ইঞ্জিনিয়ারড মশা: অ-রাসায়নিক উপায়ে দুষ্টু মশার মোকাবিলা

ড. সঞ্জিত কুমার মাহাতো*, উদয়পুর, রাজস্থান

বর্ধিত অপরিকল্পিত নগরায়ন,  জনঘনত্ব এবং অপরিষ্কার পরিবেশ  মশাবাহিত রোগের প্রকোপ বৃদ্ধির জন্য দায়ী। শহরাঞ্চলে প্রচুর জন ঘনত্ব সেই সাথে এদিক – সেদিক ছড়িয়ে থাকা অব্যবহৃত জিনিষপত্র মশার আদর্শ প্রজনন স্থান। সামনেই বর্ষা, আর বর্ষা মানেই বাড়বে মশাবাহিত রোগের প্রকোপ। এই মুহূর্তে স্ত্রী মশা বিশ্বের সবচেয়ে মারাত্মক জীব কারণ এর কামড়ের মাধ্যমে বিভিন্ন সংক্রামক রোগ ছড়ানোর ক্ষমতার ব্যাপক। প্রতি বছর এই মশাবাহিত রোগ যেমন হলুদ জ্বর, জিকা, ডেঙ্গু জ্বর, এবং ম্যালেরিয়া  লক্ষ লক্ষ মানুষ মারা যায় এবং বিশ্বের কোনও কোনও স্থানে এই রোগ মহামারীর আকার ধারণ করে। কারণ এই সব মশা বাহিত রোগ থেকে পরিত্রাণের খুব সীমিত চিকিৎসা রয়েছে। যখন এই মশা বাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যায় তখন  বিভিন্ন গণমাধ্যমে চলে তর্কবিতর্ক, শুরু হয় একে অপরকে দোষারোপের পালা। কিন্তু বিনিময়ে জনগণ পায় অশ্বডিম্ব। ফলতঃ সমাধান এখনও আমাদের কাছে অধরা।  কিন্তু  ভাবুন এই ডেঙ্গির প্রকোপ গত ১২ বছর ধরে চলে আসছে। এই মুহুর্তে, COVID-19 নিয়ে যতটা চর্চা হয়েছে ততটাই আমরা উদাসীন মশাবাহিত রোগ নিয়ে। কিন্তু বিজ্ঞান ও বিজ্ঞানীরা বসে নেই। তারা যে  সমাজের কাছে দায়বদ্ধ। হয়তো এদেশের বিজ্ঞানীরা এই ব্যাপারে তেমন উল্লেখযোগ্য কিছু করে উঠতে পারেনি বা তাদের কাজ কোনও অজানা কারণে তেমন ভাবে প্রকাশ্যে আসেনি। কিন্তু প্রথম বিশ্বের দেশগুলো আমাদের বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাগুলি সমাধানে  সর্বদা এগিয়ে আসে এবং তাঁরা মৌলিক গবেষণায় পর্যাপ্ত অনুদান অনুমোদন   করেন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের গুরুত্বপূর্ণ গবেষণার ফলাফল প্রযুক্তির আকারে ইন্ডাস্ট্রিকে হস্তান্তর করে যা পরবতী কালে আমাদের জটিল সমস্যাগুলোর সমাধানে কাজে লাগে।

যাইহোক, এবার আলোকপাত করা যাক  মশাবাহিত রোগ “ডেঙ্গু” নিয়ে । এখন পর্যন্ত গবেষকরা পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে গবেষণা করে প্রায় ৩৭০০ এর কাছাকাছি প্রজাতির মশা পেয়েছেন।[1] এই সব মশা নিয়মিত মানুষকে কামড়ায় তারা প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ মানুষের শরীরে রোগজীবাণু সংক্রমণের চালক হিসেবে কাজ করে। আর কিছু প্রজাতি সাধারণত মানুষকে কামড়ায় না যদি না কোনো সংকট আসে যেমন তাদের বাসস্থান থেকে উৎখাত বা  হঠাৎ বন ধ্বংস হলে।   তাই মশা বিজ্ঞানীরা আরো বেশি সচেতন ভাবে এই মশার বিরুদ্ধে লড়তে তৈরি করেছে এক অস্ত্র  যা আমাদের বাস্তুতন্ত্রকেও যেমন  রক্ষা করবে তেমন মশাবাহিত রোগও কমাবে।

