

উত্তরাপথ; শিশুদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) নির্ভরতা তাদের শিক্ষার ক্ষেত্রে ভালো না খারাপ এই নিয়ে বিতর্ক চলতে পারে তবে সম্প্রতি Benesse, নামে একটি শীর্ষস্থানীয় শিক্ষা সংস্থা, শিশুদের তাদের গবেষণা প্রকল্পগুলিতে সহায়তা করার লক্ষ্যে একটি উদ্ভাবনী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) পরিষেবা চালু করতে চলেছে ৷ এই নতুন পরিষেবাটির লক্ষ্য হল ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে তাদের শেখার অভিজ্ঞতা বাড়ানো এবং তাদের গবেষণার মান উন্নত করার জন্য একটি ব্যাপক এবং নির্ভরযোগ্য টুল প্রদান করা। Benesse লক্ষ্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) এর শক্তিকে কাজে লাগিয়ে, বাচ্চাদের কাছে যাওয়ার এবং তাদের একাডেমিক অ্যাসাইনমেন্ট সম্পূর্ণ করার পদ্ধতিতে বিপ্লব ঘটানো।
গবেষণা প্রকল্পগুলি একজন শিক্ষার্থীর পঠন- পাঠনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ, যার জন্য ব্যাপক তথ্য সংগ্রহ এবং বিশ্লেষণ প্রয়োজন।গবেষণা করতে গিয়ে শিক্ষার্থীরা প্রায়শই প্রাসঙ্গিক এবং বিশ্বাসযোগ্য উৎস খুঁজে বের করতে, মূল তথ্য বের করতে এবং তাদের ফলাফলগুলিকে কার্যকরভাবে গঠন করতে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়। এখানেই Benesse AI পরিষেবা কার্যকর হয়, যা গবেষণা প্রক্রিয়া জুড়ে ছাত্রদের বুদ্ধিমান সহায়তা প্রদান করবে ।
Benesse AI পরিষেবা শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগতকৃত সহায়তা প্রদানের জন্য উন্নত প্রাকৃতিক ভাষা প্রক্রিয়াকরণ এবং মেশিন লার্নিং অ্যালগরিদম ব্যবহার করে। এআই পরিষেবাটি বই, অনলাইন নিবন্ধ এবং একাডেমিক জার্নাল সহ বিভিন্ন উৎস থেকে প্রচুর পরিমাণে তথ্য দ্রুত স্ক্যান করে একটি প্রাসঙ্গিক ডেটা বের করতে পারে এবং শিক্ষার্থীদের তারা যে বিষয়ে গবেষণা করছে তার একটি ব্যাপক ওভারভিউ প্রদান করতে পারে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) পরিষেবার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তথ্যের উৎসগুলির বিশ্বাসযোগ্যতা মূল্যায়ন করতে পারবে, যা শিক্ষার্থীদের তাদের গবেষণার জন্য নির্ভরযোগ্য রেফারেন্স সনাক্ত করতে সহায়তা করবে। এটি লেখক বা প্রকাশনার খ্যাতি এবং দক্ষতার অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করতে পারে, ব্যবহৃত তথ্যের যথার্থতা এবং বৈধতা নিশ্চিত করে।
এআই পরিষেবা শিক্ষার্থীদের তাদের গবেষণার ফলাফলগুলিকে একটি সুসংগত কাঠামোতে সংগঠিত করতে সহায়তা করতে পারে। এটি যৌক্তিক কাঠামোর পরামর্শ দিতে পারে, মূল পয়েন্টগুলির রূপরেখা দিতে পারে এবং শিক্ষার্থীদের তাদের কাজ কার্যকরভাবে উপস্থাপন করতে সাহায্য করার জন্য সারাংশ তৈরি করতে পারে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) পরিষেবা একজন শিক্ষার্থীকে গবেষণা প্রকল্প লেখার পরামর্শ, ব্যাকরণ এবং বানান পরীক্ষা করে দিতে পারে এবং ছাত্রদের তাদের লেখার শৈলী পরিমার্জিত করতে সাহায্য করতে পারে। এটি গবেষণা প্রকল্পের বিভিন্ন বিভাগের জন্য উদাহরণ এবং টেমপ্লেট প্রদান করতে পারে, যেমন ভূমিকা, পদ্ধতি এবং উপসংহার।
