ধর্ম ও মোহ

অসীম পাঠকঃ ধর্মের বেশে মোহ যারে এসে ধরে অন্ধ সে-জন মারে আর শুধু মরে । নাস্তিক সেও পায় বিধাতার বর, ধাৰ্মিকতার করে না আড়ম্বর।Religion অর্থ উপসনা ধর্ম। শব্দটির উৎপত্তি ফরাসি religion থেকে, যেমন, “religious community” অর্থ ধর্মীয় সম্প্রদায়। আবার এটি এসেছে লাতিন religionem থেকে nom. religio. যার অর্থ “পবিত্র বিষয়ের প্রতি শ্রদ্ধা, ঈশ্বরদের প্রতি নিষ্ঠা” “respect for what is sacred, reverence for the gods”এবং “বাধ্যতা, যা মানুষ ও ঈশ্বরদের মধ্যে সেতুবন্ধনস্বরূপ” “obligation, the bond between man and the gods” যেটি আবার লাতিন religiō থেকে পাওয়া।

রবীন্দ্রনাথ ‘ধর্মমোহ’ নামক অবিস্মরণীয় কবিতায় লিখেছিলেন, ‘ধর্মের বেশে মোহ যারে এসে ধরে/অন্ধ সে জন শুধু মারে আর মরে।’ লালমনিরহাটে ‘ধর্মের অবমাননার অভিযোগে’ এক ব্যক্তিকে দলবদ্ধভাবে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যা করার ঘটনার দিকে তাকালে রবীন্দ্রনাথের কথার সারবত্তাই প্রমাণিত হয়।শুধু হত্যা নয়, বিগত কয়েক বছরে এ ধরনের গুজব রটিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে দলবদ্ধ সহিংসতা ও সম্পদহানির ঘটনা ঘটেছে। যারা এ ধরনের বর্বরোচিত ঘটনায় অংশগ্রহণ করতে পারেনি তাদের অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিদ্বেষ ও বিকৃতি ছড়িয়ে আত্মসুখ লাভ করেছে। শুধু বাংলাদেশে নয়, সমগ্র বিশ্বেই এখন ধর্মমোহের জয়জয়কার। ইউরোপ, আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য, পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা- কোথায় নেই ধর্মমোহ? বলা বাহুল্য, ধর্মমোহের অবশ্যম্ভাবী পরিণতি উগ্রবাদ ও সহিংসতা।

ধর্মমোহের অপর পিঠে রয়েছে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা তথা পরধর্মের প্রতি অশ্রদ্ধা। অন্যের মতামতকে মূল্য দেয়া, মতপ্রকাশের স্বাধীনতার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে গণতান্ত্রিক চেতনা এবং যুক্তিবাদী মানসিকতা। ফরাসি দার্শনিক ভলতেয়ারের অমর বাণী উত্তরোত্তর প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছে- ‘তোমার মতের সঙ্গে আমি একমত না হতে পারি, কিন্তু তোমার মতপ্রকাশের স্বাধীনতার জন্য জীবন দিতে পারি।’ অন্যের মতামতকে মূল্য দেয়ারই অপর নাম পরমতসহিষ্ণুতা। আজকের সভ্যতার সংকটের মূলে রয়েছে পরমতসহিষ্ণুতা তথা ধর্মীয় সহিষ্ণুতার অভাব।

ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা অর্থাৎ পরধর্মের প্রতি অশ্রদ্ধার মনোভাব তৈরি হয় ধর্মের প্রকৃত মর্ম উপলব্ধি করতে না পারার কারণে। বিশ্বখ্যাত ঔপন্যাসিক টলস্টয় ধর্মের তিনটি দিকের কথা বলেছিলেন- Essentials of Religion (ধর্মের মূল মর্ম), Philosophy of Religion (ধর্মের দর্শন) এবং Rituals of Religion (ধর্মের আচার)। তিনি দেখিয়েছিলেন প্রতিটি প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মের মর্ম অভিন্ন। পার্থক্য শুধু দর্শনে ও আচারে। মর্মের অভিন্নতা সত্ত্বেও যুগে যুগে একদল মানুষ অন্য ধর্মের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করেছে, অন্য ধর্মাবলম্বীদের প্রাণ হরণ ও সম্পদ বিনষ্ট করেছে। সাম্প্রতিক সময়ে নিউজিল্যান্ডে, শ্রীলংকায় ও ফ্রান্সে এমন সহিংসতার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে।

