উত্তরাপথ
![](https://uttarapath.com/oogokoab/2023/04/image-46.png)
![](https://uttarapath.com/oogokoab/2023/04/image-46.png)
ছবি: লোয়ার ডেম
একদিকে কাজের চাপ অন্যদিকে প্রচণ্ড গরম, সব সামলে ঘুরতে যাওয়াই মুশকিল হয়ে পড়ে অনেকের কাছে। তবে এবার যেন মেঘ না চাইতেই জল, রাজ্যসরকারের হঠাৎ ঘোষণা স্কুল বন্ধ থাকবে প্রায় এক সপ্তাহ। তাই আর সময় নষ্ট না করে বন্ধুদের ফোন করে সবাই মিলে এক সাথে বেরিয়ে পড়লুম কলকাতা থেকে পুরুলিয়ার উদ্দেশ্যে। আমাদের প্রথম গন্তব্য হাওড়া ষ্টেশন। সেখানে রাতের ট্রেনে চেপে পরদিন সকালে আমারা সবাই পৌঁছে গেলাম বরাভুম ষ্টেশনে। সেখান থেকে গাড়ি চেপে শাল ,পলাশ ও সেগুন ঘেরা রাস্তা দিয়ে অপূর্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে আমরা পৌঁছে গেলুম অযোধ্যা পাহাড়ে অবস্থিত একটি রিসোর্টে। সেখানে খানিক ফ্রেশ হয়ে আবার গাডি নিয়ে বেরিয়ে পড়লুম পাহাড়ের উদ্দেশ্যে।
প্রথমে আমরা গেলাম সুবর্ণরেখা নদীর উপর তৈরী হওয়া লোয়ার ড্যাম দেখতে। এই ড্যামে যাওয়ার রাস্তাতেই পড়ে মার্বেল লেক। চারধারে উঁচু পাহাড় তার ঠিক মাঝখানে টলটলে জলের লেক এক কথায় অনবদ্য ।
এরপর আমরা গেলাম বামনী জলপ্রপাতটি দেখতে। এই জল্প্রপাতের দৃশ্য সত্যই মনোমুগ্ধকর এর স্ফটিক স্বচ্ছ শীতল জল এবং জল্প্রপাতের চার ধারের ট্র্যাকিং এরিয়া এক কথায় অনবদ্য । এটি অযোধ্যা পাহাড়ের অন্যতম সেরা আকর্ষণ।জলপ্রপাতের কাছে পৌঁছানোর জন্য আমরা প্রায় ১০০০ কংক্রিটের সিঁড়ি দিয়ে পাহাড়ের নীচে গেলাম । এই সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় চারিধারে প্রকৃতির অপরূপ সুন্দর দৃশ্য। এছাড়াও এটি একটি পিকনিক এবং জঙ্গল ট্রেকিংয়ের জন্য আদর্শ স্থান । এর নির্মল এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশ আপনাকে এক অন্য জগতে পৌঁছে দেবে । স্থানীয় লোকেদের মতে বামনি জলপ্রপাত দেখার সর্বোত্তম সময় হল বর্ষা ঋতুতে, যা জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত, তখন জলপ্রপাতটিতে জল অনেক বেশী প্রবাহ হয় এবং আশেপাশের পরিবেশও আরও সবুজ থাকে। তবে ভারী বৃষ্টিপাত এবং আকস্মিক বন্যার সম্ভাবনার কারণে বর্ষা মৌসুমে জলপ্রপাতটি পরিদর্শন করার সময় দর্শকদের সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয় । এরপর আমাদের গাড়ির মৃদু সর্পিল রাস্তা দিয়ে ১৮ কিমি উপরে উঠে এল তুরগা জলপ্রপাত, মুরগুমা বাঁধ এবং আপার ড্যাম হয়ে জঙ্গল এর রাস্তা হয়ে রিসোর্টে ফিরে এল। সারাদিনের এক দারুন অভিজ্ঞতা নিয়ে আমরা পরদিন কলকাতা ফিরে এলাম ।
আরও পড়ুন
জলবায়ু পরিবর্তন আমাজনের রেইনফরেস্টের কিছু অংশকে সাভানাতে রূপান্তরিত করতে পারে
উত্তরাপথঃ আমাজন রেইনফরেস্ট, যাকে "পৃথিবীর ফুসফুস" হিসাবে উল্লেখ করা হয়। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বাস্তুত্তন্ত্র যা বিশ্বব্যাপী জলবায়ু নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।সম্প্রতি প্রসিডিংস অফ দ্য ন্যাশনাল একাডেমি অফ সায়েন্সেসের বৈজ্ঞানিক জার্নালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে একটি নতুন তত্তের বর্ণনা করা হয়েছে ,সেখানে বলা হয়েছে কীভাবে বর্ষার মৌসুমে বিকল্প বন্যা এবং শুষ্ক মৌসুমে খরা, যাকে ডবল-স্ট্রেস বলা হয়, বন প্রতিষ্ঠাকে সীমিত করছে।উদ্বেগজনক গবেষণাতে আরও বলা হচ্ছে যে, জলবায়ু পরিবর্তন-প্ররোচিত খরা আমাজন রেইনফরেস্টের কিছু অংশকে সাভানাতে রূপান্তরিত করতে পারে, যা জীববৈচিত্র্য এবং সামগ্রিকভাবে গ্রহের জন্য সম্ভাব্য ধ্বংসাত্মক পরিণতি আনতে পারে। .....বিস্তারিত পড়ুন
