আন্তর্জাতিক


"মহাকাশে লেটুস চাষ করেছেন সুনীতা : জানুন এর ৬ স্বাস্থ্যগুণ"
উত্তরাপথঃমহাকাশ মানেই শুধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির রহস্যময় জগৎ—কিন্তু ভাবতে পারেন, সেখানেই এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নভোচারী কিছু দিন আগে ব্যস্ত ছিলেন সবজি চাষে? হ্যাঁ, ঠিকই শুনছেন। নাসার নভোচারী সুনীতা উইলিয়ামস আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (ISS) নয় মাসের দীর্ঘ মিশনে অবস্থান করেছিলেন। আর সেখানেই তিনি করছেন এক চমকপ্রদ গবেষণা—মহাকাশে লেটুস চাষ! কেন এই পরীক্ষা? নাসার নতুন প্রকল্পের নাম Plant Habitat-07। এর উদ্দেশ্য হলো, মাধ্যাকর্ষণহীন পরিবেশে গাছপালা কীভাবে জল শোষণ করে ও বেড়ে ওঠে, তা বোঝা। ভবিষ্যতের মহাকাশ ভ্রমণ ও মঙ্গল অভিযানের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা মানুষ যদি দীর্ঘ সময় মহাকাশে থাকে, তবে তাদের তাজা সবজির প্রয়োজন হবেই। এই পরীক্ষায় সুনীতা চাষ করছেন একটি বিশেষ জাতের লেটুস—“আউটরেজিয়াস রোমেইন লেটুস”, যা সাধারণত সালাদে ব্যবহৃত হয়। যদিও এই লেটুস এখন খাওয়ার জন্য নয়, তবে গবেষণার সাফল্য ভবিষ্যতে মহাকাশচারীদের পাতে এনে দিতে পারে টাটকা শাকসবজি। একই সঙ্গে পৃথিবীর কৃষি গবেষণাতেও নতুন দিগন্ত খুলে দিতে পারে এই উদ্যোগ। এবার জানা যাক লেটুস খাওয়ার ৬ টি স্বাস্থ্যগুণ সম্পর্কে। লেটুস শুধু সালাদে রঙ বাড়ায় না, শরীরকেও দেয় অসংখ্য উপকারিতা। চলুন জেনে নিই— ১। পুষ্টিগুণে ভরপুর – ভিটামিন, খনিজ ও প্রোটিনে সমৃদ্ধ লেটুস আমাদের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করে। ২। জলীয় অংশে ভরপুর – লেটুসে থাকে প্রায় ৯৬% জল, যা শরীরকে রাখে সতেজ ও হাইড্রেটেড। ৩। অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভান্ডার – ক্যানসার প্রতিরোধ, প্রদাহ কমানো ও দীর্ঘমেয়াদি রোগ থেকে সুরক্ষা দিতে সাহায্য করে। ৪। ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক – সালাদের ছোট্ট অংশও ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে রাখে, ফলে ওজন কমাতে সহায়তা করে। .....বিস্তারিত পড়ুন


গাজা সিটি ঘিরে নতুন সংঘাত: ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের মোড় কোথায়?
