উত্তরাপথঃ সাম্প্রতিক কালের বিশ্বের বৃহত্তর গবেষণায় বলা হয়েছে লবণ-মুক্ত ডায়েট গ্রহণ করলে হার্টের সমস্যা এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি প্রায় এক পঞ্চমাংশ কমে যেতে পারে। গবেষণায় ইউকে বায়োব্যাঙ্কের ডেটা ব্যবহার করা হয়েছে, যাতে ২০০৬ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত যুক্তরাজ্য জুড়ে ৪০ থেকে ৭০ বছর বয়সী ৫০০,০০০-এরও বেশি লোক জড়িত ছিল। গবেষণার শুরুতে যাদের ইতিমধ্যে AF, করোনারি আর্টারি ডিজিজ, হার্ট ফেইলিউর বা স্ট্রোক ছিল তাদের বাদ দেওয়া হয়েছিল। .
গবেষণায় প্রত্যেককে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে তারা “কখনও না/কদাচিৎ”, “কখনও কখনও”, “সাধারণত” বা “সর্বদা” থেকে কীভাবে নিয়মিত খাবারে লবণ দিয়েছিলেন। তারপরে গবেষকরা ১১ বছরেরও বেশি সময় ধরে তাদের পর্যবেক্ষণ করেছিলেন যে এটি তাদের কীভাবে প্রভাবিত করেছে।
কীভাবে খাবারে লবণ যোগ করলে কার্ডিওভাসকুলার রোগ এবং অকাল মৃত্যুর সম্ভাবনা বেড়ে যায়। গবেষকরা দেখেছেন যারা খাবারে কখনও লবণ যোগ করেন না তাদের মধ্যে অ্যাট্রিয়াল ফাইব্রিলেশন (AF) হওয়ার সম্ভাবনা ১৮% কম, যারা সবসময় হাবারে লবণ খায় তাদের তুলনায়। গবেষকরা আরও দেখিয়েছেন যুক্তরাজ্যে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা গত দশকে ৫০% বৃদ্ধি পেয়ে ১.৫মিলিয়নে উন্নীত হয়েছে। AF একটি অনিয়মিত এবং প্রায়শই অস্বাভাবিকভাবে দ্রুত হৃদস্পন্দন সৃষ্টি করে, যা মাথা ঘোরা, শ্বাসকষ্ট এবং ক্লান্তির কারণ হতে পারে। যাদের AF আছে তাদের স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা অন্যদের থেকে পাঁচগুণ বেশি।
দক্ষিণ কোরিয়ার কিয়ংপুক ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালের প্রধান লেখক ডঃ ইউন জুং পার্ক বলেছেন: “আমাদের গবেষণায় দেখা গেছে যে খাবারে লবণ যোগ করার কম ফ্রিকোয়েন্সি এএফের কম ঝুঁকির সাথে যুক্ত। ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশনের অধ্যাপক জেমস লিপার বলেন, “এটা সর্বজনবিদিত যে অতিরিক্ত লবণ খেলে স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে। এই গবেষণাটি একটি সহায়ক অনুস্মারক যে দিনে ৬গ্রামের কম প্রায় এক চা চামচ। লবণ খাওয়ার সরকারি সুপারিশ মেনে চললে আমরা সবাই উপকৃত হতে পারি। এক্ষেত্রে তাদের হৃদরোগের ঝুঁকি ২০% হ্রাস পায় যারা বেশি লবণ গ্রহণ করেন তাদের তুলনায়।
তাই হৃদরোগের ঝুঁকি কমানোর জন্য লবণ-মুক্ত ডায়েট একটি নতুন কৌশল হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে। যারা অত্যধিক লবণ গ্রহণ রোধ করে, তাদের রক্তচাপ আরও ভালভাবে পরীক্ষা করা উচিত। তাই হার্টকে ভালো রাখতে লবণ-মুক্ত খাদ্য গ্রহণ করা, কার্ডিওভাসকুলার রোগ প্রতিরোধে উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রাখতে পারে।
আরও পড়ুন
১ কোটি টাকার মানহানির মামলা প্রাক্তন CJI রঞ্জন গগৈয়ের বিরুদ্ধে
