বিল গেটস কে?  চা বিক্রেতা ডলি বলেন, আমি ভেবেছিলাম সে একজন ‘বিদেশি’ লোক, তাকে চা দেওয়া উচিত

উত্তরাপথঃ মাইক্রোসফটের মালিক বিল গেটস সম্প্রতি ভারতে এসেছিলেন।তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদীর সাথে দেখা করেছেন, এবং এআই সম্পর্কে কথা বলেছেন বলে খবর।তবে এই সবের মধ্যে একটি জিনিস যা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ছে তা হল ডলি চাওয়ালা এর সাথে বিল গেটস এর ভিডিও। এই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে ডলি (ডলি চাই ওয়ালা) বিল গেটসকে চেনেনা।ডলি চা বিক্রেতাকে   বিল গেটস কে?  জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, আমি ভেবেছিলাম সে একজন ‘বিদেশি’ লোক, তাকে চা দেওয়া উচিত।

 বিল গেটস ২৮ ফেব্রুয়ারি তার অফিসিয়াল ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে এই মজার ভিডিওটি শেয়ার করেছেন।ভিডিওতে বিল গেটসকে চায়ে চুমুক দিতে দেখা যাচ্ছে।ভিডিওর শুরুতে বিল গেটসকে এক কাপ চায়ের অর্ডার দিতে দেখা যায়।  ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে ডলি তার অনন্য স্টাইলে দুধ এবং তারপর চা পাতা, আদা ও এলাচ যোগ করে চা তৈরি করছে।  তারপর এক কাপ চা বিল গেটসের দিকে নিয়ে যান।  ভিডিওটি শেয়ার করার সময় বিল গেটস এর ক্যাপশনে লিখেছেন,-ওয়ান চা প্লিজ।

এর আগে ২০২১ সালের… মার্চ-এপ্রিল মাস… করোনা মহামারীর দ্বিতীয় তরঙ্গ প্রায় এসে গেছে।  দেশের অনেক জায়গায় লকডাউন জারি করা হয়েছে।  বেশির ভাগ লোকই ছিল কর্মস্থল থেকে দূরে।  এই সময়ে, অনেক মিম এবং ভিডিও প্রায়ই ভাইরাল হত।  যেখানে কন্টেন্ট নির্মাতাদের বিভিন্ন ধরনের সৃজনশীলতা দৃশ্যমান ছিল। তাদের মধ্যে এক চা বিক্রেতার একটি মজার ভিডিও ভাইরাল হয় সেই সময়।  না, আমরা মোটেও এমবিএ চাওয়ালার কথা বলছি না।  এই চা বিক্রেতা নাগপুরের বাসিন্দা।  ডলি চাওয়ালা নামে পরিচিত এই চাওয়ালা সুপারস্টার রজনীকান্তের স্টাইলে চা বানান।  এছাড়াও, তার চুলের স্টাইল এবং পোশাক পরার পদ্ধতির কারণেও বেশ বিখ্যাত হয়েছিলেন তিনি সেইসময় ।

 ‘ডলি কি টাপরি’ নামের এই চা বিক্রেতার ভিডিওগুলো সেই সময় বহু মানুষ পছন্দ করেছিল।  এখন আবারও শিরোনামে এই নাম।  ভাইরাল ভিডিওর কারণে।  আর এই ভিডিওতে এই চা বিক্রেতার সঙ্গে দেখা গেছে যে ব্যক্তিকে।  তিনি সাধারণ মানুষ নন, বিল গেটস, মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তি।

খবরটি শেয়ার করুণ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন


সেলফির উচ্চ রেটিং কি আপনাকে আরওপাতলা হতে উৎসাহিত করছে ?

