এবার কি মানহানির মামলা মোদীর  বিরুদ্ধে

উত্তরাপথ

এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী মোদীকে নিশানা করে রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, ‘সব চোরের নাম  মোদির কেন? রাহুল গান্ধীর বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে মানহানির মামলায়  রাহুল গান্ধীকে দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে সুরাতের আদালত। রাহুল গান্ধীর দুই বছরের সাজা হওয়ার পর থেকে দেশের রাজনীতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। বিরোধী দলগুলি বিশেষ করে কংগ্রেস, প্রধানমন্ত্রী মোদীর পুরানো  ভাষণ আবার শেয়ার করছে এবং তার কাছ থেকে উত্তর চাইছে।  এদিকে, কংগ্রেস নেত্রী রেণুকা চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করার হুমকি দিয়েছেন।  উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে সংসদে ভাষণ দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী পরোক্ষভাবে তাঁকে ‘সূরপনাখা’ বলে সম্বোধন করেছিলেন, যা নিয়ে অনেক তোলপাড় হয়েছিল। রেণুকা চৌধুরী তার টুইটার হ্যান্ডেলে এই বিষয়ে একটি মামলা নথিভুক্ত করার কথা জানিয়েছেন।

খবরটি শেয়ার করুণ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন


কে এই সরস্বতী! তিনি কি শুধুই বিদ্যার দেবী?

প্রীতি গুপ্তা-মাঘ মাসের শুক্ল পঞ্চমী তিথিতে আমরা সরস্বতী পুজো করে থাকি। মূলত স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ যেসব বাড়িতে ছাত্র-ছাত্রী আছে তাঁরা প্রত্যেকেই সরস্বতী পুজো করেন। আপাতভাবে দেখলে মনে হতে পারে সরস্বতী হলেন বিদ্যার দেবী। কিন্তু তিনি কি শুধুই বিদ্যার দেবী? দেবী ভাগবত অনুসারে সরস্বতী হলেন ব্রহ্মার পত্নী। তিনি বাক্ দান করেন। তাই তিনি বাগদেবী। তাঁর অপর নাম বাণী বা ভারতী। তিনি ভাষা থেকে শুরু করে সব বিদ্যা দান করেন।আবার পুরাণ অনুযায়ী এই তিথিতেই ব্রহ্মার মুখ থেকে বিদ্যা ও বুদ্ধির দেবী সরস্বতীর উৎপত্তি। সরস্বতীকে চার বেদের জননী বলা হয়। সূর্যের ভালোবাসায় মুগ্ধ হয়েছিলেন গায়ত্রী। সূর্য বন্দনার মন্ত্রেও তাঁর উল্লেখ পাওয়া যায়। পুরাণ মতে, এই গায়ত্রী ছিলেন সরস্বতীরই আর এক রূপ। উল্লেখ্য গায়ত্রীকে বেদমাতা বলা হয়।তাঁর বাগ্মিতার ক্ষমতা ও দক্ষতায় মুগ্ধ হয়ে সরস্বতীকে 'বাগদেবী' নামে ভূষিত করেন ব্রহ্মা।পুরাণ অনুযায়ী, সরস্বতীর রূপে ব্রহ্মা এতই মুগ্ধ ছিলেন যে, সরস্বতী যে দিকেই থাকুন না-কেন, তিনি যাতে তাঁকে দেখতে পান, এমন কামনা করে বসেছিলেন। এই উদ্দেশ্য সাধনের জন্যই রয়েছে ব্রহ্মার চারটি মাথা। .....বিস্তারিত পড়ুন

 স্কুল ব্যাগের অতিরিক্ত ওজনের কারণে পড়ে গিয়ে মৃত্যুর মুখে ছাত্রী

উত্তরাপথঃ একটি হৃদয় বিদারক ঘটনা সম্প্রতি খবরের শিরোনামে আসে  পিঠে বইয়ের ভারি ব্যাগ নিয়ে স্কুলের পাঁচতলার সিঁড়ি থেকে বিপজ্জনক ভাবে পড়ে গুরুতর জখম হল এক ছাত্রী। লিলুয়ার অগ্রসেন বালিকা শিক্ষাসদনের দশম শ্রেণির ছাত্রী প্রিয়াঙ্কা ভঞ্জচৌধুরী এখন আশঙ্কাজনক অবস্থায় কলকাতার আলিপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মঙ্গলবার তার মেরুদণ্ডে বড়সড় অস্ত্রোপচার হয়েছে। কয়েকদিন না গেলে সঙ্কট কেটেছে কি না তা বলা সম্ভব নয় বলেই হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি একটি প্রতীকী ঘটনা মাত্র। এর আগেও  স্কুল ব্যাগের অতিরিক্ত ওজন নিয়ে অনেক বিতর্ক হয়েছে এক্ষেত্রে সরকার ভারতের স্কুল ব্যাগ নীতি ২০২০,  এই সমস্যাটিকে সমাধানের লক্ষ্যে ঘোষণা করেছে এবং তাতে বেশ কিছু নির্দেশিকা দিয়েছে। এই নির্দেশিকায় - ১। প্রথম থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত, স্কুলব্যাগের ওজন শিক্ষার্থীদের মোট শরীরের ওজনের ১০% এর বেশি হওয়া উচিত নয়। ২। প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের স্কুলে ব্যাগ বহন করা উচিত নয়। ৩। দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত, শিক্ষকদের সুপারিশ করা হয়েছে যে শিক্ষার্থীদের হোমওয়ার্ক না দেওয়ার জন্য। .....বিস্তারিত পড়ুন

