

উত্তরাপথঃ বিশ্বের সবচেয়ে চাহিদাসম্পন্ন সার্চ ইঞ্জিন গুগল ২৫ বছর পূর্ণ করলো। বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) গুগলের ২৫তম জন্মদিন। এ উপলক্ষ্যে বিশেষ ডুডল তৈরি করেছে গুগল। ডুডলটিতে ক্লিক করলে এর সম্পর্কে বলা হচ্ছে; তাতে তুলে ধরা হয়েছে গুগলের ২৫তম জন্মদিনের কথা, গুগলের শুরু কীভাবে— এসব তথ্য।এই সার্চ ইঞ্জিনের যাত্রা শুরু হয়েছিল ওয়েব পেজগুলিকে সূচীকরণ এবং পুনরুদ্ধার করার একটি সহজ হাতিয়ার হিসাবে। এটি তার ব্যবহারকারীদের দ্রুত সঠিক অনুসন্ধান ফলাফলের কারণে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।
১৯৯৮ সালে ল্যারি পেইজ ও সের্গেই ব্রিনের হাত ধরে সার্চ ইঞ্জিনটি বাজারে আসার পর থেকেই ব্যবহারকারীদেরকে হাতের মুঠোয় বিশ্ব তথ্য ভাণ্ডারকে এনে দিয়েছে।ব্যবহারকারী্রা পেয়েছে সবজান্তার তকমা।বছরের পর বছর ধরে, সার্চ ইঞ্জিন বেশ কিছু গ্রাউন্ডব্রেকিং অ্যালগরিদম প্রবর্তন করেছে যা এর র্যাঙ্কিং এবং অনুসন্ধানের ফলাফল প্রদর্শনের পদ্ধতিকে পরিবর্তন করেছে। এই উদ্ভাবনগুলি ব্যবহারকারীদের সবচেয়ে প্রাসঙ্গিক এবং নির্ভরযোগ্য তথ্য প্রদান করেছে। গত ২৫ বছরে গুগল পরিণত হয়েছে সবচেয়ে বেশি চাহিদাসম্পন্ন সার্চ ওয়েবসাইটে।
শুধু কী তাই? বদলে দিয়েছে যোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি, জ্ঞান-বিজ্ঞানের ধরনকেই। সারা পৃথিবীতে বিভিন্ন ডেটা সেন্টারে এক মিলিয়ন সার্ভার চালায় গুগল। দিনে ৫শ’ কোটির বেশি অনুসন্ধানের জবাব দেয়,এছাড়াও ইমেজ সার্চ, নিউজ সার্চ, ভিডিও সার্চ এবং ম্যাপিং পরিষেবা চালু করেছে। এই সংযোজনগুলি ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতাকে উন্নত করেছে এবং একই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের জন্য তথ্যের পরিসরকে বৈচিত্র্যময় করেছে।
সার্চ ইঞ্জিনটি ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা এবং ডেটা সুরক্ষা সম্পর্কিত তদন্ত এবং চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছিল৷ গুগল তার প্রতিক্রিয়ায় জানায় তারা কঠোর গোপনীয়তা নীতি বজায় রাখে।এছাড়াও সার্চ ইঞ্জিনটি সার্চ রেজাল্ট ম্যানিপুলেশন, স্প্যাম এবং নিম্ন মানের কন্টেন্ট নিয়ে সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। এই চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবেলা করতে এবং আরও নির্ভরযোগ্য এবং বিশ্বস্ত অনুসন্ধান ফলাফল প্রদান করতে এটি ক্রমাগত তার অ্যালগরিদমগুলিকে পরিমার্জিত করে চলেছে ৷
গুগল সম্প্রতি সার্চ ইঞ্জিন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং মেশিন লার্নিং প্রযুক্তিতে প্রচুর পরিমাণে বিনিয়োগ করছে অনুসন্ধানের ফলাফলগুলিকে আরও পরিমার্জিত করতে, ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা ব্যক্তিগতকৃত করতে এবং ভয়েস অনুসন্ধানের ক্ষমতা উন্নত করতে।আশা করা যায় গুগল তার বিগত 25 বছরের যাত্রার পরবর্তী পর্যায়েও ব্যবহারকারীদের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে নতুন নতুন উদ্ভাবন চালিয়ে যাবে ।
আরও পড়ুন
Electoral Bond এর গোপনীয়তা সরিয়ে রাজনৈতিক দলগুলিকে, জানাতে হবে প্রাপ্ত অনুদানের পরিমাণ