উত্তরাপথঃ প্রায় দুই বছর ধরে চলতে থাকা ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ আবারও নতুন মাত্রা পেল। বুধবার ইসরায়েল ঘোষণা করেছে, তারা গাজা সিটি দখলের লক্ষ্যে অভিযানের প্রথম ধাপ শুরু করেছে। এরই মধ্যে কয়েক হাজার রিজার্ভ সৈন্যকে ডাকা হয়েছে। তবে এদিকে যুদ্ধবিরতির নতুন প্রস্তাব নিয়ে চলছে আলোচনাও। এই দুই বিপরীতমুখী পদক্ষেপ এখন গোটা মধ্যপ্রাচ্যের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে পারে। গাজা সিটি বহুদিন ধরেই হামাসের রাজনৈতিক ও সামরিক শক্তির কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। ইসরায়েলি সেনাদের দাবি, শহরের ভেতর অসংখ্য সুড়ঙ্গ, অস্ত্র মজুতঘর ও কমান্ড সেন্টার রয়েছে। সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফি ডেফ্রিন সরাসরি বলেন: “হামাস এখন একটি বিধ্বস্ত গেরিলা বাহিনীতে পরিণত হয়েছে। আমরা গাজা সিটির গভীরে ঢুকে তাদের শক্ত ঘাঁটি ভেঙে দেব।” তবে বাস্তবে শহরটি এখন এক মানবিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি। হাসপাতাল, স্কুল, এমনকি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানও আর নিরাপদ নেই। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আশঙ্কা করছে, নতুন হামলা হলে হাজার হাজার সাধারণ মানুষ গৃহহীন ও হতাহত হবে। হামাস সম্প্রতি একটি ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে রাজি হয়েছে। এতে কিছু অপহৃতকে মুক্তি দেওয়ার বিনিময়ে ইসরায়েলে আটক ফিলিস্তিনি বন্দিদের ছেড়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু নেতানিয়াহুর সরকার বলছে— সব অপহৃতকে একসঙ্গে মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ থামবে না।এই দ্বন্দ্বই এখন আলোচনার মূল বাধা। মধ্যস্থতাকারী আরব দেশগুলো সময় চাইছে, কিন্তু ইসরায়েলি সরকার যুদ্ধবিরতির চেয়ে সামরিক অভিযানে বেশি জোর দিচ্ছে। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে গাজায় এখন পর্যন্ত ৬২ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু। কয়েক লক্ষ্য মানুষ গৃহহীন হয়ে শরণার্থী শিবিরে ঠাঁই নিয়েছে। .....বিস্তারিত পড়ুন


১৯৮৫ সালের জেএএল বিমানের দুর্ঘটনা: ৪০ বছর পরেও অশ্রুজলে স্মরণ
উত্তরাপথঃ আকাশপথে ভরসা রেখেই মানুষ যাত্রা করে—দ্রুত পৌঁছানোর আশায়, নতুন স্বপ্নের খোঁজে। কিন্তু ১৯৮৫ সালের ১২ আগস্টের সেই ভয়াল বিকেল জাপানের আকাশকে করে দিয়েছিল রক্তিম। জাপান এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ১২৩, টোকিও থেকে ওসাকার পথে উড়েছিল; কিন্তু ৪৫ মিনিট পরই গুনমা প্রিফেকচারের পাহাড়ি অরণ্যে মিলে বিমানটির ভগ্নাবশেষ । ৫২৪ জন যাত্রীর মধ্যে প্রাণ বাঁচাতে পেরেছিলেন মাত্র চারজন। এ ছিল পৃথিবীর ইতিহাসে একক বিমান দুর্ঘটনায় সর্বাধিক