

কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী ছবি – ফেসবুক
উত্তরাপথঃ কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরীর (Adhir Ranjan Chowdhury) সাসপেনশন প্রত্যাহার হওয়ার মুখে। এক সূত্রের খবর, বুধবার সংসদের প্রিভিলেজ কমিটি অধীরের সাসপেনশন প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে,এবং তারা এই ব্যাপারে তাদের সিদ্ধান্ত লোকসভার স্পিকারকে সুপারিশ আকারে জানাবে ।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ১০ আগস্ট সংসদে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার সময় অধীর চৌধুরী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) হিন্দু মহাকাব্য মহাভারতের অন্ধ ধৃতরাষ্ট্রের সাথে তুলনা করেছিলেন। তিনি বলেন, “যব ধৃতরাষ্ট্র আন্ধে থে, ট্যাব দ্রৌপদী কা বস্ত্র হারান হুয়া থা, আজ ভি রাজা আন্ধে বঠে হ্যায়… মণিপুর অর হস্তিনাপুর মে কোই ফার্ক নাহি হ্যায়।”সেই সাথে তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদিকে পলাতক নীরব মোদির সঙ্গেও তুলনা করেছিলেন। চৌধুরীর বক্তব্যে শাসক দলের তীব্র বিরোধিতা দেখা দেয়। জোশী বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ মেনে নেওয়া যায় না। এরপর লোকসভার কংগ্রেসের দলনেতার সেই মন্তব্যকে অসংসদীয় বলে দেগে দেন স্পিকার। তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়। সেই সঙ্গে জানিয়ে দেওয়া হয় প্রিভিলেজ কমিটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না জানানো অবধি সাসপেন্ডই থাকবেন অধীর।
গত ১৮ আগস্ট অধীর চৌধুরীর সাসপেনশন নিয়ে প্রিভিলেজ কমিটির বৈঠকে প্রবল বাদানুবাদ হয়। কংগ্রেস, তৃণমূল, ডিএমকে-র মতো বিরোধী সাংসদদরা কোনওরকম তলব না করেই অধীরের শাস্তি প্রত্যাহারের দাবি জানান। তাঁদের যুক্তি ছিল, ইতিমধ্যেই যা শাস্তি পাওয়ার পেয়ে গিয়েছেন অধীর। ফলত তাকে আর প্রিভিলেজ কমিটিতে তলব করার প্রয়োজন নেই। পালটা বিজেপি (BJP) সাংসদরা যুক্তি দেন, যেহেতু প্রিভিলেজ কমিটিতে বিষয়টি এসেছে, ফলে অভিযুক্তের বক্তব্য না শুনে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। শেষমেশ বুধবার বহরমপুরের সাংসদকে প্রিভিলেজ কমিটির সামনে হাজিরা দিতে বলা হয়।
বুধবার প্রিভিলেজ কমিটির বৈঠকে হাজিরা দেন কংগ্রেস সাংসদ। সূত্রের খবর, চৌধুরী বিজেপি সদস্য সুনীল কুমার সিং-এর সভাপতিত্বে প্রিভিলেজ কমিটিকে বলেছিলেন যে কারো অনুভূতিতে আঘাত করা তার উদ্দেশ্য ছিল না এবং তার দ্বারা করা কিছু মন্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন বলে জানা গেছে। অধীরের বক্তব্যে সন্তুষ্ট হয়ে তাঁর সাসপেনশন প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেয় প্রিভিলেজ কমিটি। সেই সিদ্ধান্তই এবার সুপারিশ করা হবে স্পিকারকে। অর্থাৎ সব ঠিক থাকলে শীতকালীন অধিবেশনেই ফের সংসদে দেখা যাবে অধীরকে।প্রসঙ্গত উল্লেখ্য কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী বহরমপুর থেকে নির্বাচিত কংগ্রেসের পাঁচ বারের সাংসদ ।
আরও পড়ুন
Bandna Festival: ছোটনাগপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল পাঁচ দিন বাঁদনার আমেজে মশগুল থাকে