আমাদের আশেপাশে বিভিন্ন প্রকারের মশা  আছে, এবং প্রত্যেকে আলাদা আলাদা রোগ বহন করে। সাধারণ ধরনের মশা হল কিউলেক্স মশা যা ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস বহন করে, যার ফলে জ্বর, মাথা ব্যাথা এবং শরীর ব্যাথা সহ বিভিন্ন লক্ষণ দেখা দেয় । আর  অ্যানোফেলস মশা যা ম্যালেরিয়া বহনকারী। কিন্তু সারা বিশ্বে আলোড়নকারী “দুষ্টুমশা” হলো এইডস মশা যা জিকা ভাইরাস, ডেঙ্গু, চিকনগুনিয়া বহন করতে পারে। আর এই দুষ্টুমশার সংক্রামণের উপসর্গ আমাদের সকলের অল্পবিস্তর জানা। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির দুজন জীববিজ্ঞানের গবেষক লিউক আলফে আর  ডেভিড কেলি ২০০২ সালে শুরু করেছিলেন Oxitec যা Oxford Insect Technology নামে আমরা জানি। যদিও তা ২০১৫ সালে আমেরিকার এক সংস্থা তা অধিগ্রহণ করেন।[2] আর এই সংস্থায় সফল ভাবে প্রথম জেনেটিক মোডিফাই অর্থাৎ ইঞ্জিনিয়ারড ইনসেক্ট করেন Pink bollworm (তুলা চাষে মড়ক সৃষ্টিকারী) নামে একটি মারাত্মক কীটপতঙ্গকে যা ২০০৬ সালে আরিজোনাতে পরীক্ষামূলক ভাবে ছাড়া হয়। এটাই ছিল সন্ধিক্ষণ, আর সঙ্গে সঙ্গে তারা Aedes aegypti কে জেনেটিক মোডিফাই করে ফেলেন। Wolbachia নামে একটি এন্ডোসিমবায়োটিক ব্যাকটেরিয়া যা এডিস ইজিপ্টিতে  কৃত্রিমভাবে অর্থাৎ জেনেটিকালি মোডিফাই বা  এঞ্জিনীয়ার্ড এডিস ইজিপ্টিতে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। যা বর্তমানে বিভিন্ন দেশে ফিল্ড ট্রায়াল এ রয়েছে। জেনেটিক্যালি মডিফাইড মশা মানুষের জন্য ক্ষতিকর নয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে তারা মোটেও কামড়ায় না, তাদের তৈরি করা হয়েছে শুধুমাত্র  রোগ ছড়ানো মশার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য।

কিভাবে করা হয় এই জেনেটিক মোডিফাই অর্থাৎ ইঞ্জিনিয়ারড ইনসেক্ট? জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং (জেনেটিক মডিফিকেশনও বলা হয়) হল একটি প্রক্রিয়া যা একটি জীবের ডিএনএ মেকআপ পরিবর্তন করতে পরীক্ষাগার-ভিত্তিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে। এতে একটি একক বেস পেয়ার (A-T বা C-G) পরিবর্তন করা, DNA-এর একটি অঞ্চল মুছে (ডিলিট) ফেলা বা DNA-এর একটি নতুন অংশ সংযোগ  করা। আর এই কাজ করাই সহজ নয়, এর জন্য আণবিক জীববিদ্যা, রসায়নবিদ, জৈব রসায়নবিদ, জেনেটিসিস্ট এবং প্রকৌশলীতে  ক্ষেত্রগুলিকে পারদর্শীদের দিয়ে একত্রিত করে কাজ  করতে হয়। যখন এঞ্জিনীয়ার্ড এডিস ইজিপ্টিতে (EAE) পুরুষ একটি বন্য ধরণের এডিস ইজিপ্টি মহিলার সাথে সঙ্গম করে, তখন EAE পিতা জিনের একটি অনুলিপি সমস্ত সন্তানদের কাছে প্রেরণ করেন। যেহেতু নারীর এই দুটি জিন নেই, সমস্ত বংশধরের কাছে এই জিনের প্রতিটির একটি কপি থাকবে।

