তৃতীয় পাতা


ভারতে প্রতি বছর ৭৮ মিলিয়ন টনেরও বেশি খাবার নষ্ট হচ্ছে- জাতিসংঘ
গার্গী আগরওয়ালা মাহাতোঃ ভারতে খাদ্য অপচয়ের সমস্যা খুবই গুরুতর এবং এটি বন্ধ করার জন্য কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। জাতিসংঘের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ভারতে প্রতি বছর মাথাপিছু গড়ে ৫৫ কেজি খাবার নষ্ট হচ্ছে। দেশে প্রতিটি মানুষ যাতে পর্যাপ্ত খাবার পায় এবং খাবারের অপচয় কমানো যায় সেজন্য খাদ্য সরবরাহ ও ব্যবহারে উন্নতি করার কথা রিপোর্টে বলা হয়েছে।রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে ভারতে প্রতি বছর ৭৮ মিলিয়ন টনেরও বেশি খাবার নষ্ট হচ্ছে। জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচি (ইউএনইপি) প্রকাশিত নতুন প্রতিবেদন ‘ফুড ওয়েস্ট ইনডেক্স রিপোর্ট ২০২৪’এ এই তথ্য উঠে এসেছে।এর আগে ২০২১ সালে প্রকাশিত 'খাদ্য বর্জ্য সূচক প্রতিবেদন'-এ জনপ্রতি নষ্ট হওয়া খাদ্যের এই পরিসংখ্যান বার্ষিক ৫০ কেজি রেকর্ড করা হয়েছিল। আমরা যদি সেই বছর ভারতে পরিবারের মোট খাদ্য অপচয়ের দিকে তাকাই, তাহলে তা ছিল ৬.৮৮ কোটি টন।কিন্তু পরিহাসের বিষয় হলো দেশের ২৩.৪ কোটি মানুষ অপুষ্টির শিকার। জাতিসংঘের প্রকাশিত ‘দ্য স্টেট অফ ফুড সিকিউরিটি অ্যান্ড নিউট্রিশন ইন দ্য ওয়ার্ল্ড ২০২৩’-এর আরেকটি রিপোর্ট অনুসারে, ৭৪.১ শতাংশ ভারতীয়দের কাছে পুষ্টিতে ভরপুর একটি প্লেট বিলাসিতা থেকে কম নয়। .....বিস্তারিত পড়ুন


সম্পাদকীয়- আজ ‘রাজনীতি’- শব্দটা বড় লজ্জিত
এবারের লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই অভিমানের সুর শোনা গিয়েছে প্রায় সব দলের টিকিট না পাওয়া সদস্যদের গলায়। গত ১০ মার্চ ব্রিগেডে জন গর্জন সভা থেকে ৪২টি আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে তৃণমূল। তারপরই কেউ প্রকাশ্যে, কেউ অন্দরে রাগ-অভিমানের কথা জানান। রাজ্য সম্পাদক পদ থেকে সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ইস্তফা দেওয়ার পরই স্পষ্ট হয়ে যায়, তালিকা দেখে খুশি নন তিনিও ।অন্যদিকে বাংলায় ৩৮ আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে ফেলেছে পদ্ম শিবির বাকি আর মাত্র ৪ টি আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা। তালিকায় নিজের নাম না দেখে রুদ্রনীল ঘোষ সম্প্রতি বিজেপির বিভিন্ন অংশের সঙ্গে সম্পর্ক থাকা ৬৭টি হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ থেকেও বেরিয়ে গিয়েছেন। তারপর থেকেই তাঁর প্রার্থী তালিকায় ঠাঁই না পাওয়া নিয়ে নানা জল্পনা ছড়িয়েছেন। রাখঢাক না রেখে অভিমানের কথা প্রকাশ্যেও বলেছেন তিনি। রুদ্রনীলের কথায়, “যদি প্রার্থী তালিকার কথা বলেন, বলব একটু তো মন খারাপ হয়েছেই। আমি অভিমানী, বিক্ষুব্ধ এমনটা নয়।”বর্তমান রাজনীতিতে এমন উদাহরণ অজস্র। আজ ‘রাজনীতি’- শব্দটা বড় লজ্জিত। আমাদের দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে মানুষ যে ন্যায়, নীতি, আদর্শ নিয়ে রাজনীতির মঞ্চে আসতেন এবং দেশের মানুষের সেবা করার জন্য নিজের জীবন পর্যন্ত উৎসর্গ করতেন .....বিস্তারিত পড়ুন


