তৃতীয় পাতা


সম্পাদকীয়- প্রশ্নের মুখে ভারতীয় মশলা
এতদিন ভারতীয় মশলা তাদের উচ্চমানের জন্য পরিচিত ছিল।এটা খুবই দুঃখজনক এবং উদ্বেগজনক যে ভারতীয় মশলা কোম্পানিগুলোকে নিয়ে বিশ্ব বাজারে প্রশ্ন উঠছে। সিঙ্গাপুর এবং হংকং-এ কিছু ভারতীয় মশলা নিষিদ্ধ করা হয়েছে, যা ভারতে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। ভারত বিশ্বের বৃহত্তম মশলা উৎপাদনকারী এবং রপ্তানিকারক দেশ। এক্ষেত্রে ভারতীয় মসলার উপর কোনো আপত্তি তার সুনামকে প্রভাবিত করতে পারে। তাই, ভারত সরকার সিঙ্গাপুর এবং হংকং-এর খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রকদের কাছ থেকে এই বিষয়ে যথাযথভাবে বিস্তারিত অভিযোগ জানতে চেয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন পাঠাতে এই দুই দেশের ভারতীয় দূতাবাসকে নির্দেশ দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সরকারও তার নিজস্ব স্তরে তদন্ত করছে এবং অভিযুক্ত ভারতীয় কোম্পানিগুলির কাছ থেকে সম্পূর্ণ বিবরণ চাওয়া হয়েছে। মসলা নিয়ে এসব দেশ থেকে আগে থেকেই অভিযোগ আসছিল, কিন্তু পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছল কী করে যে সেখানে নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রয়োজন হল। খাদ্যপণ্যের ক্ষেত্রে কোম্পানিগুলো প্রায়শই রেকর্ড পর্যায়ে অভিযোগের প্রতিকার করেছে ,তারপরও এই মশলা কোম্পানিগুলোর কী অবহেলার কারণে এই নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হল? প্রাথমিক অভিযোগ বা আলোচনা থেকে জানা যায় যে প্রশ্নে থাকা পণ্যগুলি অনুমোদিত সীমার বেশি কীটনাশক ইথিলিন অক্সাইডের মত কীটনাশকের কথিত উপস্থিতির কারণে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। .....বিস্তারিত পড়ুন


পারদ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে উঠলে আপনি কীভাবে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অংশ নেবেন?
উত্তরাপথঃ এটাই ভারতের ভোটারদের সমস্যা, একদিকে তীব্র দাবদহ অন্যদিকে দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন।তীব্র গরমে কলকাতা সহ সারা রাজ্যের রাস্তা দিনের বেলা প্রায় খালি হয়ে যাচ্ছে,রাজ্যের স্কুলগুলিতে ক্লাস বাতিল করে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এই তীব্র গরমে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় মানুষ অসুস্থ্য হয়ে পড়ছে।ইতিমধ্যে শহর কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা গত ৫০ বছরে (এপ্রিল মাসের নিরিখে) দ্বিতীয় সর্বাধিক অনুভূত হয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর বলছে, কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা আগামী পাঁচদিনে ৪২ ডিগ্রি ছাপিয়ে ৪৩ ডিগ্রিতে পৌঁছে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতদিন দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমের জেলাগুলিতে বেশি তাপের দহন দেখা যেত,এবার সমগ্র দক্ষিণ বঙ্গ জুড়ে তাপের তীব্রতা রয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর চলতি সপ্তাহের বুধবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে তীব্র তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস দিয়েছিল। ইতিমধ্যে দক্ষিণবঙ্গের সিংহভাগ জেলা তাপপ্রবাহের অধীনে। কতগুলো অঞ্চলে তীব্র তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি ৷ যা আগামী মে মাসে প্রতিদিনই দেখা যাবে বলে আবহবিদরা পূর্বাভাস দিয়েছেন। শুধু দক্ষিণবঙ্গ নয়, উত্তরবঙ্গের সমতলের তিনটি জেলায় তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি। বিশেষ করে মালদা, বালুরঘাট তাপপ্রবাহের আওতায় .....বিস্তারিত পড়ুন