এই জেনেটিকালি মডিফাইড (GM) মশা বিশেষভাবে দুই ধরণের জিন বহন করার জন্য বর্তমানে পরীক্ষাগারে ব্যাপকভাবে উৎপাদিত হচ্ছে। একটি স্ব-সীমাবদ্ধ জিন যা মহিলা মশার সন্তানদের প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া থেকে বাঁচতে বাধা দেয়। আর অন্যটি ফ্লুরোসেন্ট মার্কার জিন যা একটি বিশেষ লাল আলোর নিচে জ্বলে এবং বন্য অঞ্চলে GM মশা সনাক্ত করতে বিজ্ঞানীদের সাহায্য করে। স্ব-সীমাবদ্ধ জিন যা মহিলা মশার সন্তানদের প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া থেকে বাঁচতে বাধা দেয় ফলে তারা পরিবর্তিত জিন পরবর্তী প্রজন্মের কাছে প্রেরণ করে।   জিএম পুরুষ ও বন্য স্ত্রী মশার সঙ্গমে যে স্ত্রী মশা জন্মায় তারা বন্ধ্যা হয়ে জন্মায় অর্থাৎ ডিম দিতে পারেনা। রূপান্তরিত মশার মাধ্যমে যে ডিম্ ও অপরিণত মশা আসবে তা হবে ক্ষণস্থায়ী। সেগুলো বেশি দিন টিকে থাকতে পারবে না। আর প্রকৃতিতে মশার সংখ্যা কমতে থাকবে। এইভাবে এডিস এজাপ্টি মশা কমতে থাকে ও এদের দ্বারা বাহিত রোগও ধীরে ধীরে কমতে থাকে। বিভিন্ন সমাজসেবী সংগঠন এই গবেষণার কঠোর সমালোচনা করছে, কারণ ওদের ভয় এইধরণের পরিকল্পনা গুলো ইকোসিস্টেমে একটি শুন্যতা সৃষ্টি করবে।  তখন অন্য কোনো প্রজাতির কীট ওই শুন্যস্থান পূর্ণ করবে, যা থেকে নতুন কোনো  ভয়ানক  রোগের সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। কিন্তু সারা বিশ্বজুড়ে WMP এর মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে এই জি এম মশার ফিল্ড ট্রায়াল শুরু হয়েছে।[3] ব্রাজিল সরকার তো এক বিশাল মশা তৈরির কারখানা বানানোর সবুজ সংকেত দিয়েছে। যেখানে বছরে ৫ বিলিয়ন মশা তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে। কারণ এই এডিস মশাই ২০১৫ সালের শুরু হওয়া জিকা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে অনেক সদ্যজাত বিকৃত মস্তিষ্ক নিয়ে জন্মেছিলো।[4] আমেরিকার এনভায়রনমেন্টাল প্রোটেকশন এজেন্সি 20টি রাজ্য এবং ওয়াশিংটন ডিসিতে বন্য মশা মারার জন্য একটি সাধারণ ব্যাকটেরিয়াম ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে যা ডেঙ্গু, হলুদ জ্বর এবং জিকার মতো ভাইরাস ছড়ায়। যদিও ওখানকার কিছু সংগঠন এই পদ্ধতির ব্যবহারের বিরুদ্ধে সরাসরি মাঠে নেমেছিল। এমনকি কিছু শহরে ভোটাধিকার পর্যন্ত নিতে হয়েছে। কিন্তু বিজ্ঞানীরা মানব কল্যানে জেনেটিকালি মডিফাইড ব্যবহার এ দৃহসংকল্প নিয়েছে। সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়াতেও এই ইঞ্জিনিয়ারড মশার ফিল্ড ট্রায়াল চলছে। বর্তমানে CRISPR টেকনোলজি দিয়ে তুলুনামূলকভাবে কম খরচে ইঞ্জিনিয়ারড ইনসেক্ট বানানো শুরু হয়েছে।[5] জানি না আমাদের দেশে এই ধরণের প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে কি না এই দুষ্টু মশার বিরুদ্ধে লড়তে। তবে একথা হলফ করে বলা যায় যেহেতু বিভিন্ন দেশ এই ইঞ্জিনিয়ারড মশার ফিল্ড ট্রায়াল এর অনুমতি দিয়েছে তাই আমাদের দেশের সরকারেরও এই বিষয়ে চিন্তাভাবনা করা উচিত।

