উত্তরাপথ
ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন চায় সরকার ডাক্তার এবং অন্যান্য ফ্রন্টলাইন স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য চতুর্থ বুস্টার শটের অনুমতি দেওয়ার কথা বিবেচনা করুক যাতে তারা দেশে যেকোন আসন্ন কোভিড ঢেউ থেকে রক্ষা পায়। আইএমএফ-এর সভাপতি ডাঃ জে এ জয়লাল একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন যে ডাক্তারদের অতীত কোভিড কালে একটি তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে এবং যারা ইতিমধ্যে তৃতীয় বুস্তার ডোজ নিয়েছেন তাদের চতুর্থ বুস্তার দেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ। ভ্যাকসিনের প্রতিরক্ষামূলক প্রভাব প্রায় নয় মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত স্থায়ী হয়। স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য সেই সময়কাল ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গেছে। তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর এটাই সঠিক সময়।
ভারতের কোভিড-১৯ ওয়ার্কিং গ্রুপের চেয়ারম্যান, ন্যাশনাল টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজরি গ্রুপ অন ইমিউনাইজেশনের চেয়ারম্যান ডাঃ এন কে অরোরা মনেকরেন যে সতর্কতামূলক ডোজ হিসেবে চতুর্থ ডোজ নেওয়ার প্রয়োজন নেই। ৬০-এর উপরে যাদের বয়স তাদের সতর্কতামূলক ডোজ নেওয়া উচিত। সেই সাথে তাঁর বক্তব্য, মানুষের নিজস্ব রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আছে — জনসংখ্যার ৯৭ শতাংশ প্রাথমিক টিকাদানের আওতায় এসেছে, এবং প্রায় ৯০-৯৫ শতাংশ মানুষের সংক্রমণ হয়েছে। তবে জানা গেছে, সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমতি না দেওয়া সত্ত্বেও চিকিৎসা পেশাদাররা নিজেরাই চতুর্থ বুস্টার নেওয়া শুরু করেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চিকিৎসক বলেন, একটি হাসপাতালের সেট-আপে, একজন ডাক্তার অনেক বেশি ভাইরাল রোগের সংস্পর্শে আসেন এবং তাই রোগীদের সাথে আচরণ করার সময় যদি কেউ সংক্রামিত হয় তবে ভ্যাকসিন অবশ্যই রোগের প্রভাব কমাতে সাহায্য করবে। এই কারণেই অনেক ডাক্তার নিজেরাই টিকা নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন
কৃষ্ণগহ্বরের "ছায়া" ও "ছবি"
ড. সায়ন বসু: ১৭৮৩ সালে ভূতত্ত্ববিদ জন মিচেল (John Michell) ‘ডার্ক স্টার’ (dark stars) শিরোনামে একটি গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশ করেন। তার গবেষণা পত্রের বিষয়বস্তু ছিল "বিপুল পরিমাণ ভর বিশিষ্ট কোন বস্তু যার মহাকর্ষের প্রভাবে আলোক তরঙ্গ পর্যন্ত পালাতে পারে না"। এখান থেকেই মূলত কৃষ্ণগহ্বরের (Black Hole) ধারণা আসে এবং এটি নিয়ে গবেষনা ও অনুসন্ধান শুরু হয়। পরবর্তিতে অবশ্য এটি বিজ্ঞান মহলে একটি অযৌক্তিক তত্ত্ব হিসেবে বেশ অবহেলার স্বীকার হয়। আলোর মত কোন কিছু বেরিয়ে আসতে পারবে না এমন একটি তত্ত্ব বিজ্ঞানীদের কাছে বেশ অযৌক্তিক মনে হয়েছিল। তাই ধীরে ধীরে থেমে যায় কৃষ্ণগহ্বর নিয়ে গবেষনা। .....বিস্তারিত পড়ুন
বেতন, মাসে ৩০,০০০ আর সম্পত্তির মালিকানা ৭ কোটির বেশী
উত্তরাপথ: এ এক দুর্নীতির অনন্য নজির যা পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিবিদদের দুর্নীতি কে লজ্জায় ফেলবে । দুর্নীতির এই অভিযোগটি উঠেছে মধ্যপ্রদেশ পুলিশ হাউজিং কর্পোরেশনের সহকারী প্রকৌশলী ইনচার্জ হেমা মীনার বিরুদ্ধে।মধ্যপ্রদেশের সরকারি কর্মকর্তা দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের পর হেমা মীনা প্রচার মাধ্যমের নজরে আসে । এখন প্রশ্ন কে এই হেমা মীনা ? মধ্যপ্রদেশ পুলিশ হাউজিং কর্পোরেশনের চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োজিত সহকারী প্রকৌশলী ইনচার্জ যিনি মাসে ৩০,০০০ টাকা আয় করেন । দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে তার বাড়ি থেকে সাতটি বিলাসবহুল গাড়ি, ২০,০০০ বর্গফুট .....বিস্তারিত পড়ুন
সীমানা
অসীম পাঠক: কল্লোলিনী তিলোত্তমার অভিজাত বেলভিউ নার্সিং হোমের ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিটে শোরগোল পড়ে গেলো, ডাক্তার নার্স সবার ছুটোছুটি। সিনিয়র ডক্টর মিঃ লাহিড়ী সব শুনে চমকে গেলেন, অস্ফুটে গলা থেকে বেরোলো তাঁর "ইটস এ রেয়ার কেস অফ মেডিক্যাল সায়েন্স "। তারপর স্টেথো টা ঝুলিয়ে রিভলভিং ছেড়ে উঠতে উঠতে বললেন , " ইমিডিয়েট বাড়ির লোকেদের খবর দিন " …..বিশ্বজিৎ মজুমদার কুড়ি বছর কোমাতে। আজ ই রেসপন্স করছেন ।সবাই যখন হাল ছেড়ে দিয়েছে ,জন্ম মৃত্যুর সীমানা থেকে তিনি তখন জেগে উঠেছেন, অবচেতনের সব জাগতিক অনুভূতি থেকে .....বিস্তারিত পড়ুন
৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল: হাইকোর্ট ও পর্ষদের টানাপড়েন অব্যাহত
উত্তরাপথ: সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রাথমিকের ৩৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে আর তাই নিয়ে শুরু হয়েছে যুক্তি ও পাল্টা যুক্তির খেলা। বিচারপতির বক্তব্য পশ্চিমবঙ্গের এই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগের সময় এই শিক্ষকেরা অপ্রশিক্ষিত ছিলেন আর এই 'অপ্রশিক্ষিত প্রাথমিক শিক্ষকদের' নিয়োগ করা হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা এবং সাহায্যপ্রাপ্ত বিদ্যালয়ে। এই পদ্ধতির ত্রুটির কারণে এই শিক্ষকদের নিয়োগ বাতিল করা হল। .....বিস্তারিত পড়ুন