

উত্তরাপথঃ ২০২৪ সালের নির্বাচনের ঘণ্টা বাজিয়ে দিল কংগ্রেস।আগামী সেপ্টেম্বর থেকে ‘ভারত-জোড়ো’যাত্রার দ্বিতীয় পর্ব শুরু করার ডাক দিয়েছেন রাহুল গান্ধী।এই দ্বিতীয় পর্বের ভারত জোড়ো যাত্রা শুরু করতে চলেছে গুজরাট থেকে এবং শেষ হবে মেঘালয়ে।
২০২৪এর লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে ফের একবার ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ নিয়ে এগোতে চলেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। সদ্য দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তিনি মোদী পদবী মানহানি মামলায় খানিক স্বস্তি পেয়েছেন। ফিরে পেয়েছেন তাঁর সাংসদ পদ। কংগ্রেস সূত্রের খবর,এবার রাহুল গান্ধী বের হতে চলেছেন ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’র দ্বিতীয় ভাগ নিয়ে।
মঙ্গলবার মহারাষ্ট্র কংগ্রেসের প্রধান নানা পাটোলে টুইটারে তার বার্তাতে বলেছেন, রাহুল গান্ধী যখন তা’ভারত-জোড়ো’যাত্রার দ্বিতীয় পর্ব শুরু করবেন, তখন মহারাষ্ট্র কংগ্রেসও পুরো মহারাষ্ট্রে পদযাত্রা শুরু করবে। আমি ব্যক্তিগতভাবে বিদর্ভের পদযাত্রার নেতৃত্ব দেব। বিজয় ওয়াদেত্তিওয়ার পশ্চিম বিদর্ভের পদযাত্রার নেতৃত্ব দেবেন। বালাসাহেব থোরাত পদযাত্রার নেতৃত্ব দেবেন। উত্তর মহারাষ্ট্রে। মারাঠওয়াড়ায় অশোক চ্যাভান এবং পশ্চিম মহারাষ্ট্রে পৃথ্বীরাজ চভান, মুম্বইতে বর্ষা গায়কওয়াড় এবং কোঙ্কনে সমস্ত নেতারা পদযাত্রা শেষ করবেন। পদযাত্রার পরে, আমরা বাস যাত্রা শুরু করব।
‘দ্বিতীয় দফার ভারত জোড়ো যাত্রা শুরু হতে চলেছে গুজরাট থেকে মেঘালয় পর্যন্ত।’ এদিকে তারই সঙ্গে সমান্তরালভাবে কংগ্রেস নেতাদের তাদের নিজে নিজের রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় আলাদা করে পার্টিগত মিছিল শুরু করতে বলা হয়েছে।সুত্রের খবর ‘ভারত-জোড়ো’ যাত্রার দ্বিতীয় পর্বে এটি পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়ে যাবে। জাতিগত হিংসায় মণিপুর এই মুহূর্তে জ্বলছে। যা ঘিরে তোলপাড় গোটা দেশ। দিল্লিতে সংসদে মণিপুর ইস্যুকে কেন্দ্র করে বিরোধীরা কার্যত ঝড় তুলেছে। এদিকে, সুপ্রিম কোর্টের তরফেও মণিপুর ইস্যুতে একটি কমিটি গড়ার কথা বলা হয়েছে। যে কমিটি শুধু মণিপুরে দায়ের হওয়া মামলার তদন্তের গতিবিধিই দেখবে না, সঙ্গে ত্রাণ সম্পর্কিত দিকও দেখভাল করবে।
উল্লেখ্য, ‘ভারত জোড়ো যাত্রা ১’ এর সময় রাহুল গান্ধী ৪ হাজার কিলোমিটার হেঁটেছিলেন। সেবার যাত্রা ছিল কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত। গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে রাহুল গান্ধী এই ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ শুরু করেছিলেন। সেপ্টেম্বরের ৭ তারিখ শুরু হওয়া এই যাত্রা, শেষ হয় জানুয়ারি মাসের ৩০ তারিখ। ১২ টি রাজ্য ও ২ টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল মিলিয়ে এই যাত্রা চলেছিল ১৩০ দিন।
