প্ৰতিবাদ

অসীম পাঠকঃ বর্তমান যুগ গণতন্ত্রের যুগ। দেশের রাজনীতিবিদরা সাহিত্যিকদের ও দার্শনিকদের অনুকরণ করে বলেন “ কালোপন্থী কেউ টিক্‌বে না, দেশে সাম্য প্রতিষ্ঠিত হবে। শোষক শোষিতের ব্যবধান লোপ পাবে ”। কিন্তু বাস্তবে কি তা হচ্ছে! চোখ মেলে তাকালে দেখি আজ সুস্থ সংস্কৃতির অপরাহ্নে বিশ্বের চরম সংকট। সামাজিক , অর্থনৈতিক , রাজনৈতিক অবস্থা এক জটিল প্রশ্নচিহ্নের মুখে দাড়িয়েছে, আজ পৃথিবীর ভাণ্ডার থেকে হেমন্ত ফুরিয়ে গেছে , এখানে কোন সোনালী ফসলের বার্তা নেই। চারিদিকে কেবল নিঃসীম শৈত্য প্রবাহ। আকাশের দিকে চেয়ে থাকা অন্ধকারের স্তরে স্তরে আজ চোখের জলের ভাষা ফুটে উঠেছে। স্বাধীনতার পর এতো বছর ধরে আমরা কি পেলাম ? শোষণ , বঞ্চনা আর প্রতারণা। দ্রব্য সামগ্রীর দাম বেড়েছে , মুষ্টিমেয় কিছু লোক ক্ষমতা ভোগ করছে। চারিদিকে কান পাতলে শোনা যায় বেকারদের মর্মভেদী আর্তনাদ। সাম্প্রদায়িকতার দাবানল। দারিদ্র্যের জ্বালায় চিৎকার করে মরছে স্বাধীন ভারতের নাগরিকরা। ঘরে ঘরে অসম্মানিত পিতৃত্ব মাতৃত্ব আজ চোখের জল ফেলছে। দেশের এই অসহায় মানুষদের জীবন যন্ত্রণার কথা বিশ্বের শুভ বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষদের কাছে পৌ়ছানোর দায়িত্ব সাংবাদিকদের, সংবাদ পত্র হলো বিশ্ব দৰ্পণ। সমাজের নৈতিক স্খলন – পতন শোষণের ত্রাসনের বিরুদ্ধে সংবাদ পত্র রুদ্র রৌদ্র হাতিয়ার , মনুষত্বের বৈতালিক বিশ্বের বাতায়ন। কিন্তু আজকের সাংবাদিকরা ইয়োলো জার্ণা লিজমের শিকার। উত্তেজনা সৃষ্টি করে অসত্য কুরুচকর চটকদারি সংবাদ পরিবেশন করে সস্তা জনপ্রিয়তা পেতে চান সাংবাদিকরা।
সুজলা সুফলা শষ্যশামলা ভারতবর্ষে আজো এমন অনেক ঘটনা ঘটছে যার কণামাত্রও আমরা জানি না। যে শহরকে ঘিরে আমরা বুনে চলি বিরাট স্বপ্নজাল, সৃষ্টি করি আমাদের অহংকারের ইমারত সেই কল্লোলিনী তিলোত্তমা কোলকাতার বুকে প্রতিদিন যে ঘটনা ঘটে সংবাদ পত্রের পৃষ্ঠায় তার আংশিক মুদ্রিত হয় , তাও আবার বিকৃত ভাবে। দেখি ছেলের আব্দার না মেটাতে পেরে মায়েদের যে অন্ধকার ঘরের কোণে চোখের জল যেলতে হচ্ছে , কত মেয়ের সিঁথির স়িদুর মুছে সাদা হয়ে যাচ্ছে , কত নারী পাশবিক অত্যাচারে জর্জরিতা , অবাঞ্ছিত মাতৃত্বে কলংকিতা তার খবর কে রাখে ??? এই শহরের এখানে ওখানে ছড়িয়ে আছে অসহায় ভিথারীদের দল। সূর্যের প্রখর উত্তাপে চাঁদের নরম আলোয় বছরের প্রত্যেকটা দিন অশেষ ক্লেশ স্বীকার করে জন্ম থেকে মৃত্যু অবধি এরা ফুটপাথেই কাটিয়ে দেয়। বেঁচে থাকাটাই এদের কাছে সবচেয়ে বড় রোমান্স। সমস্ত বঞ্চনা এরা অসঙ্কোচে গ্রহণ করে । প্রতিবাদ করার সামর্থ্য এদের নেই।
