

উত্তরাপথ: ওডিশা পুলিশের পায়রা বিভাগ ১৯৪০ সালে শুরু হয়েছিল । সেই সময় সীমিত পরিকাঠামোর কারণে প্রত্যন্ত অঞ্চলে যোগাযোগের সুবিধার্থে১৯৪০ সালে শুরু হয়েছিল । সেই সময় সীমিত পরিকাঠামোর কারণে প্রত্যন্ত অঞ্চলে যোগাযোগের সুবিধার্থে এই বিভাগটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল।পায়রাগুলিকে সেই সময়ে থানাগুলির মধ্যে বার্তা বহন করার জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল, যোগাযোগের একটি নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসাবে ।
বর্তমানে পায়রা নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে যোগাযোগের একটি নির্ভরযোগ্য মাধ্যম একথা ঠিক,কিন্তু তারও একটি সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তারা শুধুমাত্র ছোট, হালকা ওজনের বার্তা বহন করতে পারে, বড় কোনও বার্তা প্রেরণের জন্য পায়রা একেবারে অনুপযুক্ত। উপরন্তু, যোগাযোগের আধুনিক পদ্ধতির তুলনায় তাদের গতি এবং পরিসীমা স্বাভাবিকভাবেই সীমিত।
ভবিষ্যতে, প্রযুক্তির ক্ষেত্রে আরও অগ্রগতি যোগাযোগে পায়রার ভূমিকা আরও হ্রাস করবে। তবে এটি অস্বীকার করার উপায় নেই যে বিশেষ পরিস্থিতিতে, যেখানে প্রযুক্তি ব্যর্থ হয় বা অনুপলব্ধ হয়, সেখানে ওডিশা পুলিশের পায়রা বিভাগ একটি মূল্যবান ব্যাকআপ হিসাবে কাজ করে, নিশ্চিত করে যে গুরুত্বপূর্ণ বার্তাগুলি এখনও সরবরাহ করা যেতে পারে।
ভবিষ্যতে, প্রযুক্তির ক্ষেত্রে আরও অগ্রগতি যোগাযোগে পায়রার ভূমিকা আরও হ্রাস করবে। তবে এটি অস্বীকার করার উপায় নেই যে বিশেষ পরিস্থিতিতে, যেখানে প্রযুক্তি ব্যর্থ হয় বা অনুপলব্ধ হয়, সেখানে ওডিশা পুলিশের পায়রা বিভাগ একটি মূল্যবান ব্যাকআপ হিসাবে কাজ করে, নিশ্চিত করে যে গুরুত্বপূর্ণ বার্তাগুলি এখনও সরবরাহ করা যেতে পারে। পুলিশের পায়রা বিভাগ এখনও কটকের তুলসীপুর থানায় সুরক্ষিত।
সুত্রের খবর ,পাখিদের বয়স যখন পাঁচ থেকে ছয় সপ্তাহ তখন থেকে তাদের প্রশিক্ষণ শুরু হয়। তারপর বড় হওয়ার সাথে সাথে তাদের বিভিন্ন গন্তব্যে নিয়ে যাওয়া হয় এবং ছেড়ে দেওয়া হয়, যেখান থেকে তারা আবার নিজেদের গন্তব্যে ফিরে আসে এরপর ধীরে ধীরে দূরত্ব বাড়তে থাকে। এভাবে পায়রা ১০ দিনে প্রায় ৩০ কিমি পথ থেকে ফিরতে সক্ষম হয়। বার্তা পাঠানোর জন্য একটি হাল্কা কাগজে লেখা একটি বার্তা একটি ক্যাপসুলে রেখে পাখির পায়ে বেঁধে রাখা হয়। এর সাহায্যে পায়রা ঘণ্টায়৫০-৬০কিলোমিটার বেগে উড়তে পারে। তারা একবারে ৮০০ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে।
গবেষণা বলছে পায়রার মস্তিষ্কে ৫৩ টি কোষের একটি গ্রুপ রয়েছে, যার সাহায্যে তারা দিক চিহ্নিত করে এবং পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্র নির্ধারণ করে। চৌম্বক ক্ষেত্রের প্রতি আচরণের ক্ষেত্রে পায়রার মস্তিষ্কের প্রতিটি স্নায়ুর নিজস্ব বৈশিষ্ট্য রয়েছে। কিন্তু প্রতিটি কোষই উত্তর-দক্ষিণ দিক এবং উপরে-নিচকে চিহ্নিত করতে পারে এবং দিকনির্দেশ সম্পর্কে তথ্য দেয়। আর এই তথ্যের ভিত্তিতে পায়রা সঠিক পথ নির্ধারণ করে গন্তব্যে পৌঁছে যায়।
