Karar Oi Lauh Kapat: কাজী নজরুলের এই গানকে ঘিরে  বিতর্কে এ আর রহমান

উত্তরাপথঃ বিতর্কে ‘পিপ্পা’ ছবির সঙ্গীত পরিচালক অস্কারজয়ী সুরকার এ আর রহমান।সম্প্রতি কবি কাজী নজরুল ইসলামের পরিবার একটি হিন্দি ছবিতে কবির জনপ্রিয় গান ‘করার ঐ লৌহ কাপাত…’ (Karar Oi Lauh Kapat )।কিন্তু এ আর রহমানের সঙ্গীত পরিচালনায় ওই গানটি যেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে তাতে আপত্তি জানিয়েছে নজরুল পরিবার।বিতর্কের পর যে চুক্তির আওতায় ওই গানটি ছবিতে ব্যবহার করা হয়েছে তা প্রকাশ্যে আনার দাবি তুলেছে কবির পরিবার।

 ‘পিপ্পা’ শিরোনামের হিন্দি চলচ্চিত্রটি যেখানে (Karar Oi Lauh Kapat )গানটি ব্যবহার করা হয়েছে তা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নেওয়া একজন ভারতীয় সেনা সৈনিককে কেন্দ্র করে একটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত। ছবির সঙ্গীত পরিচালক অস্কারজয়ী সুরকার এ আর রহমান। গানের কথা ঠিক রেখেও সুর পাল্টানোর অভিযোগে ভারত ও বাংলাদেশে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।কবির পরিবারের অভিযোগ, গানটি ব্যবহারের অনুমতি দিলেও সুর পরিবর্তনের অনুমতি দেওয়া হয়নি।পরিবারের সদস্যরাও ছবিটি থেকে গানটি বাদ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

 ২০২১ সালে প্রযোজনা সংস্থা এবং কবির পুত্রবধূ কল্যাণী কাজীর মধ্যে এই জনপ্রিয় গানটি(Karar Oi Lauh Kapat) ছবিতে ব্যবহারের জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল।  এর বিনিময়ে তাকে দুই লাখ টাকা রয়্যালিটিও দেওয়া হয়।তবে তার পরিবারের দাবি, চুক্তিতে গানের সুর বিকৃত করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। এটা চুক্তির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

ভারতীয় কপি রাইট আইন অনুসারে, ২০৩৬ সাল পর্যন্ত কবির সমস্ত কাজের কপিরাইট তার পরিবারের কাছে আছে।এখন নজরুল পরিবারের দাবি, চলচ্চিত্রে তাদের পরিবারের প্রতি যে বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়েছে তা মুছে ফেলা হোক এবং সম্ভব হলে সেই গানটিও চলচ্চিত্র থেকে বাদ দেওয়া হোক। তবে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান চুক্তি লঙ্ঘন করলে তারা আইনি ব্যবস্থা নেবে কি না তা স্পষ্ট নয়।

 তবে ‘পিপ্পা’ ছবির প্রযোজক, পরিচালক ও সুরকারের বক্তব্য,আমাদের উপস্থাপনাটি একটি সৎ শৈল্পিক ব্যাখ্যা, যা এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় অধিকার পাওয়ার পরেই করা হয়েছিল। ছবির প্রযোজক  সংস্থার পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, আমাদের  প্রয়াত শ্রী কাজী নজরুল ইসলামের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা রয়েছে, যিনি ভারতীয় উপমহাদেশের সংগীত, রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিবেশে অপরিসীম অবদান রেখেছিলেন। এই অ্যালবামটি সেই নর-নারীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তৈরি করা হয়েছে। যিনি বাংলাদেশের মুক্তি এবং স্বাধীনতা, শান্তি ও ন্যায়বিচারের সংগ্রামের চেতনাকে অক্ষুণ্ন রেখে তাঁর সমগ্র জীবন অতিবাহিত করেছেন।

খবরটি শেয়ার করুণ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন


 সম্পাদকীয়

পশ্চিমবঙ্গের ছোট-বড় যে কোনও নির্বাচন মানেই রাজনৈতিক হিংসা । সদ্য অনুষ্ঠিত পঞ্চায়েত নির্বাচনও তার ব্যতিক্রম নয়।রাজনৈতিক হিংসা যাতে না হয় নির্বাচনে তার জন্য যাবতীয় উদ্যোগ গ্রহণ করার পরও হিংসা অব্যাহত থাকল, সারা রাজ্যজুরে ঘটল তেরোটি মৃত্যুর ঘটনা ।পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে  ঘট হিংসা রাজ্যের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহ নাগরিকদের ভোটাধিকার নিয়ে আমাদের সামনে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। আমাদের রাজ্যে চলতে থাকা রাজনৈতিক হিংসার পেছনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ একাধিক কারণ থাকলেও বেকারত্ব সহ দুর্বল গ্রামীন অর্থনীতি এর প্রধান কারণ । দুর্বল গ্রামীন অর্থনীতির কারণে বেশীরভাগ গ্রামীন এলাকার মানুষদের অর্থনৈতিক উপার্জনের সুযোগ খুব কম। বিশেষত স্বল্প শিক্ষিত সেই সব মানুষদের যারা না পায় সরকারি চাকুরি না পারে ঠিকা শ্রমিকের কাজ করতে, গ্রামীন অর্থনীতিতে বিশাল সংখ্যক মানুষ এই শ্রেনীর অন্তর্গত .....বিস্তারিত পড়ুন

Scroll to Top