দীপাবলির সময় কেন পটকা ফোটানো নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা যায় না ?

দীপাবলির উদযাপন হচ্ছে পটকা ফাটিয়ে । ছবি- এক্স হ্যান্ডেল

উত্তরাপথঃ দীপাবলির পরের দিন, যখন কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (CPCB) শহরের বায়ু মানের সূচকের তালিকা প্রকাশ করে,তখন  দেখা যায় রাজধানী দিল্লি বিশ্বের শীর্ষ ১০টি দূষিত শহরের প্রথমেই রয়েছে। CPCB-এর মতে, ১২ নভেম্বর বিকেল ৪ টায় দিল্লির বায়ু মানের সূচক ছিল ২১৮ যা ভোরের দিকে বেড়ে ৪০৭ এ পৌঁছায় । ৪০০ – ৫০০ AQI  এর স্তর সুস্থ ব্যক্তিদের প্রভাবিত করে। দীপাবলির সারা রাত, লোকেরা পটকা ফাটিয়ে দীপাবলি উদযাপন করে। ১৩ নভেম্বর বিকেল ৪ টায় কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ আবার তথ্য প্রকাশ করে এই তালিকায়, দিল্লির গড় বায়ু মানের সূচক ছিল ৩৫৮ যা ‘খুব খারাপ’ বিভাগে পড়ে। 

 বায়ু দূষণের এই পরিস্থিতি শুধু দিল্লিতেই সীমাবদ্ধ ছিল না।  নয়ডার বায়ু মানের সূচক ১৮৯ থেকে ৩৬৩ এ এবং রোহতক, হরিয়ানার ১৩৭ থেকে বেড়ে ৩৮৩ হয়েছে। দীপাবলির দুই দিন দিল্লি ,নয়ডা  ,কলকাতা, মুম্বাই সহ দেশের অন্যান্য শহরেও একই অবস্থা বিরাজ করছে। এই দিনগুলিতে মানুষ বিষাক্ত বাতাসে শ্বাস নিতে বাধ্য হয়েছে।

 ২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে জাতীয় রাজধানী দিল্লি এবং নয়ডায় সবুজ পটকা ছাড়া যে কোনও ধরণের আতশবাজি ফাটান সম্পূর্ণ রূপে নিষিদ্ধ। আদালত সবুজ পটকা পোড়ানোর সময়ও নির্ধারণ করে দিয়েছে রাত ৮টা থেকে ১০টা। এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে সুপ্রিম কোর্টের এই আদেশের মানে কী?  আদালতের এই আদেশ কি এখন প্রত্যাহার করা উচিত?  পুলিশ কেন এই আদেশ কার্যকর করতে পারছে না?  এর জন্য কি পুলিশ দায়ী নাকি সরকারের উদাসীনতা রয়েছে এর পেছনে?

এই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে উত্তরাপথের পক্ষ থেকে আমরা দিল্লীর বিভিন্ন সাধারণ মানুষ , পরিবেশবিদ ও পুলিশ কর্মীর সাথে কথা বলি। অমিত চৌহান নামে এক পরিবেশবিদের মতে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকা ঐচ্ছিক নয়, সেগুলি  মেনে চলা বাধ্যতামূলক। এটি বাস্তবায়ন করা পুলিশের কাজ ছিল, যা ইচ্ছা, তত্ত্বাবধান এবং চেকিংয়ের অভাবে করা যায়নি। তার মতে পুরো দিল্লিতে, যারা পটকা পোড়ায় তাদের জন্য মাত্র সাতটি চালান জারি করা হয়েছে, যা পুলিশের উদাসীনতা দেখায়। পুলিশের উচিত ছিল যারা পটকা পোড়াচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে IPC-এর ১৮৮, ১৫১ ধারা এবং বিস্ফোরক  ধারায় কেস দেওয়া।

দিল্লীর এক প্রবীন নাগরিকের মতে, পুলিশ যদি সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করে মানুষকে সচেতন করতে পারত এবং তাদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে ব্যবস্থা নিতে পারত, তাহলে এমনটা হতো না।আদালতের আদেশ বাস্তবায়নে সমস্যা হচ্ছে।পুলিশ বা প্রশাসনিক সংস্থায় যারা কাজ করেন তারা সততার সঙ্গে তাদের দায়িত্ব পালন করেনি। এটা সরাসরি আদালতের আদেশের অবমাননা, যার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

