বিসিসিআই এর তিরস্কার আভেশ খানকে

উত্তরাপথ

বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে লখনউ সুপার জায়ান্টস এবং রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের মধ্যে একটি উচ্চ-স্কোরিং, রোমাঞ্চকর এবং শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচ খেলা হয়েছিল। এই ম্যাচে লখনউ শেষ বলে ব্যাঙ্গালোরকে ১ উইকেটে হারিয়েছে। লখনউয়ের খেলোয়াড়রা বেঙ্গালুরুকে তাদের বাড়িতে হারানোর পর প্রচণ্ড উচ্ছ্বাসে মেতে উঠেন, যার বিভিন্ন ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। এর মধ্যে একটি ছবি আবেশ খানের, যা আলোচনায় থেকে যায়।

জয়ের পর আভেশ খানের হেলমেট মাটিতে ছুড়ে দেওয়া লখনউয়ের ভক্তদের পছন্দ হতে পারে, কিন্তু বিসিসিআই এই ঘটনার জন্য আভেশ খানকে তিরস্কার করেছে।  বিসিসিআই-এর  আইপিএল ওয়েবসাইটের একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আভেশ খানের হ্যামলেটকে নিক্ষেপ করা নিয়মের লঙ্ঘন, লেভেল ১ আইপিএল কোড অফ কন্ডাক্টের আইন ২.২ এর অধীনে আসে।  এ জন্য আবেশকে তিরস্কার করা হয়েছে।  আভেশ (আভেশ খান) তার ভুল স্বীকার করেছে। এটি ছিল আভেশের প্রথম ভুল, তাই বিসিসিআই তাকে শুধু ভর্ৎসনা করে এবং ভবিষ্যতে এমন না করার নির্দেশ দিয়ে তাকে ছেড়ে দিয়েছে।লখনউ এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয়।  প্রথমে ব্যাট করে কোহলির ৬১, ফাফের অপরাজিত ৭৯ এবং ম্যাক্সওয়েলের ৫৯ রানের সুবাদে ব্যাঙ্গালোর ২ উইকেটে ২১২ রান করে।  মার্কস স্টয়নিসের ৬৫এবং নিকোলাস পুরানের ১৯ বলে ৬২ রানের উপর ভিত্তি করে লখনউ ৯ উইকেট হারিয়ে ২১৩ রান করে ম্যাচ জিতে নেয়।

খবরটি শেয়ার করুণ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন


সম্পাদকীয়

এ যেন বহুদিন পর বিজেপির চেনা ছন্দের পতন। হিমাচল প্রদেশের পর কর্ণাটক কংগ্রেস নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে বিজেপির বিজয়রথকে থামিয়ে দিল ।২০১৮ পর থেকে লাগাতার হারতে থাকা একটি দল আবার ২০২৪ সাধারণ নির্বাচনে প্রাসঙ্গিক হয়ে গেল । ২২৪ সদস্যের কর্ণাটক বিধানসভায় সরকার গঠন করতে গেলে প্রয়োজন ১১৩টি আসন সেখানে কংগ্রেস একাই পেয়েছে ১৩৬টি আসন, বিজেপি পেয়েছে ৬৫ টি এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবগৌড়ার জেডিএস পেয়েছে ১৯টি এবং অন্যান্য ৪ টি আসন পেয়েছে। যা গতবারের তুলনায় বিজেপির ৩৯ টি আসন কমেছে এবং কংগ্রেসের বেড়েছে ৫৭টি আসন এবং জেডিএসের কমেছে ১৮ টি আসন।   কর্ণাটকে কংগ্রেসের এই সাফল্য কি রাজ্যে কংগ্রেসের শক্তিশালী সংগঠনের ফল না কি কর্ণাটকের আগের ক্ষমতাশীল বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভ । কর্ণাটকে কংগ্রেসে অনেক বড় নেতা রয়েছে।  প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শিবকুমার দক্ষ সংগঠক। আগের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়ার ব্যাপক জনভিত্তি রয়েছে।  ভোটের আগে বিজেপির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগদীশ শেট্টার এবং উপমুখ্যমন্ত্রী সাভাড়ি কংগ্রেসে যোগ দিয়ে নির্বাচনে লড়েছেন। অন্যদিকে বিজেপির প্রচারের সবচেয়ে বড় মুখ ছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। বিজেপির প্রচারে সব নেতারাই মোদীর নাম করেই ভোট চেয়েছিলেন কিন্তু শেষ রক্ষা হল না ।কর্ণাটকের বিজেপি সরকারের ব্যাপক দুর্নীতি সেই সাথে কংগ্রেসের লাগাতার প্রচার যা প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার সুরকে আরও তীব্র করেছে। তাই শুধুমাত্র মোদী ম্যাজিকের উপর ভর করে নির্বাচন জেতা যে  আর বিজেপির পক্ষে সম্ভব নয় কর্ণাটকের জনগণ চোখে হাত দিয়ে তাই দেখিয়ে দিল। .....বিস্তারিত পড়ুন

যুক্তিবাদী আন্দোলনের পথিকৃৎ প্রবীর ঘোষও আমি

ড. জীবনকুমার সরকার: ৭ এপ্রিল ২০২৩ প্রয়াত হলেন যুক্তিবাদী আন্দোলনের পথিকৃৎ প্রবীর ঘোষ। তাঁর প্রয়াণে দেশ ভারাক্রান্ত। যুক্তিবাদীরা চরম মর্মাহত। আমিও। তাঁর সঙ্গে কীভাবে জড়িয়েছিলাম সে এক ইতিহাস। ১৯৯৪ সালে মাধ্যমিক পাস করে গাজোল হাইস্কুলে সবে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছি। নতুন বইয়ের মধ্যে ডুবে আছি। আর নিয়মিত ক্লাস করছি। এইভাবে পুজোর ছুটি এসে যায়। পুজোর ছুটির আগের দিন অর্থাৎ যেদিন স্কুল হয়ে এক মাসের জন্য বন্ধ থাকবে স্কুল, সেইদিন আমি আর রাজেন লাইব্রেরীতে যাই। রাজেন আমার ছাত্রজীবনের সেরা বন্ধু। দুজনে কী বই নেবো, কী ধরনের বই নিয়ে .....বিস্তারিত পড়ুন

Scroll to Top