Survey Analysis: ২০২৪ সালের আসন্ন সাধারণ নির্বাচনকে সামনে রেখে জনমত সমীক্ষার বিশ্লেষণ
উত্তরাপথঃসম্প্রতি বেশ কয়েকটি মিডিয়া হাউস দ্বারা ২০২৪ সালের আসন্ন সাধারণ নির্বাচনকে সামনে রেখে তাদের জনমত সমীক্ষা করেছে ।প্রায় সব সমীক্ষায়, ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে যে মোদি সরকার ২০২৪ সালের আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে প্রত্যাবর্তন করতে পারে। এই ভবিষ্যদ্বাণী রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং সাধারণদের মধ্যে আলোচনা ও বিতর্কের ঢেউ তুলেছে। জনমত সমীক্ষা, যা সারা দেশে বিভিন্ন জনসংখ্যা এবং বিভিন্ন অঞ্চলের ব্যক্তিদের উপর করা হয়, সমীক্ষায় বলা হয়েছে যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি জনসাধারণের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা এবং সমর্থন এখনও অব্যাহত।কোভিড -19 মহামারী পরিচালনা এবং বিতর্কিত নীতিগত সিদ্ধান্ত সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে মোদী সমালোচনার সম্মুখীন হওয়া সত্ত্বেও সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে যে জনসংখ্যার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ এখনও মোদীকে একজন শক্তিশালী এবং সক্ষম নেতা হিসাবে মনে করে।জনমত সমীক্ষাটির ফলাফলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। মোদি সরকারের সমর্থকরা খবরটিকে স্বাগত জানিয়েছে, এটিকে তারা গত কয়েক বছরে সরকারের নীতি এবং কর্মক্ষমতার সাফল্য হিসাবে দেখছে। তারা বিশ্বাস করে যে মোদির শক্তিশালী নেতৃত্ব এবং সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপগুলি চ্যালেঞ্জিং সময়ে দেশকে পরিচালনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল। .....বিস্তারিত পড়ুন


Climate Change affects: জাতিসংঘ জানিয়েছে জলবায়ু পরিবর্তনে মহিলাদের আর্থিক ক্ষতি বেশি হচ্ছে
উত্তরাপথঃ জলবায়ু পরিবর্তন (Climate Change) একটি বৈশ্বিক সংকট যা সারা বিশ্বের মানুষকে বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করছে। উষ্ণায়নের ঘটনা থেকে শুরু করে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সুদূরপ্রসারী এবং ধ্বংসাত্মক। জাতিসংঘ জানিয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনে উন্নয়নশীল দেশের পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের আর্থিক ক্ষতি বেশি হচ্ছে। জাতিসংঘের সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, নারী-পুরুষের ক্ষয়ক্ষতির হিসাবের এই ব্যবধান ভবিষ্যতে আরও বাড়তে পারে। গত ৫ মার্চ জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উষ্ণায়নের কারণে গ্রামীণ এলাকার পুরুষপ্রধান পরিবারগুলো যতটা আয় হারাচ্ছে, তার চেয়ে মহিলাপ্রধান পরিবারগুলোর আয় কমেছে আট শতাংশ বেশি। বন্যার ক্ষেত্রেও পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ প্রায় তিন শতাংশ বেশি।এ ব্যবধানের অর্থ হলো, বিশ্বের নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের হারানো আয় উষ্ণায়নের কারনে ৩ হাজার ৭০০ কোটি মার্কিন ডলার বেশি এবং বন্যার ক্ষেত্রে ১ হাজার ৬০০ কোটি ডলার বেশি। .....বিস্তারিত পড়ুন


সম্পাদকীয় - বিতর্কে দারিদ্র্যের মাপকাঠি নিয়ে সরকারের যুক্তি
র প্রধান বিষয় হয়ে উঠেছে। সরকারী পরিসংখ্যান অনুসারে, ভারত গত কয়েক দশকে দারিদ্র্য হ্রাসে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে। সরকার দাবি করছে যে দারিদ্র্যের হার ২০০৪-০৫ সালে ৩২.৭% থেকে ২০১১ -১২ সালে ২১.২% এবং ২০১৯ -২০ সালে আরও ৯.২%-এ নেমে এসেছে। অন্যদিকে চলতি অর্থবছরের চতুর্থ ত্রৈমাসিকে আর্থিক প্রবৃদ্ধির হার রেকর্ড করা হয়েছে ৮.৪ শতাংশ। নিঃসন্দেহে এটি একটি উৎসাহব্যঞ্জক পরিসংখ্যান। এটি ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের অনুমানের চেয়ে অনেক বেশি। এভাবেই চলতি অর্থবছরের জিডিপি সব হিসাব ছাড়িয়ে যাচ্ছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক তার পুরনো অনুমান পরিবর্তন করে পুরো বছরের জন্য ৭.৭ শতাংশ আর্থিক বৃদ্ধি রেকর্ড করেছে।উচ্চ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হারের পেছনে প্রধান কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে উৎপাদন খাতের ভালো কর্মক্ষমতা, কর আদায় বৃদ্ধি এবং ভর্তুকি ব্যয় হ্রাস।এটি অবশ্যই পাঁচ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি তৈরির সরকারের ইচ্ছাকে আরও শক্তিশালী করবে।তবে এই পরিসংখ্যান অনেক বিশেষজ্ঞদের দ্বারা সংশয় সঙ্গে দেখা হচ্ছে. তারা যুক্তি দেখান যে দারিদ্র্য পরিমাপের জন্য সরকারের পদ্ধতি ত্রুটিপূর্ণ এবং দেশে বঞ্চনার প্রকৃত মাত্রা সঠিকভাবে এতে ধরা পড়ছে না। কিন্তু এই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার স্তরে স্তরে পরীক্ষা করলে অনেক অসঙ্গতিপূর্ণ পরিস্থিতিও দেখা যাবে। .....বিস্তারিত পড়ুন


