

প্রীতি গুপ্তাঃ ভারতীয় সংস্কৃত সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি ও নাট্যকার কালিদাস, যাঁর রচনাগুলি কেবল ভারতেই নয়, আজও বিশ্বসাহিত্যে এক অমর স্থান অধিকার করে রয়েছে। মহাকবি কালিদাস একদিকে যেমন ছিলেন বিখ্যাত কবি, অন্যদিকে নাট্যকার ও দার্শনিক হিসেবেও তিনি ছিলেন অনন্য। কালিদাস তাঁর কাব্য ও নাটকগুলিতে সৌন্দর্য, আবেগ এবং প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের জীবনের গভীর সম্পর্ক ইত্যাদি বিভিন্ন দিক নিয়ে অত্যন্ত পরিশীলিত শৈলীর মাধ্যমে আলোচনা করেছেন যা পাঠক ও দর্শকদের মুগ্ধ করেছে। মহাকবি রচিত তিনটি নাটক —মালবিকাগ্নিমিত্রম্, অভিজ্ঞান শকুন্তলম্, এবং বিক্রমোর্বশীয়ম্—এর মধ্যে মালবিকাগ্নিমিত্রম্ হলো তাঁর প্রথম নাটক। এই নাটকটি কালিদাসের প্রাথমিক সাহিত্য সাধনার নিদর্শন হলেও এতে তাঁর ভবিষ্যৎ কাব্যিক গুণাবলি ও রসাশ্রয়ী নাট্যচেতনার শক্ত ভিত রচিত হয়েছে। আজ আমরা আলোচনা করব মালবিকা ও অগ্নিমিত্র নাটকের কাঠামো, চরিত্রচিত্রণ, ভাষা ও শৈলী নিয়ে, সেই সঙ্গে এর ঐতিহাসিক ও সাহিত্যিক প্রেক্ষাপট, যা এই নাটকটিকে কালিদাসের প্রথম নাট্যকর্ম হিসেবে অনন্য মর্যাদা দিয়েছে।
নাটকের পটভূমি ও ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট
“মালবিকা ও অগ্নিমিত্র” কালিদাসের প্রথম নাটক হিসেবে বিবেচিত হলেও এর রচনাকাল নিয়ে পণ্ডিতদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। অনেকে মনে করেন এটি গুপ্ত যুগে রচিত, যখন ভারতীয় সংস্কৃতি ও সাহিত্য তার স্বর্ণযুগে পৌঁছেছিল। নাটকটির কাহিনী শুঙ্গ রাজবংশের রাজা অগ্নিমিত্রকে কেন্দ্র করে আবর্তিত, যিনি ঐতিহাসিকভাবে শুঙ্গ রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা পুষ্যমিত্র শুঙ্গের পুত্র ছিলেন। নাটকটি ঐতিহাসিক ঘটনার উপর ভিত্তি করে না, বরং এটি কালিদাসের কল্পনাশক্তি এবং নাটকীয় দক্ষতার একটি অপূর্ব সৃষ্টি।
নাটকটির পটভূমি হল বিদিশার রাজপ্রাসাদ, যেখানে রাজা অগ্নিমিত্রের রাজকীয় জীবন এবং তাঁর প্রেমকাহিনী নাটকটির মূল বিষয়। এটি একটি প্রণয়কেন্দ্রিক নাটক, যেখানে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র, রাজকীয় জীবনের জটিলতা এবং প্রেমের আবেগ মিলেমিশে একটি আকর্ষণীয় গল্প তৈরি হয়েছে।
নাটকের সারাংশ