এদেরি একজন এই গল্পের নায়ক, নাম শিবু। শিবু ছোট থেকেই জানে না কে তার বাবা কে তার মা। দৈনন্দিন জীবনের দায়িত্ব কর্ত্তব্য আর গ্লানির মাঝখানে পুরানো দিনের স্মৃতি মাথা তুলে দাড়াবার অবকাশ পায়না , কিন্তু সুস্থ স্বাভাবিক অবস্থায় মানুষ উন্মাদের মত অতীতকে ভুলতে তা অসম্ভব কল্পনাতীত। আর তা ছাড়া যা হারিয়ে ফুরিয়ে যায় তাকে রোমন্থনের মধ্যে বিচিত্র আত্মতৃপ্তি আছে ,শান্তি আছে। অনেক বাধা অতিক্রম করে শিবু আজ বিশ বছরের যুবক। কিন্তু তার শৈশবের স্মৃতি তাকে শুধু যন্ত্রনাই দেয়। সবই চলছে অপরিবর্তনীয় নিয়মের অমোঘ নির্দেশে শুধু পাল্টে যাচ্ছে মানুষের রুচি চিন্তাধারা। কিন্তু যুগের বিবর্তনের সাথে মানুষের সভ্যতা বদলালেও শিবুর মনে হয় সে বদলায়নি । তার মনে হওয়াটা স্বাভাবিক, কারণ আমাদের দেশে মন্ত্রী বদলাচ্ছে কিন্তু তাদের মন্ত্র বদলাচ্ছে না। ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক নেতারা নিজেদের সুযোগ সুবিধা নিয়েই ব্যস্ত। শিবু এটা বুঝেছে যে কেউ কারো নয় , গড়িয়াহাট স্ট্রীটে একটা বিবর্ণ চাদর গায়ে জীর্ণ ভিক্ষার পাত্র হাতে নিয়ে সে তীর্থের কাকের মত বসে থাকে। সকাল বেলাট ভিক্ষা করে যা হোক দু – চার টাকা পেল , তারপর এর ওর এটা সেটা কাজ করে ট্রাকে মাল বোঝাই করে নিজের পেট টা চালিয়ে নেয়, কিন্তু আর চলছে না যে। শরীরের সাথে সাথে মনের ক্ষুধাটা মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে।
আসলে মনের ব্যাপারটা খুবই জটিল। কেননা তা চোখে দেখা যায় না। যার মন সেও জানে না কোন বস্তু দেখে কোন ভাবের জন্ম হবে তার মনে
এই যেমন পাশের ঐ সব্জী বিক্রি করতে বসা মেয়েটিকে দেখার আগে শিবু জানতোই না ওর মনে এমনিভাবে জ্বলে উঠবে ভালোবাসার মশাল। শিবু খোঁজ নিয়ে জেনেছে ওর নাম মিলি। প্রতিদিনই ওর সাথে দৃষ্টি বিনিময় হয়। মিলির প্রতি প্রবল আকর্ষণ অনুভব করে শিবু। মিলির বাবা রামু বড্ড শয়তান। সকাল থেকে মদ খেয়ে রাস্তায় পড়ে থাকে। মিলিকে মারধর করে সব পয়সা কেড়ে নেয়। জুয়া খেলে সব উড়িয়ে দেয়। একদিন শিবু তার সমস্ত জড়তা কাটিয়ে মিলিকে বলেছিল “ অ্যাই আমি তোকে ভালোবাসি। ” ভালোবাসার কথা শুনে মিলির লাল ঠোটে বাঁকা হাসির ঝিলিক খেলে যায়। সে বলে “ ছোড়ার ঢং দেখে হাসি পায়। শিবু বলে“ সত্যি বলছিরে এই মা কালীর দিব্যি করে বলছি তোরে না দেখলে মনটা কাদে। ” মিলি কোন কথা না বলে মুখে কাপড় ঢাকা নিয়ে ছুটে পালায়। শিবু বুঝতে পারে এটা মিলির নারী সুলভ লজ্জা। এদিকে পাড়ার মস্তান জগা