Benesse AI পরিষেবার লক্ষ্য হল ছাত্রদের তাদের গবেষণা প্রকল্পগুলিতে দক্ষতা অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম এবং নির্দেশিকা প্রদান করে তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি করা।সেই সাথে এটি শিক্ষার্থীদের সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা করতে, সচেতন সিদ্ধান্ত নিতে উৎসাহিত করে। AI পরিষেবা ব্যবহার করে, শিক্ষার্থীরা প্রয়োজনীয় গবেষণায় দক্ষতা বিকাশ করতে পারে।
Benesse AI পরিষেবার সূচনা শিক্ষায় AI প্রযুক্তি অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ সন্দেহ নাইI কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) এর সহায়তায়, শিক্ষার্থীরা তাদের শেখার অভিজ্ঞতা বাড়াতে পারে, তাদের কাজের গুণগত মান উন্নত করতে পারে এবং মূল্যবান গবেষণা দক্ষতা বিকাশ করতে পারে যা তাদের শিক্ষার মানকে উন্নত করতে সাহায্য করবে।
আরও পড়ুন
Fried rice syndrome: আগের দিনের রান্না করা ভাত খেলে হতে পারে এই বিশেষ অসুখটি
উত্তরাপথঃ আপনার কি বাসী ভাত বা পান্তা খাওয়ার অভ্যেস আছে? সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়া তোলপাড় ফ্রাইড রাইস সিনড্রোম (Fried rice syndrome) নিয়ে আমরা প্রায়ই অবশিষ্ট খাবার গরম করে আবার খাই। কিন্তু জানেন কি এই অভ্যাস আপনাকে অসুস্থ করে তুলতে পারে। অনেক সময় পর আগের রান্না করা ভাত খাওয়ার ফলে পেট সংক্রান্ত সমস্যা হয়। কেউ কেউ মনে করেন যে খাবার পুনরায় গরম করলে এতে উপস্থিত ব্যাকটেরিয়া মারা যায়, কিন্তু তা নয়। যে খাবারেই স্টার্চ থাকে না কেন, এতে উপস্থিত টক্সিন তাপ প্রতিরোধী। অর্থাৎ খাবার গরম করার পরও ব্যাকটেরিয়া নষ্ট হয় না। ফ্রাইড রাইস সিনড্রোম নামে এই সমস্যা সম্পর্কিত একটি অবস্থা রয়েছে। আজ আমরা এই ফ্রাইড রাইস সিনড্রোম অবস্থার লক্ষণ, কারণ এবং প্রতিকার নিয়ে আলোচনা করব। ভাত রান্না করার পর, যখন অবশিষ্ট ভাত কয়েক ঘন্টা বা সারারাত ঘরের তাপমাত্রায় রেখে দেওয়া হয় এবং তাতে ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে শুরু করে, তখন এই অবস্থার নাম দেওয়া হয়েছে ফ্রাইড রাইস সিনড্রোম। .....বিস্তারিত পড়ুন
Bandna Festival: ছোটনাগপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল পাঁচ দিন বাঁদনার আমেজে মশগুল থাকে
বলরাম মাহাতোঃ চিরাচরিত রীতি অনুযায়ী কার্তিক অমাবস্যার আগের দিন থেকে মোট পাঁচ দিন ব্যাপী বাঁদনার(Bandna Festival) আমেজে মশগুল থাকে ছোটনাগপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। অবশ্য, পরবের শুভ সূচনা হয় তারও কয়েকদিন আগে। আদিবাসী সম্প্রদায়ের সামাজিক শাসন ব্যবস্থার চূড়ামণি হিসাবে গাঁয়ের মাহাতো, লায়া, দেহরি কিম্বা বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি নির্ধারণ করেন- ৩, ৫, ৭ বা ৯ ক’দিন ধরে গবাদি পশুর শিং-এ তেল মাখাবে গৃহস্বামী! রুখামাটির দেশের লোকেরা কোনোকালেই মাছের তেলে মাছ ভাজা তত্ত্বের অনুসারী নয়। তাই তারা গোরুর শিং-এ অন্য তেলের পরিবর্তে কচড়া তেল মাখানোয় বিশ্বাসী। কারণ কচড়া তেল প্রস্তুত করতে গোধনকে খাটাতে হয় না যে! কচড়া তেলের অপ্রতুলতার কারণে বর্তমানে সরষের তেল ব্যবহৃত হলেও, কচড়া তেলের ধারণাটি যে কৃষিজীবী মানুষের গবাদি পশুর প্রতি প্রেমের দ্যোতক, তা বলাই বাহুল্য! এভাবেই রাঢ বঙ্গে গোবর নিকানো উঠোনে হাজির হয়- ঘাওয়া, অমাবস্যা, গরইয়া, বুঢ়ি বাঁদনা ও গুঁড়ি বাঁদনার উৎসবমুখর দিনগুলি। পঞ্চদিবসে তেল দেওয়া, গঠ পূজা, কাঁচি দুয়ারি, জাগান, গহাইল পূজা, চুমান, চউক পুরা, নিমছান, গোরু খুঁটা, কাঁটা কাঢ়া প্রভৃতি ১১টি প্রধান পর্ব সহ মোট ১৬টি লোকাচারের মাধ্যমে উদযাপিত হয় বাঁদনা পরব(Bandna Festival )। .....বিস্তারিত পড়ুন
