উত্তরাপথ
এবার আরও সহজ হতে চলেছে ভারতীয়দের আমেরিকা যাওয়ার জন্য ভিসা প্রক্রিয়া । এবার থেকে আর মাসের পর মাস অপেক্ষা করতে হবে না। মার্কিন দূতাবাসের তরফে জানানো হয়েছে, বিদেশ যাত্রা আরও সহজ করার জন্য ভিসার আবেদন প্রক্রিয়ায় বদল আনা হচ্ছে। এবার থেকে ভিসা আবেদনকারীরা ইন্টারভিউয়ের জন্য আমেরিকার দূতাবাসের বদলে অন্যান্য দেশের দূতাবাসকেও বেছে নিতে পারবেন। অন্য কোনও দেশের দূতাবাসে ওয়েটিং পিরিয়ড কম হওয়ার কারণে আবেদনকারীরা দ্রুত ভিসার জন্য ইন্টারভিউয়ের সুযোগ পাবেন।এতদিন ভারত থেকে আমেরিকা যাওয়ার জন্য ভিসার আবেদন করতে একজন ব্যক্তিকে ২ বছর সময় অপেক্ষা করতে হত । এই ওয়েটিং পিরিয়ড এর সমস্যা মেটাতেই এবার অন্যান্য দেশের দূতাবাসের সাহায্য নিতে চলেছে আমেরিকার দূতাবাস। যারা আমেরিকায় বিজনেস বা ট্যুরিস্ট ভিসার জন্য় আবেদন করবেন, তারা ইন্টারভিউয়ের জন্য অন্য দেশের দূতাবাস বা কনসুলেট বেছে নিতে পারবেন।
ভিসার আবেদনে যাতে ব্যাকলগ কমে, তার জন্য দূতাবাসে কর্মী সংখ্যা বাড়ানো থেকে শুরু করে প্রথমবার আবেদনকারীদের জন্য় বিশেষ ইন্টারভিউয়ের ব্যবস্থা করার মতো উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে। যারা ভিসা রিনিউ করাতে চান, তারাও ড্রপবক্সের মাধ্য়মে আবেদন জমা দিতে পারবেন। চলতি বছরে বিপুল সংখ্যক ভারতীয় পড়ুয়া আমেরিকা যাওয়ার জন্য আবেদন করবে বলে আশা করা হচ্ছে। সেই কারণেই মার্কিন দূতাবাসগুলি ব্যাকলগ অর্থাৎ আগে থেকে পড়ে থাকা আবেদনগুলির ঝাড়াই-বাছাইয়ের কাজ দ্রুত শুরু করতে চলেছে। ইতিমধ্যেই প্রথমবার মার্কিন দূতাবাস মুম্বই, চেন্নাই, কলকাতা ও হায়দরাবাদে আবেদনকারীদের জন্য শনিবার করে বিশেষ ইন্টারভিউয়ের ব্যবস্থা চালু করেছে।
আরও পড়ুন
জলবায়ু পরিবর্তন আমাজনের রেইনফরেস্টের কিছু অংশকে সাভানাতে রূপান্তরিত করতে পারে
উত্তরাপথঃ আমাজন রেইনফরেস্ট, যাকে "পৃথিবীর ফুসফুস" হিসাবে উল্লেখ করা হয়। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বাস্তুত্তন্ত্র যা বিশ্বব্যাপী জলবায়ু নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।সম্প্রতি প্রসিডিংস অফ দ্য ন্যাশনাল একাডেমি অফ সায়েন্সেসের বৈজ্ঞানিক জার্নালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে একটি নতুন তত্তের বর্ণনা করা হয়েছে ,সেখানে বলা হয়েছে কীভাবে বর্ষার মৌসুমে বিকল্প বন্যা এবং শুষ্ক মৌসুমে খরা, যাকে ডবল-স্ট্রেস বলা হয়, বন প্রতিষ্ঠাকে সীমিত করছে।উদ্বেগজনক গবেষণাতে আরও বলা হচ্ছে যে, জলবায়ু পরিবর্তন-প্ররোচিত খরা আমাজন রেইনফরেস্টের কিছু অংশকে সাভানাতে রূপান্তরিত করতে পারে, যা জীববৈচিত্র্য এবং সামগ্রিকভাবে গ্রহের জন্য সম্ভাব্য ধ্বংসাত্মক পরিণতি আনতে পারে। .....বিস্তারিত পড়ুন
ছৌশিল্পী পদ্মশ্রী নেপাল মাহতো ও বিশ্ব মঞ্চে ভারতের লোকনৃত্য
