উত্তরাপথ


ছবি প্রতীকী
রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস একটি দীর্ঘস্থায়ী অটোইমিউন রোগ যা বিশ্বব্যাপী লক্ষ লক্ষ মানুষকে প্রভাবিত করে। যদিও রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস এর সঠিক কারণ এখনও অজানা, সাম্প্রতিক গবেষণায় পাওয়া গেছে যে একটি বিশেষ ব্যাকটেরিয়া এই রোগটির জন্য দায়ী হতে পারে। বিশেষ করে, Porphyromonas gingivalis নামক একটি ব্যাকটেরিয়াকে রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস এর সম্ভাব্য কারণ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
Porphyromonas gingivalis হল একটি ব্যাকটেরিয়া যা সাধারণত দাঁতের মাড়ির রোগের সাথে যুক্ত। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে যে এই ব্যাকটেরিয়া রক্ত প্রবাহে আক্রমণ করে এবং জয়েন্টগুলি সহ শরীরের অন্যান্য অংশে প্রদাহ (Infalmation) সৃষ্টি করতে পারে। প্রকৃতপক্ষে, গবেষকরা দেখেছেন যে এতে পি. জিঙ্গিভালিসের একটি অনন্য এনজাইম রয়েছে যার নাম পেপ্টিডাইলারজিনাইন ডেইমিনেজ (PAD) যা শরীরের প্রোটিনের পরিবর্তন করে ইমিউন প্রতিক্রিয়াকে নষ্ট করে দিতে পারে।
রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস এর বিকাশের ক্ষেত্রে PAD একটি মূল কারণ বলে মনে করা হয়। এই ব্যাকটেরিয়া রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস আক্রান্ত ব্যক্তিদের ইমিউন সিস্টেম সহ শরীরের জয়েন্টগুলিতে আক্রমণ করে, যার ফলে জয়েন্টগুলিতে প্রদাহ সৃষ্টি হয় এবং দুর্বল হয়ে পড়ে। গবেষকরা বিশ্বাস করেন যে পেপ্টিডাইলারজিনাইন ডেইমিনেজ্ (PAD) নামক এই এনজাইম জয়েন্টগুলোর প্রোটিন পরিবর্তন করে সেইসাথে অটোইমিউন প্রতিক্রিয়াকে নষ্ট করে দেয়।
সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে যে পি. জিঙ্গিভালিস রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস আক্রান্ত ব্যক্তিদের জয়েন্টে উপস্থিত থাকে, যা থেকে এই ব্যাকটেরিয়া রোগটি শুরু করার জন্য দায়ী হতে পারে । উপরন্তু, গবেষকরা খুঁজে পেয়েছেন যে মাড়ির রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মাড়ির রোগ নেই এমন লোকদের তুলনায় রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস হওয়ার সম্ভাবনা বেশি, যা P. gingivalis এবং রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস-এর মধ্যে যোগসূত্রকে আরও জোরাল করে।
রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস এর সম্ভাব্য কারণ হিসাবে P. gingivalis-এর আবিষ্কার তাৎপর্যপূর্ণ কারণ এটি পরামর্শ দেয় যে মাড়ির রোগের চিকিৎসা করা রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস প্রতিরোধ বা পরিচালনা করতে সাহায্য করতে পারে। উপরন্তু, গবেষকরা এখন রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস এর সম্ভাব্য চিকিৎসা হিসাবে PAD ইনহিবিটারগুলির ব্যবহার অন্বেষণ করছেন, যা প্রদাহ কমাতে এবং রোগের অগ্রগতি ধীর করতে সাহায্য করতে পারে।যাইহোক, P. gingivalis, PAD, এবং রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস-এর মধ্যে যোগসূত্র সম্পূর্ণরূপে বোঝার জন্য আরও গবেষণা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন
