

উত্তরাপথঃ কলকাতার মত এবার দিল্লির দুর্গাপূজার প্যান্ডেলে থাকবে থিমের ছোঁয়া তবে প্যান্ডেলের থিম হবে অনন্য। দুর্গা পূজার প্যান্ডেল দুর্গা পূজার এক অনন্য অঙ্গ। দুর্গা পূজার পুরো প্যান্ডেলটিকে সাজানো হচ্ছে সংসদ ভবনের থিমে। চন্দ্রযান এবং মিশন আদিত্যের এক ঝলকও সেখানে দেখা যাবে। G-20-এর সাফল্যও সেখানে থাকবে। এশিয়ান গেমসেও দেশের ভালো পারফরম্যান্সের প্রতিফলন দেখান হবে। প্যান্ডেলের নকশা এবং সাজসজ্জার সাহায্যে এই সব থিম বাস্তবে পরিণত হবে। অন্যদিকে, নবরাত্রিতে বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানও থাকবে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে।ইতিমধ্যে দিল্লির পূজা কমিটিগুলো প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
নবরাত্রির সময়, দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় দুর্গা প্যান্ডেল তৈরি করে পূজা করা হয়, তবে এটি সিআর পার্ক, কালিবাড়ি রোড, মিন্টো রোড, ময়ূর বিহার ফেজ-1, দিলশাদ গার্ডেন সহ সেইসব এলাকায় খুব বড় করে দুর্গা পূজা উদযাপন করা হয়, যেখানে বাঙালি সম্প্রদায়ের লোকেরা থাকে আয়োজনের কেন্দ্র বিন্দুতে।এই সময় দিল্লীর সিআর পার্ককে মিনি বেঙ্গল মনে হয়। সিআর পার্কের মনোমুগ্ধকর প্যান্ডেল স্থানীয় দিল্লিবাসীদেরও আকর্ষণ করে।বহু দর্শনার্থী এই পূজা দেখতে এখানে আসেন। এই দুর্গা পূজা কমিটিগুলোও পূজাকে আকর্ষণীয় করে তুলতে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে। আয়োজকরা বলছেন, দেশের উন্নয়নের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলাই আমাদের প্রচেষ্টা। এ কারণে এবার থিমে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়েছে।
দিল্লির দুর্গাপূজার প্রধান প্যান্ডেলগুলি তৈরি করছেন কলকাতার কারিগররা। সিআর পার্কে, প্যান্ডেলের নকশা এবং সাজসজ্জার দিকে বিশেষ মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে। এটিকে বাংলা ছোঁয়া দিতে কলকাতা থেকে কারিগরদের ডাকা হয়েছে। দুর্গা মায়ের মূর্তিও তৈরি করছেন পশ্চিমবঙ্গের ভাস্কররা। বেশিরভাগ প্যান্ডেল সাজানো হচ্ছে লাল-সাদা পর্দায়। ইস্ট বেঙ্গল ডিসপ্লেসড পার্সনস (আইবিডিপি) সেক্রেটারি গৌতম সেন চৌধুরী বলেছেন যে দুর্গাপূজায় সিআর পার্ক মিনি বেঙ্গল হয়ে যায়।
যেহেতু দুর্গাপূজা দেখতে সারা দিল্লি থেকে প্রচুর মানুষ এখানে আসেন সেই কারবে নিরাপত্তার ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে, সর্বত্র বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। দিল্লি পুলিশের পাশাপাশি কমিটি নিজস্ব নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করেছে। পার্কিংয়ের জন্য আলাদা পাস থাকবে। নবরাত্রির সময় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও অনুষ্ঠিত হবে। আরতি প্রতিযোগিতা, ধুনুচি নাচ ও সিঁদুর খেলার মতো খেলা হবে। শিশুদের জন্য মিউজিক্যাল চেয়ার ও বেলুন ফাটানো প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। প্রতিযোগিতায় বিজয়ীও একটি পুরস্কার পাবেন।
