উত্তরাপথ


ছবি সৌজন্যে: টুইটার
শুক্রবার দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মেট্রোতে চড়ে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছে গেলেন। তিনি সেদিন সকাল ১১টায় লোককল্যাণ মার্গ মেট্রো স্টেশনে যান । সেখানে টিকিট কাউন্টার থেকে টোকেন নেন এবং তার পরে তিনি প্ল্যাটফর্মে পৌঁছান। মেট্রোর যাত্রীদের সঙ্গেও মতবিনিময় করেন ,এরপর তিনি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে যান।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় ১ মে ১৯২২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ৮৬টি বিভাগ, ৯০টি কলেজ এবং ৬ লাখের বেশি শিক্ষার্থী রয়েছে।সেখানে প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে বলেন, একটা সময় ছিল যখন শিক্ষার্থীরা যেকোনো ইনস্টিটিউটে ভর্তির আগে প্লেসমেন্টকে প্রাধান্য দিত। ভর্তি মানে ডিগ্রি আর ডিগ্রি মানে চাকরি। শিক্ষা এতটুকুতেই সীমাবদ্ধ ছিল।আজকের তরুণরা জীবনকে এর সঙ্গে বাঁধতে চায় না। সে নতুন কিছু করতে চায়। ২০১৪ সালের আগে, ভারতে মাত্র কয়েকশ স্টার্টআপ ছিল। আজ তাদের সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়েছে। কয়েকদিন আগে আমেরিকা সফরে গিয়েছিলাম। আপনারা নিশ্চয়ই দেখেছেন যে ভারতের সম্মান এবং গর্ব কতটা বেড়েছে কারণ ভারতের সম্ভাবনা এবং ভারতের যুবকদের প্রতি বিশ্বের আস্থা বেড়েছে।
মোদী তার ভাষনে আরও বলেন্ ১০০ বছর আগে স্বাধীনতা ছিল আমাদের লক্ষ্য আর এখন লক্ষ্য ২০৪৭ সালের মধ্যে একটি উন্নত ভারত গড়ে তোলা।আজ সারা দেশে বিপুল সংখ্যক বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠছে। কয়েক বছর ধরে আইআইটি এবং আইআইএম-এর মতো প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়েছে। এগুলি হল নিউ ইন্ডিয়ার বিল্ডিং ব্লক।
শিক্ষা কেবল শিক্ষাদানের একটি প্রক্রিয়া নয়, এটি শেখার একটি প্রক্রিয়াও।দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থীদের কী শেখানো উচিত , শিক্ষার্থী কী শিখতে চায় সমস্ত দিক বিবেচনা করে আপনাদের সকলের প্রচেষ্টায় নতুন শিক্ষানীতি প্রণীত হয়েছে। এখন শিক্ষার্থীরা তাদের ইচ্ছানুযায়ী তাদের পছন্দের বিষয় বেছে নিতে পারে।
আরও পড়ুন
রবি কিরণে “আদিত্য”
ড. সায়ন বসুঃ বীর "বিক্রমে" চাঁদের মাটিতে পা রাখার পর এবার ভারতীয় মহাকাশ গবেষণাকেন্দ্র (ISRO)-এর লক্ষ্য সূর্য | আমাদের ৮টি গ্রহ (প্লুটো এখন বামন গ্রহের তালিকায়) যাকে কেন্দ্র করে ঘুরছে সেই সূর্যের দিকে পাড়ি দিয়েছে "আদিত্য" ২রা সেপ্টেম্বর| চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণের ১০ দিনের মাথায় আদিত্যকে সূর্যের উদ্দেশ্যে পাঠিয়ে দিয়ে ISRO বাকি বিশ্বের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রগুলির কাছে যে একটি শক্তিশালী বার্তা পৌঁছে দিতে পেরেছে তা বলাই বাহুল্য| আদিত্য মিশনের সূচনা ২০০৮ সালের জানুয়ারী মাসে মহাকাশ বিজ্ঞান সম্পর্কিত একটি উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে|প্রাথমিকভাবে ঠিক করা হয় যে একটি ছোট এবং কম ওজনের (৪০০ কেজি) কৃত্রিম উপগ্রহকে low Earth orbit (LEO ;লিও) যে কক্ষপথের উচ্চতা ১,২০০ কিলোমিটারের থেকে কম সেখানে পাঠানো হবে এবং তার কাজ হবে সূর্যের একদম যে বাইরের স্তর যাকে আমরা সৌর-করোনা বলি তার সম্বন্ধে তথ্য পাঠানো। .....বিস্তারিত পড়ুন