ধর্মীয় উৎসবগুলো ইতোমধ্যে সম্প্রদায়ের গণ্ডি ছাড়িয়ে সার্বজনীন রূপ লাভ করেছে। ঈদ, দুর্গাপূজা, বড়দিন, বৌদ্ধপূর্ণিমার মতো উৎসবগুলো রঙিন হয়ে ওঠে সব ধর্ম সম্প্রদায়ের মানুষের সম্মিলিত অংশগ্রহণে। দর্শনে ও আচারে পার্থক্য থাকলেও উৎসবমুখরতা এ পার্থক্য ঘুচিয়ে দিয়ে সব মানুষকে এক কাতারে শামিল করে। কিন্তু ধর্মীয় উগ্রবাদীদের হামলা এ উৎসবগুলোয়ও বিষণ্নতার কালিমা লেপে দিয়েছে। যে কোনো ধর্মীয় উৎসবের আগেই রাষ্ট্রকে অতিরিক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হয়। এ সমস্যা শুধু বাংলাদেশে নয়। বিশ্বের বহু দেশেই উৎসবকে নির্বিঘ্ন করার জন্য এ ধরনের ব্যবস্থা বর্তমানে দৃশ্যমান।

ধর্মের নামে যারা বর্বরোচিত ঘটনাগুলো ঘটাচ্ছে তারা বয়সে তরুণ। কেন তরুণরা এমন আত্মঘাতী কর্মে লিপ্ত হচ্ছে, তা নিয়ে বিশ্বব্যাপী গবেষণা হচ্ছে। পারিবারিক বন্ধনের শৈথিল্য, হতাশা, দারিদ্র্য, প্রকৃত ধর্মীয় শিক্ষার অভাব, আনন্দময় শৈশবের অনুপস্থিতি বিভিন্ন কারণে তরুণরা জড়িয়ে পড়ছে উগ্রবাদী তৎপরতায়। যে নেতিবাচক মতাদর্শ তাদের উগ্রবাদী হতে উদ্বুদ্ধ করছে, এর বিপরীত ইতিবাচক মতাদর্শের শক্তিশালী অবস্থানের অনুপস্থিতিও একটি বড় কারণ। তরুণদের মধ্যে ইতিবাচক জীবনবোধ তৈরি করাটাই এ সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে প্রধান করণীয়। এ দেশের শিক্ষার্থীরা মেধাবী ও প্রতিভাবান। শুধু প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রির মধ্যে এ মেধা সীমাবদ্ধ হয়ে পড়লে তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক হবে। পরীক্ষার পড়াশোনার পাশাপাশি যদি শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি, বিজ্ঞান, ক্রীড়ার বর্ণিল জগতের সঙ্গে তাদের পরিচয় ঘটে, তবে তাদের হৃদয় মনুষ্যত্বের দীপ্তিতে ভাস্বর হবে। সুকুমারবৃত্তির অনুশীলন মানুষকে সৃষ্টিশীল ও মননশীল হতে উদ্বুদ্ধ করে। এটি নিশ্চিত করার দায়িত্ব পরিবার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের। এ দায়িত্ব আমরা কতটুকু পালন করছি?

ধর্মীয় ভেদাভেদের প্রাথমিক শিক্ষা শিশুরা পরিবার থেকে লাভ করে। এ শিক্ষায় পরধর্মকে সম্মান করার বার্তা অনেক ক্ষেত্রেই অনুপস্থিত। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, মনের অজান্তে অনেক অভিভাবক শিশুমনে অন্য ধর্মকে অবজ্ঞার বীজ রোপণ করেন, যা পরবর্তী সময়ে সাম্প্রদায়িকতার বিষবৃক্ষে রূপান্তরিত হয়। পরোক্ষভাবে এ ভেদবুদ্ধিকে পরিপুষ্ট করে তোলে কোনো কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এ প্রবণতা অত্যন্ত বিপজ্জনক। ধার্মিকতা ও ধর্মমোহের পার্থক্যকে স্পষ্ট করে তুলতে হবে শুরুতেই। ধর্মীয় সম্প্রীতির শিক্ষা যদি শৈশবে একজন শিক্ষার্থী না পায়, তবে তার মানসিক গড়ন একপেশে ও সাম্প্রদায়িক হতে বাধ্য। যে পরিবার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় সম্প্রীতির শিক্ষা দেয়া হয়, ‘সবার উপরে মানুষ সত্য’- এ চেতনাকে উচ্চকিত করে তোলা হয় সেই পরিবারে ও প্রতিষ্ঠানে ধর্মান্ধ উগ্রবাদীর জন্ম হয় না।

