প্রথম পাতা


টয়োয়াকে শহরের অভিনব প্রস্তাব: প্রতিদিন মাত্র ২ ঘণ্টা স্মার্টফোন ব্যবহার!
উত্তরাপথঃ ভাবুন তো, যদি আপনাকে যদি বলা হয় আপনি দিনে মাত্রদুই ঘণ্টা স্মার্টফোন ব্যবহার করতে পারবেন—কেমন লাগবে? হয়তো প্রথমেই মনে হবে, এ তো অসম্ভব! কিন্তু জাপানের আইচি প্রদেশের ছোট্ট শহর টয়োয়াকে এবার এমনই এক অভিনব প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় এসেছে।জাপানের টয়োয়াকে শহরের স্থানীয় সরকার একটি অভিনব প্রস্তাব নিয়ে এসেছে—নাগরিকদের প্রতিদিন মাত্র দুই ঘণ্টা স্মার্টফোন ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এই প্রস্তাবটি আইনি বাধ্যবাধকতা নয়, বরং একটি স্বেচ্ছাসেবী নির্দেশিকা, যা মানুষকে তাদের স্মার্টফোন এবং ট্যাবলেটের ব্যবহার কমাতে উৎসাহিত করবে। বিবিসি’র খবর অনুযায়ী, এই প্রস্তাবটি আগামী অক্টোবর থেকে কার্যকর হতে পারে। টয়োয়াকে শহরের মেয়র মাসাফুমি কোকি বলেছেন, “দুই ঘণ্টার সীমা কেবল একটি নির্দেশিকা, যা নাগরিকদের তাদের স্মার্টফোনের ব্যবহার নিয়ে ভাবতে উৎসাহিত করবে। এটি কোনওভাবেই নাগরিকদের অধিকার সীমিত করা বা বাধ্যবাধকতা আরোপ করার উদ্দেশ্যে নয়।” তিনি আরও বলেন, “আমি আশা করি, এটি প্রতিটি পরিবারের জন্য তাদের স্মার্টফোন ব্যবহারের সময় এবং সময়সীমা নিয়ে আলোচনার সুযোগ করে দেবে।” মেয়র স্বীকার করেছেন যে স্মার্টফোন আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অত্যন্ত উপকারী এবং অপরিহার্য। কিন্তু তিনি উল্লেখ করেছেন যে এটি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় সমস্যা এবং শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কদের সুস্থ ঘুমের ধরনে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে। জুলাই মাসে Journal of Human Development and Capabilities-এ প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে ১৩ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে স্মার্টফোনের ব্যবহার মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করছে। .....বিস্তারিত পড়ুন


রান্নাঘরের বিপ্লব: গ্যাস নয়, এখন রান্না হোক ইন্ডাকশনে
