জার্মানিতে বিশ্ব উষ্ণায়ন নিয়ে প্রতিবাদের জেরে ১০০ টিরও বেশি ফ্লাইট বাতিল

জার্মানির পরিবেশকর্মীরা জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট বিশ্ব উষ্ণায়ন সমস্যার মকাবিলায় গ্রীষ্মের ছুটিতে ইউরোপ জুড়ে বিমানে ভ্রমণ না করার জন্য একটি প্রচার শুরু করেছে৷ এই কারণে বৃহস্পতিবার দেশের ব্যস্ততম বিমানবন্দরে শতাধিক ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পরিবেশকর্মীরা। তারা বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে প্রতিবাদ জানায়,  এরপর নিরাপত্তার কারণে  বিমানবন্দর কতৃপক্ষ ফ্লাইট বন্ধ করে দেয়।  পুলিশ, ফায়ার ব্রিগেড ও বিমানবন্দরের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছেন।  স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে সব রানওয়ে আবার চালু হয়।

বিমানবন্দরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত প্রায় ১৪০টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে, তবে দিনভর আরও বাধা সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।পরিবেশপ্রেমী গোষ্ঠীগুলি বলেছে যে তারা এই গ্রীষ্মে ইউরোপ জুড়ে বিমানবন্দরগুলিকে লক্ষ্য করে জীবাশ্ম জ্বালানী (যেমন বিমানের দ্বারা ব্যবহৃত) এবং জলবায়ু পরিবর্তনের মধ্যে যোগসূত্র সম্পর্কে মনে করিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে ৷গোষ্ঠীগুলি ২০৩০ সালের মধ্যে জীবাশ্ম জ্বালানীর উৎপাদন এবং পোড়ানো বন্ধ করার জন্য বিশ্বজুড়ে সরকারগুলির প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

ফ্রাঙ্কফুর্ট বিমানবন্দর এই বিষয়ে পরিবেশ কর্মীদের কঠোর সতর্ক বার্তা দিয়েছে।  বিমানবন্দরের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা বলেছেন, “আমরা এই অননুমোদিত বিক্ষোভের তীব্র নিন্দা জানাই, এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বিবেচনা করছি।”  “তাদের কার্যকলাপ ফ্লাইট অপারেশনের জন্য একটি গুরুতর সমস্যার সৃষ্টি করছে ,” তিনি বলেন।  এটা মানুষের জীবনের জন্যও ঝুঁকিপূর্ণ।”

 এদিকে, জলবায়ু তথ্যে দেখা গেছে যে সোমবার ছিল সবচেয়ে উষ্ণতম দিন।  এটি মানুষের অবহেলার কারণে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে, যা নজিরবিহীন তাপ এবং চরম আবহাওয়ার দিকে পরিচালিত করছে। আন্তর্জাতিক শক্তি সংস্থার মতে, জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমানোর বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও  তেল ও গ্যাসে বিশ্বব্যাপী বিনিয়োগ এই বছর ৭% বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে ৷  উড্ডয়নকে সবচেয়ে কার্বন নিঃসরণকারী ক্রিয়াকলাপগুলির মধ্যে একটি হিসাবে বিবেচনা করা হয়, তবে জলবায়ু সঙ্কট রোধ করার প্রচেষ্টা সত্ত্বেও বিমান শিল্প আগামী দশকগুলিতে বাড়তে থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে৷

খবরটি শেয়ার করুণ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন


Fried rice syndrome: আগের দিনের রান্না করা ভাত খেলে হতে পারে এই বিশেষ অসুখটি

উত্তরাপথঃ আপনার কি বাসী ভাত বা পান্তা খাওয়ার অভ্যেস আছে? সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়া তোলপাড় ফ্রাইড রাইস সিনড্রোম (Fried rice syndrome) নিয়ে আমরা প্রায়ই অবশিষ্ট খাবার গরম করে আবার খাই। কিন্তু জানেন কি এই অভ্যাস আপনাকে অসুস্থ করে তুলতে পারে। অনেক সময় পর আগের রান্না করা  ভাত খাওয়ার ফলে পেট সংক্রান্ত সমস্যা হয়। কেউ কেউ মনে করেন যে খাবার পুনরায় গরম করলে এতে উপস্থিত ব্যাকটেরিয়া মারা যায়, কিন্তু তা নয়। যে খাবারেই স্টার্চ থাকে না কেন, এতে উপস্থিত টক্সিন তাপ প্রতিরোধী। অর্থাৎ খাবার গরম করার পরও ব্যাকটেরিয়া নষ্ট হয় না। ফ্রাইড রাইস সিনড্রোম নামে এই সমস্যা সম্পর্কিত একটি অবস্থা রয়েছে। আজ আমরা এই ফ্রাইড রাইস সিনড্রোম অবস্থার লক্ষণ, কারণ এবং প্রতিকার নিয়ে আলোচনা করব। ভাত রান্না করার পর, যখন অবশিষ্ট ভাত কয়েক ঘন্টা বা সারারাত ঘরের তাপমাত্রায় রেখে দেওয়া হয় এবং তাতে ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে শুরু করে, তখন এই অবস্থার নাম দেওয়া হয়েছে ফ্রাইড রাইস সিনড্রোম। .....বিস্তারিত পড়ুন

