ড. জীবনকুমার সরকার
বাঙালির কাব্যসংসারে শামসুর রাহমানের মতো কবি দুর্লভ। বাংলা ভাষা ও বাংলা সংস্কৃতির প্রতি এত প্রবল দায়বদ্ধতা তাঁর সমকালীন কবিদের মধ্যে তেমন তীব্র ছিলো না, যতটা তাঁর মধ্যে দেখেছি। আমরা না বুঝে তাঁকে বাংলাদেশের কবি বানিয়েছি। এ এক হীন মূল্যবোধ আমাদের। যিনি এমন কবিতা লেখেন, তিনি কি কেবল বাংলাদেশের কবি হতে পারেন :
” বাংলা ভাষা উচ্চারিত হলে নিকানো উঠোনে ঝরে
রৌদ্র, বারান্দায় লাগে জ্যোাৎস্নার চন্দন। বাংলাভাষা
উচ্চারিত হলে অন্ধ বাউলের একতারা বাজে…
বাংলাভাষা উচ্চারিত হলে চোখে ভেসে ওঠে কত ছবি
চেনা ছবি; মা আমার দোলনা দুলিয়ে কাটছেন
ঘুমপাড়ানিয়া ছড়া কোন সে সুদূরে; সত্তা তাঁর
আশাবরী। নানি বিষাদ সিন্ধুর স্পন্দে দুলে
দুলে রমজানি সাঁঝে ভাজেন ডালের বড়া আর
একুশের প্রথম প্রভাতফেরি, অলৌকিক ভোর।”
(‘বাংলা ভাষা উচ্চারিত হলে’)
জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে শামসুর রাহমান সামগ্রিক ভাবে বাঙালি জাতিসত্তার সঙ্গে জড়িত এক মহৎ কবি। এই কারণে রবীন্দ্রনাথের পর জীবিতকালে আর কোনো কবি এত জনপ্রিয়তা পাননি। চিলির ক্ষেত্রে যেমন দেখতে পাওয়া পাবলো নেরুদার অবস্থান, ঠিক তেমনি ভারত ভাগের পরেই বাঙালি জাতির নব্য উত্থান পর্বে এবং বাংলা ও বাঙালির আত্মজাগরণ মুহূর্তে শামসুর রাহমানের ভূমিকা ছিলো লক্ষ্য করার মতো। সাতচল্লিশের বাংলা ভাগের সর্বনাশ মাথায় করে দুঃখিনী বর্ণমালা পাকিস্তানে টলমল করতে থাকে। পাকিস্তানে বাংলা ভাষাকে উপড়ে ফেলার সমস্তরকম সরকারি চক্রান্ত হতে থাকে। পাকিস্তানের বাঙালিরা দুঃখিনী বর্ণমালার দুঃখমোচনে সংগ্রাম গড়ে তুললে সৃষ্টি হয় একুশে ফেব্রুয়ারি। ১৯৫২ সালের ঐতিহাসিক একুশে ফেব্রুয়ারি বাঙালি জাতির ইতিহাসে সবচেয়ে গৌরবের দিন।
অত্যন্ত দুঃখের ও লজ্জার যে, একুশে ফেব্রুয়ারির মতো মহান ও পবিত্র মাতৃভাষার আন্দোলনকেও আমরা এপারে বসে বাংলাদেশের ঘটনা বলে দেগে দিয়ে ইতিহাস থেকে মুখ ঘুরিয়ে বসে আছি। এমন আত্মপ্রতারক জাতি খুব কম দেখা যায় বিশ্বে। মাতৃভাষার মান রাখতে ঢাকার রাজপথে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিলো যে জাতি, সেই জাতি আজ সতীর দেহের মতো ছিন্নভিন্ন। ভাষিক ও সাংস্কৃতিক পরিচয় ছেড়ে হিন্দু-মুসলমান দ্বন্দ্বে জর্জরিত। আত্মহননের এমন পথ আমরা বেছে নিয়েছি। আমাদের বড়ো ভালো লাগে শামসুর রাহমান বাঙালির মাতৃভাষার সংকটে ও দুর্দিনে পাশে দাঁড়িয়েছিলেন :
” হে আমার আঁখিতারা তুমি উন্মীলিত সর্বক্ষণ জাগরণে
তোমাকে উপড়ে নিলে, বলো তবে, কী থাকে আমার?
উনিশশো’ বাহান্নোর দারুণ রক্তিম পুষ্পাঞ্জলি
বুকে নিয়ে আছো সগৌরবে মহীয়সী।
সে ফুলের একটি পাপড়িও ছিন্ন হলে আমার সত্তার দিকে
কত নোংরা হাতের হিংস্রতা ধেয়ে আসে।
এখন তোমাকে নিয়ে খেঙরার নোংরামি,
এখন তোমাকে ঘিরে খিস্তি-খেউরের পৌষমাস!