*লেখক CSIR-IICB, Johannesburg Univ., CSIR-Pretoria (UNISA), TCGLS, Osaka University Alumni ও বর্তমানে PI Industries Ltd., Udaipur, India এ কর্মরত।

খবরটি শেয়ার করুণ
16

32 thoughts on “ইঞ্জিনিয়ারড মশা: অ-রাসায়নিক উপায়ে দুষ্টু মশার মোকাবিলা”

  1. সিদ্ধার্থ মজুমদার Siddhartha Majumdar

    বাঃ তথ্য সমৃদ্ধ এবং চিত্তাকর্ষক লেখা। পড়ে ভালো লাগলো।

    1. uttarapath_admin

      আপনার মতামতের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

  2. অনেক ভালবাসা Sanjit da , বাংলা তে এরকম একটা সবিস্তারে বর্ণিত লেখা উপহার দেওয়ার জন্য।👍

    1. uttarapath_admin

      আপনার মতামতের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

  3. Saikat Dutta Chowdhury

    Bah! Valo lekha ta! But I am also concerned about the use of GM insects. Far effective solutions would be to go towards cleaner environments.

    1. uttarapath_admin

      আপনার মতামতের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

  4. Excellent presentation in bengali language with collective information. Hope everyone will be benefited with this knowledge. Thank you Sanjit da

    1. uttarapath_admin

      আপনার মতামতের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

    1. uttarapath_admin

      আপনার মতামতের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

  5. Kajal Mahato

    খুব সুন্দর হয়েছে লেখাটা.. সুন্দর বিশ্লেষণ..

    1. uttarapath_admin

      আপনার মতামতের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

    1. uttarapath_admin

      আপনার মতামতের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

  6. গৌতম কুলসী

    তথ্য সমৃদ্ধ ভাল লেখা। আর বিজ্ঞানের দিক থেকেও বেশ অভিনব ভাবনা এবং তার সঠিক প্রয়োগ। এই ধরনের লেখা বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান চর্চার ক্ষেত্রে আরো মানুষের কাছে পৌঁছে যাক।

    1. uttarapath_admin

      আপনার মতামতের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

    1. uttarapath_admin

      আপনার মতামতের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

    1. uttarapath_admin

      আপনার মতামতের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

  7. এডিস এজিপ্ট আই মশার বিরুদ্ধে ইঞ্জিনিয়ার মশা তৈরীর এই বিশাল কর্মকাণ্ড বিভিন্ন দেশে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে জেনে খুবই ভালো লাগলো। ভারতেও ডেঙ্গির মতো মারাত্মক ব্যাধির বিরুদ্ধে এই ধরনের গবেষণা অতি অবশ্যই শুরু হওয়া উচিত । এরূপ জটিল গবেষণার বিষয় সহজ ভাবে বাংলা ভাষায় আমাদের সামনে তুলে ধরার জন্য তোমাকে অজস্র ধন্যবাদ।

