ইঞ্জিনিয়ারড মশা: অ-রাসায়নিক উপায়ে দুষ্টু মশার মোকাবিলা

ড. সঞ্জিত কুমার মাহাতো*, উদয়পুর, রাজস্থান

বর্ধিত অপরিকল্পিত নগরায়ন,  জনঘনত্ব এবং অপরিষ্কার পরিবেশ  মশাবাহিত রোগের প্রকোপ বৃদ্ধির জন্য দায়ী। শহরাঞ্চলে প্রচুর জন ঘনত্ব সেই সাথে এদিক – সেদিক ছড়িয়ে থাকা অব্যবহৃত জিনিষপত্র মশার আদর্শ প্রজনন স্থান। সামনেই বর্ষা, আর বর্ষা মানেই বাড়বে মশাবাহিত রোগের প্রকোপ। এই মুহূর্তে স্ত্রী মশা বিশ্বের সবচেয়ে মারাত্মক জীব কারণ এর কামড়ের মাধ্যমে বিভিন্ন সংক্রামক রোগ ছড়ানোর ক্ষমতার ব্যাপক। প্রতি বছর এই মশাবাহিত রোগ যেমন হলুদ জ্বর, জিকা, ডেঙ্গু জ্বর, এবং ম্যালেরিয়া  লক্ষ লক্ষ মানুষ মারা যায় এবং বিশ্বের কোনও কোনও স্থানে এই রোগ মহামারীর আকার ধারণ করে। কারণ এই সব মশা বাহিত রোগ থেকে পরিত্রাণের খুব সীমিত চিকিৎসা রয়েছে। যখন এই মশা বাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যায় তখন  বিভিন্ন গণমাধ্যমে চলে তর্কবিতর্ক, শুরু হয় একে অপরকে দোষারোপের পালা। কিন্তু বিনিময়ে জনগণ পায় অশ্বডিম্ব। ফলতঃ সমাধান এখনও আমাদের কাছে অধরা।  কিন্তু  ভাবুন এই ডেঙ্গির প্রকোপ গত ১২ বছর ধরে চলে আসছে। এই মুহুর্তে, COVID-19 নিয়ে যতটা চর্চা হয়েছে ততটাই আমরা উদাসীন মশাবাহিত রোগ নিয়ে। কিন্তু বিজ্ঞান ও বিজ্ঞানীরা বসে নেই। তারা যে  সমাজের কাছে দায়বদ্ধ। হয়তো এদেশের বিজ্ঞানীরা এই ব্যাপারে তেমন উল্লেখযোগ্য কিছু করে উঠতে পারেনি বা তাদের কাজ কোনও অজানা কারণে তেমন ভাবে প্রকাশ্যে আসেনি। কিন্তু প্রথম বিশ্বের দেশগুলো আমাদের বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাগুলি সমাধানে  সর্বদা এগিয়ে আসে এবং তাঁরা মৌলিক গবেষণায় পর্যাপ্ত অনুদান অনুমোদন   করেন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের গুরুত্বপূর্ণ গবেষণার ফলাফল প্রযুক্তির আকারে ইন্ডাস্ট্রিকে হস্তান্তর করে যা পরবতী কালে আমাদের জটিল সমস্যাগুলোর সমাধানে কাজে লাগে।

যাইহোক, এবার আলোকপাত করা যাক  মশাবাহিত রোগ “ডেঙ্গু” নিয়ে । এখন পর্যন্ত গবেষকরা পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে গবেষণা করে প্রায় ৩৭০০ এর কাছাকাছি প্রজাতির মশা পেয়েছেন।[1] এই সব মশা নিয়মিত মানুষকে কামড়ায় তারা প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ মানুষের শরীরে রোগজীবাণু সংক্রমণের চালক হিসেবে কাজ করে। আর কিছু প্রজাতি সাধারণত মানুষকে কামড়ায় না যদি না কোনো সংকট আসে যেমন তাদের বাসস্থান থেকে উৎখাত বা  হঠাৎ বন ধ্বংস হলে।   তাই মশা বিজ্ঞানীরা আরো বেশি সচেতন ভাবে এই মশার বিরুদ্ধে লড়তে তৈরি করেছে এক অস্ত্র  যা আমাদের বাস্তুতন্ত্রকেও যেমন  রক্ষা করবে তেমন মশাবাহিত রোগও কমাবে।

