মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ট্যাপ ওয়াটার সেফটি নিয়ে নতূন উদ্বেগ

উত্তরাপথঃ সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে সেখানকার কলের জলে একটি রহস্যময় রাসায়নিক যৌগ পাওয়া গেছে যা লক্ষ লক্ষ মানুষের সম্ভাব্য ক্ষতির বিষয়ে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। প্রশ্নে থাকা পদার্থটি, ক্লোরোনিট্রামাইড অ্যানিয়ন নামে পরিচিত, যা ক্লোরামাইনের একটি উপজাত । এই জীবাণুনাশক রাসায়নিকটি সাধারণত পানীয় জলে ব্যাকটেরিয়া এবং অন্যান্য রোগজীবাণু মারতে ব্যবহৃত হয়।

আমেরিকায় কয়েক দশক ধরে, জল শোধনাগারগুলি ক্লোরামাইন নামক একটি জীবাণুনাশক ব্যবহার করে পানীয় জলকে নিরাপদ করার জন্য। সম্প্রতি উচ্চ-রেজোলিউশন ভর স্পেকট্রোমেট্রি এবং নিউক্লিয়ার ম্যাগনেটিক রেজোন্যান্স (NMR) স্পেকট্রোস্কোপির মতো উন্নত বিশ্লেষণাত্মক কৌশলগুলির সাথে ক্লাসিক সংশ্লেষণের পদ্ধতিগুলিকে একত্রিত করে, জুলিয়ান ফেইরি এবং সহকর্মীরা ক্লোরোনিট্রামাইড অ্যানিয়ন (Cl–N–NO2–) নামে নতুন এই যৌগটি আবিষ্কার করেছেন যা পূর্বে অজ্ঞাত ছিল।

নতুন গবেষণায়  দেখা গেছে  এই নতুন যৌগ, ক্লোরোনিট্রামাইড অ্যানিয়ন, লক্ষ লক্ষ আমেরিকানদের কলের জলে উপস্থিত রয়েছে। তারা এর সম্ভাব্য বিষাক্ততা সম্পর্কে চিন্তিত কারণ এটি কীভাবে মানুষের স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করতে পারে তা পরিষ্কার নয়।ক্লোরামাইন এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে পানীয় জলকে জীবাণুমুক্ত করতে ব্যবহৃত হয়ে আসছে এবং এটি প্রধানত জলবাহিত রোগ কমাতে বিশেষ  কার্যকরী।এই নতুন যৌগটির আবিষ্কার বেশ কিছু  প্রশ্ন তুলেছে, যে ক্লোরামাইন ব্যবহার করা এখনও কলের জল নিরাপদ রাখার সর্বোত্তম উপায় কিনা।

যে গবেষকরা ক্লোরোনিট্রামাইড অ্যানিয়ন আবিষ্কার করেছেন তারা এর বিষাক্ততা এবং এটি কীভাবে মানব স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে তা নির্ধারণ করতে আরও অধ্যয়নের প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন।সেইসাথে তাদের আরও পরামর্শ যে জল শোধনাগারগুলিকে তাদের জীবাণুনাশক হিসাবে ক্লোরামাইনের ব্যবহার পুনর্বিবেচনা করতে হতে পারে।

একজন বিশেষজ্ঞ উল্লেখ করেছেন যে এই নতুন রাসায়নিক যৌগটির আবিষ্কার জল নিয়ে যারা গবেষণা করছেন এটি যেমন তাদের জন্য, সেই সাথে প্রকৌশলীদের জন্যও তাদের পুরাতন ধ্যান ধারনা পরিবর্তনের এক সুযোগ হতে পারে। আমরা দীর্ঘদিন ধরে ট্যাপের জল নিরাপদ করার জন্য যে নির্দিষ্ট পদ্ধতি ব্যবহার করে আসছি, নতুন গবেষণা সেটিকে করার আরও ভাল বা নিরাপদ উপায় হতে পারে।

সূত্রঃ “Chloronitramide anion is a decomposition product of inorganic chloramines” by Julian L. Fairey, Juliana R. Laszakovits, Huong T. Pham, Thien D. Do, Samuel D. Hodges, Kristopher McNeill and David G. Wahman, 21 November 2024, Science.
DOI: 10.1126/science.adk6749

“The chloramine dilemma” by Daniel L. McCurry, 21 November 2024, Science.
DOI: 10.1126/science.adt8921

খবরটি শেয়ার করুণ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন


Scroll to Top