রাহুলের আমেরিকায় ট্রাক যাত্রা

উত্তরাপথ

চণ্ডীগড়ের পর এবার রাহুল গান্ধী আমেরিকাতেও ট্রাকে উঠেন।  রাহুল ওয়াশিংটন থেকে নিউ ইয়র্ক ট্রাকে প্রায় ১৯০ কিলোমিটার তিনি ট্রাকে ভ্রমণ করেন।এই ভিডিও তিনি সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করেন । ট্রাক যাত্রায় রাহুল ভারতীয় বংশোদ্ভূত ট্রাক চালক তাজিন্দ্র সিংকে তার আয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন।ড্রাইভার যখন তার আয়ের কথা বলল, রাহুল অবাক হয়ে যায়। তাজিন্দ্র রাহুলকে বলে সে ভারতের ট্রাক চালকদের তুলনায় অনেক আয় করে।  তাজিন্দ্র বলেন- রেট অনুযায়ী গাড়ি চালালে ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা আয় হয়। আবার, আপনার নিজের ট্রাক থাকলে, আপনি মাসে ৮ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারেন।  এই উত্তর শুনে রাহুল হতবাক।  এ বিষয়ে তাজিন্দ্র বলেন, আমেরিকায় ট্রাক চালিয়ে অনেক উপার্জন করা যায়, যেখানে ভারতে ট্রাক চালকরা তাদের পরিবারকে ঠিকমতো খাওয়াতে পারেন না।

এরপর রাহুল চালকের সঙ্গে রাজনীতি থেকে মূল্যস্ফীতি পর্যন্ত আলোচনা করেন রাহুল।  যাত্রার সময় সিধু মুসেওয়ালার গানও শুনেছেন রাহুল।  ট্রাক চালক রাহুলকে জিজ্ঞাসা করেছেন আপনি কি মুসেওয়ালার গান শুনবেন, তিনি কংগ্রেস কর্মী ছিলেন, কিন্তু তিনি ন্যায়বিচার পাননি।  এতে রাহুল বললেন-হ্যাঁ অবশ্যই তার গান গাও। আমি তাকে খুব পছন্দ করতাম।  ৩০ মে থেকে আমেরিকা সফরে রয়েছেন রাহুল গান্ধী।তাজিন্দ্রকে জিজ্ঞেস করলেন, ভারতের ট্রাক চালকদের আপনি কী বার্তা দেবেন?  এ বিষয়ে তাজিন্দ্র বললেন, আপনারা খুব পরিশ্রম করছেন।তোমার জন্য শুভ কামনা.  রাহুল আরও বলেছেন – ভারতে ট্রাক চালানো অন্য জিনিস, সেখানে ট্রাক ড্রাইভারের ট্রাক থাকে না, ট্রাক অন্য কারও।এ বিষয়ে তেজিন্দর রাহুলকে বলেন, এখানে কারও টাকা নেই।  তারা ডাউন পেমেন্ট দিয়ে ট্রাক নেয়, ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়।  ভারতে ঋণের জন্য সম্পত্তির কাগজপত্র প্রয়োজন।  গরিবদের সম্পত্তির কাগজপত্র নেই।  যে কারণে তারা যে কারো ট্রাক চালাতে থাকে। রাহুল গান্ধী গত মে মাসে একটি ট্রাকে আম্বালা থেকে চণ্ডীগড় পর্যন্ত ৫০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছিলেন । সেই সময় তিনি ট্রাক চালকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের সমস্যার কথাও শোনেন।

খবরটি শেয়ার করুণ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন


কৃষ্ণগহ্বরের "ছায়া" ও "ছবি"

ড. সায়ন বসু: ১৭৮৩ সালে ভূতত্ত্ববিদ জন মিচেল (John Michell) ‘ডার্ক স্টার’ (dark stars) শিরোনামে একটি গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশ করেন। তার গবেষণা পত্রের বিষয়বস্তু ছিল "বিপুল পরিমাণ ভর বিশিষ্ট কোন বস্তু যার মহাকর্ষের প্রভাবে আলোক তরঙ্গ পর্যন্ত পালাতে পারে না"। এখান থেকেই মূলত কৃষ্ণগহ্বরের (Black Hole) ধারণা আসে এবং এটি নিয়ে গবেষনা ও অনুসন্ধান শুরু হয়। পরবর্তিতে অবশ্য এটি বিজ্ঞান মহলে একটি অযৌক্তিক তত্ত্ব হিসেবে বেশ অবহেলার স্বীকার হয়। আলোর মত কোন কিছু বেরিয়ে আসতে পারবে না এমন একটি তত্ত্ব বিজ্ঞানীদের কাছে বেশ অযৌক্তিক মনে হয়েছিল। তাই ধীরে ধীরে থেমে যায় কৃষ্ণগহ্বর নিয়ে গবেষনা। .....বিস্তারিত পড়ুন

Scroll to Top