ইডি-সিবিআইয়ের অপব্যবহারের অভিযোগে  বিরোধী দলের করা মামলা খারিজ

উত্তরাপথ

সিবিআই এবং ইডি-র মতো কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির যথেচ্ছ ব্যবহার নিয়ে ১৪ টি বিরোধী দলের আবেদন খারিজ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। সিজেআই ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে একটি বেঞ্চ বুধবার বলেছে যে রাজনীতিবিদদের জন্য আলাদা নির্দেশিকা তৈরি করা যাবে না। তিনি আরও বলেন, আপনারা যখন বলছেন বিরোধী দলের গুরুত্ব কমে যাচ্ছে, তখন তার সমাধান শুধু রাজনীতিতে, আদালতে নয়। কংগ্রেসের নেতৃত্বে ১৪ টি বিরোধী দল কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সি বি আই এবং ই ডি-এর যথেচ্ছ ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছিল। কিন্তু আদালতের এই মন্তব্যের পর বিরোধী দলগুলো তাদের আবেদন প্রত্যাহার করে নেয়। বিরোধী দলগুলির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি।  সিংভি বলেছেন ২০১৩-১৪ থেকে ২০২১-২২ সাল পর্যন্ত সিবিআই এবং ইডি-র মামলায় ৬০০% বৃদ্ধি পেয়েছে।  ইডি ১২১ জন নেতাকে তদন্ত করেছে, যাদের মধ্যে ৯৫% বিরোধী দলের।  আবার সি বি আই যেখানে  ১২৪ নেতাদের নিয়ে তদন্ত করেছে, যার মধ্যে ৯৫% এরও বেশি বিরোধী দলগুলির। এরপর আদালত তাঁর পর্যবেক্ষণে জানান যে একটি রাজনৈতিক দলের নেতা মূলত একজন নাগরিক এবং নাগরিক হিসাবে আমরা সবাই একই আইনের অধীন।প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় আরও বলেন বিরোধীদের আবেদন সম্পূর্ণরূপে শুধুমাত্র রাজনীতিবিদদের জন্য,এতে সাধারণ নাগরিকদের অধিকার ও স্বার্থ বিবেচনা করা হয়নি।  

খবরটি শেয়ার করুণ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন


বেঙ্গালুরুতে বিরোধী জোট গঠনের বৈঠকে অংশ নিতে পারে ৩২টি দল

উত্তরাপথ: আগামী লোকসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে বিরোধী জোট গঠনের জন্য বেঙ্গালুরুতে আগামী ১৭-১৮ জুলাই বিরোধী দলগুলির সমাবেশ হতে চলেছে। এই বৈঠকে ২৪টি রাজনৈতিক দল অংশ নেবে বলে জানা গেছে। সূত্রের খবর, এবার বিরোধী দলে যোগ দিতে যাচ্ছে আরও নতুন ৮টি দল। এই দলগুলি হল, মারুমালারচি দ্রাবিড় মুনেন্দ্র কাজগাম, কঙ্গু দেস মক্কাল কাচ্চি, বিদুথালা চিরুথাইগাল কাচ্চি, বিপ্লবী সমাজতান্ত্রিক দল, অল ইন্ডিয়া ফরওয়ার্ড ব্লক, ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লীগ, কেরালা কংগ্রেস জোসেফ, কেরালা কংগ্রেস মানি ।তবে বিরোধী জোটে যদি সব গুলি দল .....বিস্তারিত পড়ুন

 সম্পাদকীয়

পশ্চিমবঙ্গের ছোট-বড় যে কোনও নির্বাচন মানেই রাজনৈতিক হিংসা । সদ্য অনুষ্ঠিত পঞ্চায়েত নির্বাচনও তার ব্যতিক্রম নয়।রাজনৈতিক হিংসা যাতে না হয় নির্বাচনে তার জন্য যাবতীয় উদ্যোগ গ্রহণ করার পরও হিংসা অব্যাহত থাকল, সারা রাজ্যজুরে ঘটল তেরোটি মৃত্যুর ঘটনা ।পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে  ঘট হিংসা রাজ্যের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহ নাগরিকদের ভোটাধিকার নিয়ে আমাদের সামনে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। আমাদের রাজ্যে চলতে থাকা রাজনৈতিক হিংসার পেছনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ একাধিক কারণ থাকলেও বেকারত্ব সহ দুর্বল গ্রামীন অর্থনীতি এর প্রধান কারণ । দুর্বল গ্রামীন অর্থনীতির কারণে বেশীরভাগ গ্রামীন এলাকার মানুষদের অর্থনৈতিক উপার্জনের সুযোগ খুব কম। বিশেষত স্বল্প শিক্ষিত সেই সব মানুষদের যারা না পায় সরকারি চাকুরি না পারে ঠিকা শ্রমিকের কাজ করতে, গ্রামীন অর্থনীতিতে বিশাল সংখ্যক মানুষ এই শ্রেনীর অন্তর্গত .....বিস্তারিত পড়ুন

Scroll to Top