয়ে নিজের গাওয়া গানটা শুনতে হয়। এক বার নয় একাধিক বার শুনি সেই গান। তারপর শান্তি পাই।”প্রসঙ্গত উল্লেখ্য অরিজিৎএর গান কেসারিয়া সম্প্রতি রেকর্ড গড়েছেন । স্পটিফাইয়ের  প্ল্যাটফর্মে সবচেয়ে বেশি ঘণ্টা শুনেছেন শ্রোতারা।

এর আগে এক অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে সলমানের ডাকের কিছুটা পরে মঞ্চে পৌঁছান অরিজিৎ। পরনে ক্যাজুয়াল সাধারণ পোশাক, চুল এলোমেলো, মুখে ক্লান্তির ছাপ। অরিজিৎকে দেখে সলমান মঞ্চে বলেন, ‘তুমি ঘুমাচ্ছিলে?’ অরিজিৎ খুব স্বাভাবিকভাবেই মজা করে বলেন, ‘আপনারা এমন অনুষ্ঠান করছেন যে ঘুম পেয়ে গেছে । অরিজিতের এই কথাতেই চটেছিলেন সলমান। তারপর থেকে বলিউডের কোনও ছবিতেই আর গান গাইতে দেখা যায়নি অরিজিৎকে। কিন্তু তাতে আক্ষরিক অর্থে কিছু যায় আসে না অরিজিতের। কারণ শাহরুখ থেকে রণবীর বলিউডের প্রথম সারির সব অভিনেতার লিপে গান গেয়েছেন অরিজিৎ।

খবরটি শেয়ার করুণ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন


জানুন ২০২৩ সালের জাতীয় শিক্ষক পুরস্কার প্রাপ্ত শিক্ষক ডঃ শীলা অসোপা'র কথা

ত্তরাপথঃ ডঃ শীলা অসোপা, সরকারি বালিকা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, শ্যাম সদন, যোধপুরের অধ্যক্ষা, তিনি ১৭ বছর ধরে স্কুলের বাচ্চাদের পড়াচ্ছেন।তাঁকে শিশুদের শেখানোর নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবন, স্কুলের অবকাঠামো শক্তিশালীকরণ এবং উদ্ভাবনের জন্য ২০২৩ সালের জাতীয় শিক্ষক পুরস্কারে পুরুস্কৃত করা হয়।  ডঃ অসোপাকে, যোধপুরে শ্যাম সদন, সরকারি বালিকা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে, ১০ মাস আগে বদলি করা হয় । সেই সময় দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত বিদ্যালয়ে মাত্র দুটি কক্ষ ছিল।মেয়েরা টিনের চালা দিয়ে তৈরি ঘরে পড়াশোনা করত।  ঘর কম থাকায় গাছের নিচেও ক্লাস হত । তার কথায় ,সেই সময়টা বাচ্চাদের পড়াশুনা নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় কেটেছে । এরপর টিনের চালা দিয়ে তৈরি কক্ষে কাঠের পার্টিশন দিয়ে ৬টি কক্ষ তৈরি করা হয়। .....বিস্তারিত পড়ুন

সম্পাদকীয়

বিশ্ব উস্নায়ন এবং তাকে কেন্দ্র করে জলবায়ু পরিবর্তন একবিংশ শতাব্দীর অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। এটি  ধীরে ধীরে একাধিক উপায়ে মানব সমাজকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করছে এবং অদূর ভবিষ্যতে এটি প্রায় অনিয়ন্ত্রিত হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।ইতিমধ্যে এটি আমাদের পরিবেশ, অর্থনীতি এবং আমাদের জীবন যাত্রার উপর ব্যাপক ভাবে প্রভাব দেখাতে শুরু করেছে ।সদ্য হয়ে যাওয়া হিমাচল প্রদেশের বন্যা আমাদের সামনে বেশ কিছু প্রশ্ন তুলে দিল । এবছর হিমাচল প্রদেশে বর্ষাকালে রেকর্ড পরিমাণে বৃষ্টিপাত হয়েছে ,যা বিগত কয়েক বছরের তুলনায় বহু গুণ বেশী।  ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, হিমাচল প্রদেশে ১ জুলাই থেকে ১২ জুলাই পর্যন্ত গড় বৃষ্টিপাত হয়েছে ২৪৯.৬ মিমি যা স্বাভাবিক গড় ৭৬.৬ মিমি থেকে প্রায় ৭০% বেশী .....বিস্তারিত পড়ুন

রেলওয়ে ইউনিয়নের নতুন সূচনা, গান গেয়ে মানসিক চাপ দূর করছেন রেলের কর্মচারীরা

উত্তরাপথঃ আপনি যদি সরকারি বা বেসরকারি চাকরি করেন, তাহলে এই খবর আপনাকে স্বস্তি দেবে।কারণ ভারতীয় রেলওয়ের বৃহত্তম শ্রমিক সংগঠন অল ইন্ডিয়া রেলওয়েম্যানস ফেডারেশন (এআইআরএফ) এবং নর্থ ওয়েস্টার্ন রেলওয়ে এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন কর্মক্ষেত্রে কর্মীদের উপর ক্রমবর্ধমান চাপ কমাতে এক অনন্য উদ্যোগ শুরু করেছে।তারা তাদের কর্মীদের গান গেয়ে তাদের মানসিক চাপ দূর করতে পরামর্শ দিচ্ছে।    এআইআরএফ-এর সাধারণ সম্পাদক শিব গোপাল মিশ্র এবং কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মুকেশ মাথুরের নির্দেশে, জয়পুর এবং অন্যান্য শহরের কর্মচারীরা একটি মাঠে জড়ো হয় এবং সেখানে তারা গান গায় এবং আন্তাক্ষিরি খেলে। .....বিস্তারিত পড়ুন

ছৌশিল্পী পদ্মশ্রী নেপাল মাহতো ও বিশ্ব মঞ্চে ভারতের লোকনৃত্য

গার্গী আগরওয়ালা মাহাতোঃ আমাদের চারিদিকে বিশ্ব দ্রুত বিকশিত হচ্ছে,পরিবর্তিত হচ্ছে শিল্প সাধনার প্রকৃতি। এই পরিবর্তিত শিল্প সাধনার যুগে আমাদের সেই সমস্ত ব্যক্তিদের স্বীকৃতি দেওয়া এবং সম্মান করা অপরিহার্য যারা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও প্রচারে তাদের জীবন উৎসর্গ করেছেন। এমনই একজন উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব হলেন ছৌশিল্পী পদ্মশ্রী নেপাল মাহতো। নেপাল মাহাতো, যার ছৌনৃত্যের জগতে  দেশে ও বিদেশে অতুলনীয় অবদান তাকে ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান ‘পদ্মশ্রী´এনে দিয়েছে। নেপাল মাহতোর জন্ম ১৭ জুন ১৯৫৪ সালে পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া জেলার বরাবাজার থানার আদাবনা নামে একটি ছোট গ্রামে। তার পিতা স্বর্গীয় নগেন্দ্রনাথ মাহাতো ও মাতা তুষ্ট মাহাতো। .....বিস্তারিত পড়ুন

Scroll to Top