#High-fat foods: উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবার মাত্র ৩ দিনের মধ্যে  মস্তিষ্কের ক্ষতি করতে পারে

উত্তরাপথঃ একটি নতুন গবেষণায় দেখা গেছে যে স্যাচুরেটেড ফ্যাটযুক্ত খাবার খেলে দ্রুত মস্তিষ্কের সমস্যা হতে পারে, এমনকি যদি আপনার ওজন নাও বাড়ে। গবেষকরা ৩ দিন বা ৩ মাস ধরে অল্প বয়স্ক এবং বয়স্ক ইঁদুরদের উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়ানোর মাধ্যমে পরীক্ষা করেছেন। ৩ মাস পর, দেখা যায় ইঁদুরদের ওজন বৃদ্ধি, বিপাকীয় সমস্যা এবং অন্ত্রের সমস্যা দেখা দিয়েছে, যা প্রত্যাশিত ছিল। তবে, মাত্র ৩ দিন পর, শুধুমাত্র বয়স্ক ইঁদুরদের মস্তিষ্কের প্রদাহ এবং স্মৃতি সমস্যার লক্ষণ দেখা গেছে।তবে স্বল্পমেয়াদী উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়ার পরে ছোট ইঁদুরদের স্মৃতি সমস্যা দেখা দেয়নি, যা ইঙ্গিত দেয় যে তারা আরও বেশী সহনশীল।

  মূল ফলাফল

– বয়স্ক ইঁদুরদের মস্তিষ্কের প্রদাহ এবং স্মৃতিশক্তি হ্রাস খুব দ্রুত ঘটে—কয়েক দিনের মধ্যে।

– ওজন বৃদ্ধি বা ওজন-সম্পর্কিত স্বাস্থ্য সমস্যার আগে এই মস্তিষ্কের পরিবর্তনগুলি ঘটে।

– এটি দেখায় যে অস্বাস্থ্যকর খাবার মস্তিষ্ককে সরাসরি এবং দ্রুত প্রভাবিত করে, কেবল স্থূলতার মাধ্যমে নয়।

বয়স্ক মস্তিষ্ক কেন বেশি প্রভাবিত হয়

– বার্ধক্য মস্তিষ্ককে অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের প্রতি আরও সংবেদনশীল করে তোলে।

– বয়স্ক মস্তিষ্কে বেশি প্রদাহ থাকে এবং খারাপ খাবারের সাথে মানিয়ে নেওয়া ক্ষমতা কম থাকে।

– গবেষণায় ৬০% ক্যালোরি চর্বি থেকে আসে এমন একটি খাদ্য ব্যবহার করা হয়েছে – যা হট ডক জাতীয় ফাস্ট ফুডের মতো।

এর অর্থ কী

– প্রচুর পরিমাণে স্যাচুরেটেড ফ্যাট খাওয়া আপনার মস্তিষ্কের দ্রুত ক্ষতি করতে পারে, বিশেষ করে বয়স বাড়ার সাথে সাথে।

– মস্তিষ্কের প্রদাহ এবং স্মৃতিশক্তির সমস্যা কেবল কয়েক মাসে নয়, কয়েক দিনেই হতে পারে।

– মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য খাদ্যাভ্যাসের যত্ন নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে বয়স্কদের জন্য।

অর্থাৎ অত্যধিক অস্বাস্থ্যকর চর্বি খাওয়ার ফলেও বয়স্কদের মধ্যে মস্তিষ্কের প্রদাহ এবং স্মৃতিশক্তির সমস্যা দেখা দিতে পারে, ওজন বৃদ্ধির মতো শারীরিক লক্ষণ দেখা দেওয়ার অনেক আগেই এই ব্যাপারে সতর্ক হতে হবে।

