ব্যস্ত জীবনে কিভাবে কাজ,পরিবার এবং সঙ্গীর মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করবেন?

উত্তরাপথঃ আমি আমার কিশোর সন্তান এবং আমার মায়ের সাথে থাকি, কয়েক বছর আগে আমি আমার বাবাকে হারিয়েছি।তার পরের সপ্তাহে আমার বিবাহবিচ্ছেদ হয়।বর্তমানে আমার একজন নতুন সঙ্গী আছে । আমি আমার সঙ্গীর সাথে তার জায়গায় সময় কাটাতে পছন্দ করি, কিন্তু আমি নিজেকে দোষী বোধ করি এই অবস্থায় আমি কিভাবে কাজ,পরিবার এবং সঙ্গীর মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করব ?

সম্প্রতি এমন এক সমস্যার কথা জানিয়ে এক চিঠি আসে আমাদের কাছে। লেখকের পরিচিতির গোপনীয়তার স্বার্থে আমরা পত্র লেখকের নাম ও ঠিকানা উল্লেখ করলাম না।এরপর আমরা বেশ কিছু ব্যক্তির কাছে এই সমস্যাটির সমাধান জানতে চায় । তারা সকলেই নিজ নিজ দৃষ্টিকোন থেকে সমস্যাটি সমাধানের রাস্তা দেখিয়েছেন । আমরা সকলের দেওয়া সমাধানগুলি ভালোভাবে পড়ে এক সর্বসম্মত সমাধানের সূত্র দিলাম ।

বর্তমান সময়ে কাজ, পরিবার এবং একটি নতুন সঙ্গীর মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করা এক বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে, তবে কিছু সচেতন প্রচেষ্টা এবং সময়ের সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে আপনার জীবনে সামঞ্জস্য তৈরি করা সম্ভব। সেই ভারসাম্য খুঁজে পেতে আপনাকে সাহায্য করার জন্য এখানে কিছু টিপস দেওয়া হল।

 আপনার কাজের অগ্রাধিকারগুলি নির্ধারণ করুন এবং সেই অনুযায়ী সময় বরাদ্দ করুন। আপনার কাজের ক্ষেত্র, পরিবারের সদস্যদের এবং আপনার নতুন সঙ্গীকে আপনার সীমানা স্পষ্টভাবে জানান। এটি প্রত্যেককে আপনার সময়ের গুরুত্ব এবং প্রত্যাশা বুঝতে সাহায্য করবে।

 একটি সাপ্তাহিক বা মাসিক সময়সূচী তৈরি করুন যাতে কাজ, পরিবার এবং আপনার সঙ্গীর জন্য নির্দিষ্ট কিছু সময় যেন অন্তর্ভুক্ত থাকে। আপনি প্রতিটি ক্ষেত্রে কতটা সময় বরাদ্দ করতে পারেন এবং আপনার প্রিয়জন এবং আপনার নতুন সঙ্গীর সাথে আপনি কতটা সময় কাটাতে চান তা নিশ্চিত করুন।

 সৎ এবং খোলামেলা কথাবার্তা যোগাযোগের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আপনার কাজ এবং পারিবারিক দায়িত্ব সম্পর্কে আপনার নতুন সঙ্গীর সাথে কথা বলুন এবং একে অপরের দায়িত্ব এবং প্রয়োজনগুলিকে বোঝার উপর জোর দিন ৷ যে কোনো উদ্বেগ বা সমস্যা দেখা দিলে তা মোকাবেলা করতে নিয়মিত একে অপরের সাথে কথা বলুন।

কর্মক্ষেত্রে এবং বাড়িতে কাজ এবং দায়িত্ব অর্পণ করতে দ্বিধা করবেন না। আপনার পরিবারের সদস্যদের সাথে পরিবারের কাজ শেয়ার করুন বা প্রয়োজনে সাহায্য করার জন্য লোক নিয়োগের কথা বিবেচনা করুন। এতে আপনি কিছু সময় খালি পাবেন এবং আপনার কাজের চাপ কমিয়ে দেবে। যা আপনাকে আপনার নতুন সঙ্গী এবং পরিবারের সাথে আরও গুণমান সময় কাটানোর অনুমতি দেবে।যেমন,একসাথে খাওয়া হোক, হাঁটতে যাওয়া হোক বা কেবল কথোপকথন হোক।

শারীরিক এবং মানসিকভাবে নিজের যত্ন নিন। ব্যায়াম, শিথিলকরণ কৌশল, শখ বা একা সময় কাটানোর মতো স্ব-যত্ন ক্রিয়াকলাপকে অগ্রাধিকার দিন। নিজের যত্ন নেওয়ার মাধ্যমে, আপনার বিভিন্ন ভূমিকা কার্যকরভাবে ভারসাম্য করার শক্তি এবং ক্ষমতা থাকবে।

বিঃদ্রঃ- আপনারাও যদি আপনাদের কোনও ব্যক্তিগত সমস্যা নিয়ে আমাদের কাছে তার সমাধান জানতে চান তাহলে লিখুন- info@uttarapath.com

খবরটি শেয়ার করুণ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন


শালডিহা কলেজের ছাত্রীদের জন্য বিশেষ সার্টিফিকেট কোর্স

উত্তরাপথঃ বাঁকুড়া জেলার শালডিহা কলেজের রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডঃ সমীর কুমার মণ্ডল এর উদ্যোগে এবং Mahindra Group - এর Mahindra Pride Classroom ও Naandi Foundation -এর যৌথ উদ্দগ্যে শুধু মাত্র ছাত্রীদের জন্য ৭ দিনের (৪০ ঘন্টা) একটি সার্টিফিকেট course -এর আয়োজন করা হয়েছিল। বিভিন্ন রকম স্কিল নিয়ে বিশদে শিক্ষা দেওয়া হয়েছিল। যার মধ্যে হল communication skill, soft skill, life skill, presentaion skill ও interview skill ইত্যাদি। Mohindra Educator -এর ভূমিকাই আসেন সরোজ রাই। তিনি মনে করেন, এই জাতীয় প্রশিক্ষণ শালডিহার মতো প্রান্তিক কলেজের মেয়েরা খুবই উপকৃত হবে। কলেজ কর্তৃপক্ষ আশা করে ভবিষ্যতে মাহিন্দ্রা গ্রুপ এই কলেজে ক্যাম্পাসিং এর .....বিস্তারিত পড়ুন

Scroll to Top