আমাদের আশেপাশে বিভিন্ন প্রকারের মশা  আছে, এবং প্রত্যেকে আলাদা আলাদা রোগ বহন করে। সাধারণ ধরনের মশা হল কিউলেক্স মশা যা ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস বহন করে, যার ফলে জ্বর, মাথা ব্যাথা এবং শরীর ব্যাথা সহ বিভিন্ন লক্ষণ দেখা দেয় । আর  অ্যানোফেলস মশা যা ম্যালেরিয়া বহনকারী। কিন্তু সারা বিশ্বে আলোড়নকারী “দুষ্টুমশা” হলো এইডস মশা যা জিকা ভাইরাস, ডেঙ্গু, চিকনগুনিয়া বহন করতে পারে। আর এই দুষ্টুমশার সংক্রামণের উপসর্গ আমাদের সকলের অল্পবিস্তর জানা। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির দুজন জীববিজ্ঞানের গবেষক লিউক আলফে আর  ডেভিড কেলি ২০০২ সালে শুরু করেছিলেন Oxitec যা Oxford Insect Technology নামে আমরা জানি। যদিও তা ২০১৫ সালে আমেরিকার এক সংস্থা তা অধিগ্রহণ করেন।[2] আর এই সংস্থায় সফল ভাবে প্রথম জেনেটিক মোডিফাই অর্থাৎ ইঞ্জিনিয়ারড ইনসেক্ট করেন Pink bollworm (তুলা চাষে মড়ক সৃষ্টিকারী) নামে একটি মারাত্মক কীটপতঙ্গকে যা ২০০৬ সালে আরিজোনাতে পরীক্ষামূলক ভাবে ছাড়া হয়। এটাই ছিল সন্ধিক্ষণ, আর সঙ্গে সঙ্গে তারা Aedes aegypti কে জেনেটিক মোডিফাই করে ফেলেন। Wolbachia নামে একটি এন্ডোসিমবায়োটিক ব্যাকটেরিয়া যা এডিস ইজিপ্টিতে  কৃত্রিমভাবে অর্থাৎ জেনেটিকালি মোডিফাই বা  এঞ্জিনীয়ার্ড এডিস ইজিপ্টিতে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। যা বর্তমানে বিভিন্ন দেশে ফিল্ড ট্রায়াল এ রয়েছে। জেনেটিক্যালি মডিফাইড মশা মানুষের জন্য ক্ষতিকর নয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে তারা মোটেও কামড়ায় না, তাদের তৈরি করা হয়েছে শুধুমাত্র  রোগ ছড়ানো মশার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য।

কিভাবে করা হয় এই জেনেটিক মোডিফাই অর্থাৎ ইঞ্জিনিয়ারড ইনসেক্ট? জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং (জেনেটিক মডিফিকেশনও বলা হয়) হল একটি প্রক্রিয়া যা একটি জীবের ডিএনএ মেকআপ পরিবর্তন করতে পরীক্ষাগার-ভিত্তিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে। এতে একটি একক বেস পেয়ার (A-T বা C-G) পরিবর্তন করা, DNA-এর একটি অঞ্চল মুছে (ডিলিট) ফেলা বা DNA-এর একটি নতুন অংশ সংযোগ  করা। আর এই কাজ করাই সহজ নয়, এর জন্য আণবিক জীববিদ্যা, রসায়নবিদ, জৈব রসায়নবিদ, জেনেটিসিস্ট এবং প্রকৌশলীতে  ক্ষেত্রগুলিকে পারদর্শীদের দিয়ে একত্রিত করে কাজ  করতে হয়। যখন এঞ্জিনীয়ার্ড এডিস ইজিপ্টিতে (EAE) পুরুষ একটি বন্য ধরণের এডিস ইজিপ্টি মহিলার সাথে সঙ্গম করে, তখন EAE পিতা জিনের একটি অনুলিপি সমস্ত সন্তানদের কাছে প্রেরণ করেন। যেহেতু নারীর এই দুটি জিন নেই, সমস্ত বংশধরের কাছে এই জিনের প্রতিটির একটি কপি থাকবে।