তবে দিল্লীর বেশীরভাগ মানুষ সরকারের সদিচ্ছার অভাবকে এর জন্য দায়ী করেছে। তাদের মতে এমন কিছু নেই যা সরকার বাস্তবায়ন করতে পারে না। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়, লন্ডন ছিল বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরগুলির মধ্যে একটি, টেমস নদী ছিল বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত নদীগুলির একটি, ঠিক আমাদের যেমন যমুনার অবস্থা। যদি লন্ডন পারে তাহলে আমরা কেন পারন না। এর জন্য দরকার রাজনীতির উপরে উঠে কাজ করার ইচ্ছা।

এর আগে আতশবাজি প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি সুপ্রিম কোর্টে যুক্তি দিয়েছিল যে দীপাবলি একটি হিন্দু উৎসব এবং এই দিনে আতশবাজি না ফাটানো একজন ব্যক্তির ধর্মের স্বাধীনতার লঙ্ঘন।সুপ্রিম কোর্ট সেই সমস্ত যুক্তি খারিজ করে দিয়ে বলে যে পটকা ফাটানো কোনও ধর্মের অভ্যন্তরীণ প্রথা নয়। যখন আতশবাজি ছিল না, তখন কি কোনও ধর্ম ছিল না?এদিকে দিল্লির পরিবেশমন্ত্রী গোপাল রাই দিল্লির দূষণের জন্য হরিয়ানা এবং উত্তরপ্রদেশ, যেখানে বিজেপি ক্ষমতায় রয়েছে, সেই সব সরকারকে দায়ী করেছেন৷

খবরটি শেয়ার করুণ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন


সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে প্রকাশ কোল্ড ড্রিংক ভারতের প্রায় প্রতিটি ঘরে পৌঁছে গিয়েছে

উত্তরাপথঃ আপনিও কি গরমের হাত থেকে বাঁচতে ঠান্ডা পানীয় পান করতে পছন্দ করেন? সাম্প্রতিক একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২ বছরে আমাদের দেশে কোমল পানীয়ের ব্যবহার প্রায় ৫০% বেড়েছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে কোল্ড ড্রিংক সেবনের বৃদ্ধি শুধুমাত্র শহরাঞ্চলের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এমনকি গ্রামীণ অঞ্চলে, যেখানে রেফ্রিজারেশনের উপায় আগে সীমিত ছিল, সেখানে ঠান্ডা পানীয়ের ব্যবহার উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন গ্রামীণ এলাকায় রেফ্রিজারেটরের ক্রমবর্ধমান প্রাপ্যতা এর ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তার জন্য দায়ী। প্রতিবেদনে কোল্ড ড্রিংক সেবনের বৃদ্ধি মূলত ক্রমবর্ধমান মধ্যবিত্ত এবং নগরায়নের কারণে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। লোকেরা যখন শহরে চলে যায় এবং আধুনিক জীবনধারা গ্রহণ করে, তখন তারা তাদের তৃষ্ণা মেটাতে  সেই সাথে সস্তা পানীয় হিসেবে কোল্ড ড্রিংককে বেঁচে নিচ্ছে ।এর ফলে ঠান্ডা পানীয়ের বিক্রি বেড়েছে, বিশেষ করে অল্প বয়স্ক এবং শিশুদের মধ্যে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২ বছরে প্যাকেটজাত কোমল পানীয়ের ব্যবহার গড়ে ২৫০ মিলি বেড়েছে। সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টের প্রকাশিত এক গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী ১,৮৪,০০০ জন মানুষের মৃত্যুর কারণ হয়ে উঠছে কোল্ড ড্রিংকস। কারণ কোল্ড ড্রিংকসে প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকে, যা মানুষকে ডায়াবেটিসের শিকার করে তুলছে।শুধুমাত্র ডায়াবেটিসের কারণে প্রতি বছর প্রায় ১,৩৩,০০০ জন মানুষ মারা যাচ্ছে। ঠান্ডা পানীয়তে যে পরিমাণ ফ্রুক্টোজ পাওয়া যায় তা লিভারের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।সেই সাথে এতে চিনির পরিমাণ বেশি থাকায় কোল্ড ড্রিংক একজন ব্যক্তিকে ডায়াবেটিক রোগী করে তুলতে পারে। .....বিস্তারিত পড়ুন

