“দুর্গাপূজার অতীত থেকে বর্তমানের যাত্রা”

গার্গী আগরওয়ালা মাহাতো– শরৎ এলেই বাঙালির প্রাণে জেগে ওঠে দুর্গাপূজার আনন্দ। নীল আকাশ, পথের ধারে ফুটে থাকা সাদা কাশফুল দেখে আমাদের মনে আনন্দের ঢেউ ওঠে—এটাই দুর্গাপূজা। দুর্গাপূজা শুধু ধর্মীয় আচার নয়, এটি বাঙালির আবেগ, সংস্কৃতি আর পরিচয়ের উৎসব। হিন্দু শাস্ত্রে দেবী দুর্গার মহিমা বহুবার বর্ণনা করা হয়েছে,কিন্তু বাংলার মাটিতে তাঁর পূজার রয়েছে দীর্ঘ ইতিহাস ,সেই সাথে তার আধ্যাত্মিক ও সাংস্কৃতিক পরম্পরা। দেবীভাগবত, কালিকাপুরাণ ও বৃহৎনন্দীকেশ্বর পুরাণ মায়ের উপাসনার প্রধান ভিত্তি। আজও রামকৃষ্ণ মিশনের পূজা বৃহৎনন্দীকেশ্বর পুরাণ অনুযায়ী সম্পন্ন হয়,যা আধ্যাত্মিক দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শাস্ত্রমতে, দুর্গাপূজার আসল সময় বাসন্তকালের শুক্ল পক্ষ, কিন্তু শরৎকালে শ্রীরামচন্দ্রের অকালবোধনের কারণে শরতেও দেবী পূজিত হন।

এই অকালবোধনের কাহিনী কৃত্তিবাস ওঝার রামায়ণে সুন্দরভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। আশ্চর্যের বিষয়, বাল্মীকির সংস্কৃত রামায়ণের প্রায় ৩৮টি ভাষায় অনুবাদের মধ্যে শুধুমাত্র বাংলায় কৃত্তিবাস রচিত রামায়ণেই এই অকালবোধনের উল্লেখ পাওয়া যায়। কৃত্তিবাস রামায়ণের রচনাকাল আনুমানিক ১৪০০-১৫০০ খ্রিস্টাব্দ, যা বাংলার সংস্কৃতি, চরিত্র ও ভৌগোলিক প্রকৃতির সাথে অসাধারণভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে দুর্গাপ্রতিমার বিবর্তনের একটি নির্দিষ্ট ধারা বাংলায় লক্ষ্য করা যায়। মা দুর্গার মহিষমর্দিনী রূপ মূলত কুষাণ যুগের (খ্রিস্টীয় ১ম-৩য় শতাব্দী), চালুক্য যুগে তার সিংহবাহিনী রূপ পূজিত হতো, এবং মহিষাসুরমর্দিনী রূপটি পল্লব যুগে (খ্রিস্টীয় ৪র্থ-৯ম শতাব্দী) খুঁজে পাওয়া যায়।

বাংলায় সপরিবারে দুর্গাপ্রতিমার পূজার প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায় ১৪৮০ খ্রিস্টাব্দে রাজশাহী জেলার তাহিরপুরের রাজা কংস নারায়ণের পূজায়। রাজা কংস নারায়ণ ছিলেন মনুসংহিতার টীকাকার কুল্লুক ভট্টের পুত্র। তাঁর কুলপুরোহিত রমেশ শাস্ত্রী দুর্গাপূজার রীতি-মন্ত্র ও সামগ্রিক নির্মাণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন।

বাঙালি পণ্ডিত রঘুনন্দন তাঁর ‘তিথিতত্ত্ব’ গ্রন্থে দুর্গাপূজার সম্পূর্ণ বিধি বর্ণনা করেছেন। মিথিলার প্রসিদ্ধ পণ্ডিত বাচস্পতি তাঁর গ্রন্থে দুর্গা প্রতিমার পূজা পদ্ধতির বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন। এই রচনার সময়কাল ১৪২৫ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৪৮০ খ্রিস্টাব্দ।

শরৎকালীন দুর্গাপূজার সর্বোচ্চ প্রসার ও প্রচার লাভ করে ১৭৫৭ সালে কৃষ্ণনগরের অধিপতি নবকৃষ্ণ দেব বাহাদুর এবং শোভাবাজার রাজবাড়ির পূজা আয়োজনের পর থেকেই। এতটাই জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায় যে, পলাশীর যুদ্ধ জয়ের পরে লর্ড ক্লাইভ গির্জায় না গিয়ে আনন্দ উৎসবের জন্য দুর্গাপূজার আয়োজন করেছিলেন। ইংরেজদের সন্তুষ্ট করার জন্য সেই সময়েই প্রথম দুর্গা পূজায় আধ্যাত্মিকতার বাইরেও কিছু আচরণ ঢুকে পড়ে, আয়োজন করা হয় বাইজি নাচের।এর মাঝে ১৫১০ খ্রিস্টাব্দে কোচবিহারের রাজা বিশ্ব সিংহের প্রতিষ্ঠিত ‘দুর্গাবাড়ি’ বা ‘দেবীবাড়ি’র দুর্গাপূজা অন্যতম প্রসিদ্ধ হয়ে ওঠে।