আরও পড়ুন
সহযাত্রী
দীপা - আর তো এগারো বছর আটমাস বারোদিন চাকরি , তাই না ? অংশু - বাপরে বরাবরই তোমার স্মৃতিশক্তি প্রবল , এতোটা মনে আছে ? দীপা- ঘোরো টো টো করে আর কটা বছর , আফটার রিটায়ার্ড মেন্ট কি করবে ? অংশু - ফার্ম হাউস ,গাছপালা পশুপাখি নিয়ে থাকবো। দীপা- বাঃ উন্নতি হয়েছে। যে অংশুবাবু কখনও একটা ফুলের চারা লাগায়নি সে কিনা ফার্ম হাউস করবে … অংশু - সময়ের সাথে সব বদলায় ম্যাডাম , আচ্ছা তোমার কনুইয়ের নীচে সেই পোড়া দাগটা দেখি তো গেছে কিনা … দীপা- তুমি অনেক রোগা হয়ে গেছো , তা ওজন কত শুনি ? অংশু - সত্তর বাহাত্তর হবে বোধহয় মাপিনি, দীপা - তা কেনো মাপবে ? একটা অগোছালো মানুষ। অংশু - যাক বাবা তাও অপদার্থ শব্দ টা বলোনি। দীপা - ভাবোনা ডিভোর্স হয়েছে বলে সে অধিকার নেই। সমাজ বিজ্ঞানের অধ্যাপক হয়েও আসলে সমাজটাই শেখোনি , আর কি শিখেছো বলো, ঐ ছেলে পড়ানো , সেমিনার আর লেখালেখি। তা ধন্যবাদ তোমার রূপালী ঠৌট উপন্যাস এবছর একাডেমি পেলো , দারুণ লেখো তুমি, আগের চেয়ে অনেক ধার। অংশু- বাঃ তুমি পড়েছো ? দীপা- সব পড়েছি , তোমার রিসেন্ট উপন্যাসের নায়িকা মেঘনা টি কে ? মানে কার আড়ালে কাকে লিখেছো ? অংশু - এও কি বাংলা সাহিত্যের অধ্যাপিকাকে বলে দিতে হবে ? দীপা- বারোটা বছর সময়ের শাসনে অনেক বদলালেও আমি বোধহয় সেই বড্ড সেকেলেই রয়ে গেলাম। অংশু - একা একাই কাটিয়ে দিলে বারো বছর। দীপা- একই প্রশ্ন আমিও করতে পারি। অংশু - আচ্ছা দীপা আজ না হয় শেষবারের মতো বলি, আমার মধ্যে কি ছিলো না বলোতো ? কেনো পারোনি এই বাউন্ডুলে ভবঘুরে মানুষটার সাথে চিরকালের ঘর বাঁধতে ? আমি কি ভালোবাসতে জানি না ? .....বিস্তারিত পড়ুন
Karar Oi Lauh Kapat: কাজী নজরুলের এই গানকে ঘিরে বিতর্কে এ আর রহমান
উত্তরাপথঃ বিতর্কে 'পিপ্পা' ছবির সঙ্গীত পরিচালক অস্কারজয়ী সুরকার এ আর রহমান।সম্প্রতি কবি কাজী নজরুল ইসলামের পরিবার একটি হিন্দি ছবিতে কবির জনপ্রিয় গান 'করার ঐ লৌহ কাপাত...' (Karar Oi Lauh Kapat )।কিন্তু এ আর রহমানের সঙ্গীত পরিচালনায় ওই গানটি যেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে তাতে আপত্তি জানিয়েছে নজরুল পরিবার।বিতর্কের পর যে চুক্তির আওতায় ওই গানটি ছবিতে ব্যবহার করা হয়েছে তা প্রকাশ্যে আনার দাবি তুলেছে কবির পরিবার।'পিপ্পা' শিরোনামের হিন্দি চলচ্চিত্রটি যেখানে (Karar Oi Lauh Kapat )গানটি ব্যবহার করা হয়েছে তা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নেওয়া একজন ভারতীয় সেনা সৈনিককে কেন্দ্র করে একটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত। ছবির সঙ্গীত পরিচালক অস্কারজয়ী সুরকার এ আর রহমান। গানের কথা ঠিক রেখেও সুর পাল্টানোর অভিযোগে ভারত ও বাংলাদেশে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।কবির পরিবারের অভিযোগ, গানটি ব্যবহারের অনুমতি দিলেও সুর পরিবর্তনের অনুমতি দেওয়া হয়নি।পরিবারের সদস্যরাও ছবিটি থেকে গানটি বাদ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। .....বিস্তারিত পড়ুন