    1. uttarapath_admin

      আপনার মতামতের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

      1. uttarapath_admin

        আপনার মতামতের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

  8. কালিসাধন মুখার্জী

    বাংলা ভাষায় জটিল আলোচনা সহজ ভাবে আমাদের কাছে পরিবেশন করার জন্য ধন্যবাদ। এভাবেই আমাদেরকে সমৃদ্ধ করার আবেদন জানালাম।

    1. uttarapath_admin

      আপনার মতামতের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

  9. PINAKI BHATTACHARJEE

    খুব সুন্দর লিখেছো। আরও লেখা আশা করছি তোমার থেকে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন


PAN-Aadhar link: কেন্দ্র সরকার ১১.৫ কোটি প্যান কার্ডকে নিষ্ক্রিয় করেছে

উত্তরাপথ : আধারের সাথে প্যান কার্ড লিঙ্ক (PAN-Aadhar link)করার সময়সীমা শেষ হওয়ার পরে কেন্দ্রীয় সরকার ১১.৫ কোটি প্যান কার্ড নিষ্ক্রিয় করেছে৷ আপনি যদি এখনও প্যান কার্ডের সাথে আধার কার্ড লিঙ্ক না করে থাকেন, তাহলে আপনি সরকারের এই কঠোর পদক্ষেপের আওতায় এসেছেন। আপনি যদি আপনার আধার কার্ডকে প্যানের সাথে লিঙ্ক করতে চান তবে আপনি জরিমানা দিয়ে এটি সক্রিয় করতে পারেন। কেন্দ্র সরকার ১১.৫ কোটি প্যান কার্ডকে আধারের সাথে লিঙ্ক না করার কারণে নিষ্ক্রিয় করেছে। একটি আরটিআই-এর জবাবে, সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডাইরেক্ট ট্যাক্সেস জানিয়েছে যে আধার কার্ডের সাথে প্যান কার্ড লিঙ্ক (PAN-Aadhar link) করার সময়সীমা ৩০ জুন শেষ হয়েছে। যারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আধার কার্ড এবং প্যান কার্ড লিঙ্ক করেননি তাদের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দেশে ৭০ কোটি প্যান কার্ড বর্তমানে ভারতে প্যান কার্ডের সংখ্যা ৭০.২ কোটিতে পৌঁছেছে। এর মধ্যে প্রায় ৫৭.২৫ কোটি মানুষ আধারের সাথে প্যান কার্ড লিঙ্ক করেছেন। .....বিস্তারিত পড়ুন

World Children's Day: সত্যিই কি ‘বিশ্ব শিশু দিবস´পালনের কোনও যৌক্তিকতা আছে ?

প্রীতি গুপ্তাঃ হাতে গোনা আর মাত্র কয়েকটি দিন তারপর ১৪ নভেম্বর আমাদের দেশ সহ সারা বিশ্বজুড়ে  পালন করা হবে ‘বিশ্ব শিশু দিবস´(World Children's Day)।এই দিনটি শিশুদের মঙ্গলের জন্য, তাদের ভবিষ্যতের জন্য একটি অনুকূল বিশ্ব তৈরি করার প্রচেষ্টার একটি দিন।কিন্তু প্রশ্ন,সত্যি কি হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে সারা বিশ্ব জুড়ে শিশু দিবস পালন করার কোনও যৌক্তিকতা আছে? আদৌ কি এর কোনও লাভ আমরা আমাদের প্রান্তিক স্তরের শিশুদের কাছে পৌঁছে দিতে পেরেছি ? সম্প্রতি কাজের প্রয়োজনে রাজস্থানের উদয়পুর শহরে আসা। আমরা সবাই জানি উদয়পুর বিখ্যাত তার হ্রদের কারণে । এখানকার স্থানীয় থেকে পর্যটক সকলেই এই সুন্দর হ্রদগুলির আকর্ষণে বারবার ছুঁটে যায়। ‘ফতে সাহেব লেক’ রাজস্থানের উদয়পুরের এক বিখ্যাত পর্যটক স্থল।এখানে বহু মানুষ সকাল- বিকেল এই লেকের চার ধারে হাঁটাহাঁটি করতে বেরিয়ে পড়ে। সেভাবেই দুই দিন আগে বিকেলে হঠাৎ করে বেরিয়ে পড়লাম ‘ফতে সাহেব লেকের ধারে হাঁটার উদ্দেশ্য নিয়ে। হাঁটার মাঝখানে হঠাৎ করে একটি বাচ্চাছেলে আওয়াজ করে ডাকছে ,বললাম কিছু বলবি? সে বলল একটু দাঁড়াতে। ও ছুটে গিয়ে হাতে করে কয়েকটি বেলুন নিয়ে এসে হাজির । সে বারবার বেলুন কেনার অনুরোধ জানাতে লাগল। হাতে অন্য কাজের চাপ নেই অনেকটা অবসর সময় তাই আমি অনেকটা সাংবাদিক সুলভ মন নিয়ে বললাম ঠিক আছে আমি তোর বেলুন নেব ,কিন্তু তার আগে আমি  তোকে যা বলব তার তার ঠিক ঠিক উত্তর দিতে হবে। সে খুশী খুশী রাজি হয়ে গেল । .....বিস্তারিত পড়ুন