মিলিকে কাছে পাবার জন্য পাগল। সে মিলির বাপকে প্রতিদিন বিনা পয়সায় মদ খাওয়ায়। মিলি জগাকে খুব ঘৃণা করে। আর জগা সেটা জেনেও দিনের পর দিন নতুন নতুন চাল চালতে থাকে মিলিকে বিয়ে করার। শিবু একদিন মিলির বাবা রামুকে বলেছিল “ খুড়ো আমি মিলিকে বিহা করব । ” রামু বেশ কিছুক্ষণ হেসে পরে বলেছিল “ শালা খুব মজেছিস না। তা এত যখন শখ দে এক বোতল মদ , আর লিয়েযা শালা ছুঁড়িকে , মজা লুট বেটা। শিবু অবাক হয়ে যায় এ কেমন বাবা। তার ভালোবাসার মূল্য মাত্র এই এক বোতল মদ। ওঃ ঈশ্বর , কি নিষ্ঠুর। শিবুর মাটিতে মিশে যেতে মন চায়। একজন বাবা তার মেয়েকে বিক্রি করতে চায় এক বোতল মদের বিনিময়ে। সেই সাথে শিবুর মনে পড়ে এই সমাজে যারা তার জন্ম দিয়েছিলো তাদের হৃদয়হীনতার কথা। তাদের ভালোবাসার প্রতীক শিবুকে আজ লোকে বেজন্মা বলে। মিলিকে সে বলেছিলো তার জীবন ইতিহাস। সব শুনে মিলি বলেছিল ” তার কি দোষ , দোষ কারুর লাই , দোষ শালা ই সমাজের। ”
শিবু ভাবে এই অবুঝ মেয়েটা লেখাপড়া না শিখেও এত ভালো কথা কি করে বলতে পারে। শিবু আরও গভীর ভাবে মিলিকে ভালোবাসে …. হিংস্র হায়েনার মতো শিবু এবং মিলির ভালোবাসার মাবখানে জগা এসে দাড়িয়েছে। একে হঠাতে হবে। কিন্তু তা সম্ভব নয়। জগা যে এখানের মস্তান। যে কোন সময় মিলির সবনাশ ঘটাতে পারে ও। এখন শিবু মিলির একটাই রাস্তা পালিয়ে যাওয়া , কিন্তু তার জন্য টাকার দরকার।
মোটামুটি হাজার দুয়েক টাকা হলেই তারা বেরিয়ে পড়তে পারে। শিবুর ওই টাকার খুব প্রয়োজন । যে ভাবেই হোক ওটা রোজগার করতে হবে। দুটি সবুজ প্রাণ অবুঝ ভালোবাসার স্বপ্নে বিভোর।
হঠাৎ এক আলো ঝলমলে সকালে শিবুর সামনে এসে দাড়াল একটা চক্‌চকে দুধসাদা অ্যামবেসেডার গাড়ি। দরজা খুলে তার ভিতর থেকে বেরিয়ে আসেন শ্যুট কোর্ট পরিহিত এক ভদ্রলোক। শিবুকে লক্ষ্য করে বলেন “ এই যে শুনছিস্ , কি নাম তোর ? ” শিবু স্বাভাবিক ভাবেই উত্তর দেয় ‘ আজ্ঞে শিবু। ” ভদ্রলোক পকেট থেকে সিগারেট বের করে তাতে অগ্নি সংযোগ করে একটা টান দিয়ে রুমালে মুখ মুছতে মুছতে বলেন “ এখানে কতদিন আছিস ? ” শিব বলে “ আজ্ঞে জন্ম থেকে। ” ভদ্রলোক বলেন “ আমি একজন সাংবাদিক , তোর সব খবর আর একটা ছবি নিতে চাই। তুই আজ সন্ধ্যায় আমার স্টুডিও তে যাবি। ” এরপর সাংবাদিক ভদ্রলোক তার নাম লেখা কার্ড টা তৎসহ পাঁচশো টাকা শিবুর ভিক্ষা পাত্রে ফেলে দেন এবং প্রতিশ্রুতি দেন যে ওখানে গেলে আরো অনেক টাকা বকশিস দেবেন। শিবুর আনন্দ আর ধরে না। সে বেশ গর্বের সাথে মিলিকে খবরটা জানায়। মিলির সাথে ভবিষৎ জীবন নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ আলোচনা হয়ে যায় । তারা সিদ্ধান্ত করে আজ রাত্রেই এখান থেকে পালাবে শিলিগুড়িতে। জগার নাগালের বাইরে টাকা দিয়ে বাজার থেকে সাবান কিনে জামা কাপড় পরিষ্কার করে। চুলে রং করে দাড়ি কামিয়ে রঙিন টি শার্ট পরে প্রতিবেশীর কাছ থেকে জুতো ধার করে এনে পায়ে দিয়ে নিজেকে যতটা সম্ভব ভদ্র করে তোলার চেষ্টা করে। এতে শিবুর পুরো টাকাটাই খরচ হয়। যাক্ কুছ পরোয়া নেহি। শিবু মনে মনে ভবিষ্যতের উজ্জ্বল রঙীন স্বপ্ন দেখতে দেখতে , খোঁজ খবর করে সন্ধ্যা বেলায় ভদ্রলোকের স্টুডিওতে গিয়ে হাজির হল। গিয়ে দেখে স্বল্প বসনা দুজন মেয়েকে নিয়ে সাংবাদিক বাবু তখন বিয়ার পানে মত্ত। সাংবাদিক শিবুকে দেখে বিরক্ত বোধ করেন, রাগান্বিত স্বরে বলেন “ কি চাই ? ” শিবু আশ্চর্য হয়ে যায় , কি কান্ডরে বাবা- শিবু কার্ড টা দেখিয়ে বলে “ আপনি আসতে বলেছিলেন বাবু ,ওই যে ছবি তুলবেন। ” সাংবাদিক বিরক্ত হয়ে বলে ” ও তুই । কিন্তু তোর মতো বাবু ভিখারীর ছবি তুলে আমার কি লাভ রে ইডিয়ট ? তোর ভিখারী বেশের ছবি আমার দরকার ছিলো। অনেক দিন থেকে ভাবছি ফুটপাথের ভিখারীদের নিয়ে একটা প্রবন্ধ লিখবো, যতসব নির্বোধের পাল্লায় পড়া গেছে । যা বেরিয়ে যা। কাল আবার অন্য ভিখারীর খোঁজ করতে হবে,আজ পুরো দিনটাই মাটি হলো , ভিখারী র আবার বাবু হবার শখ ”।
তার পায়ের তলার মাটি যেন সরে যেতে থাকে । সত্যিই পৃথিবীতে প্রেম নেই ভালোবাসা নেই শিবূ নিরাশ হয়ে বেরিয়ে পড়ে। সত্যি এই দুনিয়া বড় আজব … নিজের বোকামী র জন্য লজ্জা বোধ করে শিবু।
নক্ষত্রখচিত নীল আকাশের নীচে দাঁড়িযে শিবুর সামনে পরিষ্কার হয়ে যায় ভদ্রতার মুখোশ নিয়ে যারা গরীবদের দয়া দেখায় তাদের নগ্নরূপ । ভেঙে চুরমার হয়ে যায় তার জীবনের বর্ণ নিবিড় স্বপ্ন সৌধ। পৃথিবীতে আবার বসন্ত আসবে , গাছে গাছে ফুল ফুটবে , সেদিন মিলি থাকবে না তার পাশে। বুকের ভেতরে এক অসীম শূন্যতার বেদনায় টনটন করে ওঠে। মিলিকে নিয়ে শিবুর সমস্ত রঙীন কল্পনা তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়ে। জগা বিয়ে করবে মিলিকে। কি স্নায়ু বিদীর্ণ করা যন্ত্রনা। এতো দিনের চেনা শহর , রাস্তার দুদিকে কোলাহলময় জনতার ভীড় কিছুই চোখে পড়ছে না শিবুর। সব ঝাপসা ছায়া ছায়া। চারিদিক অষ্পষ্ট যেন ঘষা কাঁচের ভিতর একটা বৃষ্টি ভেজা পৃথিবী।