মানবপ্রীতি ও সামাজিক সম্প্রীতি গড়তে সংস্কৃতিচর্চার ভূমিকা অনস্বীকার্য। ধর্মভিত্তিক দ্বিজাতিতত্ত্বের বিপরীতে ভাষাভিত্তিক বাঙালি জাতীয়তাবাদের উন্মেষের মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের সূচনা ঘটেছিল। ভাষা আন্দোলনের পথ পেরিয়ে ষাটের দশকে বাঙালি জাতীয়তাবাদের পূর্ণ বিকাশের ক্ষেত্রে বাঙালির সাংস্কৃতিক জাগরণ অসামান্য ভূমিকা পালন করেছিল। উগ্রবাদ বিস্তার লাভ করে ধর্মের অপব্যবহারের মাধ্যমে।ধর্মের অপব্যবহার আগেও ছিল। এমনকি মুক্তিযুদ্ধের সময়ও ধর্মের নামে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী ও তাদের এ দেশীয় দোসর মানবতাবিরোধী অপরাধে লিপ্ত হয়েছিল। তাদের এ অপতৎপরতা সফল হতে পারেনি আমাদের শক্তিশালী সাংস্কৃতিক চেতনার কারণে। সেই চেতনার মূলমন্ত্র ছিল অসাম্প্রদায়িকতা তথা ধর্মীয় সম্প্রীতি। ‘বাংলার হিন্দু, বাংলার বৌদ্ধ, বাংলার খ্রিস্টান, বাংলার মুসলমান, আমরা সবাই বাঙালি’- সাড়ে সাত কোটি বাঙালি এ সত্যকে ধারণ করেই স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটিয়েছিল।

সহিংস উগ্রবাদ প্রতিরোধে রাষ্ট্রের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা ধর্মীয় উগ্রবাদকে কত ভয়ংকর জায়গায় নিয়ে যেতে পারে, এর জ্বলন্ত উদাহরণ পাকিস্তান। মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে আমাদের ঋণ অন্তহীন। সবচেয়ে বড় ঋণ এই যে, পাকিস্তানের মতো একটি বর্বর রাষ্ট্রের নাগরিক হওয়ার অভিশাপ থেকে তারা আমাদের মুক্ত করেছেন। ধর্মান্ধতার ভিত্তিতে রচিত রাষ্ট্র পাকিস্তানকে প্রত্যাখ্যান করে অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে। সেই বাংলাদেশে ধর্মমোহে ও উগ্রবাদের বিস্তার কোনোভাবেই কাম্য নয়।

‘মালিনী’ নাটকে উগ্রবাদীদের মনস্তত্ত্ব নিপুণভাবে উপস্থাপন করেছেন রবীন্দ্রনাথ। ধর্মমোহে আচ্ছন্ন ক্ষেমঙ্করের উদ্দেশে সুপ্রিয় বলেছে- ‘ধর্মাধর্ম সত্যাসত্য/কে করে বিচার! আপন বিশ্বাসে মত্ত/করিয়াছে স্থির, শুধু দল বেঁধে সবে/সত্যের মীমাংসা হবে, শুধু উচ্চরবে?/ যুক্তি কিছু নহে?’ উগ্রবাদী এবং উগ্রবাদের পৃষ্ঠপোষক উভয়েই যুক্তিবিরোধী। যুক্তিবাদিতা ও পরমতসহিষ্ণুতাকে যদি সমাজ গ্রহণ করে, তবেই ধর্মীয় সহিষ্ণুতা বৃদ্ধি পাবে। সহিষ্ণুতাই সভ্যতার আত্মরক্ষার পথ। এছাড়া ধর্মমোহের আত্মঘাতী পরিণতি থেকে পরিত্রাণের কোনো উপায় নেই।

একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র যেখানে তার জনগণ তাদের দৃষ্টিভঙ্গি ধর্ম অনুসরণ করতে পারে, কিন্তু দেশটি আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো ধর্মকে সমর্থন বা বিরোধিতা করে না। এটি এমন একটি পরিবেশ যেখানে মানুষ তাদের জাতি, ধর্ম এবং সংস্কৃতি নির্বিশেষে একসাথে বসবাস করতে পারে। ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ হওয়ার অর্থ এই নয় যে একটি রাষ্ট্র সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ।খ্রিস্টান এবং কিছু অ-খ্রিস্টান ধর্ম ঐতিহাসিকভাবে বৈজ্ঞানিক ধারণাগুলির সাথে ভালভাবে একত্রিত হয়েছে , যেমন প্রাচীন মিশরীয় প্রযুক্তিগত দক্ষতা একেশ্বরবাদী প্রান্তে প্রয়োগ করা হয়েছিল, অটোমান সাম্রাজ্যের সময় মুসলিম পণ্ডিতদের বৈজ্ঞানিক অগ্রগতি এবং হিন্দু ও বৌদ্ধধর্মের অধীনে গণিত।