উত্তরাপথঃ আজও আমাদের বেশীরভাগ রান্নাঘরে সকালের জলখাবার থেকে রাতের ভাত—সবই রান্না হয় গ্যাসের চুলার ওপর। কিন্তু আধুনিক শহুরে জীবন বদলে দিচ্ছে সেই অভ্যাস। একের পর এক মানুষ গ্যাস ছেড়ে ইন্ডাকশন কুকটপকে বেছে নিচ্ছেন। প্রশ্ন জাগতে পারে—কেন এই পরিবর্তন? কেবল খরচ বাঁচানো নয়, এর পেছনে রয়েছে রান্নার অভিজ্ঞতা, স্বাস্থ্যসুরক্ষা এবং নিরাপত্তার নতুন দিগন্ত। রাতের ক্লান্তি কাটতে না কাটতে সকাল সকাল রান্না — তাই রান্নায় সময় বাঁচানো এখন সবারই চাওয়া। গবেষণা বলছে, ইন্ডাকশন কুকটপে জল ফুটতে গ্যাসের তুলনায় ২০–৪০ শতাংশ দ্রুত হয় । তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণও এতটাই দ্রুত যে মনে হয় যেন চুলার নিচে অদৃশ্য জাদুকাঠি কাজ করছে। আর রান্না শেষ হলেই ইন্ডাকশনের গায়ে হাত দেওয়া যায়, কারণ এর পৃষ্ঠ কখনোই তপ্ত হয় না। গ্যাসে রান্নার সময় শক্তির বড় অংশ অপচয় হয়ে যায়। পরিসংখ্যান অনুযায়ী গ্যাস চুলার কার্যকারিতা মাত্র ৩২%, অর্থাৎ প্রায় ৭০% শক্তি নষ্ট হয় বাতাসে তাপ হয়ে। ইন্ডাকশন সেখানে কার্যকর ৮৫% পর্যন্ত—ফলে খরচ কমে, ঘরও গরম হয় না। গ্রীষ্মকালে ঘরে এসি চলা অবস্থাতেও রান্না করা যায়, যা একটি বাড়তি স্বস্তি দেয়। গ্যাস জ্বলার সঙ্গে সঙ্গে বের হয় নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইড, এমনকি বেঞ্জিনের মতো ক্যানসার সৃষ্টিকারী গ্যাস। একটি আন্তর্জাতিক গবেষণায় দেখা গেছে, শুধুমাত্র গ্যাস চুলার দূষণেই যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৫০ হাজার শিশুর হাঁপানি বেড়েছে। অথচ ইন্ডাকশন কুকটপ ব্যবহার করলে এসব ঝুঁকি একেবারেই নেই। গ্যাস মানেই শিখা, লিকেজ, বিস্ফোরণের ভয়। ইন্ডাকশনে হাঁড়ি না থাকলে কোনো তাপই তৈরি হয় না। এমনকি ভুলে চুলা চালু রেখে দিলেও কোনো বিপদ নেই। .....বিস্তারিত পড়ুন


পর্যটকদের জন্য শৌচাগার সার্টিফিকেশন ব্যবস্থা: জাপানের অভিনব উদ্যোগ
উত্তরাপথঃজাপান সবসময় তার পরিচ্ছন্নতা ও শৃঙ্খলার জন্য সারা বিশ্বে প্রশংসিত। এবার সেই দেশেই পর্যটকদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে চালু হয়েছে এক অভিনব পাবলিক টয়লেট সার্টিফিকেশন সিস্টেম। এই ব্যবস্থা শুধু পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নয়, নিরাপত্তা, ব্যবহার উপযোগিতা এবং সহজলভ্যতার দিকেও বিশেষ নজর দিচ্ছে। ২০০৩ সালে পূর্ব জাপানের গুনমা প্রিফেকচারে প্রথম এই সার্টিফিকেশন প্রকল্প শুরু হয়। ২০২৪ অর্থবছর পর্যন্ত এখানে ২৫৯টি শৌচাগার এই স্বীকৃতি অর্জন করেছে। প্রতিটি শৌচাগারকে একটি ২৫-দফা মানদণ্ডে বিচার করা হয়, যার মধ্যে আছে— পরিচ্ছন্নতা নিরাপত্তা ব্যবহার-বান্ধবতা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষের জন্য সুবিধা প্রত্যেকটি সার্টিফাইড শৌচাগারে ঝোলানো থাকে একটি বিশেষ ফলক, যেখানে রয়েছে প্রিফেকচারের জনপ্রিয় মাসকট “গুনমাচান”। তাকাসাকি