

উত্তরাপথঃ সাড়ে চার বছর পর কলকাতা ডার্বিতে জয় ইস্টবেঙ্গলের ।মোহনবাগানের টানা আট ডার্বি জয়ের দৌড় থামিয়ে দিল তারা। শনিবার ডুরান্ড কাপে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে নন্দকুমারের একমাত্র গোলে মোহনবাগানকে হারিয়ে দিল তারা। বিশ্বকাপার জেসন কামিংস-সহ পূর্ণশক্তির দল নামিয়েও ইস্টবেঙ্গলকে হারাতে পারল না মোহনবাগান। ২০১৯-এর পর এই প্রথম কলকাতা ডার্বিতে জিতল ইস্টবেঙ্গল।
কলকাতা ডার্বিতে অবশেষে জিতল ইস্টবেঙ্গল। শনিবার ডুরান্ড কাপে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে নন্দকুমারের একমাত্র গোলে মোহনবাগানকে হারিয়ে দিল তারা। বিশ্বকাপার জেসন কামিংস-সহ পূর্ণশক্তির দল নামিয়েও ইস্টবেঙ্গলকে হারাতে পারল না মোহনবাগান। ২০১৯-এর ২৭ জানুয়ারির পর আবার কলকাতা ডার্বিতে জিতল ইস্টবেঙ্গল।
ম্যাচ শেষ হওয়ার পর পিল পিল করে মাঠে ঢুকে পড়লেন সমর্থকেরা। যুবভারতীতে তখন অঝোরে বৃষ্টি পড়ছে। তার মাঝেই লাল-হলুদ সমর্থকদের মধ্যে মুক্তির আনন্দ। সাড়ে চার বছর ধরে বয়ে চলা অপমানের মুক্তির। গ্যালারিতে একের পর এক বোম ফাটতে লাগল। ম্যাচের অনেকক্ষণ পরেও দর্শকাসনে ‘ইস্টবেঙ্গল, ইস্টবেঙ্গল’ করে চেঁচিয়ে গেলেন তাঁরা।
অন্যদিকে মোহনবাগানের দলে সবচেয়ে আলোচিত নাম ছিল কাতার বিশ্বকাপে খেলা অস্ট্রেলিয়ার জেসন কামিংস, বলা হয়েছিল দরকারে তাঁকে নামানো হবে।কিন্তু ইস্টবেঙ্গলের খেলা এমনই ছিল যে কোনও কিছুই কাজে আসেনি।
প্রথম সুযোগটা পেয়েছিল মোহনবাগানই। বাঁ প্রান্ত থেকে উঠে এসেছিলেন লিস্টন কোলাসো। তিনি পাস করেছিলেন আর্মান্দো সাদিকুকে। চলতি বলে সাদিকুর শট বারের বেশ কিছুটা উপর দিয়ে চলে যায়। এর পর ধীরে ধীরে ম্যাচে ফেরে ইস্টবেঙ্গল। মোহনবাগানের আক্রমণের পাল্টা দিয়ে প্রতি আক্রমণে উঠতে থাকে তারা। বক্সের একটু বাইরে ডান দিকে একটি ফ্রিকিক পায় ইস্টবেঙ্গল। লম্বা ক্রস পেয়েছিলেন জর্ডান এলসে। কিন্তু হেডে সঠিক পাস দিতে পারেননি। মোহনবাগানের গোলকিপার বিশাল কাইথ বল তালুবন্দি করেন।
গোল করে কিছুটা সময়ের জন্যে তেড়েফুঁড়ে আক্রমণে উঠেছিল মোহনবাগান। কামিংস অন্তত দু’টি ভাল সুযোগ পেয়েছিলেন। প্রথম বার তাঁর ডান পায়ের শট আটকে যায় ইস্টবেঙ্গলের ডিফেন্ডারের গায়ে। দ্বিতীয় বারের সুযোগটা অনেক ভাল। বাঁ দিকে ভাসানো ক্রস। কিন্তু কামিংসের বাঁ পায়ের শট উড়ে গেল বারের উপর দিয়ে।
কিছু ক্ষণ পরে আবার সুযোগ এসেছিল ইস্টবেঙ্গলের সামনে। এ বার বাঁ প্রান্ত ধরে উঠে আসা মহেশ পাস দেন জেভিয়ার সিভেরি…। হলুদ গ্যালারি তখন উত্তাল। চার বছর পর যুবভারতীতে ডার্বিতে জয় ইস্টবেঙ্গলের। দীর্ঘ দিন বাদে পাওয়া মুহূর্ত খোয়াতে চাইছিলেন না ইস্টবেঙ্গলের সমর্থকেরা। উল্টো দিকে থাকা মোহনবাগান গ্যালারি তখন স্তব্ধ।
আরও পড়ুন
হিউম্যানয়েড রোবট ARTEMIS রেডি পরবর্তী RoboCup-এর জন্য