গার্গী আগরওয়ালা মাহাতোঃ আমাদের চারিদিকে বিশ্ব দ্রুত বিকশিত হচ্ছে,পরিবর্তিত হচ্ছে শিল্প সাধনার প্রকৃতি। এই পরিবর্তিত শিল্প সাধনার যুগে আমাদের সেই সমস্ত ব্যক্তিদের স্বীকৃতি দেওয়া এবং সম্মান করা অপরিহার্য যারা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও প্রচারে তাদের জীবন উৎসর্গ করেছেন। এমনই একজন উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব হলেন ছৌশিল্পী পদ্মশ্রী নেপাল মাহতো। নেপাল মাহাতো, যার ছৌনৃত্যের জগতে দেশে ও বিদেশে অতুলনীয় অবদান তাকে ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান ‘পদ্মশ্রী´এনে দিয়েছে। নেপাল মাহতোর জন্ম ১৭ জুন ১৯৫৪ সালে পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া জেলার বরাবাজার থানার আদাবনা নামে একটি ছোট গ্রামে। তার পিতা স্বর্গীয় নগেন্দ্রনাথ মাহাতো ও মাতা তুষ্ট মাহাতো। .....বিস্তারিত পড়ুন
জানুন ২০২৩ সালের জাতীয় শিক্ষক পুরস্কার প্রাপ্ত শিক্ষক ডঃ শীলা অসোপা'র কথা
ত্তরাপথঃ ডঃ শীলা অসোপা, সরকারি বালিকা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, শ্যাম সদন, যোধপুরের অধ্যক্ষা, তিনি ১৭ বছর ধরে স্কুলের বাচ্চাদের পড়াচ্ছেন।তাঁকে শিশুদের শেখানোর নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবন, স্কুলের অবকাঠামো শক্তিশালীকরণ এবং উদ্ভাবনের জন্য ২০২৩ সালের জাতীয় শিক্ষক পুরস্কারে পুরুস্কৃত করা হয়। ডঃ অসোপাকে, যোধপুরে শ্যাম সদন, সরকারি বালিকা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে, ১০ মাস আগে বদলি করা হয় । সেই সময় দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত বিদ্যালয়ে মাত্র দুটি কক্ষ ছিল।মেয়েরা টিনের চালা দিয়ে তৈরি ঘরে পড়াশোনা করত। ঘর কম থাকায় গাছের নিচেও ক্লাস হত । তার কথায় ,সেই সময়টা বাচ্চাদের পড়াশুনা নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় কেটেছে । এরপর টিনের চালা দিয়ে তৈরি কক্ষে কাঠের পার্টিশন দিয়ে ৬টি কক্ষ তৈরি করা হয়। .....বিস্তারিত পড়ুন
রাজা মহম্মদ ও সি সেল মিউজিয়াম
প্রিয়াঙ্কা দত্তঃ রাজা মহম্মদ, এমন একজন মানুষের নাম, যার ব্যাক্তিগত ইচ্ছার কাছে হেরে যায় সব বাধা। ইচ্ছার চেয়ে বলা ভালো নেশা। সামুদ্রিক প্রাণীদের খোল সংগ্রহের নেশা। যা তাঁকে ছোটবেলা থেকেই ছুটিয়ে নিয়ে বেরিয়েছে প্রায় তিরিশ বছর ধরে। আর সেই দীর্ঘ পথের শেষে , তিনি সম্পূর্ন ব্যক্তিগত উদ্যোগে গড়ে তুলেছেন এশিয়ার বৃহত্তম ও পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম ব্যাক্তিগত সংগ্রহশালা। তাঁর প্রতিষ্ঠিত সি সেল মিউজিয়ামটি বর্তমানে চেন্নাইয়ের মহাবলিপূরম মন্দিরের সন্নিকটে অবস্থিত একটি জনপ্রিয় ট্যুরিস্ট স্পট। রাজা মহম্মদ ছোট্ট বেলা থেকেই সমুদ্র তট থেকে সংগ্রহ করতেন বিভিন্ন সামুদ্রিক প্রাণীর দেহাংশ। কুড্ডালোর থেকে রামেশ্বরম এর সমুদ্রতট, সেখান থেকে জাপান, ইন্দোনেশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, ফিলিপিন্স প্রভৃতি দেশে গিয়েছেন ব্যাক্তিগত উদ্যোগে। সংগ্রহ করেছেন অসাধারণ সব সামুদ্রিক .....বিস্তারিত পড়ুন