বিজ্ঞান এবং ধর্মের মধ্যে সম্পর্ককে সাধারণত একটি দ্বন্দ্ব হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে, বিশেষ করে উৎপত্তির ইস্যুতে (সৃষ্টিবাদ বনাম বিবর্তন) । ঐতিহাসিক বাস্তবতা হল যে বিজ্ঞান এবং ধর্ম প্রায়ই একে অপরের পরিপূরক হয়েছে, এবং সম্পর্কযুক্ত।কেউ ধর্মে জন্মায় না, কিন্তু প্রত্যেকেই একটি ধর্মের জন্য জন্মগ্রহণ করে। কোন দুই ব্যক্তির একই ধর্ম নেই। এক ধর্ম সবার সাথে মানানসই হতে পারে না। ধর্ম খুব কম মানুষের কাছে একটি প্রয়োজনীয় জিনিস এবং মানবজাতির বিশাল জনগোষ্ঠীর কাছে এটি একটি বিলাসিতা। স্বামীজীর কথার তাৎপর্য আমাদের বুঝতে হবে, আজকের দিনে ভীষন প্রাসঙ্গিক এটা …..সবচেয়ে বড় ধর্ম হল নিজের স্বভাবের প্রতি সত্য থাকা …. একমাত্র নিজের প্রতি বিশ্বাস বদলাতে পারে আমাদের ভ্রান্ত জীবনদর্শন।

খবরটি শেয়ার করুণ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন


আগামী ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে কি সলমন খানকেও দেখা যাবে কলকাতায় ?

উত্তরাপথ: একেই বলে রথ দেখা কলা বেচা। এলেন ইস্ট বেঙ্গল ক্লাবের শতবর্ষ উদযাপনের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে,আর বাড়তি পাওনা হিসেবে পেয়ে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে একান্ত সাক্ষাতের সুযোগ।  কালো টয়োটা এসইউভি ডব্লিউবি০২এএন৬৬৪৯ গাড়িতে করে বিকেল ৪টে ২০ মিনিটে পৌঁছেযান মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়িতে। অবশ্য রাস্তায় উপচে পড়া ভিড়ের জন্য দু'বার দাঁড়াতে হয়েছিল গাড়িতে থাকা সুপারস্টারকে। পুলিশি নিরাপত্তার ঘেরাটোপে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ঢোকে সলমন খান। আগেই নিজের টালির চালার বাড়ির সামনে আটপৌড়ে শাড়িতে অপেক্ষায় .....বিস্তারিত পড়ুন

AFC এশিয়ান কাপ ২০২৩: সুনীলদের Blue Tiger অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি

উত্তরাপথ: অস্ট্রেলিয়া, উজবেকিস্তান এবং সিরিয়ার পাশাপাশি এএফসি এশিয়ান কাপ ২০২৩-এর বি গ্রুপে সুনীলদের Blue টাইগাররা। Blue টাইগাররা ১৩ জানুয়ারী, ২০২৪-এ আহমেদ বিন আলী স্টেডিয়ামে গ্রুপ পর্বের তাদের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে।ভারতীয় পুরুষ ফুটবল দল এএফসি এশিয়ান কাপ কাতার ২০২৩-এ ১৩ জানুয়ারি আহমদ বিন আলি স্টেডিয়ামে গ্রুপ বি-তে প্রাক্তন চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করবে। এশিয়ার শীর্ষ ২৪ টি দল দোহার কাটরা অপেরা হাউসে তাদের গ্রুপ পর্বে অংশ গ্রহণ করেছে। এএফসি এশিয়ান কাপ কাতার ১২ জানুয়ারী .....বিস্তারিত পড়ুন

মণিপুরের সামগ্রিক উন্নয়ন বর্তমান সমস্যার সমাধান হতে পারে

উত্তরাপথ: মণিপুরের মেইতি সম্প্রদায় তফসিলি উপজাতির তালিকায় তাদের অন্তর্ভুক্তির দাবি অব্যাহত রাখবে এবংআন্দোলন তীব্রতর করবে বলে খবর। অন্যদিকে ট্রাইবাল সলিডারিটি মার্চ, কিছু পাহাড়ি উপজাতির একটি তড়িঘড়ি তৈরি করা ছাতা সংগঠন,তারা মেইতি সম্প্রদায়ের দাবির বিরোধিতা করার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তাই পরিস্থিতি আরও অস্থির হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।অন্যদিকে আরেকটি সূত্র বলছে মণিপুরের পরিস্থিতি আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসছে। যদিও এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীর সহায়তা নিচ্ছে রাজ্য সরকার।  কিন্তু এ ধরনের স্পর্শকাতর বিষয়ে দীর্ঘ .....বিস্তারিত পড়ুন

Scroll to Top