তবে ‘ভারত-জোড়ো’যাত্রার দ্বিতীয় পর্ব কত দিন চলবে এবং কবে শুরু হবে এবিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি।
আরও পড়ুন
Free Gift in Politics: ভারতের নির্বাচন ও ফ্রি গিফট সংস্কৃতি
উত্তরাপথঃ ফ্রি গিফট (Free gift in politics)এর রাজনীতি সম্প্রতি ভারতের নির্বাচনী রাজনীতিতে একটি বিশিষ্ট ভূমিকা পালন করছে। বিনামূল্যে কোটি কোটি জনগণকে উপহার প্রদান যা রাজকোষের উপর অতিরিক্ত বোঝা ফেলবে এই সত্যটি জানা সত্ত্বেও, রাজনৈতিক দলগুলি ভোটারদের আকৃষ্ট করার জন্য ফ্রি গিফট (Free gift in politics) দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচনের দৌড়ে একে অপরের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।এক সময় প্রয়াত তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জে জয়ললিতা বিনামূল্যে শাড়ি, প্রেসার কুকার, ওয়াশিং মেশিন, টেলিভিশন সেট ইত্যাদির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটের আগে যে বিনামূল্যের সংস্কৃতি শুরু করেছিলেন তা পরবর্তী কালে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলি দ্রুত অনুসরণ করেছিল। এরপর ২০১৫ সালে আম আদমি পার্টি নেতৃত্ব দিল্লির ভোটারদের কাছে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ, জল, বাস ভ্রমণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভ করেছিল। .....বিস্তারিত পড়ুন
Vijay Stambh : চিতোরগড় দুর্গে বিজয় স্তম্ভ হিন্দু – মুসলিম সহাবস্থানের প্রতীক
উত্তরাপথঃ খ্রিস্টীয় ৭ম শতাব্দীতে মৌর্য রাজবংশ কর্তৃক স্থাপিত চিতোরগড় দুর্গ সাহস ও আত্মত্যাগের প্রতীক হিসেবে আজও দাঁড়িয়ে আছে। এই দুর্গ তার বিশাল কাঠামো, রাজপ্রাসাদ, একাধিক সুদৃশ্য মন্দির সহ সুন্দর জলাশয়ের জন্য বিখ্যাত।৭০০-একর এলাকা জুড়ে বিস্তৃত, এই দুর্গটিতে প্রায় ৬৫টি ঐতিহাসিক স্থাপত্য নিদর্শন রয়েছে যা রাজপুত এবং ইসলামিক স্থাপত্য শৈলীর সূক্ষ্মতার প্রমান দেয়। বিজয় স্তম্ভ (Vijay Stambh)) হল এই দুর্গে অবস্থিত,সবচেয়ে মনোমুগ্ধকর কাঠামো।এই আশ্চর্য-অনুপ্রেরণামূলক স্তম্ভটি কেবল তার উচ্চতার জন্য বিখ্যাত নয়,এটি রাজপুতদের অদম্য সাহস এবং অধ্যবসায়ের গল্পও বলে যা চিতোরগড় দুর্গেরই সমার্থক হয়ে উঠেছে।বিজয় স্তম্ভ (Vijay Stambh), নাম থেকে বোঝা যায়, বিজয়ের প্রতীক। প্রাচীনকালে যে কোনো যুদ্ধ অভিযানের সাফল্যের পর সেই বিজয়কে স্মরণীয় করে রাখতে রাজারা মন্দির, স্তূপ, স্মৃতিস্তম্ভ ও স্তম্ভ নির্মাণ করতেন। ৯ তলা এই বিজয় স্তম্ভটি ১৯৪০ থেকে ১৪৪৮ সালের মধ্যে মহারানা কুম্ভ দ্বারা নির্মিত হয়েছিল। .....বিস্তারিত পড়ুন
World’s most polluted cities: নয়াদিল্লি, মুম্বাই এবং কলকাতা বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায়