এই জেনেটিকালি মডিফাইড (GM) মশা বিশেষভাবে দুই ধরণের জিন বহন করার জন্য বর্তমানে পরীক্ষাগারে ব্যাপকভাবে উৎপাদিত হচ্ছে। একটি স্ব-সীমাবদ্ধ জিন যা মহিলা মশার সন্তানদের প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া থেকে বাঁচতে বাধা দেয়। আর অন্যটি ফ্লুরোসেন্ট মার্কার জিন যা একটি বিশেষ লাল আলোর নিচে জ্বলে এবং বন্য অঞ্চলে GM মশা সনাক্ত করতে বিজ্ঞানীদের সাহায্য করে। স্ব-সীমাবদ্ধ জিন যা মহিলা মশার সন্তানদের প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া থেকে বাঁচতে বাধা দেয় ফলে তারা পরিবর্তিত জিন পরবর্তী প্রজন্মের কাছে প্রেরণ করে।   জিএম পুরুষ ও বন্য স্ত্রী মশার সঙ্গমে যে স্ত্রী মশা জন্মায় তারা বন্ধ্যা হয়ে জন্মায় অর্থাৎ ডিম দিতে পারেনা। রূপান্তরিত মশার মাধ্যমে যে ডিম্ ও অপরিণত মশা আসবে তা হবে ক্ষণস্থায়ী। সেগুলো বেশি দিন টিকে থাকতে পারবে না। আর প্রকৃতিতে মশার সংখ্যা কমতে থাকবে। এইভাবে এডিস এজাপ্টি মশা কমতে থাকে ও এদের দ্বারা বাহিত রোগও ধীরে ধীরে কমতে থাকে। বিভিন্ন সমাজসেবী সংগঠন এই গবেষণার কঠোর সমালোচনা করছে, কারণ ওদের ভয় এইধরণের পরিকল্পনা গুলো ইকোসিস্টেমে একটি শুন্যতা সৃষ্টি করবে।  তখন অন্য কোনো প্রজাতির কীট ওই শুন্যস্থান পূর্ণ করবে, যা থেকে নতুন কোনো  ভয়ানক  রোগের সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। কিন্তু সারা বিশ্বজুড়ে WMP এর মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে এই জি এম মশার ফিল্ড ট্রায়াল শুরু হয়েছে।[3] ব্রাজিল সরকার তো এক বিশাল মশা তৈরির কারখানা বানানোর সবুজ সংকেত দিয়েছে। যেখানে বছরে ৫ বিলিয়ন মশা তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে। কারণ এই এডিস মশাই ২০১৫ সালের শুরু হওয়া জিকা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে অনেক সদ্যজাত বিকৃত মস্তিষ্ক নিয়ে জন্মেছিলো।[4] আমেরিকার এনভায়রনমেন্টাল প্রোটেকশন এজেন্সি 20টি রাজ্য এবং ওয়াশিংটন ডিসিতে বন্য মশা মারার জন্য একটি সাধারণ ব্যাকটেরিয়াম ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে যা ডেঙ্গু, হলুদ জ্বর এবং জিকার মতো ভাইরাস ছড়ায়। যদিও ওখানকার কিছু সংগঠন এই পদ্ধতির ব্যবহারের বিরুদ্ধে সরাসরি মাঠে নেমেছিল। এমনকি কিছু শহরে ভোটাধিকার পর্যন্ত নিতে হয়েছে। কিন্তু বিজ্ঞানীরা মানব কল্যানে জেনেটিকালি মডিফাইড ব্যবহার এ দৃহসংকল্প নিয়েছে। সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়াতেও এই ইঞ্জিনিয়ারড মশার ফিল্ড ট্রায়াল চলছে। বর্তমানে CRISPR টেকনোলজি দিয়ে তুলুনামূলকভাবে কম খরচে ইঞ্জিনিয়ারড ইনসেক্ট বানানো শুরু হয়েছে।[5] জানি না আমাদের দেশে এই ধরণের প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে কি না এই দুষ্টু মশার বিরুদ্ধে লড়তে। তবে একথা হলফ করে বলা যায় যেহেতু বিভিন্ন দেশ এই ইঞ্জিনিয়ারড মশার ফিল্ড ট্রায়াল এর অনুমতি দিয়েছে তাই আমাদের দেশের সরকারেরও এই বিষয়ে চিন্তাভাবনা করা উচিত।

*লেখক CSIR-IICB, Johannesburg Univ., CSIR-Pretoria (UNISA), TCGLS, Osaka University Alumni ও বর্তমানে PI Industries Ltd., Udaipur, India এ কর্মরত।

খবরটি শেয়ার করুণ
16

32 thoughts on “ইঞ্জিনিয়ারড মশা: অ-রাসায়নিক উপায়ে দুষ্টু মশার মোকাবিলা”

  1. সিদ্ধার্থ মজুমদার Siddhartha Majumdar

    বাঃ তথ্য সমৃদ্ধ এবং চিত্তাকর্ষক লেখা। পড়ে ভালো লাগলো।

    1. uttarapath_admin

      আপনার মতামতের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

  2. অনেক ভালবাসা Sanjit da , বাংলা তে এরকম একটা সবিস্তারে বর্ণিত লেখা উপহার দেওয়ার জন্য।👍

    1. uttarapath_admin

      আপনার মতামতের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

  3. Saikat Dutta Chowdhury

    Bah! Valo lekha ta! But I am also concerned about the use of GM insects. Far effective solutions would be to go towards cleaner environments.