এবার চাঁদের পথে জাপান, অবতরণে সময় লাগতে পারে ছয় মাস
উত্তরাপথঃ এ যেন হঠাৎ করে শুরু হওয়া বিভিন্ন দেশগুলির মধ্যে চাঁদে যাওয়ার প্রতিযোগিতা।ভারতের পর এবার চাঁদের পথে পারি দিল জাপান । চাঁদের জন্য SLIM নামে তাদের নিজস্ব মুন ল্যান্ডার উৎক্ষেপণ করেছে জাপান। মহাকাশযানটি ৭ সেপ্টেম্বর জাপানের স্থানীয় সময় সকাল ৮.৪২মিনিটে উৎক্ষেপণ করা হয়। এটিতে জাপানের নিজস্ব H2A রকেট ব্যবহার করা হয়েছে। এই মহাকাশ যানটি তানেগাশিমা স্পেস সেন্টার থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে।প্রসঙ্গত দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে জাপান এটিকে নির্দিষ্ট সময়ের চেয়ে ১০ দিন দেরিতে উৎক্ষেপণ করল।মহাকাশযান SLIM ছাড়াও একটি মহাকাশ টেলিস্কোপও পাঠিয়েছে জাপান।উভয় মহাকাশযান এক ঘন্টার মধ্যে তাদের নির্দিষ্ট পথে পৌঁছেছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে 'স্মার্ট ল্যান্ডার ফর ইনভেস্টিগেটিং মুন' (SLIM) প্রায় চার মাস পর চাঁদে অবতরণ করবে। .....বিস্তারিত পড়ুন
টাইপ 2 ডায়াবেটিসে সময়ে খাবার খাওয়া, ক্যালোরি গণনার চেয়ে বেশি কার্যকর
উত্তরাপথঃ টাইপ 2 ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে একটি সাধারণ লক্ষ্য হল ওজন কমানো , অতিরিক্ত ওজন এবং স্থূলতার সাথে টাইপ 2 ডায়াবেটিসের অবস্থার দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে।এই বিপাকীয় ব্যাধিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য কোন ডায়েটিং কৌশলটি সবচেয়ে ভাল কাজ করে তা স্পষ্ট নয়।েতবে টাইপ 2 ডায়াবেটিস রোগীদের একটি সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে যে অধ্যয়নের অংশগ্রহণকারীরা যারা দুপুর থেকে রাত ৮ টার মধ্যে খাবার খাওয়া শেষ করেছে তারা, যারা ক্যালোরি গণনা করে তাদের সামগ্রিক ক্যালোরি গ্রহণ কমিয়েছেন তাদের .....বিস্তারিত পড়ুন
তিব্বতে ওজোন স্তরের গর্ত গ্রীষ্মকালীন বৃষ্টিপাতকে প্রভাবিত করছে
উত্তরাপথঃ ওজোন স্তর পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের একটি অপরিহার্য দিক, যা স্ট্রাটোস্ফিয়ারে অবস্থিত। এটি সূর্য দ্বারা নির্গত ক্ষতিকারক অতিবেগুনী (UV) বিকিরণ থেকে আমাদের রক্ষা করতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ওজোন স্তরের অবক্ষয় , বিশ্বজুড়ে জলবায়ুর ধরনের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে । এরকম একটি পরিণতি হল তিব্বতে ওজোন স্তরের গর্ত যা সেখানকার গ্রীষ্মকালীন বৃষ্টিপাতকে প্রভাবিত করছে।তিব্বতকে, প্রায়শই "বিশ্বের ছাদ" হিসাবে উল্লেখ করা হয়।এটি একটি বৈচিত্র্যময় বাস্তুতন্ত্র এবং অনন্য আবহাওয়ার নিদর্শন সহ এক বিশাল অঞ্চল। এর বিশাল এলাকা জুড়ে উচ্চ পর্বতমালা, মালভূমি এবং গভীর উপত্যকা রয়েছে । .....বিস্তারিত পড়ুন