তোমার মুখের দিকে আজ আর যায় না তাকানো,
বর্ণমালা, আমার দুঃখিনী বর্ণমালা।”
( ‘বর্ণমালা, আমার দুঃখিনী বর্ণমালা’)
বাংলা ভাষার রাষ্ট্রীয় সম্মান ও অধিকার আদায়ের জন্য তৎকালীন পাকিস্তানে বাঙালিদের যে মহা সংগ্রাম সংগঠিত হয়েছিলো, তা আজ বিশ্বেও বন্দিত ও চর্চিত। কেবল অসচেতন বাঙালির হৃদয়ে তা নেই। বিশেষ করে এপার বাংলার বাঙালিদের মধ্যে। দুই বাংলার ভাষা ও সংস্কৃতি এক হলেও একুশের উত্তরাধিকার বহন করতে আমরা এপারে পিছিয়ে আছি অনেকটা। বাহান্নর ভাষা আন্দোলনে বাঙালির দাবি ছিলো পাক শাসকের কাছে ————-“রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই”। অর্থাৎ, উর্দুর পাশাপাশি পাকিস্তানে সরকারি ভাষা হিসেবে বাংলা ভাষারও দাবি তোলেন বাঙালিরা। বাঙালিদের এ দাবি অন্যায্য নয়। কারণ,তৎকালীন পাকিস্তানে মোট জনসংখ্যার বিচারে ভাষিক জাতিগোষ্ঠী হিসেবে বাঙালি ছিলো সংখ্যাগরিষ্ঠ। কিন্তু বাঙালিদের এই গণতান্ত্রিক দাবি মানতে রাজি ছিলেন না উর্দুভাষী পাক শাসকেরা। ফলে বাহান্নর ওই “রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই” দাবিটা একাত্তরে গিয়ে দাঁড়ালো—————–
” বাংলাভাষার রাষ্ট্র চাই”। শুরু সশস্ত্র গণজাগরণ। তখন বাংলাভাষার জন্য একখণ্ড স্বতন্ত্র স্বাধীন রাষ্ট্রের দরকার হয়ে পড়লো। আশ্চর্য, কবি শামসুর রাহমানের মতো কবি একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্য ব্যাকুল হয়ে উঠেছিলেন :
” তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা,
তোমাকে পাওয়ার জন্যে
আর কতবার ভাসতে হবে রক্তগঙ্গায়?
আর কতবার দেখতে হবে খাণ্ডবদাহন?…
তুমি আসবে বলো, হে স্বাধীনতা,
সাকিনা বিবির কপাল ভাঙলো,
সিঁথির সিঁদুর মুছে গেল হরিদাসীর। …
স্বাধীনতা, তোমার জন্যে এক থুথ্থুরে বুড়ো
উদাস দাওয়ায় বসে আছেন —— তাঁর চোখের নিচে অপরাহ্ণের
দুর্বল আলোর ঝিলিক, বাতাসে নড়ছে চুল।
স্বাধীনতা, তোমার জন্যে
হাড্ডিসার এক অনাথ কিশোরী শূন্য থালা হাতে
বসে আছে পথের ধারে।…
একটি নতুন পৃথিবীর জন্ম হতে চলেছে —-
সবাই অধীর প্রতীক্ষা করছে তোমার জন্যে, হে স্বাধীনতা
পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত জ্বলন্ত
ঘোষণার ধ্বনি-প্রতিধ্বনি তুলে,
নতুন নিশানা উড়িয়ে, দামামা বাজিয়ে দিগ্বিদিক
এই বাংলায়
তোমাকে আসতেই হবে, হে স্বাধীনতা।”
(‘ তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’)
ইতিহাসের এই সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে এমন করে দুঃসাহসিকতা আর কোনো কবি সমকালে দেখাতে পারেননি। বন্দুক হাতে করে মুক্তিযোদ্ধাদের মতো যুদ্ধের মাঠে নামতে না পারলেও কবিতায় স্ফুলিঙ্গ ছড়িয়েছেন বাঙালির আকাশে বাতাসে। চেতনায় লালন করেছেন একুশের সুমহান ঐতিহ্য: “আবার ফুটেছে দ্যাখো কৃষ্ণচূড়া থরে থরে শহরের পথে
কেমন নিবিড় হয়ে। কখনো মিছিলে কখনো বা
একা হেঁটে যেতে যেতে মনে হয় —–ফুল নয়, ওরা
শহিদের ঝলকিত রক্তের বুদ্বুদ, স্মৃতিগন্ধে ভরপুর।