সূত্রঃ “Obesity-associated memory impairment and neuroinflammation precede widespread peripheral perturbations in aged rats” by Michael J. Butler, Stephanie M. Muscat, Maria Elisa Caetano-Silva, Akriti Shrestha, Brigitte M. González Olmo, Sabrina E. Mackey-Alfonso, Nashali Massa, Bryan D. Alvarez, Jade A. Blackwell, Menaz N. Bettes, James W. DeMarsh, Robert H. McCusker, Jacob M. Allen and Ruth M. Barrientos, 3 January 2025, Immunity & Ageing.
DOI: 10.1186/s12979-024-00496-3

খবরটি শেয়ার করুণ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন


Electoral Bond এর গোপনীয়তা সরিয়ে রাজনৈতিক দলগুলিকে, জানাতে হবে প্রাপ্ত অনুদানের পরিমাণ

উত্তরাপথঃ বুধবার, নির্বাচনী বন্ড (Electoral Bond)প্রকল্পের আইনি বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদনের শুনানি হয়। শীর্ষ আদালত তার মন্তব্যে বলেছে, 'নির্বাচনী বন্ডগুলি রাজনৈতিক দলগুলিকে বেনামী অর্থ প্রদান করে, কারণ তাদের কেনাকাটা সম্পর্কিত রেকর্ডগুলি স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার কাছে উপলব্ধ যা শুধুমাত্র তদন্তকারী সংস্থাগুলি অ্যাক্সেস করতে পারে৷ এর আগে নির্বাচনী বন্ড’ (Electoral Bond) সংক্রান্ত মামলায় সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) কেন্দ্র দাবি করেছিল, রাজনৈতিক দলগুলির আয়ের উৎস জানার অধিকার নেই জনতার।এবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তৎপর হল নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)।বুধবার বিকেল ৫টার মধ্যে যাবতীয় হিসেব জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কমিশনের তরফে।নির্বাচনী বন্ডের (Electoral Bond)মামলায় কেন্দ্রের আর্জি সত্বেও সুপ্রিম কোর্ট রাজনৈতিক দলগুলিকে আয়ের উৎস জানাতে বলেছিল। আদলত নির্দেশ দিয়েছিল, গত ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোন রাজনৈতিক দল কত অনুদান মিলেছে, সেই তথ্য বন্ধ খামে জানাতে হবে।এর আগেও নির্বাচনী বন্ডের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে একাধিক মামলা হয়েছে শীর্ষ আদালতে। মামলাকারীরা অভিযোগ করেছিলেন, রাজনৈতিক দলগুলি এই নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে অবৈধ অর্থ বিদেশ থেকে পেতে পারে এর ফলে গণতন্ত্র ধ্বংস হবে। যদিও কোনও রাজনৈতিক দলই এই দাবি মানতে চায়নি। ৩ অক্টোবর মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সব তথ্য দিতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। এই রায়ের পরেই তৎপর হল কমিশন। .....বিস্তারিত পড়ুন

Fried rice syndrome: আগের দিনের রান্না করা ভাত খেলে হতে পারে এই বিশেষ অসুখটি

উত্তরাপথঃ আপনার কি বাসী ভাত বা পান্তা খাওয়ার অভ্যেস আছে? সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়া তোলপাড় ফ্রাইড রাইস সিনড্রোম (Fried rice syndrome) নিয়ে আমরা প্রায়ই অবশিষ্ট খাবার গরম করে আবার খাই। কিন্তু জানেন কি এই অভ্যাস আপনাকে অসুস্থ করে তুলতে পারে। অনেক সময় পর আগের রান্না করা  ভাত খাওয়ার ফলে পেট সংক্রান্ত সমস্যা হয়। কেউ কেউ মনে করেন যে খাবার পুনরায় গরম করলে এতে উপস্থিত ব্যাকটেরিয়া মারা যায়, কিন্তু তা নয়। যে খাবারেই স্টার্চ থাকে না কেন, এতে উপস্থিত টক্সিন তাপ প্রতিরোধী। অর্থাৎ খাবার গরম করার পরও ব্যাকটেরিয়া নষ্ট হয় না। ফ্রাইড রাইস সিনড্রোম নামে এই সমস্যা সম্পর্কিত একটি অবস্থা রয়েছে। আজ আমরা এই ফ্রাইড রাইস সিনড্রোম অবস্থার লক্ষণ, কারণ এবং প্রতিকার নিয়ে আলোচনা করব। ভাত রান্না করার পর, যখন অবশিষ্ট ভাত কয়েক ঘন্টা বা সারারাত ঘরের তাপমাত্রায় রেখে দেওয়া হয় এবং তাতে ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে শুরু করে, তখন এই অবস্থার নাম দেওয়া হয়েছে ফ্রাইড রাইস সিনড্রোম। .....বিস্তারিত পড়ুন