বাংলায় পারিবারিক দুর্গাপূজার প্রচলন মোটামুটি ১৬১০ খ্রিস্টাব্দে বড়িশালের সাবর্ণ রায়চৌধুরী বাড়ির পূজা আয়োজনের মাধ্যমে। সেই জমিদার বাড়ির লক্ষীকান্ত গঙ্গোপাধ্যায়ের পুজো তাদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ছিল। যদিও অন্যমতে, পারিবারিক দুর্গা পুজার সূচনা হয় ১৬০৯ সালে কাশীশ্বর দত্ত চৌধুরীর হাত ধরে। সেইসময়ও দুর্গাপূজা ছিল পুরোপুরি জমিদারের ঠাকুরদালান অথবা নাটমন্দিরে সীমাবদ্ধ।

১৭৯০ সালে হুগলি জেলার গুপ্তিপাড়ার বারো জন ব্রাহ্মণ যুবকের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত হয়েছিল দুর্গাপূজা। বারো ইয়ার বা বন্ধু মিলে ওই পুজো করেন যা পরবর্তীকালে ‘বারোইয়ারি’ বা ‘বারোয়ারি’ পূজা নামে খ্যাতি লাভ করেছে । সেখান থেকেই আজকের বারোয়ারি পুজোর প্রচলন। কলকাতায় ‘বারোয়ারি’ দুর্গাপূজার প্রচলন রাজা হরিনাথ রায়ের হাত ধরে কাশিমবাজার রাজবাড়িতে। সেদিনের সেই ‘বারোয়ারি’ কথাটি ধীরে ধীরে আজকের ‘সর্বজনীন’ কিংবা ‘সার্বজনীন’ এ রূপান্তরিত হয়েছে।

ভারতবর্ষের জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের ইতিহাসে দেবী দুর্গা এক জাগ্রত প্রতীক হিসেবে প্রজ্জ্বলিত হয়েছিলেন। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে জাতীয়তাবাদী চেতনাকে জাগ্রত করতে এর সর্বজনীন পূজা ব্যাপক প্রসার লাভ করেছিল সেই পরাধীন দেশেই। দেবী দুর্গাকে আরাধ্য করেই ভারতমাতার জাগ্রত চেতনা মূর্তিরূপ লাভ করে।

বঙ্কিমচন্দ্রের ‘বন্দেমাতরম’ কিংবা অবনীন্দ্রনাথের ‘ভারতমাতা’ প্রতিরূপ দেবী দুর্গার বন্দনা গীতের আরেকটি প্রতিচ্ছবি। স্বাধীনতাকামী অসংখ্য যুবকের অফুরন্ত প্রাণশক্তির সম্মিলিত উপাদান আর শক্তি ও সুন্দরের অসীম ভান্ডার যে দেবী দুর্গার মধ্যে নিহিত তা স্পষ্ট করে প্রকাশিত হয়েছিল ঋষি অরবিন্দের সেই বিখ্যাত ‘দুর্গাস্তোত্র’-এ। ১৯০৯ সালে তিনি নিজের সম্পাদিত ‘ধর্ম’ সাপ্তাহিক পত্রিকায় সেটি প্রকাশ করেন।

১৯০৫ সালে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের সহিংস ধারার গুপ্ত সংগঠন ‘অনুশীলন’ ও ‘যুগান্তর’-এর হাজার হাজার যুবকের ‘জীবন মৃত্যুকে পায়ের ভৃত্য’ করা প্রেরণার উৎস ছিলেন অসুরনাশিনী মা দুর্গা। মৃত্যুকে তুচ্ছ করা এইসকল অজেয় বীর বিপ্লবীরা মা দুর্গা অথবা কালী মূর্তির সামনে আত্ম বলি্রেনের শপথ গ্রহণ করতেন।

কাজী নজরুল ইসলাম দুর্গা মাতার শক্তি বন্দনার মাধ্যমে সহিংস বিপ্লবীদের উদ্বুদ্ধ করার কারণে ইংরেজ সরকারের রোষানলে পড়েছিলেন।নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুরও সর্বজনীন দূর্গা পূজার সঙ্গে যুক্ত থাকার ইতিহাস পাওয়া যায়।