অনয় কিরণ মাহাতো: কেমন যেন লাগে রোবট এর কথা শুনলে। তারপরে আবার হিউম্যানয়েড, ভাবা যায়। হিউম্যানয়েড রোবট এক জটিল anthropomorphic কৃত্রিম মেশিন যা রোবোটিক্স, লোকোমোশন এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স) এই হিউম্যানয়েড রোবর্ট এর বিকাশকে ত্বরান্বিত করেছে। ১৮১০ সালে জার্মানির ফ্রেডলিচ কাউফম্যানন প্রথম তৈরি করেছিলেন এক ট্রাম্পেট সৈনিক রোবর্ট। এরপর হুমানোইড রোবর্ট তৈরি করেন আরবের একজন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার আল-যাজরি। এরপর লিওনার্দো দা ভিঞ্ছির আদলে জাপানের ওসাকা ইউনিভার্সিটির প্রোফেসর ঈশিগুর .....বিস্তারিত পড়ুন
বেতন, মাসে ৩০,০০০ আর সম্পত্তির মালিকানা ৭ কোটির বেশী
উত্তরাপথ: এ এক দুর্নীতির অনন্য নজির যা পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিবিদদের দুর্নীতি কে লজ্জায় ফেলবে । দুর্নীতির এই অভিযোগটি উঠেছে মধ্যপ্রদেশ পুলিশ হাউজিং কর্পোরেশনের সহকারী প্রকৌশলী ইনচার্জ হেমা মীনার বিরুদ্ধে।মধ্যপ্রদেশের সরকারি কর্মকর্তা দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের পর হেমা মীনা প্রচার মাধ্যমের নজরে আসে । এখন প্রশ্ন কে এই হেমা মীনা ? মধ্যপ্রদেশ পুলিশ হাউজিং কর্পোরেশনের চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োজিত সহকারী প্রকৌশলী ইনচার্জ যিনি মাসে ৩০,০০০ টাকা আয় করেন । দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে তার বাড়ি থেকে সাতটি বিলাসবহুল গাড়ি, ২০,০০০ বর্গফুট .....বিস্তারিত পড়ুন
ইঞ্জিনিয়ারড ব্যাকটেরিয়া জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা রাখে
উত্তরাপথ: লরেন্স বার্কলে ন্যাশনাল ল্যাবরেটরি এবং ইউসি বার্কলে এর সহযোগিতামূলক গবেষণায় গবেষকরা একটি অভিনব ব্যাকটেরিয়া ইঞ্জিনিয়ারড করেছেন যা জ্বালানি, ওষুধ এবং রাসায়নিক উত্পাদনের সময় উত্পন্ন গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমনকে উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করতে ডিকার্বনাইজশন এর মাধ্যমে। সম্প্রতি Nature জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে এই আবিষ্কারটি । আর এটি "Carbene Transfer Chemistry in Biosynthesis" নামে পরিচিত । একটি অভিনব প্রতিক্রিয়ার সাথে প্রাকৃতিক এনজাইমেটিক বিক্রিয়াকে সংহত করতে ব্যাকটেরিয়াকে কাজে লাগায়। আর যা সাধারণত জীবাশ্ম .....বিস্তারিত পড়ুন
মতুয়া আন্দোলনের এক মনোগ্রাহী ভাষ্য
অরবিন্দ পুরকাইত: আপাত বা গভীর কোনও স্তরেই তেমন কিছু তফাৎ পরিলক্ষিত না হলেও, বর্ণবাদী সমাজে একই পাড়ায় একেবারে প্রায় পাশাপাশি কেবল বিশেষ বিশেষ ঘরে জন্মানোর নিমিত্ত - শিক্ষাদীক্ষা পরের কথা – ভূমিষ্ঠ হওয়া থেকেই আজীবন একজন শ্রদ্ধা-ভক্তি-প্রণাম পাওয়ার অদৃশ্য শংসাপত্রের অধিকারী আর অন্যজনের সেবা-শ্রদ্ধা-ভক্তির অদৃশ্য দাসখতের দায়বদ্ধতা! কেন-না সৃষ্টিলগ্নেই একজন প্রজাপতি ব্রহ্মার মুখনিসৃত আর অন্যজন পদজ যে! সুতরাং মুখ থাকবে সবার উপরে, সবার নিচে পা – এতে অস্বাভাবিকতা বা আশ্চর্যের তো কিছু নেই! কিন্তু কেবল সেবা-শ্রদ্ধাতেই সব মিটে .....বিস্তারিত পড়ুন