শীঘ্রই বাবা হতে চলেছেন ভারতীয় ফুটবলের আইকন সুনীল ছেত্রী

উত্তরাপথ

বর্তমানে ক্রিশ্চিয়ানো রোলান্ডো এবং লিওনেল মেসির পরে সক্রিয় আন্তর্জাতিক গোল স্কোরারদের তালিকায় তৃতীয় স্থানে ভারতীয় অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী। হিরো ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে জয় ভারতের। ভুবনেশ্বরে এ দিন ভানুয়াতুকে ১-০ গোলে হারাল ভারতীয় ফুটবল দল। শেষ মুহূর্তে জয়সূচক গোলটি আসে ক্যাপ্টেন সুনীল ছেত্রীর থেকে। এরপর গোলের সেলিব্রেশনে দিলেন সুখবর। শীঘ্রই বাবা হতে চলেছেন ভারতীয় ফুটবলের আইকন। দেশের হয়ে কেরিয়ারের ৮৬তম গোল করলেন সুনীল। এরপরই অভিনব সেলিব্রেশন করেন সুনীল। স্ট্যান্ডে উপস্থিত ছিলেন স্ত্রী সোনম। পরিবারে সুন্দর একটা মুহূর্ত আসতে চলেছে। গোল করেই স্ত্রী-য়ের উদ্দেশ্যে ভালোবাসা প্রকাশ জাতীয় দলের অধিনায়কের।তিনি বলেন, “আমি এবং আমার স্ত্রী একটি সন্তানের প্রত্যাশা করছি,… আমি শুধু আশা করি আমরা সমস্ত আশীর্বাদ এবং শুভেচ্ছা পেয়েছি,” ছেত্রী ম্যাচের পরে সাক্ষাত্কারে বলেছিলেন। ভানুয়াতুর বিরুদ্ধে গোল করে দেশকে জেতালেন। তাঁর সুখবরে এই জয়ের আনন্দ আরও অনেকটা বেড়ে গেল।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য জয় দিয়েই হিরো কন্টিনেন্টাল কাপ শুরু করেছিল ভারত। প্রথম ম্যাচে মঙ্গোলিয়াকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়েছিল। সেই ম্যাচে গোল করেছিলেন সাহাল আব্দুল সামাদ ও ছাংতে। উদ্বোধনী দিনের প্রথম ম্যাচে ভানুয়াতুকে ৪-১ ব্যবধানে হারিয়েছিল লেবানন। প্রথম ম্যাচ জিতেও গোল পার্থক্যে দ্বিতীয় স্থানে ছিল ভারত। এ দিন প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল লেবানন ও মঙ্গোলিয়া। ম্যাচটি অমীমাংসিত থাকে। দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে ভানুয়াতুকে ১-০ ব্যবধানে হারাল ভারত।

খবরটি শেয়ার করুণ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন


হিউম্যানয়েড রোবট ARTEMIS রেডি পরবর্তী RoboCup-এর জন্য

অনয় কিরণ মাহাতো: কেমন যেন লাগে রোবট এর কথা শুনলে। তারপরে আবার হিউম্যানয়েড, ভাবা যায়। হিউম্যানয়েড রোবট এক জটিল anthropomorphic কৃত্রিম মেশিন যা রোবোটিক্স, লোকোমোশন এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স) এই হিউম্যানয়েড রোবর্ট এর বিকাশকে ত্বরান্বিত করেছে। ১৮১০ সালে জার্মানির ফ্রেডলিচ কাউফম্যানন প্রথম তৈরি করেছিলেন এক ট্রাম্পেট সৈনিক রোবর্ট। এরপর হুমানোইড রোবর্ট তৈরি করেন আরবের একজন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার আল-যাজরি। এরপর লিওনার্দো দা ভিঞ্ছির আদলে জাপানের ওসাকা ইউনিভার্সিটির প্রোফেসর ঈশিগুর .....বিস্তারিত পড়ুন

৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল: হাইকোর্ট ও পর্ষদের টানাপড়েন অব্যাহত   