স্বাধীনতা উত্তর ভারতে এই পূজার প্রচার ও বিস্তার আরও ব্যাপকতা লাভ করেছে। একসময়ের জমিদার বনেদি বাড়ি কিংবা রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রভাবশালীদের পূজা ক্রমে সর্বসাধারণের পূজা হয়ে উঠেছে। সেই সঙ্গে প্যান্ডেল, আলো, থিম, বিনোদন সর্বস্ব আজকের আয়োজনে পূজার আধ্যাত্মিক ও অন্তরের প্রাণশক্তি ক্রমশ ফিকে হচ্ছে।আজকের দিনে চারদিকের আয়োজন দেখে মনে হয় আজকের দিনে পূজার বিষয়টিকে শাস্ত্রের নিরিখে না বুঝে মানুষ ব্যবসায়িক ও রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে বুঝে নিতে চাইছেন কেউ কেউ; আমাদের প্রাণের ও আবেগের দুর্গাপূজা দিন দিন বিনোদন আর উচ্ছৃঙ্খলতার রঙ্গমঞ্চ হয়ে উঠছে।

দুর্গাপূজা শুধু একটি উৎসব নয়, এটি বাঙালির আত্মপরিচয়, সংস্কৃতি ও আধ্যাত্মিকতার প্রতীক। আসুন, আমরা এই মহান উৎসবের আসল তাৎপর্য বুঝে তার আধ্যাত্মিক মূল্যবোধ রক্ষা করি, যাতে আগামী প্রজন্মও এর সঠিক ইতিহাস ও তাৎপর্য জানতে পারে।

খবরটি শেয়ার করুণ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন


Fructose: নতুন গবেষণায় ফ্রুক্টোজকে স্থূলতার কারণ বলা হয়েছে

উত্তরাপথঃ একটি সাম্প্রতিক গবেষণায় জোরালো প্রমাণ দেওয়া হয়েছে যে ফ্রুক্টোজ (Fructose), সাধারণত প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং পানীয়গুলিতে থাকা এক ধরনের চিনি, যা স্থূলতার প্রাথমিক চালক। বছরের পর বছর ধরে, পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা , পাশ্চাত্য খাদ্যে, স্থূলতার মূল কারণ নিয়ে বিতর্ক করেছেন, কেউ কেউ অত্যধিক ক্যালোরি গ্রহণের দিকে ইঙ্গিত করেছেন, অন্যরা কার্বোহাইড্রেট বা চর্বি জাতীয় খাবারকে দায়ী করেছেন। Obesity জার্নালে সাম্প্রতিক একটি গবেষণাপত্রে ফ্রুক্টোজকে স্থূলতার প্রকৃত চালক হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে।The University of Colorado Anschutz Medical Campus এর Dr. Richard Johnson এবং তার দলের মতে, ফ্রুক্টোজ হল একটি সাধারণ চিনি যা ফল এবং মধুর প্রাথমিক পুষ্টি। .....বিস্তারিত পড়ুন

Electoral Bond এর গোপনীয়তা সরিয়ে রাজনৈতিক দলগুলিকে, জানাতে হবে প্রাপ্ত অনুদানের পরিমাণ

উত্তরাপথঃ বুধবার, নির্বাচনী বন্ড (Electoral Bond)প্রকল্পের আইনি বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদনের শুনানি হয়। শীর্ষ আদালত তার মন্তব্যে বলেছে, 'নির্বাচনী বন্ডগুলি রাজনৈতিক দলগুলিকে বেনামী অর্থ প্রদান করে, কারণ তাদের কেনাকাটা সম্পর্কিত রেকর্ডগুলি স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার কাছে উপলব্ধ যা শুধুমাত্র তদন্তকারী সংস্থাগুলি অ্যাক্সেস করতে পারে৷ এর আগে নির্বাচনী বন্ড’ (Electoral Bond) সংক্রান্ত মামলায় সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) কেন্দ্র দাবি করেছিল, রাজনৈতিক দলগুলির আয়ের উৎস জানার অধিকার নেই জনতার।এবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তৎপর হল নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)।বুধবার বিকেল ৫টার মধ্যে যাবতীয় হিসেব জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কমিশনের তরফে।নির্বাচনী বন্ডের (Electoral Bond)মামলায় কেন্দ্রের আর্জি সত্বেও সুপ্রিম কোর্ট রাজনৈতিক দলগুলিকে আয়ের উৎস জানাতে বলেছিল। আদলত নির্দেশ দিয়েছিল, গত ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোন রাজনৈতিক দল কত অনুদান মিলেছে, সেই তথ্য বন্ধ খামে জানাতে হবে।এর আগেও নির্বাচনী বন্ডের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে একাধিক মামলা হয়েছে শীর্ষ আদালতে। মামলাকারীরা অভিযোগ করেছিলেন, রাজনৈতিক দলগুলি এই নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে অবৈধ অর্থ বিদেশ থেকে পেতে পারে এর ফলে গণতন্ত্র ধ্বংস হবে। যদিও কোনও রাজনৈতিক দলই এই দাবি মানতে চায়নি। ৩ অক্টোবর মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সব তথ্য দিতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। এই রায়ের পরেই তৎপর হল কমিশন। .....বিস্তারিত পড়ুন