প্রাণহানির ঘটনা। চল্লিশ বছর পেরিয়ে গেছে। কিন্তু শোক কি এত সহজে ফিকে হয়? আজও পরিবারের সদস্যরা হাতে ফুল নিয়ে ভেজা পাহাড়ি পথ বেয়ে ওঠেন ওসুতাকা রিজের সেই শোকস্তম্ভে। কেউ খুঁজে ফেরেন সন্তানের হাসি, কেউ ভাইয়ের মুখ, কেউ বা হারানো স্বামী-স্ত্রীর ছায়া। ৭৮ বছরের কুনিকো মিয়াজিমা তাঁর ৯ বছরের ছেলেকে হারিয়েছিলেন সেই রাতে। তিনি বলেন, “এ জায়গা শুধু শোকের নয়, জীবনের গুরুত্ব বোঝানোর এক জায়গা।” শোকস্তম্ভের সামনে নীরব প্রার্থনায় দাঁড়িয়ে থাকে শত শত মানুষ। আকাশে রঙিন বেলুন উড়ে যায়—যেন হারানো আত্মাদের মুক্তির বার্তা। বিকেল ৬টা ৫৬ মিনিটে, দুর্ঘটনার সঠিক সময়ে, বাজে নীরবতার ঘণ্টা। সেদিন বিমানে ছিলেন জনপ্রিয় গায়ক কিউ সাকামোতোও, যার গান “সুকিয়াকি” আজও প্রজন্মের পর প্রজন্মকে স্পর্শ করে। কিন্তু তাঁর সুরও থেমে যায় অকালেই, অসংখ্য স্বপ্নের মতো। সরকারি তদন্ত জানায়—ভুল মেরামতই সেই মর্মান্তিক পরিণতির কারণ। বিমানের লেজের চাপরোধী অংশটি ভেঙে গিয়ে পুরো হাইড্রলিক সিস্টেম অকেজো হয়ে পড়ে। এক মুহূর্তে নিয়ন্ত্রণ হারায় বিশাল জাহাজটি, আর শেষ পর্যন্ত ভেঙে পড়ে পাহাড়ি জঙ্গলে। আজও পরিবারগুলো পাহাড়ে ওঠে, যদিও অনেকের আজ বয়সের ভারে পাহাড়ে উঠা বেশ কঠিন হয়ে পড়েছে। .....বিস্তারিত পড়ুন


গাজায় ইজরায়েলের সামান্য ত্রাণ অনুমতি যথেষ্ট নয়: জাতিসংঘ
প্রীতি গুপ্তাঃ জাতিসংঘ জানিয়েছে, ইজরায়েল গাজায় আরও ত্রাণ পাঠানোর অনুমতি দিলেও সেটিকে "সমুদ্রের একটি বিন্দু" বলেই মনে করছে তারা। কারণ, কঠোর নিয়ন্ত্রণের ফলে প্রাণ বাঁচানোর জন্য জরুরি সাহায্য পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়েছে। এদিকে, গাজায় খাদ্যের জন্য অপেক্ষারত মানুষের ওপর ইজরায়েলি বাহিনী গুলি চালিয়েছে, যাতে অন্তত একজন মারা গেছেন ও অনেকেই আহত হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় অপুষ্টিতে আরও ১৪ জন ফিলিস্তিনি মারা গেছেন, যার মধ্যে একটি শিশু রয়েছে। ইজরায়েলি সাংবাদিক ড্যান পেরি জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক চাপই ইজরায়েলকে কিছুটা ত্রাণ পাঠাতে বাধ্য করেছে। তার মতে, ইজরায়েলের কোনো নির্দিষ্ট পরিকল্পনা নেই—একবার ত্রাণ দেয়, আবার কমিয়ে দেয়। তবে এখন দেশটি আন্তর্জাতিক চাপের মুখে কিছুটা নমনীয় হয়েছে। তবে ইজরায়েলের জনগণের মধ্যেও এ নিয়ে মতবিরোধ আছে। কেউ কেউ মনে করেন, যুদ্ধ চলাকালীন ত্রাণ না দেওয়া স্বাভাবিক। আবার অনেকে মনে করেন, এই মানবিক অবহেলা ভবিষ্যতে দেশের জন্য নৈতিক ও আইনি জটিলতা তৈরি করতে পারে। গাজার হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শুধু আজই (সকালের পর থেকে) ৪৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৯ জন ত্রাণ নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। অপুষ্টিতে