“মালবিকা ও অগ্নিমিত্র” একটি পঞ্চাঙ্ক নাটক, যা রাজা অগ্নিমিত্র এবং মালবিকা নামে এক তরুণীর প্রেমকাহিনীকে কেন্দ্র করে আবর্তিত। মালবিকা একজন দাসী হিসেবে রাজপ্রাসাদে আগমন করে, কিন্তু তার প্রকৃত পরিচয় রহস্যময়। নাটকের শুরুতে আমরা দেখতে পাই যে অগ্নিমিত্র, যিনি ইতিমধ্যে দুই রানী ধারিণী এবং ইরাবতীর স্বামী, মালবিকার প্রতিও তিনি আকৃষ্ট হন। মালবিকার সৌন্দর্য, নৃত্যকলা এবং বিনয়ী আচরণ রাজাকে মুগ্ধ করে। কিন্তু রাজার এই প্রেম রানী ধারিণীর ঈর্ষা এবং রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের কারণে জটিলতার সম্মুখীন হয়।
নাটকের গল্প এগিয়ে যায় মালবিকার প্রকৃত পরিচয় উন্মোচনের মাধ্যমে। জানা যায়, তিনি আসলে একজন রাজকন্যা, যিনি বিশেষ পরিস্থিতিতে দাসীর ছদ্মবেশে রাজপ্রাসাদে এসেছেন। নাটকের শেষে, রাজা অগ্নিমিত্র এবং মালবিকার বিবাহের মাধ্যমে কাহিনী শেষ হয়। এই কাহিনীতে কালিদাস প্রেম, ঈর্ষা, রাজনৈতিক কৌশল এবং সামাজিক শ্রেণিবিন্যাসের মধ্যে দ্বন্দ্বকে অত্যন্ত নৈপুণ্যের সঙ্গে উপস্থাপন করেছেন।
চরিত্র বিশ্লেষণ
অগ্নিমিত্র
অগ্নিমিত্র নাটকের কেন্দ্রীয় চরিত্র এবং একজন আদর্শ রাজা হিসেবে চিত্রিত। তিনি একাধারে শক্তিশালী শাসক এবং প্রেমিক। তাঁর চরিত্রে রাজকীয় মর্যাদা এবং মানবিক আবেগের এক অনন্য সমন্বয় দেখা যায়। তিনি মালবিকার প্রতি প্রেমে পড়লেও তাঁর দায়িত্ববোধ এবং রাজনৈতিক দক্ষতা তাঁকে একজন আদর্শ চরিত্র হিসেবে উপস্থাপন করেছে
মালবিকা
মালবিকা এই নাটকের নায়িকা, যিনি সৌন্দর্য, নৃত্যকলা এবং বিনয়ের প্রতীক। তাঁর রহস্যময় পরিচয় নাটকের কেন্দ্রীয় আকর্ষণ। তিনি একদিকে নম্র ও বাধ্য, অন্যদিকে তাঁর মধ্যে থাকা রাজকীয় গরিমা যা তাঁর চরিত্রকে এক অনন্য মাত্রা দিয়েছে। কালিদাস মালবিকার চরিত্রের মাধ্যমে নারীর শক্তি এবং সৌন্দর্যের এক অপূর্ব সমন্বয় তুলে ধরেছেন।
ধারিণী ও ইরাবতী
রানী ধারিণী এবং ইরাবতী অগ্নিমিত্রের দুই স্ত্রী, যাঁদের চরিত্র নাটকের ঈর্ষা ও দ্বন্দ্বের উৎস। ধারিণী একজন মর্যাদাসম্পন্ন রানী, যিনি রাজার প্রতি মালবিকার আকর্ষণে ঈর্ষান্বিত। তবে তিনি শেষ পর্যন্ত উদারতা দেখান। ইরাবতী তুলনামূলকভাবে কম গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র, কিন্তু তাঁর উপস্থিতি রাজপ্রাসাদের জটিল সম্পর্ককে তুলে ধরে।
অন্যান্য চরিত্র
নাটকের অন্যান্য চরিত্র, যেমন বিদূষক (রাজার বন্ধু ও উপদেষ্টা) এবং রাজপ্রাসাদের অন্যান্য সদস্যরা, নাটকে হাস্যরস এবং নাটকীয়তা যোগ করেছে। বিদূষকের চরিত্র কালিদাসের নাটকগুলির একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য, যেখানে তিনি হাস্যরসের সঙ্গে গভীর দার্শনিক বোধ তুলে ধরেন।
সাহিত্যিক মূল্য