শহরের কান্নোইয়ামা ফ্যামিলি পার্ক সাতবার এই স্বীকৃতি পেয়েছে। এখানকার নিয়মিত পরিচ্ছন্নতা কর্মী হিসাকো কোবায়াশি বলেন— “আমরা প্রতিদিন মনোযোগ দিয়ে রক্ষণাবেক্ষণ করি, যাতে ভ্রমণকারীরা নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে পারেন।” পর্যটক বা স্থানীয়রা সহজেই এই সার্টিফাইড শৌচাগারগুলির অবস্থান খুঁজে নিতে পারেন একটি অনলাইন ম্যাপের মাধ্যমে। এমনকি প্রতিবন্ধী ভ্রমণকারীরাও তাদের ভ্রমণ পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন এই সার্টিফিকেশনের উপর নির্ভর করে। এটি কেবল একটি সাধারণ উদ্যোগ নয়, বরং ভ্রমণ-বান্ধব অবকাঠামো তৈরির বড় পদক্ষেপ। এই উদ্যোগ এখন শুধু গুনমানেই সীমাবদ্ধ নয়। ২০১২ সাল থেকে কোচি প্রিফেকচার (পশ্চিম জাপান) ২০১৪ সাল থেকে নাগানো প্রিফেকচার (কেন্দ্রীয় জাপান) .....বিস্তারিত পড়ুন


নাচনি নাচের উৎস সন্ধানে
ড. নিমাইকৃষ্ণ মাহাতঃ নাচনি নাচের উৎস সন্ধান খুবই দুরূহ কাজ । মানভূমের লোকসংস্কৃতির অন্যান্য অঙ্গের মতো নাচনি নাচের শুরু হয়েছিল কোন এক সুদূর অতীতে - একথা বলা যায় । লোকসংস্কৃতির অন্যান্য আঙ্গিক যেমন বিভিন্ন যুগ-পরিবেশে লোকসমাজে উদ্ভূত হয়ে সাধারণের মধ্যে লালিত , চর্চিত , অনুশীলিত হয়ে কালের কষ্টিপাথরে যাচিত হয়ে বংশপরম্পরায় প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে বাহিত হয়ে চলেছে , নাচনি নাচও অনেকটা তাই। দ্বিতীয় অর্থে - নাচনি কারও নয় । জীবন সংগ্রামের জ্বালায় জর্জরিত হয়ে এই রূঢ় পৃথিবীতে সে নিজের প্রাণ ধারণের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় রত । সেখানে সে প্রয়োজনে স্বামীকে ছেড়ে রসিকের কাছে বা এক রসিককে ছেড়ে অন্য রসিকের সাহচর্য বেছে নিতে বাধ্য হয় । এই পরিস্থিতিতে সে কারও নয় । আবার , মানভূমে একটি প্রচলিত প্রবাদ আছে , তা হল - নাচ, নাচনি আর নাগর - এই তিন নিয়ে নাচনি। লোকগবেষকরা মনে করেন ' নাচনি ' শব্দটি ' নাচ ' শব্দ থেকেই উদ্ভূত হয়েছে । অনেকে ' নাই চিনি ' শব্দগুচ্ছথেকে ' নাচনি ' শব্দের উদ্ভব হয়েছে বলে মনে করেন । অর্থাৎ নাচনিকে কেউ চেনে না বা নাচনি কাউকে চেনে না - এই ধারণা থেকেই ' নাচনি 'শব্দটির লোক সমাজে প্রচলিত হয়েছে । প্রথম অর্থে নাচনি লোকসমাজে অচেনা , অবজ্ঞাত , অবহেলিত , প্রান্তিক শ্রেণির। মানভূমের লোক সাধারনের মধ্যে নাচ ও গান স্বতঃস্ফূর্তভাবেই এসে যায় । অর্থাৎ এখানকার মানুষের নাচ-গান স্বভাবজ বলা যায় , রক্তের মধ্যেই রয়েছে । তাই কেউ ভালোবেসে নাচ- গানকে আশ্রয় করেন , কেউ জীবন- জীবিকার টানে একে আঁকড়ে ধরেন । নাচনি নাচের ইতিহাস অনেকটা এরকমই। নাচনি নাচের উৎস সন্ধানকে আমরা বিভিন্ন দিক থেকে আলোচনা করতে পারি । যেমন - ১ ) ইতিহাসগত দিক , ২ )সামাজিকদিক , ৩ ) সাহিত্যিক দিক ইত্যাদি। ইতিহাসগত দিক মানভূম , ধলভূম , গোপভূম , ভঞ্জভূম , শিখরভূম প্রভৃতি অঞ্চলের সামাজিক , সাংস্কৃতিক ও রাষ্ট্রনৈতিক ইতিহাস - কিছুটা ধোঁয়াশাচ্ছন্ন । তাই , এই অঞ্চলে বিস্তারলাভ করা নাচনি নাচের উদ্ভব ও বিকাশের রূপরেখাও কুয়াশাচ্ছন্ন। নাচনি নাচকে অশ্লীল , নিম্নরুচি ও নিম্ন শ্রেণির নাচ বলে দেগে দেওয়ার একটা প্রবণতা দীর্ঘদিন ধরে সমাজের বৃহত্তর অংশের মধ্যে রয়েছে ।তাই , অনালোকিত ও অনালোচিত বা স্বল্প আলোচিত .....বিস্তারিত পড়ুন


টুভালু (#Tuvalu) — কীভাবে এক দ্বীপ রাষ্ট্র বিলীন হচ্ছে সমুদ্রে
প্রীতি গুপ্তাঃ টুভালু( Tuvalu), প্যাসিফিক মহাসাগরের একটি ক্ষুদ্র দ্বীপরাষ্ট্র, যা নয়টি প্রবালদ্বীপ ও অ্যাটল নিয়ে তৈরি। এর মোট ভূমি এলাকা মাত্র ২৬ বর্গকিলোমিটার, এবং জনসংখ্যা প্রায় ১১,০০০। এই দেশটি হাওয়াই এবং অস্ট্রেলিয়ার মাঝামাঝি অবস্থিত।দেশটির গড় উচ্চতা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ২ মিটার এবং এর সর্বোচ্চ স্থান মাত্র ৪.৬ মিটার উচ্চতায়। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সমুদ্রপৃষ্ঠের জলস্তর বাড়তেই দেশটির অস্তিত্ব এখন গভীর সংকটে। নাসার পর্যবেক্ষণ বলছে, গত ৩০ বছরে টুভালুর সমুদ্রস্তর প্রায় ১৫ সেমি বেড়েছে, যা বৈশ্বিক গড়ের চেয়েও দ্রুত। ফল: ঘন ঘন জলোচ্ছ্বাস, উপকূল ভাঙন, নোনা জল ভূগর্ভে ঢুকে পড়া। টুভালুর রাজধানী ফুনাফুটি—একটি সরু অ্যাটল, দু’দিকে নীল সমুদ্র আর মাঝে ছোট্ট বসতি, এয়ারস্ট্রিপ, নারকেল-গাছের সারি। এই ভৌগোলিক বাস্তবতাই টুভালুকে জলবায়ু সংকটের প্রথম সারির শিকার বানিয়েছে। টুভালুতে ইতিমধ্যে লবণাক্ত জলের অনুপ্রবেশের কারণে ভূগর্ভস্থ জল অযোগ্য হয়ে পড়েছে, যা কৃষি এবং পানীয় জলের সরবরাহকে প্রভাবিত করছে। নারকেল এবং পুলাকার মতো ফসল উৎপাদন কমছে। ঝড় এবং কিং টাইডস (অস্বাভাবিক উচ্চ জোয়ার) প্রায়ই সমুদ্র উপকূলের ভূ-ভাগকে প্লাবিত করে, ২০১৫ সালের সাইক্লোন প্যাম ৪৫% জনগণকে বাস্তুচ্যুত করেছিল। এখানকার অর্থনীতি মূলত মৎস্য শিকার।আয়ের অন্য কোনও উপায় না থাকায় এরা প্রতিবেশী দেশগুলির অর্থ সাহায্যের উপর অনেকাংশে নির্ভরশীল।জলবায়ু পরিবর্তন এই সবকিছুকে হুমকির মুখে ফেলেছে।বৈশ্বিক উষ্ণায়নের ফলে সমুদ্রের জলস্তর প্রতি বছর বাড়ছে।