উত্তরাপথ: গুয়াহাটির একটি স্থানীয় আদালতে আসাম পাবলিক ওয়ার্কসের (এপিডব্লিউ) সভাপতি অভিজিৎ শর্মার রাজ্যসভার সাংসদ এবং ভারতের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি (সিজেআই) রঞ্জন গগৈয়ের বিরুদ্ধে ১কোটি টাকার মানহানির মামলা করেছে। অভিজিৎ শর্মার অভিযোগ রঞ্জন গগৈ তার আত্মজীবনী জাস্টিস ফর এ জাজে তার বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর এবং মানহানিকর বিবৃতি প্রকাশ করেছে । তাই তিনি প্রকাশক গগৈ এবং রুপা পাবলিকেশন্সের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেন এবং কোনও বই প্রকাশ, বিতরণ বা বিক্রি করা থেকে বিরত রাখার জন্য অন্তবর্তী .....বিস্তারিত পড়ুন
কতো অজানা রে
মৈত্রেয়ী চৌধুরী: ইতিহাস বিষয়ে আলোচনা করতে গেলেই আমাদের মনে যে সব সৌধের প্রসঙ্গ মনে আসে তারমধ্যে পার্লামেন্ট ভবন একটা অবশ্য দ্রষ্টব্য স্থান। বহু পর্যটক এই ভবন দেখতে যান. কিন্তু জানেন কি, এই পার্লামেন্ট ভবনের ডিজাইন কে বানিয়েছিলেন ? 10 জনকে জিজ্ঞেস করলে 9 জনই বলতে পারবেন না। যাঁরা খুব ইতিহাস নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করেন অথবা গুগুল সার্চ করে থাকেন, তাঁরা হয়তো উত্তরটা দিতে পারবেন। পার্লামেন্ট ভবনের ডিজাইন বানিয়েছিলেন বিখ্যাত ব্রিটিশ স্থপতি এডুইন লুটিয়েন। তাঁর সহকারী ছিলেন আরেক ব্রিটিশ স্থপতি হার্বার্ট বেকার। 1927 খ্রিস্টাব্দে এই ভবনটির নির্মাণ সম্পূর্ণ হয় এবং ব্রিটিশ .....বিস্তারিত পড়ুন
সময়
অনসূয়া পাঠক: একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের জেনারেল ম্যানেজার সবুজ বোস। রাজারহাট নিউটাউনের একটি বহুতল আবাসনে স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে সুখী জীবন তার। কাজের বাইরে উনার নেশা বলতে নামীদামী পুরানো মডেলের হাত ঘড়ি কালেকশন। এই বিষয়ে তাঁর সংগ্রহশালাটি রীতিমতো চমকে দেবার মতো। তিনি যে বিদেশী মডেলের রিস্ট ওয়াচটি সবচেয়ে বেশী ব্যাবহার করেন সেটা হঠাৎই একদিন খারাপ হয়ে যাওয়াতে পার্শ্ববর্তী করিম চাচার ঘড়ির দোকানে তিনি যান। এবং আশ্চর্যজনক ভাবে দোকানের শো কেসে তাঁর নজর আটকে যায় জার্মানি মডেলের একটি পুরানো ঘড়ির দিকে। এই .....বিস্তারিত পড়ুন
শালডিহা কলেজের ছাত্রীদের জন্য বিশেষ সার্টিফিকেট কোর্স
উত্তরাপথঃ বাঁকুড়া জেলার শালডিহা কলেজের রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডঃ সমীর কুমার মণ্ডল এর উদ্যোগে এবং Mahindra Group - এর Mahindra Pride Classroom ও Naandi Foundation -এর যৌথ উদ্দগ্যে শুধু মাত্র ছাত্রীদের জন্য ৭ দিনের (৪০ ঘন্টা) একটি সার্টিফিকেট course -এর আয়োজন করা হয়েছিল। বিভিন্ন রকম স্কিল নিয়ে বিশদে শিক্ষা দেওয়া হয়েছিল। যার মধ্যে হল communication skill, soft skill, life skill, presentaion skill ও interview skill ইত্যাদি। Mohindra Educator -এর ভূমিকাই আসেন সরোজ রাই। তিনি মনে করেন, এই জাতীয় প্রশিক্ষণ শালডিহার মতো প্রান্তিক কলেজের মেয়েরা খুবই উপকৃত হবে। কলেজ কর্তৃপক্ষ আশা করে ভবিষ্যতে মাহিন্দ্রা গ্রুপ এই কলেজে ক্যাম্পাসিং এর .....বিস্তারিত পড়ুন