“মালবিকা ও অগ্নিমিত্র” কালিদাসের প্রথম নাটক হলেও এটি তাঁর কাব্যিক প্রতিভার একটি উজ্জ্বল নিদর্শন। নাটকটির ভাষা সংস্কৃত সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ রচনাগুলির একটি। কালিদাসের শব্দচয়ন, অলঙ্কার ব্যবহার এবং কাব্যিক চিত্রকল্প নাটকটিকে একটি শৈল্পিক উচ্চতায় নিয়ে গেছে। নাটকের সংলাপগুলি সংক্ষিপ্ত, তীক্ষ্ণ এবং আবেগপ্রবণ, যা চরিত্রগুলির মানসিক গভীরতাকে প্রকাশ করে।
নাটকটির গঠন ভারতীয় নাট্যশাস্ত্রের নিয়ম মেনে চলে। এটি পঞ্চাঙ্কে বিভক্ত এবং প্রতিটি অঙ্কে রয়েছে টানটান নাটকীয় উত্তেজনা। কালিদাস নাট্যরসের বিভিন্ন উপাদান, যেমন শৃঙ্গার (প্রেম), হাস্য (হাস্যরস) এবং করুণ (করুণা), অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে এই নাটকটিতে মিশ্রিত করেছেন।
সাংস্কৃতিক ও দার্শনিক তাৎপর্য
“মালবিকা ও অগ্নিমিত্র” কেবল একটি প্রেমকাহিনী নয়, এটি তৎকালীন ভারতীয় সমাজের রাজনৈতিক ও সামাজিক জীবনের একটি প্রতিচ্ছবি। নাটকটিতে কালিদাস রাজপ্রাসাদের জীবন, রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র এবং নারী-পুরুষের সম্পর্কের জটিলতাকে তুলে ধরেছে। এটি ভারতীয় নাট্যশাস্ত্রের শৃঙ্গার রসের একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ, যেখানে প্রেমের আবেগকে মানব জীবনের অন্যতম শক্তিশালী শক্তি হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে।
আজও কালিদাসের এই নাটকটি ভারতীয় সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হিসেবে বিবেচিত হয়। এতে মালবিকার নৃত্যকলা এবং রাজপ্রাসাদের সাংস্কৃতিক পরিবেশ নাটকটিকে এক অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে ।
কালিদাসের অন্যান্য রচনার সঙ্গে তুলনা
কালিদাসের অন্যান্য নাটক, যেমন “অভিজ্ঞানশকুন্তলম” এবং “বিক্রমোর্বশীয়ম”, তাঁর পরিপক্ক রচনা হিসেবে বিবেচিত হয়। “মালবিকা ও অগ্নিমিত্র” তাঁর প্রথম নাটক হওয়ায় এতে কিছুটা সরলতা এবং কম জটিলতা লক্ষ্য করা যায়। তবে এই নাটকটি তাঁর কাব্যিক শৈলী এবং নাট্যকৌশলের প্রাথমিক রূপ হিসেবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।তবে এটি কালিদাসের পরবর্তী রচনাগুলির ভিত্তি তৈরি করেছে সন্দেহ নাই।
“মালবিকা ও অগ্নিমিত্র” কালিদাসের প্রথম নাটক হিসেবে তাঁর অসাধারণ প্রতিভার একটি প্রাথমিক নিদর্শন। এটি প্রেম, রাজনীতি এবং সাংস্কৃতিক উৎকর্ষের একটি অপূর্ব সমন্বয়। নাটকটির সৌন্দর্য কেবল এর কাব্যিক ভাষা বা নাটকীয় গঠনেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং এর মধ্যে নিহিত রয়েছে মানবিক আবেগ যা প্রকৃত সমাজের প্রতিচ্ছবি। কালিদাসের এই নাটকটি ভারতীয় সাহিত্যের একটি অমূল্য সম্পদ, যা আজও পাঠক ও দর্শকদের মুগ্ধ করে।