উত্তরাপথ: সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রাথমিকের ৩৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে আর তাই নিয়ে শুরু হয়েছে যুক্তি ও পাল্টা যুক্তির খেলা। বিচারপতির বক্তব্য পশ্চিমবঙ্গের এই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগের সময় এই শিক্ষকেরা অপ্রশিক্ষিত ছিলেন আর এই 'অপ্রশিক্ষিত প্রাথমিক শিক্ষকদের' নিয়োগ করা হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা এবং সাহায্যপ্রাপ্ত বিদ্যালয়ে। এই পদ্ধতির ত্রুটির কারণে এই শিক্ষকদের নিয়োগ বাতিল করা হল। .....বিস্তারিত পড়ুন

সম্পাদকীয়

এ যেন বহুদিন পর বিজেপির চেনা ছন্দের পতন। হিমাচল প্রদেশের পর কর্ণাটক কংগ্রেস নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে বিজেপির বিজয়রথকে থামিয়ে দিল ।২০১৮ পর থেকে লাগাতার হারতে থাকা একটি দল আবার ২০২৪ সাধারণ নির্বাচনে প্রাসঙ্গিক হয়ে গেল । ২২৪ সদস্যের কর্ণাটক বিধানসভায় সরকার গঠন করতে গেলে প্রয়োজন ১১৩টি আসন সেখানে কংগ্রেস একাই পেয়েছে ১৩৬টি আসন, বিজেপি পেয়েছে ৬৫ টি এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবগৌড়ার জেডিএস পেয়েছে ১৯টি এবং অন্যান্য ৪ টি আসন পেয়েছে। যা গতবারের তুলনায় বিজেপির ৩৯ টি আসন কমেছে এবং কংগ্রেসের বেড়েছে ৫৭টি আসন এবং জেডিএসের কমেছে ১৮ টি আসন।   কর্ণাটকে কংগ্রেসের এই সাফল্য কি রাজ্যে কংগ্রেসের শক্তিশালী সংগঠনের ফল না কি কর্ণাটকের আগের ক্ষমতাশীল বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভ । কর্ণাটকে কংগ্রেসে অনেক বড় নেতা রয়েছে।  প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শিবকুমার দক্ষ সংগঠক। আগের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়ার ব্যাপক জনভিত্তি রয়েছে।  ভোটের আগে বিজেপির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগদীশ শেট্টার এবং উপমুখ্যমন্ত্রী সাভাড়ি কংগ্রেসে যোগ দিয়ে নির্বাচনে লড়েছেন। অন্যদিকে বিজেপির প্রচারের সবচেয়ে বড় মুখ ছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। বিজেপির প্রচারে সব নেতারাই মোদীর নাম করেই ভোট চেয়েছিলেন কিন্তু শেষ রক্ষা হল না ।কর্ণাটকের বিজেপি সরকারের ব্যাপক দুর্নীতি সেই সাথে কংগ্রেসের লাগাতার প্রচার যা প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার সুরকে আরও তীব্র করেছে। তাই শুধুমাত্র মোদী ম্যাজিকের উপর ভর করে নির্বাচন জেতা যে  আর বিজেপির পক্ষে সম্ভব নয় কর্ণাটকের জনগণ চোখে হাত দিয়ে তাই দেখিয়ে দিল। .....বিস্তারিত পড়ুন

প্রয়াত "কালবেলা"-র স্রষ্টা সাহিত্যিক সমরেশ মজুমদার

উত্তরাপথ: সাহিত্য একাডেমি পুরুষ্কার প্রাপ্ত প্রখ্যাত সাহিত্যিক সমরেশ মজুমদার কলকাতার এক বেসরকারী হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর।বেশ কিছুদিন ধরে তিনি ফুসফুস ও শ্বাসনালীর সংক্রামণের কারনে তিনি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। ১৯৪২ সালে উত্তরবঙ্গের গয়েরকাটায় জন্ম এই বিখ্যাত লেখকের।ষাটের দশকের গোড়ায় তিনি কলকাতায় এসেছিলেন। ভর্তি হয়েছিলেন স্কটিশ চার্চ কলেজের বাংলা (সাম্মানিক) স্নাতক বিভাগে৷ এর পর স্নাতকোত্তর  সম্পন্ন করেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। সমরেশ মজুমদারের উল্লেখযোগ্য .....বিস্তারিত পড়ুন

Scroll to Top