Side effects of vitamin: ভিটামিনের আধিক্য আপনার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে

উত্তরাপথঃ ভিটামিনের প্রয়োজনীয়তা আমরা সবাই নিশ্চয়ই ছোটবেলা থেকে শুনে আসছি যে সুস্থ থাকতে হলে শরীরে প্রয়োজনীয় সব ভিটামিন থাকা খুবই জরুরি।  ভিটামিন আমাদের সুস্থ করার পাশাপাশি আমাদের সমগ্র শরীরের বিকাশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।  যাইহোক, এটি অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া আমাদের জন্য ক্ষতিকারকও হতে পারে।  আসুন জেনে নিই অতিরিক্ত ভিটামিন গ্রহণের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া (Side effects of vitamin)সুস্থ থাকার জন্য শরীরে সব ধরনের পুষ্টি থাকা খুবই জরুরি।  এ কারণেই বয়স্ক থেকে শুরু করে চিকিৎসক, সবাই আমাদেরকে সুষম ও পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন।  সমস্ত পুষ্টি উপাদান আমাদের শরীরকে বিভিন্ন উপায়ে সুস্থ করে তোলে।  এর মধ্যে ভিটামিন একটি, যা আমাদের সুস্থ থাকতে সাহায্য করে। .....বিস্তারিত পড়ুন

Free Gift in Politics: ভারতের নির্বাচন ও ফ্রি গিফট সংস্কৃতি

উত্তরাপথঃ ফ্রি গিফট (Free gift in politics)এর রাজনীতি সম্প্রতি ভারতের নির্বাচনী রাজনীতিতে একটি বিশিষ্ট ভূমিকা পালন করছে। বিনামূল্যে কোটি কোটি জনগণকে উপহার প্রদান যা রাজকোষের উপর অতিরিক্ত বোঝা ফেলবে এই সত্যটি জানা সত্ত্বেও, রাজনৈতিক দলগুলি ভোটারদের আকৃষ্ট করার জন্য ফ্রি গিফট (Free gift in politics) দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচনের দৌড়ে একে অপরের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।এক সময় প্রয়াত তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জে জয়ললিতা বিনামূল্যে শাড়ি, প্রেসার কুকার, ওয়াশিং মেশিন, টেলিভিশন সেট ইত্যাদির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটের আগে যে বিনামূল্যের সংস্কৃতি শুরু করেছিলেন তা পরবর্তী কালে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলি দ্রুত অনুসরণ করেছিল। এরপর ২০১৫ সালে আম আদমি পার্টি নেতৃত্ব দিল্লির ভোটারদের কাছে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ, জল, বাস ভ্রমণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভ করেছিল। .....বিস্তারিত পড়ুন

Scroll to Top