রাম মন্দিরের প্রতিবাদে মণিশঙ্কর আইয়ারের মেয়ে ৩ দিন অনশন রেখেছিল

দিল্লিঃ প্রবীণ কংগ্রেস নেতা মণিশঙ্কর আইয়ারের মেয়ে সুরান্যা আইয়ার রাম মন্দির নির্মাণের প্রতিবাদে তিন দিনের জন্য অনশন পালন করেছেন এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় সনাতনের বিরুদ্ধে অশালীন শব্দ পোস্ট করেছেন। এখন এই বিষয়ে, সোসাইটি সুরান্যা আইয়ার এবং মণিশঙ্কর আইয়ারকে একটি চিঠি লিখে তাদের বক্তব্যের জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে বলেছে, অন্যথায় সোসাইটি ত্যাগ করতে বলেছেন।  দিল্লির জংপুরা এলাকায় থাকেন সুরান্য আইয়ার।

অন্যদিকে, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে এই বিষয়ে তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন সুরান্যা আইয়ার।  কংগ্রেস নেতার মেয়ে সুরান্যা আইয়ার ফেসবুকে লিখেছেন, “সংশ্লিষ্ট রেসিডেন্টস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন (আরডব্লিউএ) যে কলোনিতে আছে আমি সেখানে থাকি না।”  দ্বিতীয়ত, আমি এই মুহুর্তে মিডিয়ার সাথে কথা না বলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, কারণ এই মুহূর্তে ভারতের মিডিয়া শুধুমাত্র বিষ এবং বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।  আপনারা সবাই আমাকে চেনেন।  আমি এখন পর্যন্ত আমার পুরো জীবন, প্রায় ৫০ বছর ভারতে সমস্ত রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির লোকদের সাথে বড় হয়েছি, পড়াশোনা করেছি, কাজ করেছি এবং সক্রিয়তায় নিযুক্ত হয়েছি।  আপাতত, আমি আমার মতামতগুলি আমার ফেসবুক এবং ইউটিউব পেজে রাখব যাতে আপনি নিজেও এটি সম্পর্কে শান্তিতে চিন্তা করতে পারেন।  আমি মিডিয়া সার্কাস এড়ানোর চেষ্টা করছি কারণ আমি বিশ্বাস করি যে ভারতে আমাদের আরও ভালো ধরনের পাবলিক ডিসকোর্স দরকার। আসুন গালি না দিয়ে চিন্তা করার চেষ্টা করি।  জয় হিন্দ!”

আসলে, দিল্লির জংপুরা এলাকায় বসবাসকারী সুরান্যা , অযোধ্যায় রাম লালার পুজোর পর একটি ফেসবুক পোস্ট করেছিলেন।  বলেন, মায়ের হাতের এক চামচ মধু পান করে তিনি তার উপবাস ভেঙেছেন।  সুরণ্যা আইয়ারের এমন বক্তব্যে সমাজের মানুষের মধ্যে ক্ষোভের পরিবেশ তৈরি হয়েছে।  এখন এই বিষয়ে কংগ্রেস নেতার মেয়ের ক্ষমা চাওয়ার কথা চলছে।

এর প্রায় ১৫ দিন আগে, কংগ্রেস নেতা মণিশঙ্কর আইয়ারের মেয়ে ইয়ামিনী আইয়ারও শিরোনামে এসেছিলেন।  আসলে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ইয়ামিনী আইয়ারের নেতৃত্বে একটি বিখ্যাত থিঙ্ক ট্যাঙ্কের ফরেন কন্ট্রিবিউশন রেগুলেশন অ্যাক্ট (এফসিআরএ) বাতিল করেছে।  এই থিঙ্ক ট্যাঙ্কের নাম সেন্টার ফর পলিসি রিসার্চ (সিপিআর)।  কর্মকর্তাদের মতে, এই সংস্থা নিয়ম লঙ্ঘন করছিল।

খবরটি শেয়ার করুণ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন


 সম্পাদকীয়

পশ্চিমবঙ্গের ছোট-বড় যে কোনও নির্বাচন মানেই রাজনৈতিক হিংসা । সদ্য অনুষ্ঠিত পঞ্চায়েত নির্বাচনও তার ব্যতিক্রম নয়।রাজনৈতিক হিংসা যাতে না হয় নির্বাচনে তার জন্য যাবতীয় উদ্যোগ গ্রহণ করার পরও হিংসা অব্যাহত থাকল, সারা রাজ্যজুরে ঘটল তেরোটি মৃত্যুর ঘটনা ।পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে  ঘট হিংসা রাজ্যের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহ নাগরিকদের ভোটাধিকার নিয়ে আমাদের সামনে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। আমাদের রাজ্যে চলতে থাকা রাজনৈতিক হিংসার পেছনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ একাধিক কারণ থাকলেও বেকারত্ব সহ দুর্বল গ্রামীন অর্থনীতি এর প্রধান কারণ । দুর্বল গ্রামীন অর্থনীতির কারণে বেশীরভাগ গ্রামীন এলাকার মানুষদের অর্থনৈতিক উপার্জনের সুযোগ খুব কম। বিশেষত স্বল্প শিক্ষিত সেই সব মানুষদের যারা না পায় সরকারি চাকুরি না পারে ঠিকা শ্রমিকের কাজ করতে, গ্রামীন অর্থনীতিতে বিশাল সংখ্যক মানুষ এই শ্রেনীর অন্তর্গত .....বিস্তারিত পড়ুন

Scroll to Top