Side effects of vitamin: ভিটামিনের আধিক্য আপনার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে
উত্তরাপথঃ ভিটামিনের প্রয়োজনীয়তা আমরা সবাই নিশ্চয়ই ছোটবেলা থেকে শুনে আসছি যে সুস্থ থাকতে হলে শরীরে প্রয়োজনীয় সব ভিটামিন থাকা খুবই জরুরি। ভিটামিন আমাদের সুস্থ করার পাশাপাশি আমাদের সমগ্র শরীরের বিকাশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যাইহোক, এটি অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া আমাদের জন্য ক্ষতিকারকও হতে পারে। আসুন জেনে নিই অতিরিক্ত ভিটামিন গ্রহণের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া (Side effects of vitamin)সুস্থ থাকার জন্য শরীরে সব ধরনের পুষ্টি থাকা খুবই জরুরি। এ কারণেই বয়স্ক থেকে শুরু করে চিকিৎসক, সবাই আমাদেরকে সুষম ও পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন। সমস্ত পুষ্টি উপাদান আমাদের শরীরকে বিভিন্ন উপায়ে সুস্থ করে তোলে। এর মধ্যে ভিটামিন একটি, যা আমাদের সুস্থ থাকতে সাহায্য করে। .....বিস্তারিত পড়ুন
World Children's Day: সত্যিই কি ‘বিশ্ব শিশু দিবস´পালনের কোনও যৌক্তিকতা আছে ?
প্রীতি গুপ্তাঃ হাতে গোনা আর মাত্র কয়েকটি দিন তারপর ১৪ নভেম্বর আমাদের দেশ সহ সারা বিশ্বজুড়ে পালন করা হবে ‘বিশ্ব শিশু দিবস´(World Children's Day)।এই দিনটি শিশুদের মঙ্গলের জন্য, তাদের ভবিষ্যতের জন্য একটি অনুকূল বিশ্ব তৈরি করার প্রচেষ্টার একটি দিন।কিন্তু প্রশ্ন,সত্যি কি হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে সারা বিশ্ব জুড়ে শিশু দিবস পালন করার কোনও যৌক্তিকতা আছে? আদৌ কি এর কোনও লাভ আমরা আমাদের প্রান্তিক স্তরের শিশুদের কাছে পৌঁছে দিতে পেরেছি ? সম্প্রতি কাজের প্রয়োজনে রাজস্থানের উদয়পুর শহরে আসা। আমরা সবাই জানি উদয়পুর বিখ্যাত তার হ্রদের কারণে । এখানকার স্থানীয় থেকে পর্যটক সকলেই এই সুন্দর হ্রদগুলির আকর্ষণে বারবার ছুঁটে যায়। ‘ফতে সাহেব লেক’ রাজস্থানের উদয়পুরের এক বিখ্যাত পর্যটক স্থল।এখানে বহু মানুষ সকাল- বিকেল এই লেকের চার ধারে হাঁটাহাঁটি করতে বেরিয়ে পড়ে। সেভাবেই দুই দিন আগে বিকেলে হঠাৎ করে বেরিয়ে পড়লাম ‘ফতে সাহেব লেকের ধারে হাঁটার উদ্দেশ্য নিয়ে। হাঁটার মাঝখানে হঠাৎ করে একটি বাচ্চাছেলে আওয়াজ করে ডাকছে ,বললাম কিছু বলবি? সে বলল একটু দাঁড়াতে। ও ছুটে গিয়ে হাতে করে কয়েকটি বেলুন নিয়ে এসে হাজির । সে বারবার বেলুন কেনার অনুরোধ জানাতে লাগল। হাতে অন্য কাজের চাপ নেই অনেকটা অবসর সময় তাই আমি অনেকটা সাংবাদিক সুলভ মন নিয়ে বললাম ঠিক আছে আমি তোর বেলুন নেব ,কিন্তু তার আগে আমি তোকে যা বলব তার তার ঠিক ঠিক উত্তর দিতে হবে। সে খুশী খুশী রাজি হয়ে গেল । .....বিস্তারিত পড়ুন