উত্তরাপথঃউড়িষ্যার রৌরকেলায় আন্তর্জাতিক সাইবার জালিয়াতি চক্র ধরা পড়ার পর তদন্তকারী আধিকারিকদের তদন্তে জানা গেছে, ভারত থেকে শিক্ষিত ও কম্পিউটার বিশেষজ্ঞ যুবকদের চাকরির আশায় কম্বোডিয়ায় ডেকে নিয়ে সেখানে তাদের সাইবার দাসত্বের শিকার করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সাইবার শাখা ১৪C যখন সমস্ত দিক গভীরভাবে তদন্ত করে, তখন এই বড় এবং চমকপ্রদ তথ্য বেরিয়ে আসে।এর পরে, এমএইচএ-কে তথ্য দেওয়া হয় এবং বিদেশ মন্ত্রকের সাথে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে সাইবার জালিয়াতি চক্রের সাথে মোকাবিলা করার বিষয়ে আলোচনা হয়।
সম্প্রতি ওড়িশার রাউরকেলা পুলিশ ‘ফেক স্টক ট্রেডিং অ্যাপ’-এর সাথে জড়িত কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এর পরে জানা গেল যে কম্বোডিয়া থেকে যারা সম্প্রতি ভারতে ফিরে এসেছেন তারা সাইবার অপরাধে জড়িত। এই ধরনের লোকেরা ভারতে এসে বিশাল আকারে সাইবার জালিয়াতির একটি চক্র পরিচালনা শুরু করেছে। ভারত থেকে কম্বোডিয়ায় গেছেন ৪ থেকে ৫ হাজার মানুষ। সেখানে গিয়ে তাদের জোর করে সাইবার জালিয়াতির দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে বলে খবর।এই বিষয়ে, এমএইচএর সাইবার শাখা বিদেশ মন্ত্রকের আধিকারিকদের সাথে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকও করেছে, যেখানে জানা গেছে যে এই ধরণের প্রতারণাকারী অপরাধীদের একটি দীর্ঘ তালিকা রয়েছে যার ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
জানা গিয়েছে, ডেটা এন্ট্রির কাজ দেওয়ার নামে প্রচুর ভারতীয় নাগরিককে গত কয়েক মাস ধরে কম্বোডিয়ায় পাঠানো হয়েছিল। লোভনীয় চাকরির আশায় ফাঁদে পা দিতেই ঘনায় বিপর্যয়। কম্বোডিয়ায় গিয়ে কার্যত ক্রীতদাস হয়ে থাকতে হচ্ছে ওই ভারতীয়দের। অভিযোগ, এ পর্যন্ত ৬ মাসে ওই ভারতীয়দের প্রায় ৫০০ কোটি টাকা প্রতারণা করা হয়েছে। কেড়ে নেওয়া হয়েছে পাসপোর্ট। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ভারতীয়দের জোর করে সাইবার অপরাধের সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে। তাদের কম্বোডিয়া থেকে মুক্ত করার কৌশল তৈরি করছে কেন্দ্রীয় সরকার। এবিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক একাধিক দপ্তরের সঙ্গে বৈঠক করেছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সম্প্রতি ভারতীয়দের উদ্ধারে বিদেশমন্ত্রক, ইলেকট্রনিক্স ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক, ভারতীয় সাইবার ক্রাইম কোঅর্ডিনেশন সেন্টার এবং অন্য নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করেছে। বৈঠকে সংগঠিত রইয়াকেত এবং আটকে পড়া ভারতীয়দের দেশে ফিরিয়ে আনার কৌশল নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এখন পর্যন্ত সেখান থেকে ৩ জনকে ফেরানো হয়েছে, যারা বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা।
আরও পড়ুন