NASA Carbon Emission: পৃথিবী কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করার চেয়ে বেশি নির্গত করছে
উত্তরাপথঃ কার্বন নির্গমন (NASA Carbon Emission) সম্পর্কে নাসার সর্বশেষ আবিষ্কার পৃথিবীর জন্য এক সতর্কতা সংকেত। মহাকাশ সংস্থার মতে, পৃথিবী কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করার চেয়ে বেশি নির্গত করছে, যার ফলে গ্রিনহাউস গ্যাসের বায়ুমণ্ডলীয় ঘনত্ব উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। NASA এর এই আবিষ্কারটি জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য কারণ হিসাবে দেখা যেতে পারে, সেইসাথে কার্বন নিঃসরণ কমানোর জন্য জরুরি পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তার উপর আলোকপাত করেছে।নাসার সর্বশেষ গবেষণায় যে তথ্য উঠে এসেছে তাতে পৃথিবীর মহাসাগর এবং ভূমি-ভিত্তিক বাস্তুতন্ত্র আগের চেয়ে কম কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করছে। গবেষণায় দেখা গেছে যে গত এক দশকে ভূমি এবং মহাসাগর দ্বারা শোষিত কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ ৫% হ্রাস পেয়েছে, যার ফলে গ্যাসের বায়ুমণ্ডলীয় ঘনত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে। .....বিস্তারিত পড়ুন
সম্পাদকীয়- রাজনৈতিক সহিংসতা ও আমাদের গণতন্ত্র
সেই দিনগুলো চলে গেছে যখন নেতারা তাদের প্রতিপক্ষকেও সম্মান করতেন। শাসক দলের নেতারা তাদের বিরোধী দলের নেতাদের কথা ধৈর্য সহকারে শুনতেন এবং তাদের সাথে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতেন। আজ রাজনীতিতে অসহিষ্ণুতা বাড়ছে। কেউ কারো কথা শুনতে প্রস্তুত নয়। আগ্রাসন যেন রাজনীতির অঙ্গ হয়ে গেছে। রাজনৈতিক কর্মীরা ছোটখাটো বিষয় নিয়ে খুন বা মানুষ মারার মত অবস্থার দিকে ঝুঁকছে। আমাদের দেশে যেন রাজনৈতিক সহিংসতা কিছুতেই শেষ হচ্ছে না।আমাদের দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার চেয়ে রাজনৈতিক সংঘর্ষে বেশি মানুষ নিহত হচ্ছেন। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো (এনসিআরবি) অনুসারে, ২০১৪ সালে, রাজনৈতিক সহিংসতায় ২৪০০ জন প্রাণ হারিয়েছিল এবং সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় ২০০০ জন মারা গিয়েছিল। আমরা পৃথিবীর বৃহত্তম গণতন্ত্র হিসেবে আমাদের দেশের গণতন্ত্রের জন্য গর্বিত হতে পারি, কিন্তু এটা সত্য যে আমাদের সিস্টেমে অনেক মৌলিক সমস্যা রয়েছে যা আমাদের গণতন্ত্রের শিকড়কে গ্রাস করছে, যার জন্য সময়মতো সমাধান খুঁজে বের করা প্রয়োজন। .....বিস্তারিত পড়ুন