একজন ভারতীয় জেফ বেজোসের রকেটে বিনামূল্যে স্পেস রাইড পাবেন

উত্তরাপথঃ এমন সময়ে যখন মহাকাশ সংস্থা এবং প্রাইভেট ফার্মগুলি মহাকাশ পর্যটনের বিকল্পগুলি তুলে ধরে  বিলিয়ন ডলার উপার্জন করতে চাইছে, সেইসময় একটি আমেরিকান ফার্ম ইচ্ছুক বেসামরিক প্রার্থীদের জন্য "মহাকাশে বিনামূল্যে যাত্রা" করতে দেওয়ার দাবি করেছে।স্পেস এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড রিসার্চ এজেন্সি (SERA) দ্বারা নির্বাচিত অংশীদার দেশগুলির মধ্যে ভারত রয়েছে, যেটি জেফ বেজোসের ফার্ম ব্লু অরিজিনের সাথে কারমান লাইন (পৃথিবীর পৃষ্ঠ থেকে ১০০কিমি উপরে) অতিক্রম করার জন্য ১১ মিনিটের যাত্রার সুযোগ দিচ্ছে।কারমান লাইনকে মহাকাশের প্রবেশ বিন্দু হিসেবে গণ্য করা হয়। একজন ভারতীয় নাগরিককে জেফ বেজোসের রকেটে চড়ে মহাকাশে মুক্ত যাত্রা শুরু করার জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে। মহাকাশ পর্যটনকে উন্নীত করতে এবং মহাকাশে প্রবেশযোগ্যতা প্রসারিত করার জন্য বেজোসের মহাকাশ কোম্পানি ব্লু অরিজিনের একটি বৃহত্তর উদ্যোগের অংশ হিসেবে এই অসাধারণ সুযোগ এসেছে। আমরা আমাদের মানব মহাকাশযান কর্মসূচির অংশ হিসেবে ভারতকে পেয়ে আনন্দিত। আমরা প্রত্যেকের জন্য স্থান অ্যাক্সেসযোগ্য করে তুলতে চাই এবং একজন ভারতীয় নাগরিককে (১৮ বছরের বেশি বয়সী) এই অনন্য সুযোগটি দিতে পেরে আনন্দিত, যিনি মহাকাশ ভ্রমণের বিস্ময়কর অভিজ্ঞতার অভিজ্ঞতা পেতে চান," বলেছেন জোশুয়া স্কুরলা, SERA-এর সিও-প্রতিষ্ঠাতা৷ ফার্মের মতে, একমাত্র ভারতীয় প্রার্থীকে পাবলিক ভোটিংয়ের ভিত্তিতে বাছাই করা হবে এবং প্রত্যেক ইচ্ছুক ভারতীয় নাগরিক দ২.৫০ (প্রায় ২০০ টাকা) ফি প্রদান করে প্রোগ্রামের জন্য নিবন্ধন করতে পারে, যা যাচাইকরণের খরচ বহন করবে .....বিস্তারিত পড়ুন

 জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় বিদ্যুতের জন্য পৃথিবীর তাপ ব্যবহার করা হবে

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় পরিবেশ বান্ধব একটি বিদ্যুৎ তৈরির একটি পদ্ধতি নীরবে এগিয়ে চলেছে এবং মঙ্গলবার এটি একটি মাইলফলক তৈরি করেছে।একটি ক্যালিফোর্নিয়ার ইউটিলিটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম নতুন ভূ-তাপীয় শক্তির এই নতুন ব্যবহারকে সমর্থন করছে - পৃথিবীর তাপ (ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা ) থেকে ৪০০ মেগাওয়াট পরিবেশ বান্ধব বিদ্যুৎ - প্রায় ৪০০,০০০ বাড়ির জন্য তৈরি করা হয়েছে।সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া এডিসন হিউস্টন-ভিত্তিক জিওথার্মাল কোম্পানি ফার্ভো এনার্জি থেকে সেই বিদ্যুৎ কিনবে, বলে ফার্ভো ঘোষণা করেছে। এই নতুন ভূতাপীয় শক্তি বিজ্ঞানের এক নতুন আবিষ্কার। সৌর এবং বায়ু শক্তি যা অনেকটাই আভাওয়ার উপর নির্ভরশীল তার বিপরীতে, ভূ-তাপীয় শক্তি পৃথিবীর মধ্যে সঞ্চিত তাপে ট্যাপ করে, বিদ্যুতের একটি সুসংগত এবং নির্ভরযোগ্য উৎস প্রদান করে। আমাদের ক্রমবর্ধমান শক্তির চাহিদা মেটানোর সময় গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমানোর লক্ষে এটি একটি উল্লেখযোগ্য সুযোগ প্রদান করে এই প্রযুক্তিটি একটি কার্যকর জলবায়ু সমাধান হিসাবে নীরবে কাজ করছে। ভূ-তাপীয় শক্তি পৃথিবীর পৃষ্ঠের নীচে প্রাকৃতিকভাবে উপস্থিত তাপ। এই তাপ খনিজগুলির তেজস্ক্রিয় ক্ষয় এবং পৃথিবীর গঠন থেকে অবশিষ্ট তাপের একটি পণ্য। ভূ-তাপীয় বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলি সাধারণত গভীর ভূগর্ভস্থ গরম শিলা বা গরম জলের জলাশয়ে ড্রিলিং করে এই তাপ আহরণ করে। তারপর তাপ বাষ্প উৎপন্ন করতে ব্যবহৃত হয় যা টারবাইন চালায়, বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। ভূ-তাপীয় শক্তির প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধির অন্যতম বাধ্যতামূলক কারণ হল জীবাশ্ম জ্বালানির তুলনায় এর ন্যূনতম পরিবেশগত প্রভাব। কয়লা, তেল এবং প্রাকৃতিক গ্যাসের বিপরীতে, জিওথার্মাল বিদ্যুৎ উৎপাদন গ্রীনহাউস গ্যাসের খুব কম নির্গমন উৎপন্ন করে। এটি একটি পরিবেশ বান্ধব শক্তির উৎস হিসাবে বিবেচিত হয় কারণ প্রক্রিয়াটিতে জীবাশ্ম জ্বালানী পোড়ানো বা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বর্জ্য উৎপাদন জড়িত নয়। .....বিস্তারিত পড়ুন

