পঞ্চায়েতে সঙ্ঘহীন বিজেপি

উত্তরাপথ

রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণ যে কোনও দিন ঘোষণা হয়ে যেতে পারে। অথচ সঙ্ঘ পরিবার এখনও বসে আছে , তারা বিজেপির সমর্থনে এখনও মাঠে নামেনি। সংঘ প্রচারকরা নাগপুর ও দিল্লির নির্দেশের অপেক্ষায়। তবে শেষ পর্যন্ত দিল্লি ও নাগপুর থেকে আদৌ কোনও নির্দেশ আসবে কি না তা নিয়ে সন্দিহান প্রচারকরা।প্রসঙ্গত বঙ্গ বিজেপির উত্থানের নেপথ্যে নিঃশব্দে কাজ করে চলেছে সংঘ পরিবার। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের গ্রামীণ এলাকায় এবং দক্ষিণবঙ্গের জঙ্গলমহলে। তার ফসল ঘরে তুলেছে বঙ্গ বিজেপি। গত পঞ্চায়েত ভোটে তেমন দাগ কাটতে না পারলেও পরের বছর লোকসভা ভোটে চমকে দেওয়ার মতো ফল করে গেরুয়া শিবির। এই ফলাফলের জন্য যতখানি না বিজেপির কৃতিত্ব, তার চেয়ে বেশি কৃতিত্ব সংঘ পরিবারের। কারণ নিঃশব্দে তারা কাজ করে বিজেপির জন্য ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছেন। সঙ্ঘ পরিবার  অরাজনৈতিক মঞ্চ হলেও তাঁরা বরাবর  বিজেপির হয়ে কাজ করে। যেখানে বিজেপির তেমন সংগঠন নেই সেখানে সংঘের প্রচারকরা বিজেপি কর্মীর ভূমিকা পালন করে, দেওয়াল লিখন, প্রচারপত্র বিলি, এমনকী রাজ্যের বহু বুথে সংঘের প্রচারকরা বুথকর্মীর ভূমিকা পালন করেছিলেন।

এই পঞ্চায়েত নির্বাচনে সংঘ এখনও পথে না নামায় খানিক বেকায়দায় বঙ্গ বিজেপি। সংঘ প্রচারকরা এখন সংগঠনের কাজ করে গেলেও বিজেপির হয়ে পঞ্চায়েত ভোটের প্রস্তুতি থেকে নিজেদের সরিয়ে রেখেছে। যদিও রাজনৈতিক মহলের মতে সংঘের দ্বারা তৈরি পাঁচ বছর আগের সেই জমি রাজ্য বিজেপি নেতারা এখনও ধরে রাখতে পেরেছেন কি না পঞ্চায়েত ভোটের মধ্য দিয়ে তা দেখে নিতে চাইছে সংঘ পরিবার। সেই জন্যই পঞ্চায়েত ভোটের প্রক্রিয়া থেকে বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখছে।

খবরটি শেয়ার করুণ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন


মতুয়া আন্দোলনের এক মনোগ্রাহী ভাষ্য

অরবিন্দ পুরকাইত: আপাত বা গভীর কোনও স্তরেই তেমন কিছু তফাৎ পরিলক্ষিত না হলেও, বর্ণবাদী সমাজে একই পাড়ায় একেবারে প্রায় পাশাপাশি কেবল বিশেষ বিশেষ ঘরে জন্মানোর নিমিত্ত - শিক্ষাদীক্ষা পরের কথা – ভূমিষ্ঠ হওয়া থেকেই আজীবন একজন শ্রদ্ধা-ভক্তি-প্রণাম পাওয়ার অদৃশ্য শংসাপত্রের অধিকারী আর অন্যজনের সেবা-শ্রদ্ধা-ভক্তির অদৃশ্য দাসখতের দায়বদ্ধতা! কেন-না সৃষ্টিলগ্নেই একজন প্রজাপতি ব্রহ্মার মুখনিসৃত আর অন্যজন পদজ যে! সুতরাং মুখ থাকবে সবার উপরে, সবার নিচে পা – এতে অস্বাভাবিকতা বা আশ্চর্যের তো কিছু নেই! কিন্তু কেবল সেবা-শ্রদ্ধাতেই সব মিটে .....বিস্তারিত পড়ুন

মানুষে মানুষে ঐক্য কীভাবে সম্ভব

দিলীপ গায়েন: হিন্দু,মুসলমান,ব্রাহ্মণ,তফসিলি।সকলেই মানুষ।কিন্তু এদের মধ্যে যে ব্যবধান তা হলো ধর্ম ও সাংস্কৃতিক। এই ব্যবধান মুছতে পারলে একাকার হওয়া সম্ভব। যারা বলছে আর্থিক সমতা প্রতিষ্ঠা হলে ব্যবধান মুছে যাবে, তাদের কথাটি বোধ হয় সঠিক নয়।তার প্রমাণ গরিব ও শ্রমিক শ্রেণীর মধ্যে আর্থিক ব্যবধান নেই। অথচ জাতিভেদ রয়ে গেছে। তেমনি কিছু ব্যতিক্রমী ঘটনা ব্যতীত ধনী ও শিক্ষিত সমাজে আর্থিক সচ্ছলতা থাকলেও জাতিভেদ রয়ে গেছে। একমাত্র হাসপাতালে বা চিকিৎসা ব্যবস্থায় জাতিভেদ নেই।কারণ সেখানে তো প্রচলিত ধর্মজাত প্রভেদ বা পরিচয় নেই। আছে মেডিসিন, যা সম্পূর্ণ বিজ্ঞান। কারোর ধর্ম বা জাত দেখে প্রেসক্রিপশন হয় কি? এখানে মানুষের একমাত্র এবং শেষ পরিচয় সে মানুষ। .....বিস্তারিত পড়ুন

Scroll to Top