বাংলাদেশে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামে সড়ক

উত্তরাপথ

ছবি সৌজন্যে : ঢাকা পোষ্ট

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামে ৩০টি সড়কের নামকরণ করেছে উপজেলা প্রশাসন। এসব সড়ক দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়িতে যাওয়া যাবে। প্রতিটি সড়কের শুরুতে নির্মাণ করা হয়েছে মুক্তিযোদ্ধার নাম ও ছবি সংকলিত ফলক। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয় সূত্রে খবর, উপজেলায় মোট বীর মুক্তিযোদ্ধা ২৭২ জন। তাঁদের মধ্যে ১৩৫ জন এখনো জীবিত। প্রথম পর্যায়ে ৩০ জনের নামে সড়কের নামকরণ করার কাজ চলছে। পর্যায়ক্রমে অন্যদের নামেও সড়কের নামকরণ করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। ইউএনও মোহাম্মদ আল মারুফ বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধারা দেশের জন্য পতাকা এনে দিয়েছেন। তাঁরা একজন একজন করে চলে যাচ্ছেন। তাঁদের স্মরণীয় করে রাখতে এই চেষ্টা।

সড়কগুলো হচ্ছে উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল আউয়াল মিয়া সড়ক ও আবদুল জলিল মিয়া সড়ক, সোনারায় ইউনিয়নে তোফাজ্জাল হোসেন সড়ক ও আবদুল কুদ্দুছ মিয়া সড়ক, তারাপুর ইউনিয়নে আবদুল লতিফ সরকার সড়ক ও আবুল হোসেন সড়ক, বেলকা ইউনিয়নের হাফিজুর রহমান সড়ক ও ফেরদৌস আলী সড়ক, দহবন্দ ইউনিয়নে এনামুল হক সড়ক ও নুরুল ইসলাম সড়ক, সর্বনান্দ ইউনিয়নে শফিকুল ইসলাম সড়ক ও সন্তোষ কুমার চৌধুরী সড়ক, রামজীবন ইউনিয়নে আশরাফুল ইসলাম সড়ক ও শাহজালাল আহমেদ সড়ক, ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নে মৃত আব্বাস আলী সড়ক ও হাফিজ উদ্দিন মণ্ডল সড়ক, ছাপড়হাটি ইউনিয়নে মুনছুর আলী সড়ক ও মৃত মনোজ কুমার রায় সড়ক, শান্তিরাম ইউনিয়নে মনোরঞ্জন বর্মন সড়ক ও জহির উদ্দিন সড়ক, হরিপুর ইউনিয়নে আজিজুর রহমান সড়ক ও আমজাদ হোসেন সড়ক, কঞ্চিবাড়ি ইউনিয়নে মফিজল মিস্ত্রি সড়ক ও নুরুজ্জামান মিয়া সড়ক, শ্রীপুর ইউনিয়নে মো. ছলেমান সড়ক ও আবদুল মান্নান আকন্দ সড়ক, চন্ডিপুর সড়ক । মুক্তিযোদ্ধা সংসদের উপজেলা ইউনিটের সাবেক কমান্ডার এমদাদুল হক বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামে সড়কের নামকরণ হচ্ছে। এ জন্য নিজেকে গর্বিত মনে হচ্ছে।

খবরটি শেয়ার করুণ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন


লোকসংস্কৃতির আলোকে মালদার শতাব্দী প্রাচীন গম্ভীরা  

মৈত্রেয়ী চৌধুরীঃ পশ্চিমবঙ্গের উত্তরের একটি জেলা মালদা। আমের জন্য এই জেলাটি পরিচিতি লাভ করলেও এই জেলা আর ও একটি কারণে বিখ্যাত, তা হল গম্ভীরা । মালদার নিজস্ব লোকসংস্কৃতি।গম্ভীরা শব্দটি প্রকোষ্ট, গৃহ বা মন্দির অর্থের সঙ্গে আভিধানিক মিল থাকলেও এই অনুষ্ঠানটি উন্মুক্ত আকাশের নিচে বা কোথাও চাঁদোয়া বা ত্রিপল  দিয়ে ঢেকে অনুষ্ঠিত হয়। এই উৎসবের মূল কেন্দ্রবিন্দু হলেন স্বয়ং দেবাদিদেব। এই উৎসবের তিনি 'নানা' নামে পরিচিত।একজন শিবের সাজে থাকেন, আর দেবাদিদেবের চেলার মতো কিছু সংখ্যক সেই নানার ভক্ত হয়ে খোল, করতাল হাতে উনার সঙ্গী হন। বাস্তব জগতের এবং পারিপার্শ্বিক যা মা সমস্যা থাকে তা  চেলার নানার কাছে অভিযোগ জানান, যেন নানা সেই অভিযোগ শুনে তার সমাধান করেন।শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলেই ভিড় করে জমায়েত .....বিস্তারিত পড়ুন

