৯৬ তম অস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। অনুষ্ঠানটি লস অ্যাঞ্জেলেসের ডলবি থিয়েটারে অনুষ্ঠিত হয়েছিল এবং ১১ মার্চ সকাল ৪ টায় ভারতে প্রচারিত হয়েছিল। এবার কেউ প্রথম অস্কার জিতেছেন আবার কেউ একাধিকবার এই পুরস্কার জিতে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন।
৯৬ তম একাডেমি পুরষ্কারের অনেকগুলি বিশেষ মুহুর্তের মধ্যে একটি ছিল অস্কার বিজয়ী ভাইবোন বিলি ইলিশ এবং ফিনিয়াস ও’কনেলের নাম।২২ বছর বয়সী বিলি ইলিশ এবং ২৬ বছর বয়সী ফিনিয়াস ও’কনেল। ‘বার্বি’ ছবির ‘হোয়াট ওয়াজ আই মেড ফর’-এর জন্য তিনি অস্কার পেয়েছেন। ৯৬ তম একাডেমি পুরষ্কার জিতে, বিলি আইলিশ এবং ফিনিয়াস ও’কনেল ৩০ বছরের কম বয়সী হিসাবে দুবার অস্কার জেতার ইতিহাস তৈরি করেছেন। এর আগে ২৮ বছর বয়সে এই পুরস্কার পেয়েছিলেন লুসি রেনার।
অস্কার জেতার পর আবেগঘন বক্তৃতা দিলেন বিলি ইলিশ। তিনি এর জন্য কৃতিত্ব দিয়েছেন এমন প্রত্যেক ব্যক্তিকে যারা ছবিটি তৈরিতে কঠোর পরিশ্রম করেছেন এবং এর সাথে সংযুক্ত অনুভব করেছেন। এর আগে ২০২১ সালে, বিলি এবং ফিনিয়াস জুটি জেমস বন্ডের থিম গান ‘নো টাইম টু ডাই’-এর জন্য অস্কার জিতেছিল।
বিশ্ব চলচ্চিত্রের সবচেয়ে জমকালো ৯৬ তম অস্কার আসরের সেরা সিনেমা হিসেবে ‘ওপেনহাইমার’-এর নাম ঘোষণা করা হয়েছে।এই সিনেমাটি মোট সাতটি বিভাগে পুরষ্কার জিতে নেয়।বিভাগগুলির মধ্যে- সেরা ওরিজিন লো-বেস্ট স্যাং, সেরা সাউন্ড, লাইভ এ্যাকশন লঘু ছবি, সেরা সিনেম্যাটোগ্রাফি, সেরা ডকুমেট্রি, ফিল্ম এডিটিং, সেরা বিজ্যুয়াল প্রভাব সেই সাথে সেরা স্পোর্টিং একটর।
‘ওপেনহাইমার’ ছবিটি পারমাণবিক বোমার জনক’ জে রবার্ট ‘ওপেনহাইমারকে নিয়ে তৈরি হয়েছে। তবে এটি বায়োপিক নয়, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পটভূমিতে তৈরি। ‘ওপেনহাইমার’ নির্মাণের জন্য সেরা চলচ্চিত্র নির্মাতার পুরস্কারও পেয়েছেন ক্রিস্টোফার নোলান।
এছাড়াও ৯৬ তম অস্কার আসরে সেরা অভিনেতার পুরস্কার উঠেছে কিলিয়ান মারফির হাতে। ‘ওপেনহাইমার’ ছবির জন্য এই পুরস্কার জিতেছেন তিনি। এটি তার প্রথম অস্কার এবং তিনিই প্রথম আইরিশ অভিনেতা যিনি এই পুরস্কার জিতেছেন।
৯৬ তম অস্কার আসরে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার উঠেছে এমা স্টোনের হাতে। ‘পুওর থিংস’ ছবির জন্য এই পুরস্কার জিতেছেন তিনি। এটি তার দ্বিতীয় অস্কার।‘পুওর থিংস’ সিনেমাতে একজন ব্রিটিশ মহিলার চরিত্রে অভিনয় করেছেন এমা যিনি একটি শিশুর মস্তিষ্ক প্রতিস্থাপনের পরে পুনর্জীবিত হয়েছেন
আরও পড়ুন
দীপাবলির সময় কেন পটকা ফোটানো নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা যায় না ?
