জঙ্গলমহলে খরা, আবার ভিন রাজ্যে পাড়ি

বলরাম মাহাতোঃ বৃষ্টি শূন্য অবস্থা পুরুলিয়ার জঙ্গল মহলের । এই শ্রাবন মাসেও বৃষ্টি না হওয়ার কারণে জঙ্গলমহলে খরা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। জলের অভাবে শুকিয়ে নষ্ট হচ্ছে সবজির গাছ মাটিতেই। উত্তরবঙ্গে কিছু কিছু জেলাতে সামান্য বৃষ্টি হলেও দক্ষিণবঙ্গে কিন্তু বৃষ্টির দেখা নেই এই বছর। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই চিন্তায় মাথায় হাত চাষীদের। সাধারণত জমিতে এই সময় ফুলকপি, বাঁধাকপি,লঙ্কা, করলা এবং বেগুন চাষের সময় । কিন্তু বৃষ্টি শূন্যতায় গাছের চরম ক্ষতি হচ্ছে বলে জানান কৃষকরা । আবার কৃষকেরা যে ধার-দেনা এবং বিভিন্ন সমবায় থেকে ঋণ নিয়ে সবজির যে চাষ-আবাদ করছে তার নায্য দামও তারা পাচ্ছে না,কারণ বৃষ্টি না হওয়ার কারণে জমিতে জলের অভাবে চাষ ভাল হচ্ছে না । তারফলে তারা ফসলের দাম পাচ্ছে না । তাই কি করে তারা সেই ঋণ শোধ করবে সেই চিন্তায় মাথায় হাত কৃষকদের।

পুরুলিয়াতে ধান চাষ সাধারণত একবারই হয় তাহল আমন ধানের যা সাধারনত বর্ষার উপরই পুরোপুরি ভাবে নির্ভর করে। কিন্তু শ্রাবনের অর্ধেক পেরিয়ে গেল তবু বৃষ্টির দেখা নেই । তাই বৃষ্টির অভাবে এখনো চাষিরা চাষের কাজ শুরুই করতে পারেনি । কৃষকরা মনে করছে যে চাষ করতে প্রায় তিন মাস লেগে যায়। সেখানে গোটা আষাঢ় চলে গেল শ্রাবনেও অর্ধেক পেরিয়ে গেল এই পরিস্থিতিতে কি করে এইসময়ে ঘাটতিটা পূরণ করে, চাষ হবে এই চিন্তায় কৃষকেরা। তাদের আশঙ্কা এইভাবে বৃষ্টি না হলে মাটির নীচে জলের লেয়ার আরো ৩০ ফুট নিচে চলে যাবে এবং জঙ্গলমহলে খরা পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। তখন মানুষ টাকা নিয়ে বসে থাকবে অথচ খাবার পাবে না ।  শ্রাবণও যখন বৃষ্টি নেই তখন চাষিরা ধরেই নিয়েছে যে আর চাষবাস হবেক নাইতাই তারা পেটের টানে ভিন রাজ্যে পাড়ি দিচ্ছে কাজের জন্য। ফলে জঙ্গল মহলের কৃষকেরা পরিণত হচ্ছে পরিযায়ী শ্রমিকে।

জঙ্গল মহলের খেঁটে খাওয়া মানুষেরা সরকারের কাছে চাইছে সরকার যেন তাদের এই সমস্যা নিয়ে কিছু ভাবেন,যাতে ফি বছর আর তাদের একই সমস্যা না হয়।

খবরটি শেয়ার করুণ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন


Sustainable Energy: সূর্যের আলো এবং বায়ু,থেকে বিশ্বব্যাপী ব্যবহৃত বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড-ব্রেকিং বৃদ্ধি

