Super Buffalo: সুলতান, যুবরাজের পর রাজা এখন উদয়পুরে

উত্তরাপথ

সুলতান ও যুবরাজের পর রাজা (Super Buffalo)এখন উদয়পুরে। গত দুই দিন যাবৎ রাজস্থানের উদয়পুরে কিশান মহৎসব শুরু হয়েছে। এই মহৎসবে বিভিন্ন জায়গা থেকে হাজার হাজার কৃষক যোগ দেয়।উৎসবে আগত কৃষকদের পশুপালনে উৎসাহিত করতে হাজির হন ‘‘চুরু কা রাজা’। বর্তমানে উদয়পুরের কিশান মহৎসবের মূল আকর্ষণই এই রাজা ।এই রাজার  বর্তমান বাজার মূল্য শুনলে চোখ মাথায় উঠবে। রাজার মালিক পবন কুমার জাঠের মতে রাজার বর্তমান বাজার মূল্য ৪ কোটি টাকা ।পুস্কর পশুমেলাতে একবার রাজার দাম উঠেছিল ৮ কোটি টাকা । রাজার এই দামের পেছনে আসল কারণ হল রাজার সিমেন। প্রতিমাসে রাজার মালিক সিমেন বিক্রি করে ৩-৪ লাখ টাকা উপার্জন করে।

রাজা হল মুরা জাতের ষাঁড়। এদের কানের শেষপ্রান্ত মুড়ানো থাকে এবং ওজন সাধারণ ষাঁড়দের তুলনায় তিনগুন হয়। এক একটি মুরা জাতের ষাঁড়ের ওজন ১৫০০ কেজির বেশী হয়। এদের উচ্চতা ৫ ফিটের বেশী হয় এবং লম্বা প্রায় ৭ ফিট মতো হয়। রাজার মালিকের কথায় ,রাজাকে সারাদিন কুলার চালিয়ে রাখা হয় এবং বিকেলের দিকে বাইরে ঘুরতে নিয়ে যাওয়া হয়। রাজার পরিচর্যার জন্য মালিকের মাসে ২৫-৩০ হাজার টাকা খরচ হয়।

তবে রাজাই প্রথম নয় এর আগে সুলতান ছিল যার দাম দক্ষিণ আফ্রিকার এক কৃষক বলেছিল ২১ কোটি টাকা ।হরিয়ানার সুলতানের মালিকের নাম নরেশ বেনিয়াল। সুলতানের পেছনে মালিকের প্রতিদিন ২০০০-৩০০০ খরচ হত। সুলতানের খাবারে প্রতিদিন দেশী ঘি এর মলিদা ,গাজর ও বিভিন্ন শস্য থাকত । তবে বর্তমানে সুলতান আর নেই । ১৪ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়।

 ভারতের সবচেয়ে দামী ষাঁড় হল কুরুক্ষেত্রের যুবরাজ।এটি লম্বায় ৭ ফিট এবংপ্রায় ৬ ফিট এর উচ্চতা। এর একবারের সিমেন থেকে ৫০০ ডোজ বানানো যায় ।যুবরাজ ৪ বছরে ১.৫ লক্ষ বেবির বাবা ।এদের থেকে যেসব বেবি হয় তারাও এই একই জাতীয় ষাঁড় হয়। প্রতিদিন এরা ২০ কেজি দুধ দেয়।  

খবরটি শেয়ার করুণ

1 thought on “Super Buffalo: সুলতান, যুবরাজের পর রাজা এখন উদয়পুরে”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন


সম্পাদকীয়

এ যেন বহুদিন পর বিজেপির চেনা ছন্দের পতন। হিমাচল প্রদেশের পর কর্ণাটক কংগ্রেস নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে বিজেপির বিজয়রথকে থামিয়ে দিল ।২০১৮ পর থেকে লাগাতার হারতে থাকা একটি দল আবার ২০২৪ সাধারণ নির্বাচনে প্রাসঙ্গিক হয়ে গেল । ২২৪ সদস্যের কর্ণাটক বিধানসভায় সরকার গঠন করতে গেলে প্রয়োজন ১১৩টি আসন সেখানে কংগ্রেস একাই পেয়েছে ১৩৬টি আসন, বিজেপি পেয়েছে ৬৫ টি এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবগৌড়ার জেডিএস পেয়েছে ১৯টি এবং অন্যান্য ৪ টি আসন পেয়েছে। যা গতবারের তুলনায় বিজেপির ৩৯ টি আসন কমেছে এবং কংগ্রেসের বেড়েছে ৫৭টি আসন এবং জেডিএসের কমেছে ১৮ টি আসন।   কর্ণাটকে কংগ্রেসের এই সাফল্য কি রাজ্যে কংগ্রেসের শক্তিশালী সংগঠনের ফল না কি কর্ণাটকের আগের ক্ষমতাশীল বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভ । কর্ণাটকে কংগ্রেসে অনেক বড় নেতা রয়েছে।  প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শিবকুমার দক্ষ সংগঠক। আগের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়ার ব্যাপক জনভিত্তি রয়েছে।  ভোটের আগে বিজেপির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগদীশ শেট্টার এবং উপমুখ্যমন্ত্রী সাভাড়ি কংগ্রেসে যোগ দিয়ে নির্বাচনে লড়েছেন। অন্যদিকে বিজেপির প্রচারের সবচেয়ে বড় মুখ ছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। বিজেপির প্রচারে সব নেতারাই মোদীর নাম করেই ভোট চেয়েছিলেন কিন্তু শেষ রক্ষা হল না ।কর্ণাটকের বিজেপি সরকারের ব্যাপক দুর্নীতি সেই সাথে কংগ্রেসের লাগাতার প্রচার যা প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার সুরকে আরও তীব্র করেছে। তাই শুধুমাত্র মোদী ম্যাজিকের উপর ভর করে নির্বাচন জেতা যে  আর বিজেপির পক্ষে সম্ভব নয় কর্ণাটকের জনগণ চোখে হাত দিয়ে তাই দেখিয়ে দিল। .....বিস্তারিত পড়ুন

বেতন, মাসে ৩০,০০০ আর সম্পত্তির মালিকানা ৭ কোটির বেশী

উত্তরাপথ: এ এক দুর্নীতির অনন্য নজির যা পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিবিদদের দুর্নীতি কে লজ্জায় ফেলবে । দুর্নীতির এই অভিযোগটি উঠেছে মধ্যপ্রদেশ পুলিশ হাউজিং কর্পোরেশনের সহকারী প্রকৌশলী ইনচার্জ হেমা মীনার বিরুদ্ধে।মধ্যপ্রদেশের সরকারি কর্মকর্তা দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের পর হেমা মীনা প্রচার মাধ্যমের নজরে আসে । এখন প্রশ্ন কে এই হেমা মীনা ? মধ্যপ্রদেশ পুলিশ হাউজিং কর্পোরেশনের চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োজিত সহকারী প্রকৌশলী ইনচার্জ যিনি মাসে ৩০,০০০ টাকা আয় করেন । দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে তার বাড়ি থেকে সাতটি বিলাসবহুল গাড়ি, ২০,০০০ বর্গফুট .....বিস্তারিত পড়ুন

Scroll to Top