জলবায়ু পরিবর্তন কি লাদাখের নির্বাচনী ইতিহাসের টার্নিং পয়েন্ট হতে চলেছে?
উত্তরাপথঃ জলবায়ু পরিবর্তন কি লাদাখের ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন কি লাদাখের নির্বাচনী ইতিহাসে একটি টার্নিং পয়েন্ট হতে চলেছে? প্রত্যন্ত শীতল একটি পাহাড়ী উপত্যাকা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের (UT) মর্যাদা পাওয়ার পর প্রথমবারের মতো সাধারণ নির্বাচনে অংশ নিতে চলেছে যা আগামী দিনে লাদাখের রাজনৈতিক পটভূমি নিশ্চিত করবে। লাদাখে ১,৮২,৫৭১ -এরও বেশি (জানুয়ারি ১,২০২৪ পর্যন্ত ডেটা) নাগরিক তাদের ভোট দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। লাদাখবাসীর কাছে এই নির্বাচন কেবল তাদের প্রতিনিধি বাছাই এর জন্য নয় বরং এই দুর্গম অথচ কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমির ভাগ্য নির্ধারণের জন্য। এই নির্বাচনে লাদাখিরা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের স্বীকৃতি পাওয়ার পর তাদের ভঙ্গুর বাস্তুতন্ত্রের কথা মাথায় রেখে তাদের স্বদেশের জন্য সুরক্ষা দাবি করছে। বর্তমানে লাদাখের লোকেরা তাদের পরিবেশ রক্ষার বিষয়ে সচেতন হয়ে উঠেছে বিশেষ করে বিখ্যাত বিজ্ঞানী ও পরিবেশবিদ সোনম ওয়াংচুকের অনশন চালিয়ে যাওয়ার কারণে তারা মনে করে যে UT মর্যাদা মানে লাদাখ সরাসরি নয়াদিল্লি থেকে শাসিত হবে।এখন দেখার পরিবেশ এবং জলবায়ু পরিবর্তন লাদাখের ভোটিং প্যাটার্নকে কতটা প্রভাবিত করে। .....বিস্তারিত পড়ুন


সুপ্রিম কোর্ট বলেছে ভোটারদের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের প্রতিটি সম্পদ সম্পর্কে জানার অধিকার নেই
উত্তরাপথঃ ২০১৯ সালের অরুণাচল প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে তেজুর নির্দল বিধায়ক করিখো ক্রি-র বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হন কংগ্রেস প্রার্থী নুনি তায়ং। তাইয়াংয়ের অভিযোগ, করিখো তাঁর হলফনামায় সম্পত্তি নিয়ে অনেক বিষয় লুকিয়েছেন। সেই মামলাতেই গৌহাটি হাইকোর্টের নির্দেশে প্রার্থীদের সম্পত্তির খতিয়ান নিয়ে পর্যবেক্ষণ জানাল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের দুই বিচারপতি অনিরুদ্ধ বোস এবং পিভি সঞ্জয় কুমারের একটি বেঞ্চ বলেছে, "কোনও ভোটারের পক্ষে প্রার্থীর ব্যক্তিগত জীবন যাপনে কুরুচিকর বিলাস দেখা গেলে তবেই সমস্ত সম্পত্তির হিসাব দেওয়ার প্রশ্ন উঠতে পারে এবং প্রতিটি প্রকাশ অবশ্যই এমন প্রকৃতির হতে হবে যে এটি ভোটকে প্রভাবিত করবে। অন্যথায় একজন প্রার্থীকে সব অস্থাবর সম্পত্তির হিসাব দিতে হবে না, সব কিছু জানার অধিকার নেই ভোটারদের। শীর্ষ আদালত বলেছে যে প্রার্থীদের গোপনীয়তার অধিকার রয়েছে ।"এটি আবশ্যক নয় যে একজন প্রার্থী তার বা তার নির্ভরশীল পরিবারের সদস্যদের মালিকানাধীন অস্থাবর সম্পত্তির প্রতিটি আইটেম যেমন জামাকাপড়, জুতা, ক্রোকারিজ, স্টেশনারি, আসবাবপত্র ইত্যাদি .....বিস্তারিত পড়ুন


সম্পাদকীয়- রাজনীতিতে অবমাননাকর ভাষা এবং খারাপ শব্দের ব্যবহার উদ্বেগজনক
নির্বাচনের মরসুমে, রাজনৈতিক বক্তৃতায় প্রায়শই আক্রমণাত্মক ভাষা এবং উত্তপ্ত বিতর্কের প্রাধান্য দেখা যায়।রাজনীতিতে নীতি ও কৌশল নিয়ে দ্বিমত থাকা এক অতি সাধারণ ব্যাপার।তবে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে অবমাননাকর ভাষা এবং খারাপ শব্দের ব্যবহার তাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে আক্রমণ করতে যেভাবে বেড়ে চলেছে তা উদ্বেগজনক।রাজনীতিবিদদের জনগণের কাছে তাদের বার্তা জানাতে এবং সমর্থন আদায়ের জন্য নির্বাচনী প্রচারে ভাষার ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে সেই ভাষার ব্যবহারে যাতে শালীনতা বজায় থাকে সেই ব্যাপারেও একটা সীমাবদ্ধতা রাখতে হবে।রাজনীতিতে খারাপ শব্দের ব্যবহার নতুন নয়, সোশ্যাল মিডিয়ার উত্থান এবং ক্রমাগত ২৪/৭ সংবাদে থাকার চেষ্টা খারাপ শব্দের ব্যবহারকে আরও তীব্র করেছে। রাজনীতিবিদরা ক্রমাগত পরীক্ষা-নিরীক্ষার অধীনে থাকে এবং শিরোনাম থাকার ইচ্ছে প্রায়শই তাদের বিরোধী দলের সদস্যদের প্রতি খারাপ ভাষা ব্যবহার করতে প্ররোচিত করে। রাজনীতিতে খারাপ শব্দ ব্যবহার করার প্রধান সমস্যাগুলির মধ্যে একটি হল এটি বাস্তব সমস্যাগুলি থেকে জনসাধারণকে দূরে নিয়ে যায়।বিবদমান সমস্যাগুলি সমাধানের দিকে মনোনিবেশ করার পরিবর্তে, রাজনীতিবিদরা ভোটারদের মধ্যে বিভাজন এবং মেরুকরণকে উৎসাহিত করে। .....বিস্তারিত পড়ুন