শিবুর দীর্ঘ বিশ বছরের অভিজ্ঞতায় কে যেন চাবুক মারল। চরম এক সত্যকে সে যেন অনুভব করলো। আদর্শ সমাজ গঠনের স্বপ্ন নিয়ে যে কল্পনা বিলাসী ছেলেরা কোলকাতার রাস্তায় রাস্তায় রাস্তায় মিছিল করে , যাদেরকে সে এতদিন বেকুব ভাবতো এখন ভাবছে তাদের দলে যোগ দেবে। নাই বা থাকল তার শিক্ষা , জন্ম পরিচয়। জীবন নামক টারটারাসের ঢালু পর্বতকে সে জয় করবেই। শিবু নিজের ভাগ্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তৈরী হয় । ভারতের নাগরিক – এটা তার বড় পরিচয় হবে না কেন ? সে মানুষ , স্বাধীন বিশ্বের জনতার আদালতে সে নালিশ করবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে । আকাশের ঐ চাপ চাপ অন্ধকারের আড়ালে যে উজ্জ্বল সুন্দর আলো লুকিয়ে আছে তা যেন দেখতে পেল শিবু। এই নিদারুণ হৃদয়হীন সমাজ ব্যবস্থার বিরুদ্ধে তার মন বিদ্রোহী হয়ে ওঠে। আর বৈদ্যুতিক আলোয় শিবুর চোখে যে অশ্রুবিন্দু দেখা যাচ্ছে , তা যেন সমাজ পরিবেশের বিরুদ্ধে শিবুর এক বলিষ্ঠ প্রতিবাদ ।।

খবরটি শেয়ার করুণ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন


প্রয়াত "কালবেলা"-র স্রষ্টা সাহিত্যিক সমরেশ মজুমদার

উত্তরাপথ: সাহিত্য একাডেমি পুরুষ্কার প্রাপ্ত প্রখ্যাত সাহিত্যিক সমরেশ মজুমদার কলকাতার এক বেসরকারী হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর।বেশ কিছুদিন ধরে তিনি ফুসফুস ও শ্বাসনালীর সংক্রামণের কারনে তিনি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। ১৯৪২ সালে উত্তরবঙ্গের গয়েরকাটায় জন্ম এই বিখ্যাত লেখকের।ষাটের দশকের গোড়ায় তিনি কলকাতায় এসেছিলেন। ভর্তি হয়েছিলেন স্কটিশ চার্চ কলেজের বাংলা (সাম্মানিক) স্নাতক বিভাগে৷ এর পর স্নাতকোত্তর  সম্পন্ন করেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। সমরেশ মজুমদারের উল্লেখযোগ্য .....বিস্তারিত পড়ুন

বেতন, মাসে ৩০,০০০ আর সম্পত্তির মালিকানা ৭ কোটির বেশী

উত্তরাপথ: এ এক দুর্নীতির অনন্য নজির যা পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিবিদদের দুর্নীতি কে লজ্জায় ফেলবে । দুর্নীতির এই অভিযোগটি উঠেছে মধ্যপ্রদেশ পুলিশ হাউজিং কর্পোরেশনের সহকারী প্রকৌশলী ইনচার্জ হেমা মীনার বিরুদ্ধে।মধ্যপ্রদেশের সরকারি কর্মকর্তা দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের পর হেমা মীনা প্রচার মাধ্যমের নজরে আসে । এখন প্রশ্ন কে এই হেমা মীনা ? মধ্যপ্রদেশ পুলিশ হাউজিং কর্পোরেশনের চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োজিত সহকারী প্রকৌশলী ইনচার্জ যিনি মাসে ৩০,০০০ টাকা আয় করেন । দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে তার বাড়ি থেকে সাতটি বিলাসবহুল গাড়ি, ২০,০০০ বর্গফুট .....বিস্তারিত পড়ুন

Scroll to Top