Side effects of vitamin: ভিটামিনের আধিক্য আপনার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে
উত্তরাপথঃ ভিটামিনের প্রয়োজনীয়তা আমরা সবাই নিশ্চয়ই ছোটবেলা থেকে শুনে আসছি যে সুস্থ থাকতে হলে শরীরে প্রয়োজনীয় সব ভিটামিন থাকা খুবই জরুরি। ভিটামিন আমাদের সুস্থ করার পাশাপাশি আমাদের সমগ্র শরীরের বিকাশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যাইহোক, এটি অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া আমাদের জন্য ক্ষতিকারকও হতে পারে। আসুন জেনে নিই অতিরিক্ত ভিটামিন গ্রহণের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া (Side effects of vitamin)সুস্থ থাকার জন্য শরীরে সব ধরনের পুষ্টি থাকা খুবই জরুরি। এ কারণেই বয়স্ক থেকে শুরু করে চিকিৎসক, সবাই আমাদেরকে সুষম ও পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন। সমস্ত পুষ্টি উপাদান আমাদের শরীরকে বিভিন্ন উপায়ে সুস্থ করে তোলে। এর মধ্যে ভিটামিন একটি, যা আমাদের সুস্থ থাকতে সাহায্য করে। .....বিস্তারিত পড়ুন
Roop Kishor Soni: একটি আংটিতে বিশ্বের আটটি আশ্চর্য তুলে ধরেছেন
উত্তরাপথঃ রাজস্থান মানেই ওজনদার রূপার গহনা ,আর তার উপর কারুকাজ। প্রচলিত এই ধারনা ভেঙ্গে আজ রূপোর গহনাকে আধুনিকতার সাথে শিল্পের এক অপূর্ব মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন যে ব্যক্তি তিনি হলেন রূপ কিশোরী সোনী(Roop Kishor Soni)।তিনি ২০১৬ সালের ৯ ডিসেম্বর প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির কাছ থেকে তার অসাধারণ শিল্প কর্মের জন্য জাতীয় পুরুস্কার পান। রাজস্থানের জয়সলমেরের শহরের এই শিল্পী ৩.৮ গ্রাম ওজনের ০.৯ সেমি চওড়া রৌপ্য আংটিতে বিশ্বের আটটি আশ্চর্য খোদাই করেছেন।এই ছোট রূপার আংটিতে শিল্পী তাজমহল, সিডনি অপেরা হাউস, স্ট্যাচু অফ লিবার্টি, চীনের গ্রেট ওয়াল, আইফেল টাওয়ার, বিগ বেন, পিসার হেলানো টাওয়ার এবং মিশরীয় পিরামিডের চিত্র এক সাথে ফুটিয়ে তুলেছেন।এছাড়াও তিনি আরও দুটি পৃথক ডিজাইনের অত্যাশ্চর্য আংটি তৈরি করেছেন।৮.৬ গ্রাম ওজনের একটি রিংয়ে তিনি সূর্যাস্তের সময় ভারতীয় উট সাফারি সহ ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের বিভিন্ন ভারতীয় বিশেষত্ব ফুটিয়ে তুলেছেন,এবং অন্যটিতে বিভিন্ন হিন্দু দেব-দেবী ছবি এবং মন্দির খোদাই করেছিলেন। শিল্পী বলেছেন যে তিনি তার বাবার কাছ থেকে তার শৈল্পিক দক্ষতা উত্তরাধিকারসূত্রে পেয়েছেন। সেই সাথে তিনি বলেন "আমার বাবাও একজন জাতীয় পুরুস্কার প্রাপ্ত শিল্পী ছিলেন। তিনি আমাকে শিল্পের এই দক্ষতা শিখিয়েছিলেন কারণ তিনি পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে শিল্পের ফর্মটিকে বাঁচিয়ে রাখতে চেয়েছিলেন।" .....বিস্তারিত পড়ুন