Nuclear battery রিচার্জ ছাড়াই ৫০ বছরের জন্য আপনার স্মার্টফোনকে চার্জে সক্ষম

উত্তরাপথঃ শক্তির চাহিদা সারা বিশ্বে ক্রমাগত বাড়ছে,আর এর একটি দীর্ঘস্থায়ী সমাধান হিসাবে একটি চীনা স্টার্টআপ ঘোষণা করেছে যে তারা এমন একটি বৈপ্লবিক ব্যাটারি তৈরি করেছে যা রিচার্জ করার প্রয়োজন ছাড়াই ৫০ বছরের জন্য শক্তি উৎপাদন করে স্মার্টফোনকে চার্জে করতে সক্ষম। আপাতদৃষ্টিতে ব্যাপারটাকে অবাস্তব মনে হলেও এটি এখন সত্য। বিজ্ঞানীরা পারমাণবিক ব্যাটারি (Nuclear battery) নামে পরিচিত একটি বৈপ্লবিক প্রযুক্তি তৈরি করেছেন, যা দীর্ঘ সময় ধরে সীমাহীন বিদ্যুৎ সরবরাহ করার ক্ষমতা রাখে।প্রথাগত ব্যাটারির যা রাসায়নিক বিক্রিয়ার উপর নির্ভর করে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য, বিপরীতে পারমাণবিক ব্যাটারি(Nuclear battery) তেজস্ক্রিয় ক্ষয়ের নীতিতে কাজ করে। এই ধারণাটি কারও কারও কাছে উদ্বেগজনক মনে হতে পারে, তবে এই পারমাণবিক ব্যাটারিগুলি কম শক্তির তেজস্ক্রিয় আইসোটোপগুলিতে কাজ করে, যা নিরাপদ । এটি তেজস্ক্রিয় ক্ষয়ের প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ার সময় নিঃসৃত শক্তিকে কাজে লাগিয়ে কাজ করে।চীনা স্টার্টআপ কোম্পানির মতে,তাদের তৈরি পরবর্তী প্রজন্মের ব্যাটারি (next-generation battery) ইতিমধ্যে পাইলট পরীক্ষার পর্যায়ে প্রবেশ করেছে এবং অবশেষে ফোন এবং ড্রোনের মতো বাণিজ্যিক ভাবে ব্যবহারের জন্য ব্যাপকভাবে উৎপাদিত হবে। .....বিস্তারিত পড়ুন

স্কুল শিক্ষার নিম্ন মান, প্রশ্নের মুখে নতুন শিক্ষানীতি

উত্তরাপথঃ আমাদের দেশে স্বাধীনতার পরবর্তী সময় থেকে এখন পর্যন্ত বেশ কয়েকবার জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন করা হলেও কোনো শিক্ষানীতিই দেশের জনগণের আস্থা পুরোপুরি অর্জন করতে পারেনি। এর ফলে ডিগ্রীধারী শিক্ষিতের হার বাড়লেও ,বাড়েনি সুশিক্ষিতের হার।যখন শিক্ষার অধিকার আইন প্রণয়ন করা হয়েছিল, তখন লক্ষ্য ছিল যে সমস্ত শিশুকে শুধুমাত্র শিক্ষার সুবিধা দেওয়া হবে না, এর মানও উন্নত করা হবে।  কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে শিক্ষা সংক্রান্ত বার্ষিক প্রতিবেদনে যে চিত্র দেখা যাচ্ছে তা যথেষ্ট হতাশাজনক।  প্রাথমিক শ্রেণীতে ভর্তির পরিমাণ কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও , চৌদ্দ বছরের বেশি বয়সী শিশুদের মধ্যে স্কুল ছুটের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।  সবচেয়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি হল গ্রামীণ শিক্ষার ক্ষেত্রে, যেখানে শিশুরা তাদের পাঠ্য পুস্তক পর্যন্ত ঠিক মত পড়তে পারছেনা। শিক্ষার সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে চৌদ্দ থেকে আঠারো বছর বয়সী শিশুদের প্রায় ৮৭ শতাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিবন্ধিত, তবে তাদের পঁচিশ শতাংশ সাবলীলভাবে দ্বিতীয় শ্রেনীর বইও ঠিক মত পড়তে পারেনা তাদের আঞ্চলিক ভাষাতে।প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য যে শিক্ষা সম্পর্কিত বার্ষিক প্রতিবেদন গ্রামীণ এলাকায় শিক্ষার স্তর মূল্যায়নের লক্ষ্য নিয়ে তৈরি করা হয়।এটি মূলত শিশুদের নিবন্ধন, পাঠ্য এবং মৌলিক পাটিগণিত করার ক্ষমতা মূল্যায়ন করে কিন্তু সব স্তরেই পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। .....বিস্তারিত পড়ুন

Scroll to Top