উত্তরাপথ: সম্প্রতি একটি রিপোর্ট সামনে এসেছে তাতে সূর্যের আলো এবং বায়ু,থেকে সারা বিশ্বব্যাপী ব্যবহৃত বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড-ব্রেকিং বৃদ্ধি ১২% উৎপাদন করা সম্ভব হয়েছে। এই পুনর্নবীকরণযোগ‍্য সম্পদের ব্যবহার আমাদের অ নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহারের বিকল্পের দিকে ক্রমবর্ধমান বিশ্বব্যাপী পরিবর্তনকে প্রতিফলিত করছে। সৌর এবং বায়ু শক্তির ব্যবহারের দ্রুত বৃদ্ধি বিভিন্ন কারণ দ্বারা চালিত হয়েছে। প্রথমত, প্রযুক্তির অগ্রগতি পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি ব্যবস্থাকে আরও দক্ষ এবং সাশ্রয়ী করে তুলেছে। সৌর প্যানেল এবং বায়ু টারবাইনগুলি এখন আগের চেয়ে আরও দক্ষতার সাথে সূর্য এবং বায়ু থেকে শক্তি উৎপাদন করতে সক্ষম, যার ফলে বিশ্বব্যাপী পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির উৎপাদন বৃদ্ধি .....বিস্তারিত পড়ুন

বেঙ্গালুরুতে বিরোধী জোট গঠনের বৈঠকে অংশ নিতে পারে ৩২টি দল

উত্তরাপথ: আগামী লোকসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে বিরোধী জোট গঠনের জন্য বেঙ্গালুরুতে আগামী ১৭-১৮ জুলাই বিরোধী দলগুলির সমাবেশ হতে চলেছে। এই বৈঠকে ২৪টি রাজনৈতিক দল অংশ নেবে বলে জানা গেছে। সূত্রের খবর, এবার বিরোধী দলে যোগ দিতে যাচ্ছে আরও নতুন ৮টি দল। এই দলগুলি হল, মারুমালারচি দ্রাবিড় মুনেন্দ্র কাজগাম, কঙ্গু দেস মক্কাল কাচ্চি, বিদুথালা চিরুথাইগাল কাচ্চি, বিপ্লবী সমাজতান্ত্রিক দল, অল ইন্ডিয়া ফরওয়ার্ড ব্লক, ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লীগ, কেরালা কংগ্রেস জোসেফ, কেরালা কংগ্রেস মানি ।তবে বিরোধী জোটে যদি সব গুলি দল .....বিস্তারিত পড়ুন

রাতে ভালো ঘুমের পিছনে বিজ্ঞানের রহস্য

উত্তরাপথ: ঘুম আমাদের স্বাস্থ্যকর জীবনধারার একটি অপরিহার্য উপাদান। রাতের ভালো ঘুম হওয়া বর্তমান সময়ের একটা বড় সমস্যা। অনেকে আবার ভালো রাতের ঘুমের জন্য চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ঘুম নিয়ে গবেষণার ক্ষেত্রে বিজ্ঞান উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে।এক নতুন গবেষণায়, জাপানের সুকুবা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা  বলেছেন ঘুমের দীর্ঘস্থায়ী ও গভীরতা নির্ভর করে মস্তিস্কের কোষগুলির মধ্যে পাঠানো সংকেতের উপর। রাতে ঘুমের সময় শরীরে ঘটে যাওয়া জটিল প্রক্রিয়াগুলি সহ  রাতের বিশ্রামের কি গুরুত্ব আমাদের শরীরের উপর তা নিয়ে .....বিস্তারিত পড়ুন

Renewable Energy: জাপানি প্রধানমন্ত্রী সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে নবায়নযোগ্য শক্তি প্রযুক্তির প্রস্তাব করেছেন

উত্তরাপথ: সম্প্রতি জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) সাথে নবায়নযোগ্য শক্তিতে (Renewable Energy) দেশের উন্নত প্রযুক্তি ভাগ করার প্রস্তাব করেছেন। মূলত  জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমিত করার এবং জীবাশ্ম জ্বালানীর উপর নির্ভরতা হ্রাস করার ক্ষেত্রে এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে । সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত দীর্ঘদিন ধরে তাদের তেল এবং প্রাকৃতিক গ্যাসের বিশাল মজুদের জন্য পরিচিত, যা তাদের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বর্তমানে উভয় দেশ তাদের কার্বন পদচিহ্ন (Carbon Emission) কমাতে এবং পরিবর্তিত পরিস্থিতির সাথে খাপ খাইয়ে নিতে তাদের শক্তির উৎসগুলির পরিবর্তনে আগ্রহী .....বিস্তারিত পড়ুন

Scroll to Top