একুশের কৃষ্ণচূড়া আমাদের চেতনারই রঙ।”
(‘ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯’)
সময় সচেতন কবির কাছে এটা সময়ের দাবি যেন। এইজন্যে শামসুর রাহমানকে আমার সময়ের রাখাল বলতে ভালো লাগে। দাহ্য সময়ই যেন তাঁকে দিয়ে সবকিছু লিখিয়ে নিয়েছে। সময়ের নথিরক্ষক হিসেবে তিনি একটি জাতির জাতীয় ইতিহাসের প্রতি দায়বদ্ধতা পালন করে গেছেন। এমন মহৎ কবিকে আমরা এখনও স্পর্শ করতে পারিনি। এ আমাদের দৈন্যতা। কারণ, এ বঙ্গে আমরা বড্ড বেশি হিন্দু- মুসলমান কোষ্ঠকাঠিন্যতায় আক্রান্ত। অবিভাজ্য বাঙালি সত্তার পুনর্নির্মাণে আমাদের কোনো প্রয়াস নেই। ওপারের ইলিশের প্রতি যত প্রেম, তার ছিটেফোঁটাও ওপারের সাহিত্য নিয়ে আগ্রহ নেই আমাদের। এপারের লিটিল ম্যাগাজিন আর বিষয়ভিত্তিক গ্রন্থ নির্মাণের পরিসর দেখলে সে উদাসীনতা চোখে পড়ে।
কবিতা ছাড়া শামসুর রাহমানের বিকল্প কোনো জীবন ছিলো না। কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা যেমন সে-কথা প্রমাণ করে, তেমনি মানুষের মধ্যে তাঁর জনপ্রিয়তার বহরও তা প্রমাণ করে। কবিতাকে তিনি জীবনযুদ্ধের হাতিয়ার মনে করতেন। আমৃত্যুকে কবিতাকেই আশ্রয় করেছিলেন। কবিতাকে অসীম ভালোবেসেছেন
” কবিতাকে খুব কাছে পেতে চেয়ে কখনও কখনও
কবিতার কাছ থেকে দূরে চলে যাই।
কবিতাকে ভালোবাসি বলে পদ্মকেশরের
উৎসব হৃদয়ে উদ্ভাসিত। কবিতার
প্রতি ভালোবাসা ডেকে আনে ভালোবাসা
হতশ্রী জীবনে, খরাদগ্ধ অবেলায় ঢালে জল,
যেমন মৃন্ময়ী চণ্ডালিকা
আনন্দের আঁজলায়।”
( চকিতে সুন্দর জাগে’)
এই কাব্যবয়ানের অন্তঃস্বর উপলব্ধি করলে তাঁর সম্পর্কে ধারণা পরিষ্কার হয়ে যায়। শঙ্খ ঘোষের বাচনকে ধার করে তাঁর সম্পর্কে বলা যায় ———–
“প্রতিটি মুহূর্তে তুমি কবি”।
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের পর স্বাধীন বাংলাদেশেও কবি শামসুর রাহমান অনন্য দায়বদ্ধতা পালন করেছেন। জাতির যে কোনো দুর্দিনে কবিতা লেখার পাশাপাশি রাস্তায় নেমে মিছিলের অগ্রভাগে থেকেছেন। একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন। গণতন্ত্রের পক্ষে সরব হয়েছেন। যে কারণে, পাকিস্তানপন্থী উগ্র ধর্মান্ধরা তাঁর বিরুদ্ধে আক্রমণ নামিয়ে এনেছে। ইসলামী মৌলবাদীরা তাঁর জীবন শেষ করে দিতেও উদ্যত হয়েছেন কখনও কখনও। তবু কবি শামসুর রাহমান থেকেছেন সত্যের কাছে অবিচল, ন্যায়ের কাছে ঋজু। ঘাতকদের উদ্দেশে বলেছিলেন :
” ঘাতক তুমি সরে দাঁড়াও, এবার আমি
লাশ নেবো না।
নই তো আমি মুর্দাফরাশ। জীবন থেকে
সোনার মেডেল,
শিউলিফোটা সকাল নেবো।
ঘাতক তুমি বাদ সেধো না, এবার
আমি গোলাপ নেবো।”
(‘ফিরিয়ে নাও ঘাতক কাঁটা’)
বাংলাদেশের মাটিতে একাত্তরের চেতনাকে লালন করতে গিয়ে কবিকে কম খেসারত দিতে হয়নি। বিভিন্ন সময়ে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়েছেন, ধর্মান্ধ শক্তি প্রতি পদে পদে বাধা দিয়েছে। তবু সবুজ বাংলাদেশের প্রতি আস্থা হারাননি। মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা হারাননি। নিজের প্রতিও থেকেছেন সদা সচেতন ও সতর্ক। উন্মত্ত ধর্মান্ধ আর সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে তিনি অস্ত্র উদগীরণ করেছেন এভাবে :