উত্তরাপথঃ দীপাবলির পরের দিন, যখন কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (CPCB) শহরের বায়ু মানের সূচকের তালিকা প্রকাশ করে,তখন দেখা যায় রাজধানী দিল্লি বিশ্বের শীর্ষ ১০টি দূষিত শহরের প্রথমেই রয়েছে। CPCB-এর মতে, ১২ নভেম্বর বিকেল ৪ টায় দিল্লির বায়ু মানের সূচক ছিল ২১৮ যা ভোরের দিকে বেড়ে ৪০৭ এ পৌঁছায় । ৪০০ – ৫০০ AQI এর স্তর সুস্থ ব্যক্তিদের প্রভাবিত করে। দীপাবলির সারা রাত, লোকেরা পটকা ফাটিয়ে দীপাবলি উদযাপন করে। ১৩ নভেম্বর বিকেল ৪ টায় কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ আবার তথ্য প্রকাশ করে এই তালিকায়, দিল্লির গড় বায়ু মানের সূচক ছিল ৩৫৮ যা 'খুব খারাপ' বিভাগে পড়ে। বায়ু দূষণের এই পরিস্থিতি শুধু দিল্লিতেই সীমাবদ্ধ ছিল না। নয়ডার বায়ু মানের সূচক ১৮৯ থেকে ৩৬৩ এ এবং রোহতক, হরিয়ানার ১৩৭ থেকে বেড়ে ৩৮৩ হয়েছে। দীপাবলির দুই দিন দিল্লি ,নয়ডা ,কলকাতা, মুম্বাই সহ দেশের অন্যান্য শহরেও একই অবস্থা বিরাজ করছে। এই দিনগুলিতে মানুষ বিষাক্ত বাতাসে শ্বাস নিতে বাধ্য হয়েছে। ২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে জাতীয় রাজধানী দিল্লি এবং নয়ডায় সবুজ পটকা ছাড়া যে কোনও ধরণের আতশবাজি ফাটান সম্পূর্ণ রূপে নিষিদ্ধ। আদালত সবুজ পটকা পোড়ানোর সময়ও নির্ধারণ করে দিয়েছে রাত ৮টা থেকে ১০টা। এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে সুপ্রিম কোর্টের এই আদেশের মানে কী? আদালতের এই আদেশ কি এখন প্রত্যাহার করা উচিত? পুলিশ কেন এই আদেশ কার্যকর করতে পারছে না? এর জন্য কি পুলিশ দায়ী নাকি সরকারের উদাসীনতা রয়েছে এর পেছনে? .....বিস্তারিত পড়ুন
Vijay Stambh : চিতোরগড় দুর্গে বিজয় স্তম্ভ হিন্দু – মুসলিম সহাবস্থানের প্রতীক
উত্তরাপথঃ খ্রিস্টীয় ৭ম শতাব্দীতে মৌর্য রাজবংশ কর্তৃক স্থাপিত চিতোরগড় দুর্গ সাহস ও আত্মত্যাগের প্রতীক হিসেবে আজও দাঁড়িয়ে আছে। এই দুর্গ তার বিশাল কাঠামো, রাজপ্রাসাদ, একাধিক সুদৃশ্য মন্দির সহ সুন্দর জলাশয়ের জন্য বিখ্যাত।৭০০-একর এলাকা জুড়ে বিস্তৃত, এই দুর্গটিতে প্রায় ৬৫টি ঐতিহাসিক স্থাপত্য নিদর্শন রয়েছে যা রাজপুত এবং ইসলামিক স্থাপত্য শৈলীর সূক্ষ্মতার প্রমান দেয়। বিজয় স্তম্ভ (Vijay Stambh)) হল এই দুর্গে অবস্থিত,সবচেয়ে মনোমুগ্ধকর কাঠামো।এই আশ্চর্য-অনুপ্রেরণামূলক স্তম্ভটি কেবল তার উচ্চতার জন্য বিখ্যাত নয়,এটি রাজপুতদের অদম্য সাহস এবং অধ্যবসায়ের গল্পও বলে যা চিতোরগড় দুর্গেরই সমার্থক হয়ে উঠেছে।বিজয় স্তম্ভ (Vijay Stambh), নাম থেকে বোঝা যায়, বিজয়ের প্রতীক। প্রাচীনকালে যে কোনো যুদ্ধ অভিযানের সাফল্যের পর সেই বিজয়কে স্মরণীয় করে রাখতে রাজারা মন্দির, স্তূপ, স্মৃতিস্তম্ভ ও স্তম্ভ নির্মাণ করতেন। ৯ তলা এই বিজয় স্তম্ভটি ১৯৪০ থেকে ১৪৪৮ সালের মধ্যে মহারানা কুম্ভ দ্বারা নির্মিত হয়েছিল। .....বিস্তারিত পড়ুন