আমন্ত্রণপত্রে, বর ও কনের নামের সাথে আইআইটি লেখায় বিতর্ক সোশ্যাল মাধ্যমে
উত্তরাপথঃ বিবাহের সময়, অভিনব এবং ডিজাইনার আমন্ত্রণ কার্ডগুলি সর্বদা সকলের আলোচনায় পরিণত হয়। কিছু আমন্ত্রণ পত্র বিলাসবহুল চকোলেটের সাথে কাস্টমাইজ করে বানানো হয়,আবার কোনও কোনও ক্ষেত্রে পরিবেশের কথা মাথায় রেখে বায়োডিগ্রেডেবল কার্ডের সাথে উপহার হিসাবে গাছ দেওয়া হয়। সম্প্রতি, একটি পুরাতন বিবাহের আমন্ত্রণপত্র ইন্টারনেটে ভাইরাল হচ্ছে যা বর এবং কনের শিক্ষাগত যোগ্যতা গুলিকে হাইলাইট করে বানানো হয়েছে । অর্থাৎ কার্ডে বর ও কনের নামের সাথে তাদের পড়াশোনার ডিগ্রিকেও যুক্ত করা হয়েছে। .....বিস্তারিত পড়ুন
বিজ্ঞানীদের মতে, বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাবে কিছু মাছের প্রজাতি সঙ্কুচিত হচ্ছে
উত্তরাপথঃ আমাদের গ্রহে বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাব ক্রমশ স্পষ্ট হয়ে উঠছে, ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা আমাদের পরিবেশের বিভিন্ন দিককে প্রভাবিত করছে।সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন যে কিছু মাছের প্রজাতি সঙ্কুচিত হচ্ছে এর প্রভাবে। বিজ্ঞানীদের করা এই গবেষণাটি আমাদের মহাসাগরের উষ্ণায়নের প্রত্যক্ষ পরিণতি বলে মনে করা হচ্ছে। গবেষকদের একটি আন্তর্জাতিক দল দ্বারা পরিচালিা সাম্প্রতিক এই গবেষণায় বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে মাছের জনসংখ্যা পরীক্ষা করা হয়েছে। বিজ্ঞানীরা দেখেছেন যে কড এবং হ্যাডকের মতো বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ সহ অসংখ্য প্রজাতির আকার গত কয়েক দশক ধরে হ্রাস পাচ্ছে। আকারের এই হ্রাস সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্র এবং মৎস শিল্প উভয় ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে উদ্বেগের কারণ হতে পারে। .....বিস্তারিত পড়ুন
মহারানী পদ্মাবতী এবং জোহরের ঐতিহ্য: সাহস ও আত্মত্যাগের এক গল্প
উত্তরাপথঃ ভারতের ইতিহাসে, এমন অনেক গল্প রয়েছে যা সময়কে অতিক্রম করে আমাদের সম্মিলিত চেতনায় এক অমোঘ চিহ্ন রেখে যায়। তেমনই একটি গল্প মহারানী পদ্মাবতী ও জোহরের ঐতিহ্য। সাহস, সম্মান এবং ত্যাগের এই গল্প প্রজন্মের পর প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করেছে এবং আমাদের কল্পনাকে মুগ্ধ করে চলেছে।ভারতীয় ইতিহাসের পাতায় অত্যন্ত সুন্দরী ও সাহসী মহারানী পদ্মাবতী'র উল্লেখ আছে। রানী পদ্মাবতী রানী পদ্মিনী নামেও পরিচিত। রানী পদ্মাবতীর পিতা ছিলেন সিংহল প্রদেশের (শ্রীলঙ্কা) রাজা গন্ধর্বসেন।ইতিহাসে রানী পদ্মিনী তার ব্যতিক্রমী সৌন্দর্য, বুদ্ধিমত্তা এবং বীরত্বের জন্য পরিচিত হলেও, তিনি করুণা এবং শক্তির প্রতীক হিসেবেও পরিচিত ছিলেন। দিল্লির শক্তিশালী শাসক আলাউদ্দিন খিলজি তার অতুলনীয় সৌন্দর্যের কথা শুনে তাকে অধিকার করার সংকল্প করেছিলেন। .....বিস্তারিত পড়ুন