যদিও ওডিশা পুলিশের পায়রা বিভাগকে আজকের প্রযুক্তি-চালিত বিশ্বে অতীতের স্মৃতিচিহ্নের মতো মনে হতে পারে, তবে এটি নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে যোগাযোগের একটি ব্যবহারিক এবং নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসাবে এটি আজও রয়ে গেছে।বার্তা প্রদানে পায়রার ব্যতিক্রমী দক্ষতা তাদের একটি অমূল্য সম্পদ করে তুলেছে। এই ওডিশা পুলিশের পায়রা বিভাগটি রক্ষণাবেক্ষণের মাধ্যমে, ওড়িশা পুলিশ শুধুমাত্র ঐতিহ্যকে রক্ষা করছেনা বরং প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জের মুখে কার্যকর যোগাযোগের বিকল্পগুলির উপলব্ধতা নিশ্চিত করছে।
আরও পড়ুন
PAN-Aadhar link: কেন্দ্র সরকার ১১.৫ কোটি প্যান কার্ডকে নিষ্ক্রিয় করেছে
উত্তরাপথ : আধারের সাথে প্যান কার্ড লিঙ্ক (PAN-Aadhar link)করার সময়সীমা শেষ হওয়ার পরে কেন্দ্রীয় সরকার ১১.৫ কোটি প্যান কার্ড নিষ্ক্রিয় করেছে৷ আপনি যদি এখনও প্যান কার্ডের সাথে আধার কার্ড লিঙ্ক না করে থাকেন, তাহলে আপনি সরকারের এই কঠোর পদক্ষেপের আওতায় এসেছেন। আপনি যদি আপনার আধার কার্ডকে প্যানের সাথে লিঙ্ক করতে চান তবে আপনি জরিমানা দিয়ে এটি সক্রিয় করতে পারেন। কেন্দ্র সরকার ১১.৫ কোটি প্যান কার্ডকে আধারের সাথে লিঙ্ক না করার কারণে নিষ্ক্রিয় করেছে। একটি আরটিআই-এর জবাবে, সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডাইরেক্ট ট্যাক্সেস জানিয়েছে যে আধার কার্ডের সাথে প্যান কার্ড লিঙ্ক (PAN-Aadhar link) করার সময়সীমা ৩০ জুন শেষ হয়েছে। যারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আধার কার্ড এবং প্যান কার্ড লিঙ্ক করেননি তাদের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দেশে ৭০ কোটি প্যান কার্ড বর্তমানে ভারতে প্যান কার্ডের সংখ্যা ৭০.২ কোটিতে পৌঁছেছে। এর মধ্যে প্রায় ৫৭.২৫ কোটি মানুষ আধারের সাথে প্যান কার্ড লিঙ্ক করেছেন। .....বিস্তারিত পড়ুন
Free Gift in Politics: ভারতের নির্বাচন ও ফ্রি গিফট সংস্কৃতি
উত্তরাপথঃ ফ্রি গিফট (Free gift in politics)এর রাজনীতি সম্প্রতি ভারতের নির্বাচনী রাজনীতিতে একটি বিশিষ্ট ভূমিকা পালন করছে। বিনামূল্যে কোটি কোটি জনগণকে উপহার প্রদান যা রাজকোষের উপর অতিরিক্ত বোঝা ফেলবে এই সত্যটি জানা সত্ত্বেও, রাজনৈতিক দলগুলি ভোটারদের আকৃষ্ট করার জন্য ফ্রি গিফট (Free gift in politics) দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচনের দৌড়ে একে অপরের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।এক সময় প্রয়াত তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জে জয়ললিতা বিনামূল্যে শাড়ি, প্রেসার কুকার, ওয়াশিং মেশিন, টেলিভিশন সেট ইত্যাদির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটের আগে যে বিনামূল্যের সংস্কৃতি শুরু করেছিলেন তা পরবর্তী কালে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলি দ্রুত অনুসরণ করেছিল। এরপর ২০১৫ সালে আম আদমি পার্টি নেতৃত্ব দিল্লির ভোটারদের কাছে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ, জল, বাস ভ্রমণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভ করেছিল। .....বিস্তারিত পড়ুন
World Children's Day: সত্যিই কি ‘বিশ্ব শিশু দিবস´পালনের কোনও যৌক্তিকতা আছে ?