উত্তরাপথঃ দিওয়ালি উদযাপনের একদিন পর জাতীয় রাজধানী নয়াদিল্লি, মুম্বাই এবং কলকাতা বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের (World’s most polluted cities) তালিকায় উঠে এসেছে।সোমবার, অর্থাৎ দীপাবলির পরের দিন এই শহরগুলির বায়ুর গুণমান উল্লেখযোগ্য মাত্রায় খারাপ হয়েছে।বায়ুর গুনমান খারাপ হওয়ার পেছনে মাত্রাতিরিক্ত আতশবাজি জ্বালানোকে দায়ী করা হয়েছে। আমাদের বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের (World’s most polluted cities) তালিকায় যথারীতি প্রথম স্থান দখল করেছে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি। দীপাবলির পরের দিন এটির AQI (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স) পরিসংখ্যান ছিল ৪০৭। নভেম্বরের শুরু থেকে, দিল্লিতে AQI পরিসংখ্যান খারাপ হয়েছে। সুইস গ্রুপ আইকিউএয়ার শহরের বাতাসকে "বিপজ্জনক" বিভাগে রেখেছে।ভারতের আর্থিক রাজধানী মুম্বাই বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায়(World’s most polluted cities), ১৫৭ এর AQI সহ ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে। কলকাতা ১৫৪ এর AQI সহ সপ্তম স্থানে রয়েছে। .....বিস্তারিত পড়ুন
World Children's Day: সত্যিই কি ‘বিশ্ব শিশু দিবস´পালনের কোনও যৌক্তিকতা আছে ?
প্রীতি গুপ্তাঃ হাতে গোনা আর মাত্র কয়েকটি দিন তারপর ১৪ নভেম্বর আমাদের দেশ সহ সারা বিশ্বজুড়ে পালন করা হবে ‘বিশ্ব শিশু দিবস´(World Children's Day)।এই দিনটি শিশুদের মঙ্গলের জন্য, তাদের ভবিষ্যতের জন্য একটি অনুকূল বিশ্ব তৈরি করার প্রচেষ্টার একটি দিন।কিন্তু প্রশ্ন,সত্যি কি হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে সারা বিশ্ব জুড়ে শিশু দিবস পালন করার কোনও যৌক্তিকতা আছে? আদৌ কি এর কোনও লাভ আমরা আমাদের প্রান্তিক স্তরের শিশুদের কাছে পৌঁছে দিতে পেরেছি ? সম্প্রতি কাজের প্রয়োজনে রাজস্থানের উদয়পুর শহরে আসা। আমরা সবাই জানি উদয়পুর বিখ্যাত তার হ্রদের কারণে । এখানকার স্থানীয় থেকে পর্যটক সকলেই এই সুন্দর হ্রদগুলির আকর্ষণে বারবার ছুঁটে যায়। ‘ফতে সাহেব লেক’ রাজস্থানের উদয়পুরের এক বিখ্যাত পর্যটক স্থল।এখানে বহু মানুষ সকাল- বিকেল এই লেকের চার ধারে হাঁটাহাঁটি করতে বেরিয়ে পড়ে। সেভাবেই দুই দিন আগে বিকেলে হঠাৎ করে বেরিয়ে পড়লাম ‘ফতে সাহেব লেকের ধারে হাঁটার উদ্দেশ্য নিয়ে। হাঁটার মাঝখানে হঠাৎ করে একটি বাচ্চাছেলে আওয়াজ করে ডাকছে ,বললাম কিছু বলবি? সে বলল একটু দাঁড়াতে। ও ছুটে গিয়ে হাতে করে কয়েকটি বেলুন নিয়ে এসে হাজির । সে বারবার বেলুন কেনার অনুরোধ জানাতে লাগল। হাতে অন্য কাজের চাপ নেই অনেকটা অবসর সময় তাই আমি অনেকটা সাংবাদিক সুলভ মন নিয়ে বললাম ঠিক আছে আমি তোর বেলুন নেব ,কিন্তু তার আগে আমি তোকে যা বলব তার তার ঠিক ঠিক উত্তর দিতে হবে। সে খুশী খুশী রাজি হয়ে গেল । .....বিস্তারিত পড়ুন