    1. uttarapath_admin

      আপনার মতামতের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

  4. Excellent presentation in bengali language with collective information. Hope everyone will be benefited with this knowledge. Thank you Sanjit da

    1. uttarapath_admin

      আপনার মতামতের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

    1. uttarapath_admin

      আপনার মতামতের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

  5. Kajal Mahato

    খুব সুন্দর হয়েছে লেখাটা.. সুন্দর বিশ্লেষণ..

    1. uttarapath_admin

      আপনার মতামতের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

    1. uttarapath_admin

      আপনার মতামতের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

  6. গৌতম কুলসী

    তথ্য সমৃদ্ধ ভাল লেখা। আর বিজ্ঞানের দিক থেকেও বেশ অভিনব ভাবনা এবং তার সঠিক প্রয়োগ। এই ধরনের লেখা বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান চর্চার ক্ষেত্রে আরো মানুষের কাছে পৌঁছে যাক।

    1. uttarapath_admin

      আপনার মতামতের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

    1. uttarapath_admin

      আপনার মতামতের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

    1. uttarapath_admin

      আপনার মতামতের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

  7. এডিস এজিপ্ট আই মশার বিরুদ্ধে ইঞ্জিনিয়ার মশা তৈরীর এই বিশাল কর্মকাণ্ড বিভিন্ন দেশে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে জেনে খুবই ভালো লাগলো। ভারতেও ডেঙ্গির মতো মারাত্মক ব্যাধির বিরুদ্ধে এই ধরনের গবেষণা অতি অবশ্যই শুরু হওয়া উচিত । এরূপ জটিল গবেষণার বিষয় সহজ ভাবে বাংলা ভাষায় আমাদের সামনে তুলে ধরার জন্য তোমাকে অজস্র ধন্যবাদ।

    1. uttarapath_admin

      আপনার মতামতের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

      1. uttarapath_admin

        আপনার মতামতের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

  8. কালিসাধন মুখার্জী

    বাংলা ভাষায় জটিল আলোচনা সহজ ভাবে আমাদের কাছে পরিবেশন করার জন্য ধন্যবাদ। এভাবেই আমাদেরকে সমৃদ্ধ করার আবেদন জানালাম।

    1. uttarapath_admin

      আপনার মতামতের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

  9. PINAKI BHATTACHARJEE

    খুব সুন্দর লিখেছো। আরও লেখা আশা করছি তোমার থেকে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন


মানব-চালিত রোবট ARCHAX এর সাথে দেখা করুন

উত্তরাপথঃসাম্প্রতিক বছরগুলিতে, প্রযুক্তিগত অগ্রগতি আমাদের এক ধাপে অনেকটা এগিয়ে নিয়ে এসেছে, আজ রোবটগুলি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। স্বয়ংক্রিয় সহকারী থেকে স্ব-ড্রাইভিং গাড়ি পর্যন্ত,সর্বত্র আজ রোবটের অবাধ উপস্থিতি। ARCHAX মানব-চালিত এই রোবট  এমনই এক উদ্ভাবন যা বিজ্ঞানী এবং সাধারণ জনগণ উভয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে । অটোনোমাস রোবোটিক কম্প্যানিয়ন উইথ হিউম্যান অ্যাসিসট্যান্সের সংক্ষিপ্ত আর্ক্যাক্স, এর একটি যুগান্তকারী সৃষ্টি যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (AI) বুদ্ধিমত্তাকে একজন মানব অপারেটরের দক্ষতা এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতার সাথে একত্রিত করে তৈরি করা হয়েছে।জাপানের Tsubame Industries ARCHAX তৈরি করেছে।এটি একটি মানুষের আকারের ককপিট সহ একটি বিশাল ট্রান্সফরমার রোবট। .....বিস্তারিত পড়ুন