প্রাপ্তবয়স্কদের স্মৃতিশক্তি এবং চিন্তাভাবনা হ্রাস সমস্যার সমাধানের ক্ষেত্রে প্রোবায়োটিক
উত্তরাপথঃ সারা বিশ্বের জনসংখ্যার বয়স বৃদ্ধির সাথে স্মৃতিশক্তি এবং চিন্তাভাবনা হ্রাস এবং ডিমেনশিয়ার মতো নিউরোডিজেনারেটিভ রোগের প্রকোপ বাড়ছে৷ তাদের এই সমস্যাগুলি যে কেবল তাদের একার সমস্যা তা নয় ,এটি ধীরে ধীরে পুরো পারিবারিক সমস্যার আকার নেয়।সম্প্রতি বয়স্ক প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে মস্তিষ্কের কার্যকারিতাকে পুনরুদ্ধার করার জন্য গবেষকদের মধ্যে কার্যকর কৌশল খোঁজার আগ্রহ বাড়ছে।বর্তমানে বেশীরভাগ গবেষক মস্তিস্কের স্বাস্থ্য উদ্ধারের ক্ষেত্রে প্রোবায়োটিকের সম্ভাব্য ভূমিকা নিয়ে গবেষণা করছেন । এখন খুব স্বাভাবিকভাবেই একটি প্রশ্ন আসে প্রোবায়োটিক কি? কেনই বা গবেষকরা মস্তিস্কের স্বাস্থ্য উদ্ধারের ক্ষেত্রে প্রোবায়োটিকের ভূমিকা নিয়ে গবেষণা করছেন । .....বিস্তারিত পড়ুন
সহযাত্রী
দীপা - আর তো এগারো বছর আটমাস বারোদিন চাকরি , তাই না ? অংশু - বাপরে বরাবরই তোমার স্মৃতিশক্তি প্রবল , এতোটা মনে আছে ? দীপা- ঘোরো টো টো করে আর কটা বছর , আফটার রিটায়ার্ড মেন্ট কি করবে ? অংশু - ফার্ম হাউস ,গাছপালা পশুপাখি নিয়ে থাকবো। দীপা- বাঃ উন্নতি হয়েছে। যে অংশুবাবু কখনও একটা ফুলের চারা লাগায়নি সে কিনা ফার্ম হাউস করবে … অংশু - সময়ের সাথে সব বদলায় ম্যাডাম , আচ্ছা তোমার কনুইয়ের নীচে সেই পোড়া দাগটা দেখি তো গেছে কিনা … দীপা- তুমি অনেক রোগা হয়ে গেছো , তা ওজন কত শুনি ? অংশু - সত্তর বাহাত্তর হবে বোধহয় মাপিনি, দীপা - তা কেনো মাপবে ? একটা অগোছালো মানুষ। অংশু - যাক বাবা তাও অপদার্থ শব্দ টা বলোনি। দীপা - ভাবোনা ডিভোর্স হয়েছে বলে সে অধিকার নেই। সমাজ বিজ্ঞানের অধ্যাপক হয়েও আসলে সমাজটাই শেখোনি , আর কি শিখেছো বলো, ঐ ছেলে পড়ানো , সেমিনার আর লেখালেখি। তা ধন্যবাদ তোমার রূপালী ঠৌট উপন্যাস এবছর একাডেমি পেলো , দারুণ লেখো তুমি, আগের চেয়ে অনেক ধার। অংশু- বাঃ তুমি পড়েছো ? দীপা- সব পড়েছি , তোমার রিসেন্ট উপন্যাসের নায়িকা মেঘনা টি কে ? মানে কার আড়ালে কাকে লিখেছো ? অংশু - এও কি বাংলা সাহিত্যের অধ্যাপিকাকে বলে দিতে হবে ? দীপা- বারোটা বছর সময়ের শাসনে অনেক বদলালেও আমি বোধহয় সেই বড্ড সেকেলেই রয়ে গেলাম। অংশু - একা একাই কাটিয়ে দিলে বারো বছর। দীপা- একই প্রশ্ন আমিও করতে পারি। অংশু - আচ্ছা দীপা আজ না হয় শেষবারের মতো বলি, আমার মধ্যে কি ছিলো না বলোতো ? কেনো পারোনি এই বাউন্ডুলে ভবঘুরে মানুষটার সাথে চিরকালের ঘর বাঁধতে ? আমি কি ভালোবাসতে জানি না ? .....বিস্তারিত পড়ুন