আমন্ত্রণপত্রে, বর ও কনের নামের সাথে আইআইটি লেখায় বিতর্ক সোশ্যাল মাধ্যমে  

উত্তরাপথঃ বিবাহের সময়, অভিনব এবং ডিজাইনার আমন্ত্রণ কার্ডগুলি সর্বদা সকলের আলোচনায় পরিণত হয়। কিছু আমন্ত্রণ পত্র বিলাসবহুল চকোলেটের সাথে কাস্টমাইজ করে বানানো হয়,আবার কোনও কোনও ক্ষেত্রে পরিবেশের কথা মাথায় রেখে বায়োডিগ্রেডেবল কার্ডের সাথে  উপহার হিসাবে গাছ দেওয়া হয়।  সম্প্রতি, একটি পুরাতন বিবাহের আমন্ত্রণপত্র ইন্টারনেটে ভাইরাল হচ্ছে যা বর এবং কনের শিক্ষাগত যোগ্যতা গুলিকে হাইলাইট করে বানানো হয়েছে । অর্থাৎ কার্ডে বর ও কনের নামের সাথে তাদের পড়াশোনার ডিগ্রিকেও যুক্ত করা হয়েছে। .....বিস্তারিত পড়ুন

Diabetes Treatment: রক্তে শর্করা স্থিতিশীল করতে ডালিয়া ফুলের নির্যাস কার্যকর

উত্তরাপথঃ ডায়াবেটিস নিয়ে গবেষণার ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।সম্প্রতি গবেষণায় ওটাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের (University of Otago)নেতৃত্বে বিজ্ঞানীরা ক্লিনিকাল ট্রায়ালের মাধ্যমে আবিষ্কার করেছে যে ডালিয়া ফুলের পাপড়ির নির্যাস ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের রক্তে শর্করা স্থিতিশীল করতে সাহায্য করতে পারে। সেন্টার ফর নিউরোএন্ডোক্রিনোলজির একজন সহযোগী অধ্যাপক আলেকজান্ডার টুপসের( Alexander Tups) নির্দেশনায়, দলটি খুঁজে পেয়েছে যে, উদ্ভিদের একটি অণু, যা মস্তিষ্কে কাজ করে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রন করার জন্য শরীরের ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে।প্রসঙ্গত ডায়াবেটিস হল একটি দীর্ঘস্থায়ী বিপাকীয় ব্যাধি যা অপর্যাপ্ত ইনসুলিন উৎপাদনের কারণে রক্তে শর্করার মাত্রা অত্যাধিক বেড়ে যায়। .....বিস্তারিত পড়ুন

আগামী ৩ বছরে শূন্য বর্জ্য হওয়ার পথে রাজস্থানের প্রথম গ্রাম

উত্তরাপথঃ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের একটি প্রকল্পের আওতায় আঁধি গ্রামে এই পরিবর্তন করা হচ্ছে।জয়পুর থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত আন্ধি গ্রাম।আগামী তিন বছরে এই গ্রাম শূন্য বর্জ্য হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে ।আন্ধি গ্রামের এই সম্পূর্ণ রূপান্তরটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের একটি প্রকল্পের অধীনে করা হচ্ছে।  এই প্রকল্পটি সবুজ প্রযুক্তির হস্তক্ষেপ ব্যবহার করে আন্ধি গ্রামকে জিরো ওয়েস্ট মডেলে রূপান্তরিত করার কাজ চলছে ।  এই প্রকল্পটি ২১ মার্চ ২০২২ এ শুরু হয়েছে,  প্রকল্প পরিচালক বলেন, এ গ্রামের অবস্থা আগে খুবই খারাপ ছিল।আগে এই গ্রামের লোকেদের কঠিন বর্জ্য আলাদা করার কোনও ধারনা ছিল না । .....বিস্তারিত পড়ুন

Scroll to Top