বলরাম মাহাতোঃ চিরাচরিত রীতি অনুযায়ী কার্তিক অমাবস্যার আগের দিন থেকে মোট পাঁচ দিন ব্যাপী বাঁদনার(Bandna Festival) আমেজে মশগুল থাকে ছোটনাগপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। অবশ্য, পরবের শুভ সূচনা হয় তারও কয়েকদিন আগে। আদিবাসী সম্প্রদায়ের সামাজিক শাসন ব্যবস্থার চূড়ামণি হিসাবে গাঁয়ের মাহাতো, লায়া, দেহরি কিম্বা বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি নির্ধারণ করেন- ৩, ৫, ৭ বা ৯ ক’দিন ধরে গবাদি পশুর শিং-এ তেল মাখাবে গৃহস্বামী! রুখামাটির দেশের লোকেরা কোনোকালেই মাছের তেলে মাছ ভাজা তত্ত্বের অনুসারী নয়। তাই তারা গোরুর শিং-এ অন্য তেলের পরিবর্তে কচড়া তেল মাখানোয় বিশ্বাসী। কারণ কচড়া তেল প্রস্তুত করতে গোধনকে খাটাতে হয় না যে! কচড়া তেলের অপ্রতুলতার কারণে বর্তমানে সরষের তেল ব্যবহৃত হলেও, কচড়া তেলের ধারণাটি যে কৃষিজীবী মানুষের গবাদি পশুর প্রতি প্রেমের দ্যোতক, তা বলাই বাহুল্য! এভাবেই রাঢ বঙ্গে গোবর নিকানো উঠোনে হাজির হয়- ঘাওয়া, অমাবস্যা, গরইয়া, বুঢ়ি বাঁদনা ও গুঁড়ি বাঁদনার উৎসবমুখর দিনগুলি। পঞ্চদিবসে তেল দেওয়া, গঠ পূজা, কাঁচি দুয়ারি, জাগান, গহাইল পূজা, চুমান, চউক পুরা, নিমছান, গোরু খুঁটা, কাঁটা কাঢ়া প্রভৃতি ১১টি প্রধান পর্ব সহ মোট ১৬টি লোকাচারের মাধ্যমে উদযাপিত হয় বাঁদনা পরব(Bandna Festival )। .....বিস্তারিত পড়ুন
সহযাত্রী
দীপা - আর তো এগারো বছর আটমাস বারোদিন চাকরি , তাই না ? অংশু - বাপরে বরাবরই তোমার স্মৃতিশক্তি প্রবল , এতোটা মনে আছে ? দীপা- ঘোরো টো টো করে আর কটা বছর , আফটার রিটায়ার্ড মেন্ট কি করবে ? অংশু - ফার্ম হাউস ,গাছপালা পশুপাখি নিয়ে থাকবো। দীপা- বাঃ উন্নতি হয়েছে। যে অংশুবাবু কখনও একটা ফুলের চারা লাগায়নি সে কিনা ফার্ম হাউস করবে … অংশু - সময়ের সাথে সব বদলায় ম্যাডাম , আচ্ছা তোমার কনুইয়ের নীচে সেই পোড়া দাগটা দেখি তো গেছে কিনা … দীপা- তুমি অনেক রোগা হয়ে গেছো , তা ওজন কত শুনি ? অংশু - সত্তর বাহাত্তর হবে বোধহয় মাপিনি, দীপা - তা কেনো মাপবে ? একটা অগোছালো মানুষ। অংশু - যাক বাবা তাও অপদার্থ শব্দ টা বলোনি। দীপা - ভাবোনা ডিভোর্স হয়েছে বলে সে অধিকার নেই। সমাজ বিজ্ঞানের অধ্যাপক হয়েও আসলে সমাজটাই শেখোনি , আর কি শিখেছো বলো, ঐ ছেলে পড়ানো , সেমিনার আর লেখালেখি। তা ধন্যবাদ তোমার রূপালী ঠৌট উপন্যাস এবছর একাডেমি পেলো , দারুণ লেখো তুমি, আগের চেয়ে অনেক ধার। অংশু- বাঃ তুমি পড়েছো ? দীপা- সব পড়েছি , তোমার রিসেন্ট উপন্যাসের নায়িকা মেঘনা টি কে ? মানে কার আড়ালে কাকে লিখেছো ? অংশু - এও কি বাংলা সাহিত্যের অধ্যাপিকাকে বলে দিতে হবে ? দীপা- বারোটা বছর সময়ের শাসনে অনেক বদলালেও আমি বোধহয় সেই বড্ড সেকেলেই রয়ে গেলাম। অংশু - একা একাই কাটিয়ে দিলে বারো বছর। দীপা- একই প্রশ্ন আমিও করতে পারি। অংশু - আচ্ছা দীপা আজ না হয় শেষবারের মতো বলি, আমার মধ্যে কি ছিলো না বলোতো ? কেনো পারোনি এই বাউন্ডুলে ভবঘুরে মানুষটার সাথে চিরকালের ঘর বাঁধতে ? আমি কি ভালোবাসতে জানি না ? .....বিস্তারিত পড়ুন
World’s most polluted cities: নয়াদিল্লি, মুম্বাই এবং কলকাতা বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায়