PAN-Aadhar link: কেন্দ্র সরকার ১১.৫ কোটি প্যান কার্ডকে নিষ্ক্রিয় করেছে

উত্তরাপথ : আধারের সাথে প্যান কার্ড লিঙ্ক (PAN-Aadhar link)করার সময়সীমা শেষ হওয়ার পরে কেন্দ্রীয় সরকার ১১.৫ কোটি প্যান কার্ড নিষ্ক্রিয় করেছে৷ আপনি যদি এখনও প্যান কার্ডের সাথে আধার কার্ড লিঙ্ক না করে থাকেন, তাহলে আপনি সরকারের এই কঠোর পদক্ষেপের আওতায় এসেছেন। আপনি যদি আপনার আধার কার্ডকে প্যানের সাথে লিঙ্ক করতে চান তবে আপনি জরিমানা দিয়ে এটি সক্রিয় করতে পারেন। কেন্দ্র সরকার ১১.৫ কোটি প্যান কার্ডকে আধারের সাথে লিঙ্ক না করার কারণে নিষ্ক্রিয় করেছে। একটি আরটিআই-এর জবাবে, সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডাইরেক্ট ট্যাক্সেস জানিয়েছে যে আধার কার্ডের সাথে প্যান কার্ড লিঙ্ক (PAN-Aadhar link) করার সময়সীমা ৩০ জুন শেষ হয়েছে। যারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আধার কার্ড এবং প্যান কার্ড লিঙ্ক করেননি তাদের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দেশে ৭০ কোটি প্যান কার্ড বর্তমানে ভারতে প্যান কার্ডের সংখ্যা ৭০.২ কোটিতে পৌঁছেছে। এর মধ্যে প্রায় ৫৭.২৫ কোটি মানুষ আধারের সাথে প্যান কার্ড লিঙ্ক করেছেন। .....বিস্তারিত পড়ুন

দীপাবলির সময় কেন পটকা ফোটানো নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা যায় না ?

উত্তরাপথঃ দীপাবলির পরের দিন, যখন কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (CPCB) শহরের বায়ু মানের সূচকের তালিকা প্রকাশ করে,তখন  দেখা যায় রাজধানী দিল্লি বিশ্বের শীর্ষ ১০টি দূষিত শহরের প্রথমেই রয়েছে। CPCB-এর মতে, ১২ নভেম্বর বিকেল ৪ টায় দিল্লির বায়ু মানের সূচক ছিল ২১৮ যা ভোরের দিকে বেড়ে ৪০৭ এ পৌঁছায় । ৪০০ – ৫০০ AQI  এর স্তর সুস্থ ব্যক্তিদের প্রভাবিত করে। দীপাবলির সারা রাত, লোকেরা পটকা ফাটিয়ে দীপাবলি উদযাপন করে। ১৩ নভেম্বর বিকেল ৪ টায় কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ আবার তথ্য প্রকাশ করে এই তালিকায়, দিল্লির গড় বায়ু মানের সূচক ছিল ৩৫৮ যা 'খুব খারাপ' বিভাগে পড়ে।   বায়ু দূষণের এই পরিস্থিতি শুধু দিল্লিতেই সীমাবদ্ধ ছিল না।  নয়ডার বায়ু মানের সূচক ১৮৯ থেকে ৩৬৩ এ এবং রোহতক, হরিয়ানার ১৩৭ থেকে বেড়ে ৩৮৩ হয়েছে। দীপাবলির দুই দিন দিল্লি ,নয়ডা  ,কলকাতা, মুম্বাই সহ দেশের অন্যান্য শহরেও একই অবস্থা বিরাজ করছে। এই দিনগুলিতে মানুষ বিষাক্ত বাতাসে শ্বাস নিতে বাধ্য হয়েছে। ২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে জাতীয় রাজধানী দিল্লি এবং নয়ডায় সবুজ পটকা ছাড়া যে কোনও ধরণের আতশবাজি ফাটান সম্পূর্ণ রূপে নিষিদ্ধ। আদালত সবুজ পটকা পোড়ানোর সময়ও নির্ধারণ করে দিয়েছে রাত ৮টা থেকে ১০টা। এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে সুপ্রিম কোর্টের এই আদেশের মানে কী?  আদালতের এই আদেশ কি এখন প্রত্যাহার করা উচিত?  পুলিশ কেন এই আদেশ কার্যকর করতে পারছে না?  এর জন্য কি পুলিশ দায়ী নাকি সরকারের উদাসীনতা রয়েছে এর পেছনে? .....বিস্তারিত পড়ুন

Scroll to Top