উত্তরাপথঃ সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে সেলফি তোলা এবং নিজেকে পাতলা হিসাবে দেখানোর মধ্যে একটি সম্পর্ক থাকতে পারে। যুক্তরাজ্যের ইয়র্ক সেন্ট জন ইউনিভার্সিটির রুথ নাইট এবং ইউনিভার্সিটি অফ ইয়র্কের ক্যাথরিন প্রেস্টন সম্প্রতি PLOS ONE জার্নালে তাদের ফলাফল প্রকাশ করেছেন।সেখানে সেলফির উচ্চ রেটিং এবং আমাদের শরীরের গঠনের মধ্যে যোগসূত্র খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে।    বর্তমান সোশ্যাল মিডিয়ায় সেলফি হল এক জনপ্রিয় ছবি দেওয়ার ধরন। যিনি সেলফি তোলেন তিনি ক্যামেরাকে তাদের শরীর থেকে দূরে রেখে নিজেই নিজের ছবি তোলে। আগের গবেষণায় বলা হয়েছে সেলফিগুলি দেখার ফলে ছবির বিষয়গুলি সম্পর্কে দর্শকদের সিদ্ধান্ত প্রভাবিত হতে পারে। .....বিস্তারিত পড়ুন

ফ্লিম রিভিউ -ওপেনহাইমার

উত্তরাপথ: বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা ক্রিস্টোফার নোলান দ্বারা পরিচালিত”ওপেনহাইমার” একটি মাস্টারপিস মুভি। ছবিতে জে. রবার্ট ওপেনহেইমার, এক নামকরা পদার্থবিজ্ঞানী, যিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় পারমাণবিক বোমার বিকাশে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।এই সিনেমায় ওপেনহাইমার এর জটিল জীবনকে বর্ণনা করা হয়েছে। সেই হিসেবে 'ওপেনহাইমার'কে বায়োপিক বলা যেতে পারে।  কারণ এটি একজন মানুষের গল্প। এই ছবির গল্প তিনটি পর্যায়ে বিভক্ত।ছবির শুরুতে পারমাণবিক বোমা তৈরির আবেগের কথা বলা হয়েছে।  যেখানে নায়ক কিছু না ভেবে নিবেদিতপ্রাণভাবে এমন একটি অস্ত্র তৈরিতে নিয়োজিত থাকে যা বিশ্বকে ধ্বংস করতে পারে।  অস্ত্র তৈরি হওয়ার পর দ্বিতীয় পর্যায়ে নায়ক তার কাজের ফলাফল দেখে অপরাধবোধে পূর্ণ হয়।  এবং তৃতীয় পর্যায়টি হল রাজনীতি  যা ওপেনহাইমারকে মোকাবেলা করতে হয়েছে।  পুরো সিনেমাটি রঙিন হলেও রাজনৈতিক অংশ সাদা-কালো রাখা হয়েছে।  এই তিনটি সময়কালে যা কিছু ঘটছে, তা সবই একে অপরের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত। .....বিস্তারিত পড়ুন