গত একদিনেই আরও ১৪ জন মারা গেছেন। গাজায় শিশুদের জন্য দুধের (ইনফ্যান্ট ফর্মুলা) বড় সংকট দেখা দিয়েছে। ৪০,০০০-র বেশি শিশুর জীবন ঝুঁকির মুখে। ইজরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গতকাল গাজায় ১২০টি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করেছে, যা জাতিসংঘ ও অন্যান্য সংস্থা বিতরণ করেছে। কিন্তু জাতিসংঘ বলছে, এখনো অনেক বিধিনিষেধ থাকায় প্রকৃত সাহায্য পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না। ইজরায়েল গাজা সিটিতে ১০ ঘণ্টার জন্য হামলা বন্ধ রাখার কথা বললেও বাস্তবে বিমান হামলা অব্যাহত রয়েছে। গাজা সিটির শেখ রাদওয়ান এলাকায় একটি অ্যাপার্টমেন্টে হামলায় একজন নিহত ও কয়েকজন আহত হয়েছেন। পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনের খ্রিস্টান অধ্যুষিত তায়বেহ গ্রামে ইজরায়েলি বসতির লোকেরা রাত ২টার সময় হামলা চালায়। তারা গাড়িতে আগুন লাগায় এবং ঘরবাড়িতে হিব্রু ভাষায় ঘৃণামূলক বার্তা লেখে। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ একে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ বলে নিন্দা জানিয়েছে। .....বিস্তারিত পড়ুন


" Rehab ": মাদক নিরাময় কেন্দ্রের অন্ধকার দিক উন্মোচন
উত্তরাপথঃ একজন চিকিৎসক, একজন মা, এক কিশোরী গর্ভবতী মেয়ে, এবং এক কিশোর ছেলে যার পা ভেঙে গেছে — মাদক এবং তার পরিণতি তাদের সবার জীবনই চিরতরে বদলে দিয়েছে।এই বাস্তব গল্পগুলোর ভিত্তিতে মার্কিন অনুসন্ধানী সাংবাদিক শোশানা ওয়াল্টার তার নতুন বই “Rehab: An American Scandal”-এ তুলে ধরেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মাদক নিরাময় কেন্দ্রগুলোর বাস্তবতা—যা প্রায়শই নিষ্ঠুরতা, শোষণ ও অব্যবস্থার চিত্র তুলে ধরে। যদিও বইটি আমেরিকান প্রেক্ষাপটে লেখা, কিন্তু এর প্রতিটি শব্দ ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশের জন্যও একটি সতর্ক বার্তা। মাদকাসক্তি আজ আর কেবল পশ্চিমা দেশের সমস্যা নয়—ভারতের গ্রাম, শহর, শিক্ষিত এবং বঞ্চিত সমাজ সবখানেই এটি ক্রমবর্ধমান হারে ছড়িয়ে পড়ছে। আমেরিকার মতো, ভারতেও সঠিক চিকিৎসা পদ্ধতির অভাব, ব্যয়বহুল পরিষেবা এবং সমাজের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি একজন আসক্তকে পুনর্বাসনের পথে এগোতে বাধা দেয়। ওয়াল্টার তার বইতে উল্লেখ করেছেন ‘সেনিকর’ নামের একটি মার্কিন নিরাময় কেন্দ্রের কথা, যেখানে রোগীদের মূলত শ্রমিকের মতো কাজে লাগানো হতো – সপ্তাহে ১০০ ঘণ্টা কাজ, কোন বেতন নেই, তীব্র গরমেও রেহাই নেই। এক তরুণ, ক্রিস কুন, যিনি ১৫ বছর বয়সে মাদকাসক্ত হন, এই নিরাময় কেন্দ্রের অভিজ্ঞতা থেকে সুস্থ হয়ে উঠে ওয়েল্ডিং স্কুলে গ্র্যাজুয়েট হন। এই ‘সেনিকর’-এর মতো নিষ্ঠুরতা ভারতেও অচেনা নয়। বহু