তৃতীয় বার সরকার গঠনের লক্ষ্য নিয়ে কলকাতায় শাহ

উত্তরাপথ

সামনেই কর্ণাটক বিধানসভার নির্বাচন এবং সেখানে  ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) তার সমস্ত শক্তি দিয়ে লড়াই করছে ক্ষমতা পুনরায় দখলের  লক্ষ্যে ঠিক সেই সময় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমিত শাহ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্য তৃতীয় মেয়াদ নিশ্চিত করার  লক্ষ্য নিয়ে অন্যান্য রাজ্যের দিকে মনোনিবেশ করছেন। এই মিশনের অংশ হিসাবে তিনি পশ্চিমবঙ্গে  দলের ভিত্তি শক্তিশালী করার জন্য রবীন্দ্র জয়ন্তী  উপলক্ষ্যে ৮ এবং ৯ মে  দুই দিনের সফরে আসবেন। ৯ তারিখ রবীন্দ্র জয়ন্তীর দিন তিনি কবিকে শ্রদ্ধা জানাতে কবিগুরুর  জন্মস্থান জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে যাবেন বলে খবর।

২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের জন্য তার মিশন ৩০০ এর অংশ হিসাবে, ভারতীয় জনতা পার্টির কাছে পশ্চিমবঙ্গ একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য এখানে গত ২০১৮ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ৪০ টি আসনের মধ্যে ১৮ টি আসন পেয়েছিল। কিন্তু পরবর্তী কালে রাজ্য বিজেপি সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারেনি।তাঁরা গত বিধানসভা নির্বাচনে ৭৭ টি আসন এবং ২০২২ সালে বাংলার ১০৮টি পৌরসভার একটিতেও জিততে ব্যর্থ হয়,দলটি রাজ্যের পৌরসভার  মোট ২,১৭১ টি ওয়ার্ডের মধ্যে মাত্র ৬৩ টিতে জয়লাভ করতে সক্ষম হয়।পরবর্তী কালে বিজেপি থেকে অনেকেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছে। এই অবস্থায় দলকে আবার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা দিল্লীর বিজেপির কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। তাই ২০২৪  সালের লোকসভা নির্বাচনের জন্য আমিত শাহের  মিশন ৩০০ এর অংশ হিসাবে বাংলা থেকে ২৪ টি আসনের যে লক্ষ্য মাত্রা রাখা হয়েছে তা রাজ্য বিজেপির নেতাদের কাছে কার্যত অসম্ভব।  

খবরটি শেয়ার করুণ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন


আগামী ৩ বছরে শূন্য বর্জ্য হওয়ার পথে রাজস্থানের প্রথম গ্রাম

উত্তরাপথঃ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের একটি প্রকল্পের আওতায় আঁধি গ্রামে এই পরিবর্তন করা হচ্ছে।জয়পুর থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত আন্ধি গ্রাম।আগামী তিন বছরে এই গ্রাম শূন্য বর্জ্য হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে ।আন্ধি গ্রামের এই সম্পূর্ণ রূপান্তরটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের একটি প্রকল্পের অধীনে করা হচ্ছে।  এই প্রকল্পটি সবুজ প্রযুক্তির হস্তক্ষেপ ব্যবহার করে আন্ধি গ্রামকে জিরো ওয়েস্ট মডেলে রূপান্তরিত করার কাজ চলছে ।  এই প্রকল্পটি ২১ মার্চ ২০২২ এ শুরু হয়েছে,  প্রকল্প পরিচালক বলেন, এ গ্রামের অবস্থা আগে খুবই খারাপ ছিল।আগে এই গ্রামের লোকেদের কঠিন বর্জ্য আলাদা করার কোনও ধারনা ছিল না । .....বিস্তারিত পড়ুন