উত্তরাপথঃ বুধবার, নির্বাচনী বন্ড (Electoral Bond)প্রকল্পের আইনি বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদনের শুনানি হয়। শীর্ষ আদালত তার মন্তব্যে বলেছে, 'নির্বাচনী বন্ডগুলি রাজনৈতিক দলগুলিকে বেনামী অর্থ প্রদান করে, কারণ তাদের কেনাকাটা সম্পর্কিত রেকর্ডগুলি স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার কাছে উপলব্ধ যা শুধুমাত্র তদন্তকারী সংস্থাগুলি অ্যাক্সেস করতে পারে৷ এর আগে নির্বাচনী বন্ড’ (Electoral Bond) সংক্রান্ত মামলায় সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) কেন্দ্র দাবি করেছিল, রাজনৈতিক দলগুলির আয়ের উৎস জানার অধিকার নেই জনতার।এবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তৎপর হল নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)।বুধবার বিকেল ৫টার মধ্যে যাবতীয় হিসেব জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কমিশনের তরফে।নির্বাচনী বন্ডের (Electoral Bond)মামলায় কেন্দ্রের আর্জি সত্বেও সুপ্রিম কোর্ট রাজনৈতিক দলগুলিকে আয়ের উৎস জানাতে বলেছিল। আদলত নির্দেশ দিয়েছিল, গত ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোন রাজনৈতিক দল কত অনুদান মিলেছে, সেই তথ্য বন্ধ খামে জানাতে হবে।এর আগেও নির্বাচনী বন্ডের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে একাধিক মামলা হয়েছে শীর্ষ আদালতে। মামলাকারীরা অভিযোগ করেছিলেন, রাজনৈতিক দলগুলি এই নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে অবৈধ অর্থ বিদেশ থেকে পেতে পারে এর ফলে গণতন্ত্র ধ্বংস হবে। যদিও কোনও রাজনৈতিক দলই এই দাবি মানতে চায়নি। ৩ অক্টোবর মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সব তথ্য দিতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। এই রায়ের পরেই তৎপর হল কমিশন। .....বিস্তারিত পড়ুন
World Children's Day: সত্যিই কি ‘বিশ্ব শিশু দিবস´পালনের কোনও যৌক্তিকতা আছে ?
প্রীতি গুপ্তাঃ হাতে গোনা আর মাত্র কয়েকটি দিন তারপর ১৪ নভেম্বর আমাদের দেশ সহ সারা বিশ্বজুড়ে পালন করা হবে ‘বিশ্ব শিশু দিবস´(World Children's Day)।এই দিনটি শিশুদের মঙ্গলের জন্য, তাদের ভবিষ্যতের জন্য একটি অনুকূল বিশ্ব তৈরি করার প্রচেষ্টার একটি দিন।কিন্তু প্রশ্ন,সত্যি কি হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে সারা বিশ্ব জুড়ে শিশু দিবস পালন করার কোনও যৌক্তিকতা আছে? আদৌ কি এর কোনও লাভ আমরা আমাদের প্রান্তিক স্তরের শিশুদের কাছে পৌঁছে দিতে পেরেছি ? সম্প্রতি কাজের প্রয়োজনে রাজস্থানের উদয়পুর শহরে আসা। আমরা সবাই জানি উদয়পুর বিখ্যাত তার হ্রদের কারণে । এখানকার স্থানীয় থেকে পর্যটক সকলেই এই সুন্দর হ্রদগুলির আকর্ষণে বারবার ছুঁটে যায়। ‘ফতে সাহেব লেক’ রাজস্থানের উদয়পুরের এক বিখ্যাত পর্যটক স্থল।এখানে বহু মানুষ সকাল- বিকেল এই লেকের চার ধারে হাঁটাহাঁটি করতে বেরিয়ে পড়ে। সেভাবেই দুই দিন আগে বিকেলে হঠাৎ করে বেরিয়ে পড়লাম ‘ফতে সাহেব লেকের ধারে হাঁটার উদ্দেশ্য নিয়ে। হাঁটার মাঝখানে হঠাৎ করে একটি বাচ্চাছেলে আওয়াজ করে ডাকছে ,বললাম কিছু বলবি? সে বলল একটু দাঁড়াতে। ও ছুটে গিয়ে হাতে করে কয়েকটি বেলুন নিয়ে এসে হাজির । সে বারবার বেলুন কেনার অনুরোধ জানাতে লাগল। হাতে অন্য কাজের চাপ নেই অনেকটা অবসর সময় তাই আমি অনেকটা সাংবাদিক সুলভ মন নিয়ে বললাম ঠিক আছে আমি তোর বেলুন নেব ,কিন্তু তার আগে আমি তোকে যা বলব তার তার ঠিক ঠিক উত্তর দিতে হবে। সে খুশী খুশী রাজি হয়ে গেল । .....বিস্তারিত পড়ুন
সেলফির উচ্চ রেটিং কি আপনাকে আরওপাতলা হতে উৎসাহিত করছে ?
