উত্তরাপথ
করোনার প্রকোপ কমতেই বুস্টার ডোজ় নেওয়ার প্রবণতায় ভাটার টান রাজ্যে। তবে সপ্তাহখানেক ধরেই দেশের পাশাপাশি রাজ্যেও ফের বাড়তে শুরু করেছে করোনা। এই পরিস্থিতিতে ফের বুস্টার নেওয়ার ক্ষেত্রে আমজনতার আগ্রহ বাড়বে। এমনটাই মনে করছে স্বাস্থ্যভবন। তবে সেই পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার মতো অবস্থা রাজ্যের নেই। কারণ, টিকার ভাঁড়ার এই মুর্হূতে প্রায় শূন্য। সে কারণেই চাহিদা অনুযায়ী টিকার যোগানের জন্য কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রককে রাজ্য চিঠি দিতে চলেছে বলে সরকারি সূত্রে খবর। অতীতের অভিজ্ঞতার কথা মাথায় রেখে কেন্দ্রের কাছে ৫ লক্ষ ডো়জ কোভিশিল্ড এবং ৭৫ হাজার ডোজ় ক্যোভাক্সিন চাওয়া হবে বলেই ঠিক হয়েছে। রাজ্যে করোনা টিকাকরণ কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত এক স্বাস্থ্যকর্তা বলেন, ‘মাঝে টিকা নেওয়ার লোক ছিল না, ফলে যা টিকা ভাঁড়ারে ছিল, তা যাতে মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে না যায়, আমরা তাই সেগুলো দিল্লি ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছিলাম। তবে সংক্রমণ বাড়ায় চাহিদা বাড়তে পারে, সে কথা মাথায় রেখে আমরা পর্যাপ্ত টিকার আর্জি জানাব কেন্দ্রের কাছে। কারণ, আমাদের হাতে টিকা প্রায় নেই।’ তিনি জানান, চলতি সপ্তাহেই এ নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রককে চিঠি দেওয়া হবে স্বাস্থ্যভবনের তরফে।
করোনা সংক্রমণের সময়ে রাজ্যে দৈনিক ৬-৭ লক্ষ মানুষের টিকাকরণ হতো। একদিনে প্রায় ১৪ লক্ষ টিকাকরণের নজিরও রয়েছে। করোনার প্রকোপ কমতেই সেই বুস্টার প্রাপকের সংখ্যা নেমে এসেছে ২০০-৫০০ মধ্যে। স্বাস্থ্যকর্তারা জানাচ্ছেন, সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও অনেকেই নিচ্ছেন না বুস্টার ডোজ। যদিও চিকিৎসকরা বলছেন, করোনা এখনও পুরোপুরি বিদায় নেয়নি। দেশে এখনও করোনায় মৃত্যু হচ্ছে। তাই করোনার সঙ্গে লড়াই করতে বুস্টার অত্যন্ত জরুরি। স্বাস্থ্য দপ্তরেরও এ বিষয়ে জোরদার প্রচার করা জরুরি ।
আরও পড়ুন
প্রয়াত "কালবেলা"-র স্রষ্টা সাহিত্যিক সমরেশ মজুমদার
উত্তরাপথ: সাহিত্য একাডেমি পুরুষ্কার প্রাপ্ত প্রখ্যাত সাহিত্যিক সমরেশ মজুমদার কলকাতার এক বেসরকারী হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর।বেশ কিছুদিন ধরে তিনি ফুসফুস ও শ্বাসনালীর সংক্রামণের কারনে তিনি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। ১৯৪২ সালে উত্তরবঙ্গের গয়েরকাটায় জন্ম এই বিখ্যাত লেখকের।ষাটের দশকের গোড়ায় তিনি কলকাতায় এসেছিলেন। ভর্তি হয়েছিলেন স্কটিশ চার্চ কলেজের বাংলা (সাম্মানিক) স্নাতক বিভাগে৷ এর পর স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। সমরেশ মজুমদারের উল্লেখযোগ্য .....বিস্তারিত পড়ুন
সময়
অনসূয়া পাঠক: একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের জেনারেল ম্যানেজার সবুজ বোস। রাজারহাট নিউটাউনের একটি বহুতল আবাসনে স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে সুখী জীবন তার। কাজের বাইরে উনার নেশা বলতে নামীদামী পুরানো মডেলের হাত ঘড়ি কালেকশন। এই বিষয়ে তাঁর সংগ্রহশালাটি রীতিমতো চমকে দেবার মতো। তিনি যে বিদেশী মডেলের রিস্ট ওয়াচটি সবচেয়ে বেশী ব্যাবহার করেন সেটা হঠাৎই একদিন খারাপ হয়ে যাওয়াতে পার্শ্ববর্তী করিম চাচার ঘড়ির দোকানে তিনি যান। এবং আশ্চর্যজনক ভাবে দোকানের শো কেসে তাঁর নজর আটকে যায় জার্মানি মডেলের একটি পুরানো ঘড়ির দিকে। এই .....বিস্তারিত পড়ুন
Green Washing থেকে সাবধান
প্রিয়াঙ্কা দত্ত, রঘনাথপুর: আপনি নিশ্চয়ই একজন পরিবেশ সচেতন নাগরিক? যদি নাও হন তবুও বাজার চলতি ভোগ্যপণ্য খরিদ করার সময় আপনি কি এখন একশ শতাংশ প্রাকৃতিক দ্রব্য কিনতেই পছন্দ করেন? এবং কেনেন? প্রসাধন দ্রব্য কেনার সময় কি আপনি নিম ,তুলসী, চন্দন বা গোলাপের নির্যাস যুক্ত জিনিসই কেনেন ? আর জামাকাপড়? একশ শতাংশ পচনশীল পদার্থ দিয়ে তৈরী? টুথ পেস্ট থেকে আরম্ভ করে তেল, সাবান, শাম্পু কিংবা ভোজ্য তেল , ফ্রুট জুস বা খাবার জিনিস! সব কিছুতেই আপনি পরিবেশে বান্ধব প্যাকেজিং এবং সম্পূর্ন প্রাকৃতিক এই লেবেল দেখেই কিনছেন। তাই না? বর্তমান যুগের .....বিস্তারিত পড়ুন
কতো অজানা রে
মৈত্রেয়ী চৌধুরী: ইতিহাস বিষয়ে আলোচনা করতে গেলেই আমাদের মনে যে সব সৌধের প্রসঙ্গ মনে আসে তারমধ্যে পার্লামেন্ট ভবন একটা অবশ্য দ্রষ্টব্য স্থান। বহু পর্যটক এই ভবন দেখতে যান. কিন্তু জানেন কি, এই পার্লামেন্ট ভবনের ডিজাইন কে বানিয়েছিলেন ? 10 জনকে জিজ্ঞেস করলে 9 জনই বলতে পারবেন না। যাঁরা খুব ইতিহাস নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করেন অথবা গুগুল সার্চ করে থাকেন, তাঁরা হয়তো উত্তরটা দিতে পারবেন। পার্লামেন্ট ভবনের ডিজাইন বানিয়েছিলেন বিখ্যাত ব্রিটিশ স্থপতি এডুইন লুটিয়েন। তাঁর সহকারী ছিলেন আরেক ব্রিটিশ স্থপতি হার্বার্ট বেকার। 1927 খ্রিস্টাব্দে এই ভবনটির নির্মাণ সম্পূর্ণ হয় এবং ব্রিটিশ .....বিস্তারিত পড়ুন