Fructose: নতুন গবেষণায় ফ্রুক্টোজকে স্থূলতার কারণ বলা হয়েছে

উত্তরাপথঃ একটি সাম্প্রতিক গবেষণায় জোরালো প্রমাণ দেওয়া হয়েছে যে ফ্রুক্টোজ (Fructose), সাধারণত প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং পানীয়গুলিতে থাকা এক ধরনের চিনি, যা স্থূলতার প্রাথমিক চালক। বছরের পর বছর ধরে, পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা , পাশ্চাত্য খাদ্যে, স্থূলতার মূল কারণ নিয়ে বিতর্ক করেছেন, কেউ কেউ অত্যধিক ক্যালোরি গ্রহণের দিকে ইঙ্গিত করেছেন, অন্যরা কার্বোহাইড্রেট বা চর্বি জাতীয় খাবারকে দায়ী করেছেন। Obesity জার্নালে সাম্প্রতিক একটি গবেষণাপত্রে ফ্রুক্টোজকে স্থূলতার প্রকৃত চালক হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে।The University of Colorado Anschutz Medical Campus এর Dr. Richard Johnson এবং তার দলের মতে, ফ্রুক্টোজ হল একটি সাধারণ চিনি যা ফল এবং মধুর প্রাথমিক পুষ্টি। .....বিস্তারিত পড়ুন

বিশ্বকাপ ২০২৩: পাকিস্তানকে হারিয়ে Afghanistan এ ঈদের মতো পরিস্থিতি

আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপ ২০২৩-এর ২২ তম ম্যাচে আফগানিস্তান পাকিস্তানকে বিশাল ব্যবধানে পরাজিত করেছে। সেই ম্যাচে পাকিস্তানকে ৮ উইকেটে হারিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করে আফগানিস্তান। এই প্রথম ওয়ানডেতে পাকিস্তানকে হারাল আফগানিস্তান আর এই পাকিস্তানকে হারিয়ে আফগানিস্থানে(Afghanistan)এখন ঈদের মতো পরিস্থিতি।এক আফগানিস্থানি সমর্থকের মতে এটি ছিল আমাদের ইতিহাসের একটি বিরল মুহূর্ত যখন পুরো জাতি খুশি ছিল এবং নিজেদের মত করে তারা তাদের এই খুশী উদযাপন করেছেন। এক্স হ্যান্ডেলে এক সমর্থকের মতে, সেদিন উদযাপন ছিল, পার্টি ছিল। এটি ছিল আমাদের ইতিহাসের একটি বিরল মুহূর্ত যখন পুরো জাতি খুশি ছিল এছাড়াও, এটি ছিল ২০২৩ বিশ্বকাপের তৃতীয় বড় আপসেট । টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় বাবর আজমের দল। প্রথমে ব্যাট করে পাকিস্তান দল ২৮২ রান করে। জবাবে আফগানিস্তান দল ২৮৩ রান তাড়া করে ৪৯ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্য অর্জন করে। এই ম্যাচে হারের পর বেশ ক্ষুব্ধ দেখাচ্ছিল অধিনায়ক বাবর আজমকে। ম্যাচ-পরবর্তী উপস্থাপনার সময়, তিনি দলের ত্রুটিগুলি তালিকাভুক্ত করেছিলেন এবং পরাজয়ের জন্য নিজেদের দায়ী করেছিলেন। .....বিস্তারিত পড়ুন

Bandna Festival: ছোটনাগপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল পাঁচ দিন বাঁদনার আমেজে মশগুল থাকে

বলরাম মাহাতোঃ চিরাচরিত রীতি অনুযায়ী কার্তিক অমাবস্যার আগের দিন থেকে মোট পাঁচ দিন ব্যাপী বাঁদনার(Bandna Festival) আমেজে মশগুল থাকে ছোটনাগপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। অবশ্য, পরবের শুভ সূচনা হয় তারও কয়েকদিন আগে। আদিবাসী সম্প্রদায়ের সামাজিক শাসন ব্যবস্থার চূড়ামণি হিসাবে গাঁয়ের মাহাতো, লায়া, দেহরি কিম্বা বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি নির্ধারণ করেন- ৩, ৫, ৭ বা ৯ ক’দিন ধরে গবাদি পশুর শিং-এ তেল মাখাবে গৃহস্বামী! রুখামাটির দেশের লোকেরা কোনোকালেই মাছের তেলে মাছ ভাজা তত্ত্বের অনুসারী নয়। তাই তারা গোরুর শিং-এ অন্য তেলের পরিবর্তে কচড়া তেল মাখানোয় বিশ্বাসী। কারণ কচড়া তেল প্রস্তুত করতে গোধনকে খাটাতে হয় না যে! কচড়া তেলের অপ্রতুলতার কারণে বর্তমানে সরষের তেল ব্যবহৃত হলেও, কচড়া তেলের ধারণাটি যে কৃষিজীবী মানুষের গবাদি পশুর প্রতি প্রেমের দ্যোতক, তা বলাই বাহুল্য! এভাবেই রাঢ বঙ্গে গোবর নিকানো উঠোনে হাজির হয়- ঘাওয়া, অমাবস্যা, গরইয়া, বুঢ়ি বাঁদনা ও গুঁড়ি বাঁদনার উৎসবমুখর দিনগুলি। পঞ্চদিবসে তেল দেওয়া, গঠ পূজা, কাঁচি দুয়ারি, জাগান, গহাইল পূজা, চুমান, চউক পুরা, নিমছান, গোরু খুঁটা, কাঁটা কাঢ়া প্রভৃতি ১১টি প্রধান পর্ব সহ মোট ১৬টি লোকাচারের মাধ্যমে উদযাপিত হয় বাঁদনা পরব(Bandna Festival )। .....বিস্তারিত পড়ুন

Scroll to Top