সরকারি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষাগুলিকে কি দুর্নীতি মুক্ত করা সম্ভব?
গার্গী আগরওয়ালা মাহাতোঃ প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষাগুলির মাধ্যমে সরকারি চাকরিতে নিয়োগকে কেন্দ্র করে ভুরি ভুরি অভিযোগ প্রায় সমস্ত রাজ্য সরকারগুলির বিরুদ্ধে। গত ১৭ ও ১৮ তারিখে উত্তরপ্রদেশে পুলিশ নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল হওয়ায় আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। পঞ্চাশ লাখের বেশি তরুণ-তরুণী এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল।এই অবস্থায় হতাশাগ্রস্ত যুবকদের, সিস্টেমকে অভিশাপ দেওয়া আর আফসোস করা ছাড়া আর কোন উপায় নেই।আমাদের দেশে সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে পরীক্ষা বাতিলের এর আগেও বহু উদাহরণ রয়েছে। ২০২২ সালে রাজস্থানের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা পেপার ফাঁসের পর বাতিল হয়ে যায়। ২০২৩ সালের মার্চ মাসে তেলেঙ্গানা স্টেট পাবলিক সার্ভিস কমিশন (টিএসপিএসসি)পেপার ফাঁসের কারণে সহকারী প্রকৌশলী, পৌর সহকারী প্রকৌশলী, টেকনিক্যাল অফিসার এবং বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে জুনিয়র টেকনিক্যাল অফিসার পদের নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করে দিয়েছিলেন।পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রেও সরকারি শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে বহু অভিযোগ রয়েছে।যদি সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হয় বা টাকা নিয়ে নিয়োগে কারচুপি করা হয়, তাহলে সেই প্রার্থীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন যারা নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণের চেষ্টা করছেন সততার সাহায্যে বা মেধার ভিত্তিতে। .....বিস্তারিত পড়ুন


দলত্যাগ বিরোধী আইনের প্রাসঙ্গিকতা
উত্তরাপথঃ সদ্য সমাপ্ত রাজ্যসভা নির্বাচনে, বিশেষ করে উত্তরপ্রদেশ, হিমাচল প্রদেশ এবং কর্ণাটকে বিধায়করা যেভাবে দলীয় নির্দেশকে অমান্য করে নিজেদের অন্তরাত্মার টানে দলের বিরুদ্ধে ভোট দিলেন তাতে আবারও রাজনীতিবিদদের দলীয় আনুগত্য এবং দলত্যাগ বিরোধী আইনের প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। দলত্যাগ বিরোধী আইন, ১৯৮৫সালে ভারতীয় সংবিধানের ৫২ তম সংশোধনীর মাধ্যমে প্রবর্তিত হয়েছিল, যার উদ্দেশ্য ছিল বিধায়কদের ব্যক্তিগত লাভের জন্য দল বদল করার অভ্যাস রোধ করা। আইনটি নির্বাচিত প্রতিনিধিদের অন্য রাজনৈতিক দলে যোগদান করতে নিষেধ করে এবং যদি তারা তা করে তবে তাদের নির্দিষ্ট সদস্যপদ অযোগ্য ঘোষণা করা যেতে পারে।যদিও দলত্যাগ বিরোধী আইনটি রাজনৈতিক ব্যবস্থায় দলীয় আনুগত্য এবং স্থিতিশীলতাকে উন্নত করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে, রাজনৈতিক দলগুলি তাদের সদস্যদের মধ্যে ভিন্নমতকে দমিয়ে রাখার জন্য এবং নির্বাচিত প্রতিনিধিদের বিবেক অনুযায়ী ভোট দেওয়ার স্বাধীনতা সীমিত করার জন্য আইনটি ব্যবহার করে।আবার এর একটি ভিন্নমত হল রাজনৈতিক দলগুলি এই আইনটির মাধ্যমে তাদের দলীয় অনুশাসন বজায় রাখে। .....বিস্তারিত পড়ুন