স্বঘোষিত ‘ডি-অ্যাডিকশন সেন্টার’-এ রোগীদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ, জোরপূর্বক কাজ করানো, বা চিকিৎসার নামে অর্থ লুটপাটের অভিযোগ অনেক আছে — অথচ তদারকি প্রায় নেই। ওয়াল্টার দেখিয়েছেন কিভাবে কিছু নিরাময় কেন্দ্র বিশাল অঙ্কের টাকা দাবি করে অপ্রয়োজনীয় টেস্ট করিয়ে, সংবেদনশীল মানুষদের একটি চক্রের মধ্যে ফেলে দেয়—প্রথমে রিহ্যাব, তারপরে রিল্যাপস, আবার রিহ্যাব। ক্যালিফোর্নিয়ার এক ‘সোবার লিভিং’ হোম এত মানুষ রাখতো যে তাদের আঙিনাতেও খাট বিছানো হতো—শুধু মুনাফার জন্য।এটি যে কেবল আমেরিকার চিত্র তা নয়, এই অভিজ্ঞতা ভারতের অনেক তথাকথিত বেসরকারি নিরাময় কেন্দ্রের সাথেও মিলে যায়—যেখানে রোগী নিরাময়ের চেয়ে টাকা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। .....বিস্তারিত পড়ুন


ভোটার আইডি কি আর বিশ্বাসযোগ্য নয়? নাগরিকত্ব প্রমাণে বিতর্ক তুঙ্গে
উত্তরাপথঃভারতীয় গণতন্ত্র বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক কাঠামো, যার ভিত তৈরি হয়েছে সুষ্ঠু নির্বাচন ও জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণের উপর। আর এই ব্যবস্থার মূল স্তম্ভ নির্বাচন কমিশন। কিন্তু সাম্প্রতিক একটি সিদ্ধান্ত কমিশনের নিরপেক্ষতা ও কার্যপ্রণালী নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। বিতর্কের সূত্রপাতনির্বাচন কমিশন বলেছে, নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য আধার কার্ড ও ভোটার আইডি যথেষ্ট নয়। অথচ, এই দুটোই এতদিন পরিচয়পত্র হিসেবে সর্বত্র গ্রহণযোগ্য ছিল। এর ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে হতাশা ছড়িয়েছে, এবং বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোও এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে। কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে ঘিরে একাধিক প্রশ্ন উঠে আসছে – ১। ভোটার আইডি তো কমিশনের তত্ত্বাবধানে তৈরি হয়, তাহলে তা অবিশ্বস্ত কীভাবে? ২। আধার ছাড়া ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, গ্যাস কানেকশন বা সরকারি পরিষেবা মেলে না, তাহলে নাগরিকত্ব প্রমাণে তা বাদ কেন? ৩। বাসিন্দা শংসাপত্রের অবস্থা এমন, বিহারের মাসৌড়ি থেকে কুকুরের নামে সনদপত্র ইস্যুর খবর এসেছে। তাহলে কোনটা আসল প্রমাণ? বিহারে কিছু মাস পরেই বিধানসভা নির্বাচন। এর আগে নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধন অভিযান শুরু করেছে। এর অংশ হিসেবে বলা হচ্ছে, বিহারে প্রায় ৬৫ লক্ষ ভোটার নথিপত্র জমা দেননি — কারণ হিসাবে বলা হচ্ছে তারা হয়তো মৃত, স্থানান্তরিত, অথবা তালিকায় ভুলভাবে যুক্ত। কিন্তু বিরোধীরা বলছে, নির্বাচনের আগে এমন সংবেদনশীল পদক্ষেপ নির্বাচন কমিশনের কাজকর্মের বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট করছে। নাগরিকত্ব প্রমাণে নতুন এই নিয়ম নিয়ে মামলা উঠেছে সুপ্রিম কোর্টে। আদালত বলেছে, যদি এই অভিযানে বড় সংখ্যায় ভোটারদের নাম কাটা হয়, তাহলে আদালতের হস্তক্ষেপ অবশ্যম্ভাবী হবে। আদালতের পরামর্শ ছিল — আধার, ভোটার আইডি ও রেশন কার্ডকে প্রমাণ হিসেবে বিবেচনা করা হোক। .....বিস্তারিত পড়ুন