Free Gift in Politics: ভারতের নির্বাচন ও ফ্রি গিফট সংস্কৃতি

উত্তরাপথঃ ফ্রি গিফট (Free gift in politics)এর রাজনীতি সম্প্রতি ভারতের নির্বাচনী রাজনীতিতে একটি বিশিষ্ট ভূমিকা পালন করছে। বিনামূল্যে কোটি কোটি জনগণকে উপহার প্রদান যা রাজকোষের উপর অতিরিক্ত বোঝা ফেলবে এই সত্যটি জানা সত্ত্বেও, রাজনৈতিক দলগুলি ভোটারদের আকৃষ্ট করার জন্য ফ্রি গিফট (Free gift in politics) দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচনের দৌড়ে একে অপরের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।এক সময় প্রয়াত তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জে জয়ললিতা বিনামূল্যে শাড়ি, প্রেসার কুকার, ওয়াশিং মেশিন, টেলিভিশন সেট ইত্যাদির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটের আগে যে বিনামূল্যের সংস্কৃতি শুরু করেছিলেন তা পরবর্তী কালে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলি দ্রুত অনুসরণ করেছিল। এরপর ২০১৫ সালে আম আদমি পার্টি নেতৃত্ব দিল্লির ভোটারদের কাছে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ, জল, বাস ভ্রমণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভ করেছিল। .....বিস্তারিত পড়ুন

সম্পাদকীয়-  রাজনৈতিক সহিংসতা ও আমাদের গণতন্ত্র

সেই দিনগুলো চলে গেছে যখন নেতারা তাদের প্রতিপক্ষকেও সম্মান করতেন। শাসক দলের নেতারা তাদের বিরোধী দলের নেতাদের কথা ধৈর্য সহকারে শুনতেন এবং তাদের সাথে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতেন।  আজ রাজনীতিতে অসহিষ্ণুতা বাড়ছে।  কেউ কারো কথা শুনতে প্রস্তুত নয়।  আগ্রাসন যেন রাজনীতির অঙ্গ হয়ে গেছে।  রাজনৈতিক কর্মীরা ছোটখাটো বিষয় নিয়ে খুন বা মানুষ মারার মত অবস্থার দিকে ঝুঁকছে। আমাদের দেশে যেন রাজনৈতিক সহিংসতা কিছুতেই শেষ হচ্ছে না।আমাদের দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার চেয়ে রাজনৈতিক সংঘর্ষে বেশি মানুষ নিহত হচ্ছেন।  ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো (এনসিআরবি) অনুসারে, ২০১৪ সালে, রাজনৈতিক সহিংসতায় ২৪০০ জন প্রাণ হারিয়েছিল এবং সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় ২০০০ জন মারা গিয়েছিল।  আমরা পৃথিবীর বৃহত্তম গণতন্ত্র হিসেবে আমাদের দেশের গণতন্ত্রের জন্য গর্বিত হতে পারি, কিন্তু এটা সত্য যে আমাদের সিস্টেমে অনেক মৌলিক সমস্যা রয়েছে যা আমাদের গণতন্ত্রের শিকড়কে গ্রাস করছে, যার জন্য সময়মতো সমাধান খুঁজে বের করা প্রয়োজন। .....বিস্তারিত পড়ুন

Scroll to Top