সম্পাদকীয়- রাজনৈতিক সহিংসতা ও আমাদের গণতন্ত্র
সেই দিনগুলো চলে গেছে যখন নেতারা তাদের প্রতিপক্ষকেও সম্মান করতেন। শাসক দলের নেতারা তাদের বিরোধী দলের নেতাদের কথা ধৈর্য সহকারে শুনতেন এবং তাদের সাথে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতেন। আজ রাজনীতিতে অসহিষ্ণুতা বাড়ছে। কেউ কারো কথা শুনতে প্রস্তুত নয়। আগ্রাসন যেন রাজনীতির অঙ্গ হয়ে গেছে। রাজনৈতিক কর্মীরা ছোটখাটো বিষয় নিয়ে খুন বা মানুষ মারার মত অবস্থার দিকে ঝুঁকছে। আমাদের দেশে যেন রাজনৈতিক সহিংসতা কিছুতেই শেষ হচ্ছে না।আমাদের দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার চেয়ে রাজনৈতিক সংঘর্ষে বেশি মানুষ নিহত হচ্ছেন। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো (এনসিআরবি) অনুসারে, ২০১৪ সালে, রাজনৈতিক সহিংসতায় ২৪০০ জন প্রাণ হারিয়েছিল এবং সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় ২০০০ জন মারা গিয়েছিল। আমরা পৃথিবীর বৃহত্তম গণতন্ত্র হিসেবে আমাদের দেশের গণতন্ত্রের জন্য গর্বিত হতে পারি, কিন্তু এটা সত্য যে আমাদের সিস্টেমে অনেক মৌলিক সমস্যা রয়েছে যা আমাদের গণতন্ত্রের শিকড়কে গ্রাস করছে, যার জন্য সময়মতো সমাধান খুঁজে বের করা প্রয়োজন। .....বিস্তারিত পড়ুন
সহযাত্রী
দীপা - আর তো এগারো বছর আটমাস বারোদিন চাকরি , তাই না ? অংশু - বাপরে বরাবরই তোমার স্মৃতিশক্তি প্রবল , এতোটা মনে আছে ? দীপা- ঘোরো টো টো করে আর কটা বছর , আফটার রিটায়ার্ড মেন্ট কি করবে ? অংশু - ফার্ম হাউস ,গাছপালা পশুপাখি নিয়ে থাকবো। দীপা- বাঃ উন্নতি হয়েছে। যে অংশুবাবু কখনও একটা ফুলের চারা লাগায়নি সে কিনা ফার্ম হাউস করবে … অংশু - সময়ের সাথে সব বদলায় ম্যাডাম , আচ্ছা তোমার কনুইয়ের নীচে সেই পোড়া দাগটা দেখি তো গেছে কিনা … দীপা- তুমি অনেক রোগা হয়ে গেছো , তা ওজন কত শুনি ? অংশু - সত্তর বাহাত্তর হবে বোধহয় মাপিনি, দীপা - তা কেনো মাপবে ? একটা অগোছালো মানুষ। অংশু - যাক বাবা তাও অপদার্থ শব্দ টা বলোনি। দীপা - ভাবোনা ডিভোর্স হয়েছে বলে সে অধিকার নেই। সমাজ বিজ্ঞানের অধ্যাপক হয়েও আসলে সমাজটাই শেখোনি , আর কি শিখেছো বলো, ঐ ছেলে পড়ানো , সেমিনার আর লেখালেখি। তা ধন্যবাদ তোমার রূপালী ঠৌট উপন্যাস এবছর একাডেমি পেলো , দারুণ লেখো তুমি, আগের চেয়ে অনেক ধার। অংশু- বাঃ তুমি পড়েছো ? দীপা- সব পড়েছি , তোমার রিসেন্ট উপন্যাসের নায়িকা মেঘনা টি কে ? মানে কার আড়ালে কাকে লিখেছো ? অংশু - এও কি বাংলা সাহিত্যের অধ্যাপিকাকে বলে দিতে হবে ? দীপা- বারোটা বছর সময়ের শাসনে অনেক বদলালেও আমি বোধহয় সেই বড্ড সেকেলেই রয়ে গেলাম। অংশু - একা একাই কাটিয়ে দিলে বারো বছর। দীপা- একই প্রশ্ন আমিও করতে পারি। অংশু - আচ্ছা দীপা আজ না হয় শেষবারের মতো বলি, আমার মধ্যে কি ছিলো না বলোতো ? কেনো পারোনি এই বাউন্ডুলে ভবঘুরে মানুষটার সাথে চিরকালের ঘর বাঁধতে ? আমি কি ভালোবাসতে জানি না ? .....বিস্তারিত পড়ুন