অবশেষে ব্রিটেন সম্মত: হ্যাঙ্গারে সরানো হচ্ছে আটকে থাকা এফ-৩৫বি যুদ্ধবিমান
উত্তরাপথঃ টানা দুই সপ্তাহ কেরালার তিরুবনন্তপুরম বিমানবন্দরে আটকে থাকার পর অবশেষে ব্রিটেন রাজি হয়েছে অত্যাধুনিক F-35B যুদ্ধবিমানটি বিমানবন্দরের হ্যাঙ্গারে সরাতে। তবে এটি তখনই সম্ভব হবে, যখন যুক্তরাজ্যের বিশেষজ্ঞ প্রকৌশল দলের সদস্যরা প্রয়োজনীয় সরঞ্জামসহ ভারত পৌঁছবেন। এফ-৩৫বি কী? F-35B হচ্ছে মার্কিন সংস্থা Lockheed Martin দ্বারা নির্মিত পঞ্চম প্রজন্মের একটি সুপারসনিক স্টেলথ ফাইটার জেট। এটি বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত যুদ্ধবিমান। Joint Strike Fighter (JSF) প্রোগ্রামটি ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যয়বহুল যুদ্ধবিমান প্রকল্প, যার একটি প্রধান সংস্করণ এই F-35। ব্রিটিশ হাই কমিশনের একজন মুখপাত্র জানান,"একটি ব্রিটিশ F-35B যুদ্ধবিমান বর্তমানে তিরুবনন্তপুরম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মেরামতের অপেক্ষায় রয়েছে। বিমানটি ইঞ্জিনিয়ারিং সমস্যা নিয়ে জরুরি অবতরণ করেছিল। যুক্তরাজ্য ভারত সরকারের প্রস্তাব গ্রহণ করেছে এবং বিমানটি মেইনটেন্যান্স, রিপেয়ার অ্যান্ড ওভারহল (MRO) সুবিধার মধ্যে স্থানান্তরিত করা হবে।" তিনি আরও বলেন,"যখন যুক্তরাজ্যের ইঞ্জিনিয়ারিং দল বিশেষ সরঞ্জাম নিয়ে পৌঁছাবে, তখন বিমানটি হ্যাঙ্গারে নেওয়া হবে, যাতে অন্য বিমানের নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ ব্যাহত না হয়।" কীভাবে এখানে এল বিমানটি? ব্রিটিশ নৌবাহিনীর বিমানবাহী রণতরী এইচএমএস প্রিন্স অফ ওয়েলস ৬ মে ২০২৫-এ একটি নৌ মহড়ার জন্য ভারত মহাসাগরে পৌঁছেছিল, যা ২৪টি এফ-৩৫ ফাইটার জেট বহন করছিল। ১৪ জুন, কেরালা উপকূল থেকে ১০০ নটিক্যাল মাইল (প্রায় ১৮৫ কিমি) দূরে থাকা জাহাজ থেকে একটি এফ-৩৫ উড্ডয়ন করে। উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরে, খারাপ আবহাওয়ার কারণে বিমানটি ভারতীয় রাডারে SQUAWK ৭00 নামে জরুরি কোড পাঠায় এবং জরুরি অবতরণের অনুমতি চায়। তিরুবনন্তপুরম এটিসি অনুমতি দেয়, এবং বিমানটি রাত ৯:৩০ নাগাদ অবতরণ করে। রিপোর্ট অনুসারে, বিমানটির জ্বালানি কম ছিল। ভারত ব্রিটেনের জ্বালানি পূরণের অনুরোধ অনুমোদন করে, কিন্তু পরে হাইড্রোলিক ব্যর্থতার কারণে বিমানটি মাটিতে আটকে যায়। এটি ১৪ দিন ধরে তিরুবনন্তপুরম বিমানবন্দরে আটকে রয়েছে। .....বিস্তারিত পড়ুন