আরও পড়ুন
Side effects of vitamin: ভিটামিনের আধিক্য আপনার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে
উত্তরাপথঃ ভিটামিনের প্রয়োজনীয়তা আমরা সবাই নিশ্চয়ই ছোটবেলা থেকে শুনে আসছি যে সুস্থ থাকতে হলে শরীরে প্রয়োজনীয় সব ভিটামিন থাকা খুবই জরুরি। ভিটামিন আমাদের সুস্থ করার পাশাপাশি আমাদের সমগ্র শরীরের বিকাশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যাইহোক, এটি অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া আমাদের জন্য ক্ষতিকারকও হতে পারে। আসুন জেনে নিই অতিরিক্ত ভিটামিন গ্রহণের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া (Side effects of vitamin)সুস্থ থাকার জন্য শরীরে সব ধরনের পুষ্টি থাকা খুবই জরুরি। এ কারণেই বয়স্ক থেকে শুরু করে চিকিৎসক, সবাই আমাদেরকে সুষম ও পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন। সমস্ত পুষ্টি উপাদান আমাদের শরীরকে বিভিন্ন উপায়ে সুস্থ করে তোলে। এর মধ্যে ভিটামিন একটি, যা আমাদের সুস্থ থাকতে সাহায্য করে। .....বিস্তারিত পড়ুন
World Children's Day: সত্যিই কি ‘বিশ্ব শিশু দিবস´পালনের কোনও যৌক্তিকতা আছে ?
প্রীতি গুপ্তাঃ হাতে গোনা আর মাত্র কয়েকটি দিন তারপর ১৪ নভেম্বর আমাদের দেশ সহ সারা বিশ্বজুড়ে পালন করা হবে ‘বিশ্ব শিশু দিবস´(World Children's Day)।এই দিনটি শিশুদের মঙ্গলের জন্য, তাদের ভবিষ্যতের জন্য একটি অনুকূল বিশ্ব তৈরি করার প্রচেষ্টার একটি দিন।কিন্তু প্রশ্ন,সত্যি কি হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে সারা বিশ্ব জুড়ে শিশু দিবস পালন করার কোনও যৌক্তিকতা আছে? আদৌ কি এর কোনও লাভ আমরা আমাদের প্রান্তিক স্তরের শিশুদের কাছে পৌঁছে দিতে পেরেছি ? সম্প্রতি কাজের প্রয়োজনে রাজস্থানের উদয়পুর শহরে আসা। আমরা সবাই জানি উদয়পুর বিখ্যাত তার হ্রদের কারণে । এখানকার স্থানীয় থেকে পর্যটক সকলেই এই সুন্দর হ্রদগুলির আকর্ষণে বারবার ছুঁটে যায়। ‘ফতে সাহেব লেক’ রাজস্থানের উদয়পুরের এক বিখ্যাত পর্যটক স্থল।এখানে বহু মানুষ সকাল- বিকেল এই লেকের চার ধারে হাঁটাহাঁটি করতে বেরিয়ে পড়ে। সেভাবেই দুই দিন আগে বিকেলে হঠাৎ করে বেরিয়ে পড়লাম ‘ফতে সাহেব লেকের ধারে হাঁটার উদ্দেশ্য নিয়ে। হাঁটার মাঝখানে হঠাৎ করে একটি বাচ্চাছেলে আওয়াজ করে ডাকছে ,বললাম কিছু বলবি? সে বলল একটু দাঁড়াতে। ও ছুটে গিয়ে হাতে করে কয়েকটি বেলুন নিয়ে এসে হাজির । সে বারবার বেলুন কেনার অনুরোধ জানাতে লাগল। হাতে অন্য কাজের চাপ নেই অনেকটা অবসর সময় তাই আমি অনেকটা সাংবাদিক সুলভ মন নিয়ে বললাম ঠিক আছে আমি তোর বেলুন নেব ,কিন্তু তার আগে আমি তোকে যা বলব তার তার ঠিক ঠিক উত্তর দিতে হবে। সে খুশী খুশী রাজি হয়ে গেল । .....বিস্তারিত পড়ুন