মূলত হিমবাহ ও বরফচাঁই গললে সেই জল সাগরে মিশছে এবং সমুদ্রের জলস্তর বাড়িয়ে দিচ্ছে। টুভালুতে সাগরপৃষ্ঠ প্রতি বছর গড়ে ~৫ মিমি হারে বাড়ছে—এটা বিশ্বের গড় বৃদ্ধির চেয়ে বেশী। টুভালুবাসীর উদ্যোগ- সমুদ্রভাঙন ঠেকাতে অবকাঠামো: ‘Tuvalu Coastal Adaptation Project (TCAP)’ ফুনাফুটির উপকূলে বালু ফেলে নতুন ভূমি-প্ল্যাটফর্ম তুলছে, যাতে ২১০০ সালের পরের সাগরস্তর ও ঝড়ের ঢেউও টপকাতে না পারে। (Wikipedia) আইন ও কূটনীতি: দেশটি চায়—সমুদ্র এগোলেও যেন তাদের সমুদ্রসীমা ও মৎস্যসম্পদ আইনি ভাবে অটুট থাকে। .....বিস্তারিত পড়ুন


পিঁপড়ে বিভ্রান্ত, মানুষ উপকৃত - কেন্নোর (millipede) বিষে আশার আলো মস্তিষ্ক ও স্নায়ুরোগের ওষুধ
উত্তরাপথঃ জঙ্গলের মাটির নিচে, শুকনো পাতার স্তূপের আড়ালে ঘুরে বেড়ানো ছোট্ট জীব কেন্নোকে অনেকেই ভয়ঙ্কর “কীটপতঙ্গ” বলে ভাবেন। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো, এই বহু পা-ওয়ালা প্রাণীর দেহে লুকিয়ে আছে এমন কিছু রাসায়নিক যা শুধু পিঁপড়েকে বিভ্রান্তই করে না, মানুষের মস্তিষ্কেও কার্যকর হতে পারে! বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই অদ্ভুত যৌগ ভবিষ্যতে স্নায়বিক ব্যাধি ও ব্যথা উপশমে নতুন ধরনের ওষুধ তৈরি করতে সাহায্য করতে পারে। আমেরিকার ভার্জিনিয়া টেকের বিজ্ঞানী এমিলি মেভার্স এবং তার দল এক নতুন শ্রেণির জটিল যৌগ আবিষ্কার করেছেন, যা কেন্নোর দেহ থেকে নিঃসৃত হয়। এরা আলকালয়েডস নামক প্রাকৃতিক রাসায়নিক পরিবারের অন্তর্গত। গবেষকরা এর নাম দিয়েছেন অ্যান্ড্রোগনাথানলস এবং অ্যান্ড্রোগনাথিনস, মিলিপিড Andrognathus corticarius–এর নাম অনুসারে। এই যৌগগুলো এতটাই শক্তিশালী যে পিঁপড়েরা এদের সংস্পর্শে এসে দিকভ্রান্ত হয়ে যায়। আশ্চর্যের বিষয় হলো, এরা মানুষের মস্তিষ্কের কিছু বিশেষ রিসেপ্টরের সঙ্গেও প্রতিক্রিয়া করতে পারে, যা ব্যথা নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গবেষক মেভার্স মূলত অজানা বা উপেক্ষিত প্রাণী থেকে ওষুধ আবিষ্কারের নতুন রাস্তা খুঁজে বের করেন। তিনি দেখেছেন, কেন্নোরা যখন শিকারির আক্রমণে পড়ে, তখন দেহ থেকে বিশেষ রাসায়নিক নিঃসরণ করে। এভাবে তারা নিজেদের রক্ষা করে, আবার একই সঙ্গে কাছের সঙ্গীদেরও সংকেত দিতে পারে। এখনও পর্যন্ত কেন্নোদের নিয়ে অনেক রহস্য অমীমাংসিত — এদের খাদ্যাভ্যাস, সঠিক সংখ্যা, আচরণ, এমনকি রাসায়নিক গঠন নিয়েও অজানা অনেক কিছু আছে। তাই এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞ পল ম্যারেক গবেষণা