Vijay Stambh : চিতোরগড় দুর্গে বিজয় স্তম্ভ হিন্দু – মুসলিম সহাবস্থানের প্রতীক

উত্তরাপথঃ খ্রিস্টীয় ৭ম শতাব্দীতে মৌর্য রাজবংশ কর্তৃক স্থাপিত চিতোরগড় দুর্গ সাহস ও আত্মত্যাগের প্রতীক হিসেবে আজও দাঁড়িয়ে আছে। এই দুর্গ তার বিশাল কাঠামো, রাজপ্রাসাদ, একাধিক  সুদৃশ্য মন্দির সহ সুন্দর জলাশয়ের জন্য বিখ্যাত।৭০০-একর এলাকা জুড়ে বিস্তৃত, এই দুর্গটিতে প্রায় ৬৫টি ঐতিহাসিক স্থাপত্য নিদর্শন রয়েছে যা রাজপুত এবং ইসলামিক স্থাপত্য শৈলীর সূক্ষ্মতার প্রমান দেয়। বিজয় স্তম্ভ (Vijay Stambh)) হল এই দুর্গে অবস্থিত,সবচেয়ে মনোমুগ্ধকর কাঠামো।এই আশ্চর্য-অনুপ্রেরণামূলক স্তম্ভটি কেবল তার উচ্চতার জন্য বিখ্যাত নয়,এটি রাজপুতদের অদম্য সাহস এবং অধ্যবসায়ের গল্পও বলে যা চিতোরগড় দুর্গেরই সমার্থক হয়ে উঠেছে।বিজয় স্তম্ভ (Vijay Stambh), নাম থেকে বোঝা যায়, বিজয়ের প্রতীক।  প্রাচীনকালে যে কোনো যুদ্ধ অভিযানের সাফল্যের পর সেই বিজয়কে স্মরণীয় করে রাখতে রাজারা মন্দির, স্তূপ, স্মৃতিস্তম্ভ ও স্তম্ভ নির্মাণ করতেন।  ৯ তলা এই বিজয় স্তম্ভটি ১৯৪০ থেকে ১৪৪৮ সালের মধ্যে মহারানা কুম্ভ দ্বারা নির্মিত হয়েছিল। .....বিস্তারিত পড়ুন

দীপাবলির সময় কেন পটকা ফোটানো নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা যায় না ?

উত্তরাপথঃ দীপাবলির পরের দিন, যখন কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (CPCB) শহরের বায়ু মানের সূচকের তালিকা প্রকাশ করে,তখন  দেখা যায় রাজধানী দিল্লি বিশ্বের শীর্ষ ১০টি দূষিত শহরের প্রথমেই রয়েছে। CPCB-এর মতে, ১২ নভেম্বর বিকেল ৪ টায় দিল্লির বায়ু মানের সূচক ছিল ২১৮ যা ভোরের দিকে বেড়ে ৪০৭ এ পৌঁছায় । ৪০০ – ৫০০ AQI  এর স্তর সুস্থ ব্যক্তিদের প্রভাবিত করে। দীপাবলির সারা রাত, লোকেরা পটকা ফাটিয়ে দীপাবলি উদযাপন করে। ১৩ নভেম্বর বিকেল ৪ টায় কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ আবার তথ্য প্রকাশ করে এই তালিকায়, দিল্লির গড় বায়ু মানের সূচক ছিল ৩৫৮ যা 'খুব খারাপ' বিভাগে পড়ে।   বায়ু দূষণের এই পরিস্থিতি শুধু দিল্লিতেই সীমাবদ্ধ ছিল না।  নয়ডার বায়ু মানের সূচক ১৮৯ থেকে ৩৬৩ এ এবং রোহতক, হরিয়ানার ১৩৭ থেকে বেড়ে ৩৮৩ হয়েছে। দীপাবলির দুই দিন দিল্লি ,নয়ডা  ,কলকাতা, মুম্বাই সহ দেশের অন্যান্য শহরেও একই অবস্থা বিরাজ করছে। এই দিনগুলিতে মানুষ বিষাক্ত বাতাসে শ্বাস নিতে বাধ্য হয়েছে। ২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে জাতীয় রাজধানী দিল্লি এবং নয়ডায় সবুজ পটকা ছাড়া যে কোনও ধরণের আতশবাজি ফাটান সম্পূর্ণ রূপে নিষিদ্ধ। আদালত সবুজ পটকা পোড়ানোর সময়ও নির্ধারণ করে দিয়েছে রাত ৮টা থেকে ১০টা। এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে সুপ্রিম কোর্টের এই আদেশের মানে কী?  আদালতের এই আদেশ কি এখন প্রত্যাহার করা উচিত?  পুলিশ কেন এই আদেশ কার্যকর করতে পারছে না?  এর জন্য কি পুলিশ দায়ী নাকি সরকারের উদাসীনতা রয়েছে এর পেছনে? .....বিস্তারিত পড়ুন

Scroll to Top