CSDS-Lokniti Pre-poll Survey: বেকারত্ব ও মুদ্রাস্ফীতি এই নির্বাচনে সবচেয়ে বড় ইস্যু হতে চলেছে
সমীক্ষা বিশ্লেষণে গার্গী আগরওয়ালা মাহাতোঃ নির্বাচনের ফলাফলের ভবিষ্যদ্বাণী করা প্রাক-নির্বাচন সমীক্ষার প্রধান কাজ।এটি ভোটারদের ভোট দেওয়ার উদ্দেশ্য সম্পর্কে মূল্যবান তথ্য প্রদান করতে পারে, যা নির্বাচনের ফলাফলের পূর্বাভাস দিতে সাহায্য করতে পারে অনেক ক্ষেত্রে।কিন্তু এই প্রসঙ্গে একটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ তাহল আজ পর্যন্ত কোনও প্রাক-নির্বাচন সমীক্ষা ১০০ শতাংশ সঠিক প্রমানিত হয়নি। সম্প্রতি সামনে এসেছে সিএসডিএস-লোকনীতির(CSDS-Lokniti)প্রাক-নির্বাচন সমীক্ষা। এই সমীক্ষা অনুসারে, এবারের নির্বাচনে ভোটারদের কাছে সবচেয়ে বড় ইস্যূ হতে চলেছে বেকারত্ব। যখন সমীক্ষা করা হয় সেই সময় লোকদের জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে তাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা কী, ২৭ শতাংশ মানুষ বলেছেন বেকারত্ব তাদের কাছে সবচেয়ে বড় সমস্যা।প্রসঙ্গত এটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্য জনক হলেও সত্যি যে আজ পর্যন্ত আমাদের দেশের প্রায় প্রতিটি নির্বাচনে গরীব বা বেকারত্ব ইস্যুই প্রধান নির্বাচনের ইস্যূ হলেও আজ পর্যন্ত সেই সমস্যার সমাধান হয়নি। ১৯৭১ সালে ইন্দিরা গান্ধী স্লোগান দিয়েছিলেন ‘গরিবী হঠাও’। সেই থেকে ২০২৪ পর্যন্ত প্রতিটি নির্বাচনে এটি একটি প্রধান ইস্যূ হিসেবে উঠে এলেও বাস্তবে এই সমস্যার সমাধান হয়নি।স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত আমাদের দেশে প্রতিটি রাজনৈতিক দলই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে দেশ শাসন ক্রেছেন,কিন্তু এই সমস্যার সমাধান হয়নি। নির্বাচন আসে নির্বাচন যায় .....বিস্তারিত পড়ুন


গবেষণায় প্রকাশ মাত্র ২৫ বছরের মধ্যে বিশ্বের জনসংখ্যা দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি হ্রাস পাবে
উত্তরাপথঃ আগামী শতাব্দীতে মানুষের জন্মহার ব্যাপকভাবে হ্রাস পেতে থাকবে এবং মাত্র ২৫ বছরের মধ্যে বিশ্বের জনসংখ্যা দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি হ্রাস পাবে।দ্য ল্যানসেটে প্রকাশিত একটি নতুন গবেষণায় এমনই তথ্য উঠে এসেছে।আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানীদের একটি দল সতর্ক করেছেন যে বিশ্বব্যাপী জনসংখ্যার ধরণগুলিতে এই পরিবর্তনগুলির ফলে আগামী দশকগুলিতে আমরা যে বিশাল পরিবর্তনগুলির মুখোমুখি হব তার জন্য সরকারগুলিকে প্রস্তুত থাকতে হবে। ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভালুয়েশন (IHME) এ অনুরূপ একটি গবেষণা প্রকাশ পেয়েছে যেখানে বলা হয়েছে আগামী কয়েক দশকে বেশিরভাগ দেশে শিশুর জন্মের হার নাটকীয় ভাবে হ্রাস পাবে।এটিকে বিশেষজ্ঞরা বিশ্বব্যাপী একটি "বিস্ময়কর সামাজিক পরিবর্তন" হিসাবে বর্ণনা করেছেন।গবেষণাতে আরও বলা হয়েছে যে তিন-চতুর্থাংশেরও বেশি দেশ ২০৫০ সালের মধ্যে তাদের জনসংখ্যার আকার বজায় রাখতে লড়াই করবে, ৯৭% এরও বেশি দেশ শতাব্দীর শেষ নাগাদ একই ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবে। এর আগে ২০১৮ সালে, পূর্ববর্তী গবেষণায় দেখা গিয়েছিল যে বিশ্বের অর্ধেক জনসংখ্যার মধ্যে উর্বরতার হার কমছে এবং তা এখনও অব্যাহত রয়েছে। .....বিস্তারিত পড়ুন