নতুন গবেষণা বলছে পৃথিবীতে দিনের দৈর্ঘ্য ধীরে ধীরে কম হচ্ছে

উত্তরাপথঃ আর্থ অ্যান্ড প্ল্যানেটারি সায়েন্স লেটার্স জার্নালে প্রকাশিত একটি সাম্প্রতিক গবেষণায় বলা হয়েছে যে পৃথিবীতে একটি দিনের দৈর্ঘ্যে ভবিষ্যতে পরিবর্তন হতে পারে। যুক্তরাজ্য এবং জার্মানির বিজ্ঞানীদের একটি দল দ্বারা পরিচালিত এই গবেষণায় দেখা গেছে যে পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ কোর বিজ্ঞানীদের দ্বারা এতদিন ধরে যা চিন্তা করা হয়েছিল তার চেয়ে দ্রুত গতিতে ধীর হয়ে যাচ্ছে। পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ কেন্দ্র হল একটি কঠিন গোলক যা মূলত লোহা এবং নিকেল দিয়ে তৈরি এবং এটি গ্রহের চৌম্বক ক্ষেত্র বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই নতুন গবেষণাতে বলা হয়েছে যে অভ্যন্তরীণ কোরটি গ্রহের বাকি অংশের তুলনায় কিছুটা ধীর গতিতে ঘূর্ণন করছে, যার ফলে পৃথিবীর ঘূর্ণন সময়ের সাথে ধীরে ধীরে ধীর হয়ে যাচ্ছে। অভ্যন্তরীণ এবং বাইরের কোর একসাথে পৃথিবীর তিনটি স্তরের একটি তৈরি করে। অন্য দুটি স্তর হল ম্যান্টেল এবং ক্রাস্ট। ভূত্বক হল সেই স্তর যার উপর আমরা বাস করি। বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর কেন্দ্রে গতিবিধি নির্ধারণের জন্য ভূমিকম্পের সময় প্রাপ্ত তরঙ্গের রেকর্ডিং বিশ্লেষণ করে মূল অধ্যয়ন করেন। এই রেকর্ডিংকে সিসমোগ্রাম বলা হয়। আমেরিকার ইউনিভার্সিটি অফ সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া-এর আর্থ সায়েন্সের অধ্যাপক জন উইডেল বলেন, 'আমি যখন প্রথমবারের মতো সিসমোগ্রাম দেখেছিলাম, তখন আমি অবাক হয়েছিলাম। এটি পরিবর্তনের ইঙ্গিত ছিল। ভিদাল আরও বলেছেন যে আরও ২০ টি সিসমোগ্রাম অধ্যয়ন করা হয়েছিল এবং সেগুলি একই প্যাটার্নের দিকে নির্দেশ করেছিল। এই গবেষণায়, গবেষকরা ১৯৯১ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে সংঘটিত ১২১টি পুনরাবৃত্তিমূলক ভূমিকম্প থেকে দক্ষিণ স্যান্ডউইচ দ্বীপপুঞ্জের চারপাশে রেকর্ডকৃত ভূমিকম্প সংক্রান্ত তথ্য সংকলন ও বিশ্লেষণ করেছেন। .....বিস্তারিত পড়ুন

Scroll to Top