” কস্মিনকালেও অস্ত্রে আমার বিশ্বাস নেই।
না ছোরা, না ভোগালি, না সড়কি না বল্লম
না তলোয়ার না বন্দুক ——
কোনো কিছুরই প্রয়োজন নেই আমার।
আমি মারমুখো কোনো লোক নই।…
কেউ তছনছ করে দিতে এসে,
নিরস্ত্র আমি নিমেষে হয়ে উঠি দুরন্ত লড়াকু।
আমার লড়াইয়ের রীতি
নদীর ফেরীর মতো; ফুল আর সুরের মতো
পবিত্র।…
না ছোরা, না ভোগালি, সড়কি না বল্লম,
না তলোয়ার না বন্দুক ——–
কিছুই নেই আমার,
এই আমি নিজেই আমার অস্ত্র।”
(‘ অস্ত্রে আমার বিশ্বাস নেই’)
এভাবেই ১৭ আগস্ট ২০০৬ সাল পর্যন্ত লড়ে গেলেন। মাথা নত করেননি তবু। এই বিশেষ কারণে তাঁর কাছে মাথা নত হয়ে যায়। মানবতার জন্য লড়াই করতে সাধ হয়। জীবনে এমন কবিদের কাছে কত কী শেখার থেকে যায়। আজীবন তিনি আমাদের প্রেরণা দিয়ে গেছেন। শত্রুর বিরুদ্ধে মোকবিলা করার জন্য জ্বলে ওঠার মন্ত্র দিয়ে গেছেন। বাঙালি জাতির জন্য অফুরান প্রেম নিবেদন করে গেছেন।
তাঁর আর একটি অনন্য সাধারণ কবিতা আজকের এইসব দিনে কেন জানি খুব মনে পড়ে। বারবার পড়তে ইচ্ছে করে। কবিতাটির নাম ‘সুধাংশু যাবে না’। দেশত্যাগী সুশান্তকে উদ্দেশ্য করে নির্মিতি এ কবিতাটি যেন লক্ষ লক্ষ দেশান্তরিত মানুষের উদ্দেশে কবির আকুল আবেদন :
” লুণ্ঠিত মন্দির আর অগ্নিদগ্ধ বাস্তুভিটা থেকে
একটি বিবাগী স্বর সুধাংশুকে ছুঁলো ———
‘ আখেরে তুমি কি চলে যাবে?’ বেলাশেষে
সুধাংশু ভস্মের মাঝে খুঁজেৈ
বেড়ায় দলিল, ভাঙা চুড়ি, সিঁদুরের স্তব্ধ কৌটা,
স্মৃতির বিক্ষিপ্ত পুঁতিমালা।…
আকাশের নীলিমা এখনো
হয়নি ফেরারী, শুদ্ধচারী গাছপালা
আজো সবুজের
পতাকা ওড়ায়, ভরা নদী
কোমর বাঁকায় তন্বী বেদিনীর মতো।
এ পবিত্র মাটি ছেড়ে কখনো কোথাও
পরাজিত সৈনিকের মতো
সুধাংশু যাবে না।”
ওপার থেকে চোদ্দো পুরুষের ভিটেমাটি ছেড়ে এপারে আসা কোটি সুধাংশু এখানেও ভালো নেই বিশেষ। আন্দামান থেকে সুন্দরবন, নৈনিতাল থেকে দণ্ডকারণ্য ভারতের সর্বত্রই সুধাংশুরা বিশেষ ভালো নেই। দেশভাগের করুণ পরিণাম তাদের আজও তাড়া করে বেড়ায়। দেশান্তরিত মানুষের চোখের জল আজও শুকোচ্ছে না। নানা ব্যথা-বেদনায়, বিপন্নতায় জর্জরিত তাদের জীবন। ফলে তারা আজও একটি দেশ খোঁজে। যে দেশে বাংলাদেশও নেই, আবার ভারতও নেই। যে দেশে শুধু সকাল আছে, অন্ধকার নেই। কিংবা, যে দেশে কোনো ধর্ম নেই, শুধু মানুষ আছে। আর যে দেশে শামসুর রাহমানের মতো সংবেদনশীল বাঙালি মানুষ থাকবে।
আরও পড়ুন
The Dome of the Rock: দ্য ডোম অফ দ্য রক একটি সমৃদ্ধ ইতিহাসের মহিমান্বিত প্রতীক
উত্তরাপথ: দ্য ডোম অফ দ্য রক, জেরুজালেমের (Jerusalem) কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত একটি স্থাপত্যের এক অপূর্ব নিদর্শন। আজও এটি শহরের সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় ঐতিহ্যের একটি প্রমাণ হিসাবে দাঁড়িয়ে রয়েছে। টেম্পল মাউন্টে অবস্থিত এই আইকনিক কাঠামোটি শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করেছে এর মনমুগ্ধরুদ্ধকর সৌন্দর্য এবং ঐতিহাসিক তাৎপর্য দিয়ে। এটি উমাইয়া রাজবংশের সময় ৬৮৫ এবং ৬৯১ CE এর মধ্যে নির্মিত হয়েছিল যা .....বিস্তারিত পড়ুন