Diabetes Treatment: রক্তে শর্করা স্থিতিশীল করতে ডালিয়া ফুলের নির্যাস কার্যকর

উত্তরাপথঃ ডায়াবেটিস নিয়ে গবেষণার ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।সম্প্রতি গবেষণায় ওটাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের (University of Otago)নেতৃত্বে বিজ্ঞানীরা ক্লিনিকাল ট্রায়ালের মাধ্যমে আবিষ্কার করেছে যে ডালিয়া ফুলের পাপড়ির নির্যাস ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের রক্তে শর্করা স্থিতিশীল করতে সাহায্য করতে পারে। সেন্টার ফর নিউরোএন্ডোক্রিনোলজির একজন সহযোগী অধ্যাপক আলেকজান্ডার টুপসের( Alexander Tups) নির্দেশনায়, দলটি খুঁজে পেয়েছে যে, উদ্ভিদের একটি অণু, যা মস্তিষ্কে কাজ করে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রন করার জন্য শরীরের ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে।প্রসঙ্গত ডায়াবেটিস হল একটি দীর্ঘস্থায়ী বিপাকীয় ব্যাধি যা অপর্যাপ্ত ইনসুলিন উৎপাদনের কারণে রক্তে শর্করার মাত্রা অত্যাধিক বেড়ে যায়। .....বিস্তারিত পড়ুন

ব্যয় বৃদ্ধির কারণে বাড়ছে বাংলাদেশে ইলিশের দাম, প্রভাব রাজ্যেও

উত্তরাপথঃ বাংলাদেশ ও ইলিশ এই দুটি নাম একে অপরের পরিপূরক মনে হলেও বাস্তব কিন্তু বলছে অন্য কথা। সূত্র মাধ্যমে পাওয়া খবরে জানা যাচ্ছে  প্রকৃতির অপার দান হলেও শিকার থেকে শুরু করে বাজারজাত হওয়া পর্যন্ত ব্যয় বৃদ্ধির কারণেই বাড়ছে বাংলাদেশে ইলিশের দাম। এর সঙ্গে মধ্যস্বত্বভোগীদের লাভের অঙ্ক যোগ হয়ে তা চলে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।পরিস্থিতি এমন যে গরিব তো দূর থাক মধ্যবিত্তের পাতেও এখন আর জুটছে না ইলিশ। বুধবার বরিশালের পাইকারি বাজারে এক কেজি সাইজের ইলিশ বিক্রি হয় ৬০ হাজার টাকা মন দরে। ৪২ কেজিতে মন হিসাবে প্রতি কেজির দাম পড়ে প্রায় সাড়ে ১৪শ টাকা। খুচরা বাজারে গিয়ে যা বিক্রি হয় ১৬ থেকে ১৮শ টাকা। যে কারণে জাতীয় এই মাছ এখন শুধু বিত্তশালীদের খাদ্যে পরিণত হয়েছে। .....বিস্তারিত পড়ুন

বিশ্ব মানবতার আলোয় যৌবনের পূজারী নজরুল

অসীম পাঠকঃ জীবনের প্রয়োজনে যুগের পরিবর্তন যেমন সত্য তেমনি যুগের প্রয়োজনে জীবনের আবির্ভাব অমোঘ। এই বাস্তব সত্যটিকে আরও গভীর ভাবে উপলব্ধি করার কাল এসেছে। তারই অভ্যাস অনুরণিত হচ্ছে দিকে দিকে। সর্বত্র আলোড়ন উঠেছে বিদ্রোহী কবির জীবন দর্শন নিয়ে , তাঁর আগুন ঝরা কবিতা নিয়ে। সর্বহারার কবি নজরুল ইসলাম। যারা বঞ্চিত অবহেলিত , নিপীড়ন আর শোষণের জ্বালা যাদের বুকে ধিকি ধিকি জ্বলে বুকেই জুড়িয়ে যাচ্ছিল দাহ, তাদের মূক বেদনার ভাষা দিয়েছিলেন নজরুল।পদদলিত পরাধীন জাতির বুকে স্বাধীনতার তৃষ্ণা জাগিয়েই তিনি শান্ত থাকেননি , দেশের সমাজের বুক থেকে মানুষে মানুষে বিভেদ ব্যাবধান দূর করবার ব্রত ও গ্রহন করেছিলেন। তিনিই প্রথম কবি যিনি সমাজের সমাজপতি দের ছলনার .....বিস্তারিত পড়ুন

Scroll to Top