করছেন, যাতে এই তথ্যগুলো মানুষের উপকারে ব্যবহার করা যায়। এর আগেও গবেষকরা একটি ভিন্ন প্রজাতির কেন্নো (Ishchnocybe plicata) থেকে এমন রাসায়নিক পেয়েছিলেন, যা Sigma-1 নামের একটি বিশেষ নিউরোরিসেপ্টরের সঙ্গে প্রতিক্রিয়া করে। এই রিসেপ্টর ব্যথা ও অন্যান্য স্নায়বিক সমস্যার সঙ্গে যুক্ত। সর্বশেষ আবিষ্কৃত যৌগগুলিও একই রিসেপ্টরের সঙ্গে কাজ করে। .....বিস্তারিত পড়ুন


রাসবিহারী বসু ও নাকামুরায়া কারি
প্রিয়াঙ্কা দত্ত - বিপ্লবী রাসবিহারী বসুকে তো আমরা সকলেই চিনি। যাঁর বিপ্লবী কার্য কলাপ একসময় ব্রিটিশ শাসকদের ঘুম উড়িয়ে দিয়েছিল, সেই রাসবিহারী বসুর মাথার দাম তৎকালীন বারো হাজার টাকা ধার্য করা হয়েছিলো। আবার সেই রাসবিহারী বসুই কিনা জাপানের জনপ্রিয় ভারতীয় স্বাদের এক অভিনব খাদ্য বস্তুর জন্য আজও টোকিও শহরে বিখ্যাত? পরস্পর বিরোধী হলেও ঘটনাটা সত্যি। ১৯১২ সালে দিল্লীর শোভাযাত্রায় লর্ড হার্ডিঞ্জকে আক্রমণের মূল পান্ডা হিসাবে যখন রাসবিহারী বসুর নাম উঠে এলো তখন তিনি দেরাদুন বন গবেষণা বিভাগে ব্রিটিশ সরকাররের রীতিমত বিশ্বস্ত এক করণিক এবং ব্রিটিশ শাসকদের বিশেষ আস্থাভাজন এক ব্যাক্তি। অথচ গোপন বিপ্লবী কার্যকলাপে তখন তিনি বাংলা, পাঞ্জাব আর বর্তমান উত্তর প্রদেশের প্রধান সংগঠক। ছদ্মবেশ ধরনে যেমন তিনি অসাধারণ পটুত্বের অধিকারী ছিলেন তেমনই শাসক মহলের অন্দরে বসে তাদের বিরুদ্ধেই বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের ব্লু প্রিন্ট তৈরী করতে ছিলেন সিদ্ধহস্ত। এমনই সব বৈপরীত্য ছিল তাঁর সারাজীবনের সঙ্গী। তবে এই ষড়যন্ত্রের খবর যখন ইংরেজ শাসন কর্তাদের কানে পৌঁছোয়, মি. বসুর খোঁজে দিল্লী থেকে বাংলা সর্বত্র শুরু হয় চিরুনী তল্লাশি। কিন্তু কখনও অ্যাংলো ইন্ডিয়ানের বেশে, কখনও ঝাড়ুদার সেজে বা কখনও বৈষ্ণব সাধু সেজে তিনি অনবরত পুলিশকে বোকা বানাতে থাকেন। অবশেষে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আত্মীয় পি.এন. ঠাকুরের ছদ্মবেশে ১৯১৫ সালে জাহাজে চেপে তিনি জাপানে পালিয়ে যান। জাপানে তাঁর প্রধান উদ্দেশ্য ছিল দেশের বাইরে থেকে বৈপ্লবিক কার্যকলাপে ইন্ধন যোগানো। সেই সূত্রে বিভিন্ন প্যান এশিয়ান নেতাদের সাথে তাঁর সুসম্পর্ক গড়ে উঠে এবং তাঁরা ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে তাঁকে সাহায্যের আশ্বাস দেন। কিন্তু ব্রিটিশ সরকাররের গুপ্তচররা জাপানে মি. বসু কে চিনতে পারে ও ব্রিটিশ সরকাররের তরফ থেকে জাপান সরকারের ওপর প্রত্যার্পণের চাপ আসতে থাকে। .....বিস্তারিত পড়ুন