প্রীতি গুপ্তাঃ হাতে গোনা আর মাত্র কয়েকটি দিন তারপর ১৪ নভেম্বর আমাদের দেশ সহ সারা বিশ্বজুড়ে পালন করা হবে ‘বিশ্ব শিশু দিবস´(World Children's Day)।এই দিনটি শিশুদের মঙ্গলের জন্য, তাদের ভবিষ্যতের জন্য একটি অনুকূল বিশ্ব তৈরি করার প্রচেষ্টার একটি দিন।কিন্তু প্রশ্ন,সত্যি কি হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে সারা বিশ্ব জুড়ে শিশু দিবস পালন করার কোনও যৌক্তিকতা আছে? আদৌ কি এর কোনও লাভ আমরা আমাদের প্রান্তিক স্তরের শিশুদের কাছে পৌঁছে দিতে পেরেছি ? সম্প্রতি কাজের প্রয়োজনে রাজস্থানের উদয়পুর শহরে আসা। আমরা সবাই জানি উদয়পুর বিখ্যাত তার হ্রদের কারণে । এখানকার স্থানীয় থেকে পর্যটক সকলেই এই সুন্দর হ্রদগুলির আকর্ষণে বারবার ছুঁটে যায়। ‘ফতে সাহেব লেক’ রাজস্থানের উদয়পুরের এক বিখ্যাত পর্যটক স্থল।এখানে বহু মানুষ সকাল- বিকেল এই লেকের চার ধারে হাঁটাহাঁটি করতে বেরিয়ে পড়ে। সেভাবেই দুই দিন আগে বিকেলে হঠাৎ করে বেরিয়ে পড়লাম ‘ফতে সাহেব লেকের ধারে হাঁটার উদ্দেশ্য নিয়ে। হাঁটার মাঝখানে হঠাৎ করে একটি বাচ্চাছেলে আওয়াজ করে ডাকছে ,বললাম কিছু বলবি? সে বলল একটু দাঁড়াতে। ও ছুটে গিয়ে হাতে করে কয়েকটি বেলুন নিয়ে এসে হাজির । সে বারবার বেলুন কেনার অনুরোধ জানাতে লাগল। হাতে অন্য কাজের চাপ নেই অনেকটা অবসর সময় তাই আমি অনেকটা সাংবাদিক সুলভ মন নিয়ে বললাম ঠিক আছে আমি তোর বেলুন নেব ,কিন্তু তার আগে আমি তোকে যা বলব তার তার ঠিক ঠিক উত্তর দিতে হবে। সে খুশী খুশী রাজি হয়ে গেল । .....বিস্তারিত পড়ুন
Roop Kishor Soni: একটি আংটিতে বিশ্বের আটটি আশ্চর্য তুলে ধরেছেন
উত্তরাপথঃ রাজস্থান মানেই ওজনদার রূপার গহনা ,আর তার উপর কারুকাজ। প্রচলিত এই ধারনা ভেঙ্গে আজ রূপোর গহনাকে আধুনিকতার সাথে শিল্পের এক অপূর্ব মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন যে ব্যক্তি তিনি হলেন রূপ কিশোরী সোনী(Roop Kishor Soni)।তিনি ২০১৬ সালের ৯ ডিসেম্বর প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির কাছ থেকে তার অসাধারণ শিল্প কর্মের জন্য জাতীয় পুরুস্কার পান। রাজস্থানের জয়সলমেরের শহরের এই শিল্পী ৩.৮ গ্রাম ওজনের ০.৯ সেমি চওড়া রৌপ্য আংটিতে বিশ্বের আটটি আশ্চর্য খোদাই করেছেন।এই ছোট রূপার আংটিতে শিল্পী তাজমহল, সিডনি অপেরা হাউস, স্ট্যাচু অফ লিবার্টি, চীনের গ্রেট ওয়াল, আইফেল টাওয়ার, বিগ বেন, পিসার হেলানো টাওয়ার এবং মিশরীয় পিরামিডের চিত্র এক সাথে ফুটিয়ে তুলেছেন।এছাড়াও তিনি আরও দুটি পৃথক ডিজাইনের অত্যাশ্চর্য আংটি তৈরি করেছেন।৮.৬ গ্রাম ওজনের একটি রিংয়ে তিনি সূর্যাস্তের সময় ভারতীয় উট সাফারি সহ ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের বিভিন্ন ভারতীয় বিশেষত্ব ফুটিয়ে তুলেছেন,এবং অন্যটিতে বিভিন্ন হিন্দু দেব-দেবী ছবি এবং মন্দির খোদাই করেছিলেন। শিল্পী বলেছেন যে তিনি তার বাবার কাছ থেকে তার শৈল্পিক দক্ষতা উত্তরাধিকারসূত্রে পেয়েছেন। সেই সাথে তিনি বলেন "আমার বাবাও একজন জাতীয় পুরুস্কার প্রাপ্ত শিল্পী ছিলেন। তিনি আমাকে শিল্পের এই দক্ষতা শিখিয়েছিলেন কারণ তিনি পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে শিল্পের ফর্মটিকে বাঁচিয়ে রাখতে চেয়েছিলেন।" .....বিস্তারিত পড়ুন