স্কটল্যান্ড পেলো প্রথম এশিয়ান প্রধানমন্ত্রী

উত্তরাপথ

ছবি সৌজন্যে : সি এন এন

স্কটল্যান্ডের ইতিহাসে প্রথম এশিয়ান প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন হামজা ইউসুফ। এডিনবার্গের কোর্ট অফ সেশনে এক সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানে তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। হামজা ইউসুফ ইতিমধ্যে মন্ত্রীপরিষদ ঘোষণা করেছেন। অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন এস রবিনসন, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন মাইকেল ম্যাথিসন, জেনি গিলরুথকে দেওয়া হয়েছে শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব। এছাড়াও নিল গ্রে, মাইরি ম্যাকঅ্যালান, মাইরি গোগেন, অ্যাঞ্জেলা কনস্ট্যান্স, অ্যাঙ্গাস রবার্টসন ও শার্লি-অ্যান সোমারভিলকেও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
২০১৬ সালে স্কটল্যান্ডের পার্লামেন্টে প্রথম এশিয়ান নেতা হন হামজা ইউসুফ। হামজা স্কটল্যান্ডে সংখ্যালঘুদের অধিকার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে যাচ্ছেন। তারা বাবা একজন পাকিস্তান নাগরিক। ১৯৬০ এর দশকে তিনি স্কটল্যান্ডে পাড়ি জমান। আর তার মা কেনিয়াতে দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত একটি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। হামজা ইউসুফের জন্ম স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে। পড়াশোনা করেছেন গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ে। রাজনীতি বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেছেন তিনি। ২০১১ সালে স্কটল্যান্ড পার্লামেন্টের সদস্য (এমএসপি) নির্বাচিত হওয়ার আগে তিনি একজন এমএসপি’র সহযোগী হিসেবেও কাজ করেছেন।

খবরটি শেয়ার করুণ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন


বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ের বিরুদ্ধে রাস্তায় শিলিগুড়ির প্রাথমিক শিক্ষকরা

উত্তরাপথ: ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল করে দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তার প্রতিবাদে শনিবার শিলিগুড়িতে পথে নেমে বিক্ষোভ শুরু করেন শিলিগুড়ির প্রাথমিক শিক্ষকরা। ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার ভিত্তিতে ২০১৬ সালে নিযুক্ত হয়েছিলেন ৪২ হাজার ৫০০ শিক্ষক। এই নিয়োগে ইন্টারভিউতে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। এমনকি নিয়োগ পরীক্ষায় অ্যাপটিটিউড টেস্টও নেওয়া হয়নি বলে ইন্টারভিউয়াররাই বিচারপতির কাছে সাক্ষ্য দিয়ে জানিয়েছেন। তার ভিত্তিতে ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল করে দেন কলকাতা .....বিস্তারিত পড়ুন

মানুষে মানুষে ঐক্য কীভাবে সম্ভব

দিলীপ গায়েন: হিন্দু,মুসলমান,ব্রাহ্মণ,তফসিলি।সকলেই মানুষ।কিন্তু এদের মধ্যে যে ব্যবধান তা হলো ধর্ম ও সাংস্কৃতিক। এই ব্যবধান মুছতে পারলে একাকার হওয়া সম্ভব। যারা বলছে আর্থিক সমতা প্রতিষ্ঠা হলে ব্যবধান মুছে যাবে, তাদের কথাটি বোধ হয় সঠিক নয়।তার প্রমাণ গরিব ও শ্রমিক শ্রেণীর মধ্যে আর্থিক ব্যবধান নেই। অথচ জাতিভেদ রয়ে গেছে। তেমনি কিছু ব্যতিক্রমী ঘটনা ব্যতীত ধনী ও শিক্ষিত সমাজে আর্থিক সচ্ছলতা থাকলেও জাতিভেদ রয়ে গেছে। একমাত্র হাসপাতালে বা চিকিৎসা ব্যবস্থায় জাতিভেদ নেই।কারণ সেখানে তো প্রচলিত ধর্মজাত প্রভেদ বা পরিচয় নেই। আছে মেডিসিন, যা সম্পূর্ণ বিজ্ঞান। কারোর ধর্ম বা জাত দেখে প্রেসক্রিপশন হয় কি? এখানে মানুষের একমাত্র এবং শেষ পরিচয় সে মানুষ। .....বিস্তারিত পড়ুন

Scroll to Top