উত্তরাপথঃ সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে সেলফি তোলা এবং নিজেকে পাতলা হিসাবে দেখানোর মধ্যে একটি সম্পর্ক থাকতে পারে। যুক্তরাজ্যের ইয়র্ক সেন্ট জন ইউনিভার্সিটির রুথ নাইট এবং ইউনিভার্সিটি অফ ইয়র্কের ক্যাথরিন প্রেস্টন সম্প্রতি PLOS ONE জার্নালে তাদের ফলাফল প্রকাশ করেছেন।সেখানে সেলফির উচ্চ রেটিং এবং আমাদের শরীরের গঠনের মধ্যে যোগসূত্র খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে। বর্তমান সোশ্যাল মিডিয়ায় সেলফি হল এক জনপ্রিয় ছবি দেওয়ার ধরন। যিনি সেলফি তোলেন তিনি ক্যামেরাকে তাদের শরীর থেকে দূরে রেখে নিজেই নিজের ছবি তোলে। আগের গবেষণায় বলা হয়েছে সেলফিগুলি দেখার ফলে ছবির বিষয়গুলি সম্পর্কে দর্শকদের সিদ্ধান্ত প্রভাবিত হতে পারে। .....বিস্তারিত পড়ুন
Karar Oi Lauh Kapat: কাজী নজরুলের এই গানকে ঘিরে বিতর্কে এ আর রহমান
উত্তরাপথঃ বিতর্কে 'পিপ্পা' ছবির সঙ্গীত পরিচালক অস্কারজয়ী সুরকার এ আর রহমান।সম্প্রতি কবি কাজী নজরুল ইসলামের পরিবার একটি হিন্দি ছবিতে কবির জনপ্রিয় গান 'করার ঐ লৌহ কাপাত...' (Karar Oi Lauh Kapat )।কিন্তু এ আর রহমানের সঙ্গীত পরিচালনায় ওই গানটি যেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে তাতে আপত্তি জানিয়েছে নজরুল পরিবার।বিতর্কের পর যে চুক্তির আওতায় ওই গানটি ছবিতে ব্যবহার করা হয়েছে তা প্রকাশ্যে আনার দাবি তুলেছে কবির পরিবার।'পিপ্পা' শিরোনামের হিন্দি চলচ্চিত্রটি যেখানে (Karar Oi Lauh Kapat )গানটি ব্যবহার করা হয়েছে তা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নেওয়া একজন ভারতীয় সেনা সৈনিককে কেন্দ্র করে একটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত। ছবির সঙ্গীত পরিচালক অস্কারজয়ী সুরকার এ আর রহমান। গানের কথা ঠিক রেখেও সুর পাল্টানোর অভিযোগে ভারত ও বাংলাদেশে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।কবির পরিবারের অভিযোগ, গানটি ব্যবহারের অনুমতি দিলেও সুর পরিবর্তনের অনুমতি দেওয়া হয়নি।পরিবারের সদস্যরাও ছবিটি থেকে গানটি বাদ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। .....বিস্তারিত পড়ুন