কানারা ব্যাঙ্কের উপর ২.৯২ কোটি জরিমানা করল আরবিআই
উত্তরাপথ: সম্প্রতি ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বিভিন্ন নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য কানারা ব্যাঙ্কের উপর ২.৯২ কোটি টাকা জরিমানা করেছে। ২০২০ সালের জুলাই মাসে আরবিআই দ্বারা ব্যাঙ্কের একটি স্ক্রুটিনি করা হয়েছিল,তাতে যাচাই-বাছাইয়ের পরে, আরবিআই দেখতে পেয়েছে যে ব্যাঙ্ক ফ্লোটিং রেট খুচরা ঋণ এবং এমএসএমই-কে ঋণের সুদকে একটি বাহ্যিক বেঞ্চমার্কের সাথে সংযুক্ত করতে কানারা ব্যাঙ্ক ব্যর্থ হয়েছে এবং ২০২০-২১ আর্থিক বছরে অনুমোদিত ও পুনর্নবীকরণকৃত ফ্লোটিং রেট রুপি ঋণের সুদকে তার প্রান্তিক খরচের সাথে সংযুক্ত করতে ব্যর্থ হয়েছে।আরবিআই বলেছে, অযোগ্য সংস্থার নামে বেশ .....বিস্তারিত পড়ুন
‘প্ৰণাম'প্রকল্পে বিশেষ হেল্প লাইন ব্যবস্থা চালু হল
উত্তরাপথ: কলকাতা শহরে একাকী বসবাসকারী বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের জন্য কলকাতা পুলিশের একটি বিশেষ প্রকল্পের নাম 'প্ৰনাম’। বর্তমানে কলকাতা পুলিশের প্রণাম প্রকল্পের অধীন হাজার খানেক একাকী বৃদ্ধ-বৃদ্ধা রয়েছেন। এবার প্রণাম প্রকল্পকে আরও উন্নত করার জন্য এবার বিশেষ হেল্প লাইন ব্যবস্থা চালু করল কলকাতা পুলিশ। এই হেল্পলাইন নম্বরটি হল ৯৮৭৭৯৫৫৫৫৫। লালবাজার সূত্রের খবর, এই নম্বরটি ২৪ ঘণ্টাই খোলা থাকবে। প্রণামের আওতাধীন যেকোনও সদস্য বা সদস্যা যদি কোনও অসুবিধা বা .....বিস্তারিত পড়ুন
পরম সুন্দরী
মৈত্রেয়ী চৌধুরী: চাকরির বাজার ভীষণ মন্দা। পাত্র সৃজিত এম. এস.সি পাশ করেও কোনো চাকরি পাচ্ছে না। অগত্যা পরিবারের ব্যাবসার হাল ধরেছে। পারিবারিক সূত্রে তাদের মিষ্টির বেশ বড় দোকান রয়েছে। সৃজিত পড়াশোনা তে বেশ ভালো ছাত্র ছিল। প্রতিদিন সকালে পেপারে চাকরির বিজ্ঞাপন খোঁজা তার একটি কাজ। বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান, বয়স তো থেমে থাকবে না। বাবা মা ছেলের বিয়ে নিয়ে বেশ চিন্তিত। তারা কিছু দিনের মধ্যেই ছেলের বিয়ে দেবেন এরকম স্থির করেন। মোনালিসা ভূগোলে সদ্য এম.এ, পি. এইচ. ডি করে একই ভাবেই চাকরির খোঁজ করে যাচ্ছে। বাবা সুভাষ বাবু সরকারি .....বিস্তারিত পড়ুন
কার্বন নিঃসরণ দ্রুত শেষ করার জন্য G7 ঐক্যমত
উত্তরাপথ: বিশ্বের সাতটি ধনী দেশের শক্তি ও পরিবেশ মন্ত্রীরা সম্প্রতি জ্বালানি এবং পরিবেশগত ইস্যুতে উত্তর জাপানের শহর সাপোরোতে বৈঠক করেন। G-7 বৈঠকে জড়ো হওয়া বিভিন্ন দেশের আধিকারিকরা তাদের প্রতিশ্রুতির রূপরেখা দিয়ে একটি কমিউনিক জারি করেছে। বৈঠকে বর্তমান সঞ্চিত জ্বালানি সংকট এবং ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক উন্নয়নকে সমান গুরুত্ব দিয়ে, আগামী ২০৫০ সালের মধ্যে নেট-জিরো গ্রিনহাউস গ্যাস (GHG) নির্গমনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। সমস্ত নেতারা দক্ষ, সাশ্রয়ী মূল্যের এবং দূষণ মুক্ত শক্তির উৎস সন্ধানের গুরুত্বকে স্বীকৃতি দিয়েছে। এর আগেও .....বিস্তারিত পড়ুন