বিরোধী শূন্য রাজ্যের সমস্ত জেলা পরিষদ
উত্তরাপথ: এবার বিরোধী শূন্য রাজ্যের সব কয়টি জেলা পরিষদ। এবার রাজ্যের সমস্ত জেলা পরিষদ একাই শাসন করবে তৃণমূল । ‘সুবজ ঝড়ে কার্যত নিশ্চিহ্ন বিরোধীরা ।রাজ্যে বিরোধী দলগুলির ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন ছারখার হয়ে গিয়েছে । দক্ষিণবঙ্গ তো বটেই, উত্তরবঙ্গেও একই ছবি। রাজ্যের ২০টি জেলা পরিষদই দখল করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। জেলা পরিষদের মতোই শাসক শিবিরের আধিপত্য বজায় রয়েছে পঞ্চায়েত সমিতিতেও। মোট ৩৪১টি সমিতির মধ্যে তৃণমূল ৩১৩, বিজেপি ৭ এবং বামেরা মাত্র দু’টি দখল করেছে। বামেদের রাজনৈতিক সঙ্গী কংগ্রেস .....বিস্তারিত পড়ুন
সম্পাদকীয়
পশ্চিমবঙ্গের ছোট-বড় যে কোনও নির্বাচন মানেই রাজনৈতিক হিংসা । সদ্য অনুষ্ঠিত পঞ্চায়েত নির্বাচনও তার ব্যতিক্রম নয়।রাজনৈতিক হিংসা যাতে না হয় নির্বাচনে তার জন্য যাবতীয় উদ্যোগ গ্রহণ করার পরও হিংসা অব্যাহত থাকল, সারা রাজ্যজুরে ঘটল তেরোটি মৃত্যুর ঘটনা ।পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ঘট হিংসা রাজ্যের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহ নাগরিকদের ভোটাধিকার নিয়ে আমাদের সামনে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। আমাদের রাজ্যে চলতে থাকা রাজনৈতিক হিংসার পেছনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ একাধিক কারণ থাকলেও বেকারত্ব সহ দুর্বল গ্রামীন অর্থনীতি এর প্রধান কারণ । দুর্বল গ্রামীন অর্থনীতির কারণে বেশীরভাগ গ্রামীন এলাকার মানুষদের অর্থনৈতিক উপার্জনের সুযোগ খুব কম। বিশেষত স্বল্প শিক্ষিত সেই সব মানুষদের যারা না পায় সরকারি চাকুরি না পারে ঠিকা শ্রমিকের কাজ করতে, গ্রামীন অর্থনীতিতে বিশাল সংখ্যক মানুষ এই শ্রেনীর অন্তর্গত .....বিস্তারিত পড়ুন
শুভেন্দুর, ‘স্ট্র্যাটেজি’ খারিজ সুকান্তর
উত্তরাপথ: শুভেন্দুর, ‘স্ট্র্যাটেজি’খারিজ সুকান্তর, পঞ্চায়েত ভোটকে সামনে রেখে তৃণমূলকে আটকাতে বিজেপির সঙ্গে কংগ্রেস-সিপিএমকে আসার আহ্বান জানিয়েছিলেন শুভেন্দুর, আর সেই স্ট্র্যাটেজি খারিজ করে দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।এখন প্রশ্ন রাজ্য বিজেপির প্রধান দায়িত্বে কে? বিরোধী দলনেতা না রাজ্য সভাপতি ? শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) তার বিতর্কিত কথার জন্য রাজ্যে বিশেষ পরিচিত, তবে তিনি কি পারেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের(ম্মঞ্জ)সাথে আলোচনা ছাড়া কোনও সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত একক ভাবে নিতে ? .....বিস্তারিত পড়ুন