Vijay Stambh : চিতোরগড় দুর্গে বিজয় স্তম্ভ হিন্দু – মুসলিম সহাবস্থানের প্রতীক
উত্তরাপথঃ খ্রিস্টীয় ৭ম শতাব্দীতে মৌর্য রাজবংশ কর্তৃক স্থাপিত চিতোরগড় দুর্গ সাহস ও আত্মত্যাগের প্রতীক হিসেবে আজও দাঁড়িয়ে আছে। এই দুর্গ তার বিশাল কাঠামো, রাজপ্রাসাদ, একাধিক সুদৃশ্য মন্দির সহ সুন্দর জলাশয়ের জন্য বিখ্যাত।৭০০-একর এলাকা জুড়ে বিস্তৃত, এই দুর্গটিতে প্রায় ৬৫টি ঐতিহাসিক স্থাপত্য নিদর্শন রয়েছে যা রাজপুত এবং ইসলামিক স্থাপত্য শৈলীর সূক্ষ্মতার প্রমান দেয়। বিজয় স্তম্ভ (Vijay Stambh)) হল এই দুর্গে অবস্থিত,সবচেয়ে মনোমুগ্ধকর কাঠামো।এই আশ্চর্য-অনুপ্রেরণামূলক স্তম্ভটি কেবল তার উচ্চতার জন্য বিখ্যাত নয়,এটি রাজপুতদের অদম্য সাহস এবং অধ্যবসায়ের গল্পও বলে যা চিতোরগড় দুর্গেরই সমার্থক হয়ে উঠেছে।বিজয় স্তম্ভ (Vijay Stambh), নাম থেকে বোঝা যায়, বিজয়ের প্রতীক। প্রাচীনকালে যে কোনো যুদ্ধ অভিযানের সাফল্যের পর সেই বিজয়কে স্মরণীয় করে রাখতে রাজারা মন্দির, স্তূপ, স্মৃতিস্তম্ভ ও স্তম্ভ নির্মাণ করতেন। ৯ তলা এই বিজয় স্তম্ভটি ১৯৪০ থেকে ১৪৪৮ সালের মধ্যে মহারানা কুম্ভ দ্বারা নির্মিত হয়েছিল। .....বিস্তারিত পড়ুন
প্রাপ্তবয়স্কদের স্মৃতিশক্তি এবং চিন্তাভাবনা হ্রাস সমস্যার সমাধানের ক্ষেত্রে প্রোবায়োটিক
উত্তরাপথঃ সারা বিশ্বের জনসংখ্যার বয়স বৃদ্ধির সাথে স্মৃতিশক্তি এবং চিন্তাভাবনা হ্রাস এবং ডিমেনশিয়ার মতো নিউরোডিজেনারেটিভ রোগের প্রকোপ বাড়ছে৷ তাদের এই সমস্যাগুলি যে কেবল তাদের একার সমস্যা তা নয় ,এটি ধীরে ধীরে পুরো পারিবারিক সমস্যার আকার নেয়।সম্প্রতি বয়স্ক প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে মস্তিষ্কের কার্যকারিতাকে পুনরুদ্ধার করার জন্য গবেষকদের মধ্যে কার্যকর কৌশল খোঁজার আগ্রহ বাড়ছে।বর্তমানে বেশীরভাগ গবেষক মস্তিস্কের স্বাস্থ্য উদ্ধারের ক্ষেত্রে প্রোবায়োটিকের সম্ভাব্য ভূমিকা নিয়ে গবেষণা করছেন । এখন খুব স্বাভাবিকভাবেই একটি প্রশ্ন আসে প্রোবায়োটিক কি? কেনই বা গবেষকরা মস্তিস্কের স্বাস্থ্য উদ্ধারের ক্ষেত্রে প্রোবায়োটিকের ভূমিকা নিয়ে গবেষণা করছেন । .....বিস্তারিত পড়ুন