উত্তরাপথঃ দিওয়ালি উদযাপনের একদিন পর জাতীয় রাজধানী নয়াদিল্লি, মুম্বাই এবং কলকাতা বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের (World’s most polluted cities) তালিকায় উঠে এসেছে।সোমবার, অর্থাৎ দীপাবলির পরের দিন এই শহরগুলির বায়ুর গুণমান উল্লেখযোগ্য মাত্রায় খারাপ হয়েছে।বায়ুর গুনমান খারাপ হওয়ার পেছনে মাত্রাতিরিক্ত আতশবাজি জ্বালানোকে দায়ী করা হয়েছে। আমাদের বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের (World’s most polluted cities) তালিকায় যথারীতি প্রথম স্থান দখল করেছে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি। দীপাবলির পরের দিন এটির AQI (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স) পরিসংখ্যান ছিল ৪০৭। নভেম্বরের শুরু থেকে, দিল্লিতে AQI পরিসংখ্যান খারাপ হয়েছে। সুইস গ্রুপ আইকিউএয়ার শহরের বাতাসকে "বিপজ্জনক" বিভাগে রেখেছে।ভারতের আর্থিক রাজধানী মুম্বাই বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায়(World’s most polluted cities), ১৫৭ এর AQI সহ ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে। কলকাতা ১৫৪ এর AQI সহ সপ্তম স্থানে রয়েছে। .....বিস্তারিত পড়ুন
Electoral Bond এর গোপনীয়তা সরিয়ে রাজনৈতিক দলগুলিকে, জানাতে হবে প্রাপ্ত অনুদানের পরিমাণ
উত্তরাপথঃ বুধবার, নির্বাচনী বন্ড (Electoral Bond)প্রকল্পের আইনি বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদনের শুনানি হয়। শীর্ষ আদালত তার মন্তব্যে বলেছে, 'নির্বাচনী বন্ডগুলি রাজনৈতিক দলগুলিকে বেনামী অর্থ প্রদান করে, কারণ তাদের কেনাকাটা সম্পর্কিত রেকর্ডগুলি স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার কাছে উপলব্ধ যা শুধুমাত্র তদন্তকারী সংস্থাগুলি অ্যাক্সেস করতে পারে৷ এর আগে নির্বাচনী বন্ড’ (Electoral Bond) সংক্রান্ত মামলায় সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) কেন্দ্র দাবি করেছিল, রাজনৈতিক দলগুলির আয়ের উৎস জানার অধিকার নেই জনতার।এবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তৎপর হল নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)।বুধবার বিকেল ৫টার মধ্যে যাবতীয় হিসেব জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কমিশনের তরফে।নির্বাচনী বন্ডের (Electoral Bond)মামলায় কেন্দ্রের আর্জি সত্বেও সুপ্রিম কোর্ট রাজনৈতিক দলগুলিকে আয়ের উৎস জানাতে বলেছিল। আদলত নির্দেশ দিয়েছিল, গত ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোন রাজনৈতিক দল কত অনুদান মিলেছে, সেই তথ্য বন্ধ খামে জানাতে হবে।এর আগেও নির্বাচনী বন্ডের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে একাধিক মামলা হয়েছে শীর্ষ আদালতে। মামলাকারীরা অভিযোগ করেছিলেন, রাজনৈতিক দলগুলি এই নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে অবৈধ অর্থ বিদেশ থেকে পেতে পারে এর ফলে গণতন্ত্র ধ্বংস হবে। যদিও কোনও রাজনৈতিক দলই এই দাবি মানতে চায়নি। ৩ অক্টোবর মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সব তথ্য দিতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। এই রায়ের পরেই তৎপর হল কমিশন। .....বিস্তারিত পড়ুন