ছৌশিল্পী পদ্মশ্রী নেপাল মাহতো ও বিশ্ব মঞ্চে ভারতের লোকনৃত্য

গার্গী আগরওয়ালা মাহাতোঃ আমাদের চারিদিকে বিশ্ব দ্রুত বিকশিত হচ্ছে,পরিবর্তিত হচ্ছে শিল্প সাধনার প্রকৃতি। এই পরিবর্তিত শিল্প সাধনার যুগে আমাদের সেই সমস্ত ব্যক্তিদের স্বীকৃতি দেওয়া এবং সম্মান করা অপরিহার্য যারা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও প্রচারে তাদের জীবন উৎসর্গ করেছেন। এমনই একজন উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব হলেন ছৌশিল্পী পদ্মশ্রী নেপাল মাহতো। নেপাল মাহাতো, যার ছৌনৃত্যের জগতে  দেশে ও বিদেশে অতুলনীয় অবদান তাকে ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান ‘পদ্মশ্রী´এনে দিয়েছে। নেপাল মাহতোর জন্ম ১৭ জুন ১৯৫৪ সালে পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া জেলার বরাবাজার থানার আদাবনা নামে একটি ছোট গ্রামে। তার পিতা স্বর্গীয় নগেন্দ্রনাথ মাহাতো ও মাতা তুষ্ট মাহাতো। .....বিস্তারিত পড়ুন

মানব-চালিত রোবট ARCHAX এর সাথে দেখা করুন

উত্তরাপথঃসাম্প্রতিক বছরগুলিতে, প্রযুক্তিগত অগ্রগতি আমাদের এক ধাপে অনেকটা এগিয়ে নিয়ে এসেছে, আজ রোবটগুলি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। স্বয়ংক্রিয় সহকারী থেকে স্ব-ড্রাইভিং গাড়ি পর্যন্ত,সর্বত্র আজ রোবটের অবাধ উপস্থিতি। ARCHAX মানব-চালিত এই রোবট  এমনই এক উদ্ভাবন যা বিজ্ঞানী এবং সাধারণ জনগণ উভয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে । অটোনোমাস রোবোটিক কম্প্যানিয়ন উইথ হিউম্যান অ্যাসিসট্যান্সের সংক্ষিপ্ত আর্ক্যাক্স, এর একটি যুগান্তকারী সৃষ্টি যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (AI) বুদ্ধিমত্তাকে একজন মানব অপারেটরের দক্ষতা এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতার সাথে একত্রিত করে তৈরি করা হয়েছে।জাপানের Tsubame Industries ARCHAX তৈরি করেছে।এটি একটি মানুষের আকারের ককপিট সহ একটি বিশাল ট্রান্সফরমার রোবট। .....বিস্তারিত পড়ুন

লোকসংস্কৃতির আলোকে মালদার শতাব্দী প্রাচীন গম্ভীরা  

মৈত্রেয়ী চৌধুরীঃ পশ্চিমবঙ্গের উত্তরের একটি জেলা মালদা। আমের জন্য এই জেলাটি পরিচিতি লাভ করলেও এই জেলা আর ও একটি কারণে বিখ্যাত, তা হল গম্ভীরা । মালদার নিজস্ব লোকসংস্কৃতি।গম্ভীরা শব্দটি প্রকোষ্ট, গৃহ বা মন্দির অর্থের সঙ্গে আভিধানিক মিল থাকলেও এই অনুষ্ঠানটি উন্মুক্ত আকাশের নিচে বা কোথাও চাঁদোয়া বা ত্রিপল  দিয়ে ঢেকে অনুষ্ঠিত হয়। এই উৎসবের মূল কেন্দ্রবিন্দু হলেন স্বয়ং দেবাদিদেব। এই উৎসবের তিনি 'নানা' নামে পরিচিত।একজন শিবের সাজে থাকেন, আর দেবাদিদেবের চেলার মতো কিছু সংখ্যক সেই নানার ভক্ত হয়ে খোল, করতাল হাতে উনার সঙ্গী হন। বাস্তব জগতের এবং পারিপার্শ্বিক যা মা সমস্যা থাকে তা  চেলার নানার কাছে অভিযোগ জানান, যেন নানা সেই অভিযোগ শুনে তার সমাধান করেন।শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলেই ভিড় করে জমায়েত .....বিস্তারিত পড়ুন

Scroll to Top